বরই ও বরই বা কুল পাতার উপকারিতা - আপেল কুল চাষ পদ্ধতি
বরই এর উপকারিতা
বরই ও বরই পাতার উপকারিতা প্রসঙ্গে আলোচনা করা হলো বরই এর উপকারিতা নিয়ে বরই রয়েছে এক ধরনের শক্তিশালী কেমিক্যাল যা দুশ্চিন্তা, অনিদ্রা কমাতে সাহায্য করে। বরই রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরের ফ্রি রেডিকেল গুলো নিষ্ক্রিয় করে। তাছাড়াও ভিটামিন এ ভিটামিন বি টু ভিটামিন সি ফাইটো ক্যামিক্যাল যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বরই রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বিদ্যমান যা টিউমারের উপর সাইট্রিক প্রভাব বিস্তার করে।
এর ফলে শরীরে ক্যান্সার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এছাড়াও শুকনো বরোই রক্ত পরিষ্কার করে এবং হজম শক্তি বাড়ায়। এই ফল খাবার ফলে মানুষের ঘুম ভালো হয় দুশ্চিন্তা দূর হয়। তাই রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য এই ফল খাওয়া উচিত।
বরই পাতার উপকারিতা
বরই ও বরই বা কুল পাতার উপকারিতা - আপেল কুল চাষ পদ্ধতি এই পশ্চিম মাধ্যমে আমরা জানবো কুল পাতার উপকারিতা সম্পর্কে ।বরই পাতা আমাদের জন্য খুবই উপকারী। বরই পাতাতে রয়েছে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। বরই পাতার রস রোগ প্রতিরোধে বিভিন্ন ধরনের ভূমিকা রাখে। অঞ্চল ভিত্তিক বরই পাতাকে বিভিন্ন নামে যেমন ঠানি ,ফুরফুরি, লালা বেগুনি, মানারুকী, ইত্যাদি নামে ডাকা হয়। চর্ম , এলার্জি , আলসার , গ্যাসটি রোগ নিরাময় এর ভূমিকা অনেক। যারা এই সমস্যায় ভুগছেন তারা কিছু পাতা নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে বিলিন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন।
আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফল চাষ পদ্ধতি
এবার চা কাপের হাফ কাপ রস নিয়ে তার সাথে এক চা চামচ কালো জিরার গুড়া দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে এই রসটি খাবেন। এভাবে সপ্তাহের সাত দিন খেলে চর্ম রোগ সহ সব ধরনের সমস্যার সমাধান হবে । তাছাড়া রূপচর্চা যেমন চুল পড়া কমাতে , ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে , ত্বকের বলি রেখা , দূর করতে বরই ও বরই পাতার উপকারিতা অনেক।
বরই গাছের পরিচর্যা
বরই ও বরই বা কুল পাতার উপকারিতা - আপেল কুল চাষ পদ্ধতি এই পোস্টটির মাধ্যমে আমরা জানবো বড়ই গাছের পরিচর্যা সম্পর্কে।ভালো ফল পেতে হলে অবশ্যই বরই গাছের পরিচর্যা করতে হবে । এটি ভালো গাছ মানে অনেক ফল, এর সাথে তো বরই ও বরই পাতার উপকারিতা রয়েছেই। জমিতে বরই গাছ লাগানোর আগে জমি প্রস্তুত করতে হবে। জমিতে আগাছা থাকলে তা পরিষ্কার করতে হবে । বরই গাছ লাগানোর জন্য গর্ত করতে হবে শুয়া দুই হাত * সোয়াদুই* সোয়া দুই হাত। চারা লাগানোর ১০ থেকে ১৫ দিন পূর্বে গর্তের টিএসপি ২৫০ গ্রাম, পটাশ ২৫০ গ্রাম , জিপসাম ২৫০ গ্রাম, পচা কবর ২৫ কেজি দিতে হবে। তারপর সেগুলো ভালোভাবে মিশিয়ে গর্ত বন্ধ করে দিতে হবে।
আরো পড়ুনঃ হাইব্রিড বেগুন চাষ পদ্ধতি
