মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায় - চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়
তাছাড়া আমরা আরো জানবো, মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায়, তৈলাক্ত ত্বকের মেছতা দূর করার উপায়, মেছতা দূর করার ক্রিম, মেছতা দূর করার ঔষধ, চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়, মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায়, মেছতা দূর করার হোমিও ঔষধ,মেছতার লেজার চিকিৎসা, লেজার ট্রিটমেন্ট এর খরচ কত, লেজার চিকিৎসা কতদিনের জন্য নিতে হয় এসব সম্পর্কে।
মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায়
মেছতা প্রতিরোধ করা খুব একটা সহজ না ,কারণ নারীদের ক্ষেত্রে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পিল
গ্রহণ করা একটি অন্যতম কারণ এর জন্য। তাছাড়াও আমাদের প্রতিনিয়ত কাজের জন্য
বাহিরে যেতে হয় এর ফলে সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মি আমাদের ত্বকের উপর পড়ে, যার ফলে
মেছতা প্রতিরোধ করা খুব কঠিন হয়ে যায়। তবে কিছু নিয়ম মেনে চললে বা অনুসরণ
করলে মেছতা অনেকাংশে প্রতিরোধ করা যায়। নিম্নে মেয়েদের মেছতা দূর করার
উপায় হিসেবে কিছু টিপস দেওয়া হলোঃ
- মেছতা চিকিৎসাকালীন সময়ে জন্মনিয়ন্ত্রণ বা গর্ভনিরোধক পিল থেকে বিরত থাকুন।
- বিভিন্ন ধরনের হরমোন থেরাপি থেকে বিরত থাকুন।
- দিনের বেলা রোদে যাওয়ার আগে সানক্রিম ব্যবহার করুন। এবং সঙ্গে ছাতা, হিজাব কিংবা কার স্কার্ফ ব্যবহার করতে পারেন।
- অতিরিক্ত মেকাপ বা বিভিন্ন ক্রিমের অতিরিক্ত ব্যবহার কমাতে হবে। কারণ এর ফলে ত্বকের কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
- মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায় হিসেবে এগুলো মেনেচললে মেছতার ফল পাওয়া যেতে পারে।
তৈলাক্ত ত্বকের মেছতা দূর করার উপায়
তৈলাক্ত ত্বকের মেছতা দূর করার উপায় হিসেবে আপনারা নিম্নলিখিত উপায় গুলো ব্যবহার করতে পারেনঃ
- গুড়া দুধ ও গ্লিসারিন মিশিয়ে ব্যবহার করতে পারেন।
- নিয়মিত লেবুর রস মুখে লাগাতে পারে।
- কমলালেবুর খোসা গুড়া করে তার সঙ্গে দুধ মিশিয়ে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনারা দ্রুত ফল পাবেন।
- আমন্ড অয়েল ও মধু মিশিয়ে মুখে হালকা করে মাসাজ করুন। এরপর তা ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, দেখবেন ভালো ফল পাবেন।
- মেছতার জায়গায় লেবুর রস সামান্য ভিনেগার ব্যবহার করতে পারেন।
- এগুলো ব্যবহার করার ফলে আপনার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কমে যাবে, এবং মেছতা থেকে অনেকটা মুক্তি পাবেন।
মেছতা দূর করার ক্রিম
মেছতা দূর করার ক্রিম হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন মেনালি ক্রিম। এতে কোন হাইড্রোকুইনোন নেই। তবে এতে রয়েছে ফলিক এসিড, ভিটামিন সি, ফাইট্রিক এসিড, গ্লাইকলিক এসিড, নিকোটিনামাইড এগুলো ত্বকের মেলানিনের মাত্রা কমিয়ে পিগমেন্টেশন ও মেছতা দূর করে। গবেষণায় এটা প্রমাণিত মেলানিক ক্রিম ব্যবহার অত্যন্ত সহজ এবং সব ধরনের ত্বকের জন্য নিরাপদ ও দ্রুত কার্যকারী।
মেছতা দূর করার ঔষধ
কারো কথায় মেছতা দূর করার ঔষধ হিসেবে অমুক তমুক ঔষধ খাবেন না বা ব্যবহার করবেন না। এতে করে আপনার শরীর বা ত্বকের ক্ষতি হতে পারে। প্রয়োজন অনুসারে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। কারণ বিশেষজ্ঞ ডাক্তারেরা ত্বক পরীক্ষা করে মুখের সাথে যেটা মানানসই সেই সব ঔষধ দিয়ে থাকেন।
