মিষ্টি তরমুজ চেনার ৫টি উপায় - তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা


গ্রীষ্মে অর্থাৎ এই গরমকালে মিষ্টি এবং রসালো ফল হিসেবে তরমুজের তুলনা নেই। তাই আজ আমরা আলোচনা করব মিষ্টি তরমুজ চেনার ৫টি উপায় - তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে। আপনারা সকলেই কম বেশি তরমুজ খেয়ে থাকেন, কিন্তু মিষ্টি তরমুজ চেনার ৫টি উপায় - তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে কখনো কি জেনেছেন।

যদি আপনারা না জেনে থাকেন তাহলে জানুন মিষ্টি তরমুজ চেনার ৫টি উপায় - তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। আরো জানুন, মিষ্টি তরমুজ চেনার ৫টি উপায়,তরমুজ  খাওয়ার উপকারিতা, খালি পেটে তরমুজ খেলে কি হয়, গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা, তরমুজ খেলে কি ওজন বাড়ে, তরমুজের কিছু ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে।

মিষ্টি তরমুজ চেনার ৫টি উপায়

আমরা কম বেশি সবাই তরমুজ খেয়ে থাকি, কিন্তু কেউ কি জানি মিষ্টি তরমুজ চেনার ৫টি উপায় সম্পর্কে। আপনারা কেউ যদি মিষ্টি তরমুজ চেনার ৫টি উপায় সম্পর্কে না জানে তবে জেনে নিন।

  • কিনার সময় তরমুজের গায়ে বড় ধরনের হলুদ দাগ আছে কিনা সেটা যাচাই করে দেবেন। এর অর্থ তরমুজটি পাকা ও রসালো। জমির উপর অনেক দিন থাকার ফলে এই ধরনের হলুদ দাগ হয় তরমুজের গায়ে। এতে বোঝা যায় পাকার পর জমি থেকে সংগ্রহ করা হয়েছে।
  • পাকা তরমুজ সাধারণত গাঢ় ও কালচে রঙের হয়।
  • তরমুজ হাতে নিয়ে দেখুন তুলনামূলক হালকা বা ফাঁপা মনে হলে সেটা কিনবেন না। কারণ রসালো তরমুজ অধিক ভারী হবে।
  • তরমুজের গোড়ায় শুকিয়ে যাওয়া বোটা থাকলে বুঝবেন সেটা ঠিক মত পাকার পর এসেছে বাজারে।
  • একদিকে বড় অন্যদিকে ছোট এমন কিনবেন না। তরমুজ কেনার সময় সব দিক সমান এমনটা বেছে কিনুন। অনেক সময় প্রাপ্ত রস না থাকলে তরমুজ সমান হয় না আকারে।

তাহলে  আপনারা তরমুজ কেনার সময় উপরউক্তি কথাগুলো মনে রাখবেন। তাহলে আপনারা মিষ্টি তরমুজ চেনার ৫টি উপায় এর দ্বারা উপকৃত হবেন।

তরমুজ  খাওয়ার উপকারিতা

তরমুজ সকলের কাছে প্রিয় এবং এটি খুব সুস্বাদুকর একটি ফল। গ্রীষ্মকালে নিয়মিত তরমুজ খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ বা শরীরের শক্তি বৃদ্ধি পায়। নিম্নে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা আলোচনা করা হলোঃ

আরো পড়ুনঃ বরই ও বরই পাতার উপকারিতা

পানি শূন্যতা দূর করে

তরমুজে রয়েছে পচুর পরিমাণ পানি। গরমের সময় যখন শরীর থেকে ঘামের মাধ্যমে পানি বের হয়ে যায় ।তখন তরমুজ খেলে শরীরে পানি শূন্যতা দূর হয়, ফলে শরীর সুস্থ ও সতেস থাকে।

শক্তি বৃদ্ধি করে

যারা সাধারণত শারীরিক দুর্বলতায় ভুগে থাকেন তাদের জন্য তরমুজ প্রাকৃতিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে। এই ফল শরীরের শক্তি বহুগুনে বাড়িয়ে দেয়। নিয়মিত তরমুজ খেলে শরীরে শক্তি দিন দিন বৃদ্ধি পায় ।

চোখ ভালো রাখে

তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিনয়েড যা চোখ ভালো রাখতে সাহায্য করে। যারা নিয়মিত তরমুজ খায় তাদের ক্যারোটিনয়েড রাতকানা প্রতিরোধে কার্যকারী ভূমিকা রাখে।

কিডনি সুস্থ রাখে

তরমুজ কিডনির বর্জ্য মুক্ত করে থাকে। তাইতো চিকিৎসকগণ কিডনিতে পাথর হলে ডাবের পাশাপাশি তরমুজ খেতে বলেন। এছাড়াও তরমুজের অধিক পানি থাকায় কিডনি সুস্থ রাখে।

রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ

তরমুজে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম ও পটাশিয়াম চা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