১০ থেকে ১৫ দিন পর সেই গর্তে চারা রোপণ করতে হবে। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে এবং গাছে ওষুধ দিতে হবে। জমিতে পানি সেচের প্রয়োজন হলে পানি সেচ দিতে হবে ।জমিতে যেন পানি জমে না থাকে সেজন্য পানির নিষ্কাশন এর ব্যবস্থা থাকতে হবে।বরই ও বরই পাতার উপকারিতা এবং বরই একটি লাভজনক পেশা হওয়ায় অনেকেই বরই চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
বরই এর রোগ ও প্রতিরোধ
বরই ও বরই বা কুল পাতার উপকারিতা - আপেল কুল চাষ পদ্ধতি এর প্রেক্ষাপটে আমাদের দেশে বর্তমানে প্রচুর বরই চাষ হচ্ছে এবং বিভিন্ন ধরনের বরই ও পাওয়া যাচ্ছে। যেমনঃ আপেল কুল, বাউ কুল, ছোট কুল, টক বরই, কুল বরই ইত্যাদি। আজ আমরা আলোচনা করব বরই এর রোগ ও প্রতিরোধ নিয়ে। বরই গাছের একটি কমন রোগ হল সাদা গুড়া রোগ বা পাউডারী মিল টিউব রোগ। এর রোগটি বরই এর পাতা ফুল ও ফলে আক্রমণ করে। অক্টোবর থেকে নভেম্বর মাসের সাধারণত এই রোগ বেশি দেখা যায়।
আরো পড়ুনঃ কাঁচা মরিচ চাষ পদ্ধতি
সাদা পাউডারের মতো এই আবরণটি ধীরে ধীরে সমগ্র পাতা ফুল ও ফলকে আবৃত করে এবংশেষ পর্যন্ত বাদামি আকার ধারণ করে ।এতে করে ফুল ফল ঝরে যায়। অনেক সময় ফল পাকার সময়ও এই রোগ দেখা দেয় তখন আক্রান্ত ফলটি ফেটে যায়। এই রোগ থেকে বাঁচার জন্য নিয়মিত গাছ বা বাগান পরিষ্কার করতে হবে।বরই গাছের মরা শুকনো রোগা আক্রান্ত ডালপালা সংগ্রহ করে তা পুড়িয়ে ফেলতে হবে।
থিও ভিড প্রতি লিটার পানিতে দুই গ্রাম অথবা ডাইথেন এম ৪৫ প্রতি ১০ লিটার পানিতে বিশ গ্রাম ভালোভাবে পানির সাথে মিশিয়ে পুনর দিন পর পর দুই তিন বার গাছ ভিজিয়ে দিতে হবে। এছাড়া বড়ই এ আরও অনেক ধরনের রোগ দেখা দেয় যেমন ফলের উপর কালো কালো দাগ দেখা দেওয়া ,ফলের উপর ছত্রা পোকা বা মিলিবাগ পোকার আক্রমণ ইত্যাদি।
আপেল কুল চাষ পদ্ধতি
বরই এর একটি উন্নত জাত হলো আপেল কুল। এটি একটি খুবই সুস্বাদু বরই।বরই ও বরই পাতার উপকারিতা এর প্রসঙ্গে আপেল কুল চাষ পদ্ধতি নিয়ে আলোচনা করা হলো। উর্বর বা অনুর্বর সব ধরনের জমিতে অল্প খরচে আপিল কুল চাষ করা যেতে পারে। এর জন্য নির্বাচন করতে হবে ভালো জাতের চারা। বর্ষার পরে যেমন সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে এই চারার রোপণ করতে হয়। গাছ লাগানোর সময় গাছের শাড়ির দূরত্ব হবে ১০ ফুট বাই দশ ফুট। প্রতি বিঘা জমিতে ২০০ টির বেশি চারা লাগানো যাবে। গাছ পরিণত হলে আগস্ট সেপ্টেম্বরের ফুল আসে।
গাছে ফুল আসলে প্রতি ১০ লিটার পানির সাথে তিন মিলে ৫টোনাল মিসের স্প্রে করতে হবে। এতে করে ফুলের গোড়া শক্ত হবে এবং ফলের আকার বড় হবে। বেশি ফলন পেতে হলে নিয়মিত কাছে স্প্রে করতে হবে। বিভিন্ন ধরনের পোকামাকড়ের হাত থেকে রক্ষা করতে ১৫ দিন পর পর গাছ স্প্রে করতে হবে। নিয়মিত আগাছা পরিষ্কার করতে হবে। সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে প্রথম বছরে বিঘা প্রতি ৬০ থেকে ৭০ কেজি এই ফল উৎপাদন করা যেতে পারে।
সবশেষে বলতে চাই,বরই ও বরই বা কুল পাতার উপকারিতা - আপেল কুল চাষ পদ্ধতি এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে এবংবরই ও বরই বা কুল পাতার উপকারিতা - আপেল কুল চাষ পদ্ধতি এ আর্টিকেল থেকে যদি কোন টিপস পেয়ে উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের পেজটি ফলো করুন। ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url