চিরতরে মেছতা দূর করার উপায়
ত্বকের একটি প্রধান সমস্যা হল মেছতা বা ম্যালাজমাও। একবার মেছতা হয়ে গেলে তা থেকে পরিত্রান পাওয়া বেশ কষ্টসাধ্য। অতিরিক্ত সূর্যের আলোর সংস্পর্শে আসা, থাইরয়েডের সমস্যা ,মানসিক চাপ, হরমোনের সমস্যা , জরায়ুর সমস্যা ইত্যাদিদের কারণে মেছতা হতে পারে। তবে মাত্র দুইটি উপায়ে চিরতরে মেছতা দূর করতে পারেন। তাহলে নিমনে জেনে নিন চিরতরে মেছতা দূর করার উপায় দুটিঃ
লেবুর রস
লেবু প্রাকৃতিকভাবে ত্বক উজ্জ্বল করে বা ব্লিসের কাজ করে। এতে রয়েছে
অ্যাসট্রিজেন্ট উপাদান। লেবুতে থাকা এসিড ত্বকের হাইপারপিকমেন্টেশন লেয়ার দূর
করতে কার্যকর। এটা যেভাবে লাগাবেন, আপনি প্রথমে একটি লেবু থেকে রস নিন
তারপর আক্রান্ত স্থানে রস লাগিয়ে দুই তিন মিনিট ধীরে ধীরে ঘষুন। এরপর
২০ মিনিট রেখে গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিটা অনুসরণ করলে তিন
সপ্তাহের মধ্যে ভালো ফলাফল পাবেন।
দুধ ও হলুদ
হলুদের মধ্যে থাকা উপাদান ত্বকের মেলানিন কমিয়ে মেছতা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। তাছাড়া হলুদে রয়েছে ত্বক উজ্জ্বল করার উপাদান। আর ল্যাকটিস এসিড ও ক্যালসিয়াম রয়েছে দুধের মধ্যে যা তোকের মৃত কোষ দূর করে ত্বক নরম করতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ সুস্থ থাকার জন্য মানুষের কতটুকু ঘুমের প্রয়োজন
হলুদ ও দুধ ত্বকে যেভাবে ব্যবহার করবেন, প্রথমে ৫ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়া
এবং ১০ টেবিল চামচ দুধ ও এক টেবিল চামচ ময়দা নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন।
এরপরে আক্রান্ত স্থানে পেস্টি লাগান। ২০ মিনিট পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে
ফেলুন। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন অন্তত একবার এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করুন।
মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায়
মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায় হিসেবে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে। যা খুবই
সহজলভ্য ও উপকারী। নিম্নে মেছতা দূর করার ঘরোয়া উপায় নিয়ে আলোচনা করা
হলোঃ
পেঁয়াজের রস
পেঁয়াজের রসের সাথে ভিনিগার মিশিয়ে তুলা দিয়ে মেছতার উপর দিনে দুই থেকে
তিনবার লাগান, দেখবেন ভালো ফল পাওয়া যাবে।
ভিনেগার
এসিটিক অ্যাসিড রয়েছে ভিনিগারে যা ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে ।
সমপরিমাণ পানি এবং ভিনেগার মিশিয়ে তা ত্বকে ব্যবহার করলে ,ত্বকে জমে থাকা ময়লা
দূর হয় এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়।
যষ্টিমধুর নির্যাস
ঔষধি উপাদানের মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল যষ্টিমধু।মেছতার চিকিৎসায়
এর নির্যাস খুবই কার্যকারী। যষ্টিমধুর নির্যাস ত্বকে ব্যবহার করলে
ত্বকের হারানো উজ্জ্বলতা ফিরে আসে।
লেবুর রস
লেবু প্রাকৃতিকভাবে ত্বক উজ্জ্বল করে বা ব্লিসের কাজ করে। এতে রয়েছে অ্যাসট্রিজেন্ট উপাদান। লেবুতে থাকা এসিড ত্বকের হাইপারপিকমেন্টেশন লেয়ার দূর করতে কার্যকর। এটা যেভাবে লাগাবেন, আপনি প্রথমে একটি লেবু থেকে রস নিন তারপর আক্রান্ত স্থানে রস লাগিয়ে দুই তিন মিনিট ধীরে ধীরে ঘষুন। এরপর ২০ মিনিট রেখে গরম জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। এই পদ্ধতিটা অনুসরণ করলে তিন সপ্তাহের মধ্যে ভালো ফলাফল পাবেন।
