ঘুমের উপকারিতা - সুস্থ থাকার জন্য মানুষের কতটুকু ঘুমের প্রয়োজন
এছাড়াও আমরা আলোচনা করব তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপকারিতা, ইসলামে ঘুমানোর সময় কখন । সর্বনিম্ন কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত, রাতে দেরিতে ঘুমালে কি হয়, রাতে ঘুমানোর সঠিক সময় কখন, বয়স অনুযায়ী ঘুমের তালিকা ইত্যাদি নিয়ে। আপনি একজন সচেতন মানুষ হিসেবে জেনে নিন ঘুমের উপকারিতা ও সুস্থ থাকার জন্য কতটুকু ঘুমের প্রয়োজন আপনার।
তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপকারিতা আপনি কি জানেন রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমালে কি কি উপকার হয় ঘুমের উপকারিতা কি। যদি তা না জানেন তবে জেনে নিন রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমানোর উপকারিতা সম্পর্কে।
- রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমালে মানসিক প্রশান্তি হয় ও দূর চিন্তা কমে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে যারা দেরিতে ঘুমায় তাদের মধ্যে দুশ্চিন্তা ও নেতিবাচক প্রভাব বেশি দেখা দেয়।
- কম ঘুমানোর কারণে মানুষের মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় যার ফলে মানসিক অবক্ষয় দেখা দেয়। কিন্তু সঠি নিয়মে ঘুমালে মানুষের মেজাজ প্রফুল্ল থাকে এর ফলে সকলের সাথে ভালো ব্যবহার করা যায়।
- যারা দৈনিক ৬ থেকে ৭ ঘন্টা ঘুমায় তাদের থেকে যারা ৮ ঘণ্টা ঘুমায় তাদের দুর্ঘটনা সম্ভাবনা ২ গুণ কম। তাই সচেতন থাকার জন্য ঘুম খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
- ঘুম মানুষের ওজন ও স্বাস্থ্য ভালো রাখে।
- সৌন্দর্য বাড়াতে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অধিক। অনেক সময় দেখা যায় ঘুম কম হওয়ার কারণে চোখের নিচে কালি পরে বা চোখ লাল হয়ে যায় যা দেখতে খুবই খারাপ লাগে।
- এছাড়া পর্যন্ত ঘুম না হলে শরীরের বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয় যেমনঃ হৃদরোগ, স্ট্রোক ,ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ, উচ্চ রক্তচাপ ইত্যাদি ।তাই মানব জীবনের পর্যাপ্ত ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে।
ইসলামে ঘুমানোর সময়
ঘুমের উপকারিতা সম্পর্কে বলতে গেলে ঘুম হলো আল্লাহ তায়ালার নিয়ামত। একটা প্রশান্তির ঘুম মানুষের সকল ক্লান্তি দূর করে দেয়। তাই ইসলামে ঘুমানোর সময় বা ইসলাম ঘুমের ব্যাপারে বলেছেন রাত্রে এশার পর ঘুমাতে যাওয়া হলো উত্তম সময়। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স)এশার নামাজের পর ঘুমিয়ে যেতেন এবং রাতের শেষ ভাগে উঠে তাহাজ্জুদ ও ফরজ নামাজ আদায় করতেন। আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (স) সব সময় ডান কাত হয়ে ডান হাতের তালুর উপর ভর দিয়ে কিবলামুখী হয়ে সয়ন করতেন। তাই আসুন আমরা ঘুমের উপকারিতা এর কথা মাথায় রেখে ইসলামের বিধান অনুসারে ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলি।
আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের উপকারিতা সম্পর্কে
রাতে ঘুমানোর সঠিক সময়
মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখার জন্য ঘুমের উপকারিতা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞদের মতে ঘুম মানুষের শরীর কে সুস্থ রাখে। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগ দেখা দেয় যেমন, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, স্থূলতা ইত্যাদি । এক সমীক্ষায় বলেছে রাত দশটা থেকে এগারোটা টার মধ্যে ঘুমানো উচিত আর যারা এগারোটার পর ঘুমান তাদের সাধারণত হার্টের সমস্যার প্রবণতা বেশি হয়ে থাকে। এবং মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে। তাই আমাদের রাতে ঘুমানোর সঠিক সময় বেছে নেওয়া উচিত, এবং জানা উচিত সুস্থ থাকার জন্য মানুষের কতটুকু ঘুমের প্রয়োজন।
রাতে দেরিতে ঘুমালে কি হয়
শরীর সুস্থ রাখার জন্য ঘুমের উপকারিতা অনেক। বিভিন্ন সমীক্ষায় দেখা গেছে রাত্রে যারা দেরিতে ঘুমায় তাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের রোগ দেখা দেয় যেমন উচ্চ রক্তচাপ ,ডায়াবেটিকস, হৃদরোগ, স্থলতা ,হাইপারটেনশন ইত্যাদি। সৌন্দর্যের একটি বড় অন্তরায় হল রাত্রে দেরি করে ঘুমানো। রাত্রে দেরিতে ঘুমালে কি হয় বলতে গেলে কম ঘুমের ফলে চোখের নিচে কালি পড়ে, চোখ লাল হয়ে যায় ,মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় ,ওজন কমে যায় তাই আমাদের জানা উচিত সুস্থ থাকার জন্য মানুষের কতটুকু ঘুমের প্রয়োজন।
আরো পড়ুনঃ কাঁচামরিচ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে
বয়স অনুযায়ী ঘুমের তালিকা
ঘুম আল্লাহ তায়ালার নেয়ামত। শরীর সুস্থ রাখার জন্য ঘুমের উপকারিতা অধিক। সঠিক নিয়ম মেনে ঘুমালে শরীর সুস্থ থাকে। তাই বয়স অনুযায়ী ঘুমের তালিকা থেকে জেনে নিন কার কতটুকু ঘুমের প্রয়োজন ঃ
- প্রাপ্তবয়স্ক যেমন ২৬ থেকে ৬৪ বছর বয়সীদের ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানো উচিত।
- যুবক যেমন ১৮ থেকে ২৫বছর বয়সীদের ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
- বৃদ্ধদের যেমন ৬৫ বছর বয়সীদের ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো প্রয়োজন।
- কিশোরদের ঘুমানো উচিত ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা।
- বিদ্যালয় পড়াশোনা করা ছাত্রছাত্রী যেমন ৬ থেকে ১৩ বছর বয়সীদের ঘুমানোর প্রয়োজন৯ থেকে ১০ ঘন্টা।
- প্রাক বিদ্যালয় পড়াশোনা কারীদের যেমন তিন থেকে পাঁচ বছর বয়সীদের ঘুমানোর প্রয়োজন ১০ থেকে ১৩ ঘন্টা।
- তিন মাস বয়সী শিশুদের ঘুমের প্রয়োজন ১১ থেকে ১৩ ঘন্টা।
- ৪ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের ঘুমের প্রয়োজন কমপক্ষে ১০ ঘন্টা।
সর্বনিম্ন কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত
শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রত্যেকটি মানুষকেই সঠিক মাত্রায় ঘুমানো উচিত । কারণ ঘুম মানুষের শরীরকে সুস্থ এবং ভালো রাখে। ঘুম যেমন মানুষের শরীরকে সুস্থ ও ভালো রাখে তেমনি সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে এটা বিশেষ ভূমিকা পালন করে। সঠিক মাথায় ঘুম না হলে মানুষের উদ্যোগের সৃষ্টি হয়, দূর চিন্তা নেতিবাচক প্রভাব বৃদ্ধি পায়।
আরো পড়ুনঃ টাইগার মুরগি সম্পর্কে।
তাই প্রত্যেকটি মানুষের উচিত সঠিক মাত্রায় ঘুমানো।তাই জেনে নিন সর্বনিম্ন কত ঘন্টা ঘুমানো উচিত। একজন প্রাপ্তবয়স্ক যুবকদের প্রতিদিন ৭ থেকে ৯ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। বৃদ্ধদের ঘুমানো উচিত সাত থেকে আট ঘন্টা, ছোট বাচ্চাদের ঘুমানো উচিত দশ থেকে তেরো ঘন্টা।
খুব সুন্দর হয়েছে