হলুদ ও দুধ
হলুদের মধ্যে থাকা উপাদান ত্বকের মেলানিন কমিয়ে মেছতা প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে। তাছাড়া হলুদে রয়েছে ত্বক উজ্জ্বল করার উপাদান। আর ল্যাকটিস এসিড ও ক্যালসিয়াম রয়েছে দুধের মধ্যে যা তোকের মৃত কোষ দূর করে ত্বক নরম করতে সহায়তা করে।
আরো পড়ুনঃ নাকের সর্দি দূর করার উপায়
হলুদ ও দুধ ত্বকে যেভাবে ব্যবহার করবেন, প্রথমে ৫ টেবিল চামচ হলুদ গুঁড়া এবং ১০ টেবিল চামচ দুধ ও এক টেবিল চামচ ময়দা নিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপরে আক্রান্ত স্থানে পেস্টি লাগান। ২০ মিনিট পর হালকা গরম জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ভালো ফলাফলের জন্য প্রতিদিন অন্তত একবার এ পদ্ধতিটি ব্যবহার করুন।
মেছতা দূর করার হোমিও ঔষধ
মেছতা হওয়ার প্রধান কারণ হলো ঠিকমতো ঘুম না হওয়া অর্থাৎ রাত জাগা। এছাড়াও
মেয়েদের জরায়ুর সমস্যা থাকলে, সাদা স্রাব হলে, কোষ্ঠকাঠিন্য হলে সাধারণত
মেছতা হয়ে থাকে। মেয়েদের মেছতা দূর করার উপায় হিসেবে এই সকল সমস্যা দূর করতে
পারলে মেছতা আপনা আপনি সেরে যায়। এছাড়াও মেছতা দূর করার হোমিও ঔষধ বা চিকিৎসা
নিতে পারেন। মেছতা দূর করার জন্য হোমিও চিকিৎসা বা ওষুধ হিসেবে সিপিয়া
অথবা কলোফাইলাম ওষুধ সেবন করতে পারেন।
মেছতার লেজার চিকিৎসা
সম্পর্কে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন ডঃ ইসাবেলা কবির। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালে ডারমোটোলজি বিভাগের পরামর্শ হিসেবে কর্মরত। মেছতার লেজার চিকিৎসা নিয়ে তিনি বলেন, লেজারে কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে, লেজারের কারণে পোস্ট ইনফ্লামেটরি হাইপার পিকমেন্টেশন হয়।
এটি আবার মেছতার মতোই কালো। দেখা যায় ভালো করতে গিয়ে খারাপ হয়ে যায়। অনেক রোগীর ক্ষেত্রে এমন হয়। তবে সব রোগীর ক্ষেত্রে যে এমন হবে সেটি কিন্তু নয় অনেকের ভালো হচ্ছে।
লেজার ট্রিটমেন্ট এর খরচ কত
মেছতা সম্পর্কে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন ডঃ ইসাবেলা কবির। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালে ডারমোটোলজি বিভাগের পরামর্শ হিসেবে কর্মরত। লেজার ট্রিটমেন্ট এর খরচ কত এ বিষয়ে তিনি বলেন, এই চিকিৎসাগুলো অবশ্যই দামি।
আরো পড়ুনঃ ঈদ উল ফিতর অর্থ কি
কারণ এটি তো একটি পদ্ধতি। এটা একবার করলে হয় না, এটি একমাস বিরতি দিয়ে দিয়ে করতে হয়। তিন থেকে চারটি বা কোন কোন ক্ষেত্রে পাঁচটি ছয়টি সিটিং লাগে। তবে মেছতার ক্ষেত্রে লেজার চিকিৎসা কিন্তু ততটা কার্যকর নয়।
লেজার চিকিৎসা কতদিনের জন্য নিতে হয়
মেছতা সম্পর্কে এনটিভির নিয়মিত আয়োজন স্বাস্থ্য প্রতিদিন অনুষ্ঠানে কথা বলেছেন ডঃ ইসাবেলা কবির। বর্তমানে তিনি বিআরবি হাসপাতালে ডারমোটোলজি বিভাগের পরামর্শ হিসেবে কর্মরত। লেজার চিকিৎসা কতদিনে জন্য নিতে হয় এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটা সম্পূর্ণ নির্ভর করে রোগীর উপর।
আমরা মনে করি তিন থেকে পাঁচটি দিলে মেছতা রোগীরা উপকৃত হবে। আসলে প্রথমে আমরা একটা টেস্ট টোস্ট দিয়ে দেখি, কি রকম উন্নতি হচ্ছে রোগীর। খুব অল্প ডোজ আমরা দিয়ে দেখি রোগীর অবস্থা কেমন। যদি কোন সমস্যা না হয়, প্রথমে আমরা কম ডোজে শুরু করি ।এরপর একমাস বিরতি দিয়ে দিয়ে করতে থাকে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url