শরীরের চর্বি কমায়

তরমুজে প্রচুর পরিমাণে এমাইনো এসিড রয়েছে যা শরীরের কোলেস্টরেল ও চর্বি কমতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও তরমুজে রয়েছে একটি অক্সিডেন্ট, যার শরীরে জমে থাকা কলেজস্টরেল কমাতে সহায়তা করে।

হাড় মজবুত করে

তরমুজে লাইকোপিটোন নামক লাল উপাদান যাতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, যা শরীরে হাড় মজবুত করে।

তাহলে আপনারা তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানলেন তো, যে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা কত।

খালি পেটে তরমুজ খেলে কি হয়

খালি পেটে তরমুজ খেলে কি হয়, তরমুজ এমন একটি ফল যা খালি পেটে খাওয়াই ভালো। কারণ গরমকালে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের অভাব হয়। আর তরমুজটা দূর করে। তাই সকালে খালি পেটে তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা বেশি।

গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা

গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা অধিক। কেননা তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার তাই তরমুজ গর্ভবতী মহিলাদের জন্য একটি আদর্শ স্বাস্থ্যকর খাবার বা নাস্তা। এটি কার্যকর ভাবে গর্ভবতী মহিলা ক্ষুধার্ত  ভাবকে মুক্তি দেয় এবং দীর্ঘ সময় ধরে তার অনুভূতি পুর্ণ রাখে। নিম্নে গর্ভাবস্থায় তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

আরো পড়ুনঃ কাঁচা মরিচ খাওয়ার উপকারিতা

অম্বল এবং অম্লতা উপশম করে

তরমুজ এ রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি, যা নির্দিষ্ট মাত্রায় খাওয়ার ফলে পাইপের পাশাপাশি প্রশান্তির যোগায়। এই ফলটি এসিডের মাত্রা কমিয়ে গর্ভাবস্থায় অম্বল এবং অম্লতা উপশম করে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে

তরমুজে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন ও খনিজ উপাদান। যা গর্ভাবস্থায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে।

ত্বকের রুক্ষতা দূর করে

গর্ভাবস্থায় ত্বকের পিগমেন্টেশন একটি সাধারণ ঘটনা। তরমুজে অধিক পানি থাকায় তা দূর করতে সহায়তা করে। তরমুজ ত্বকের দক্ষতা দূর করে ত্বককে করে সজীব।

কোষ্ঠকাঠিন্য রোধ করে

গর্ভ অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য একটি প্রধান সমস্যা। সঠিক মাত্রায় তরমুজ খেলে এই সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।

ভ্রুনের হাড় গঠনের সহায়তা করে

তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমানে পটাশিয়াম এবং ক্যালসিয়াম যা ভ্রুনের হাড় গঠনের সহায়তা করে।

স্বাস্থ্যকর দৃষ্টি প্রচার করে

বিটা ক্যারোটিন সহ, তরমুজটিও প্রত্যাশিত মায়ের চোখের জন্য ভালো।

তরমুজ খেলে কি ওজন বাড়ে

তরমুজ খেলে কি ওজন বাড়ে? বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, ১০০ গ্রাম তরমুজে মাত্র ৩০ ক্যালোরি থাকে এর ৯১ শতাংশ পানি ওজন কমাতে সাহায্য করে। তবে তরমুজে ফাইবার কম থাকে। ১০০ গ্রাম তরমুজে মাত্র ০.৪গ্রাম ফাইবার থাকে।এটা থেকে বোঝা যায় তরমুজ খেলে ওজন বাড়ে না বরং ওজন কমে।

তরমুজের কিছু ক্ষতিকারক দিক 

তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা যেমন রয়েছে তেমনি তরমুজের কিছু ক্ষতিকারক দিক রয়েছে। অধিক মাত্রায় তরমুজ খেলে, যাদের ডায়াবেটিসের সমস্যা রয়েছে তাদের ডায়াবেটিস বেড়ে যায়। আবার যারা মদ্যপান করেন তারা যদি তরমুজ খান তবে তা অ্যালকোহলের সাথে মিশে লিভারের ক্ষতি করে।

আরো পড়ুনঃ শীত কালের বিভিন্ন রকমারি পিঠা  

আবার বিশেষজ্ঞরা মনে করেন অতিরিক্ত মাত্রায় তরমুজ খেলে শরীরে জলীয় উপাদান অনেক বেড়ে যায়। এর ফলে অভার হাইট্রেশন হতে পারে যা সমস্যা করতে পারে। তাই অতিরিক্ত মাত্রায় তরমুজ না খেয়ে নির্দিষ্ট মাত্রায় তরমুজ খাওয়া শরীরের জন্য উপকার।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক আপনাদের যদি মিষ্টি তরমুজ চেনার ৫টি উপায় - তরমুজ খাওয়ার উপকারিতা এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকে। তাহলে অবশ্যই আমাদের পেজটি ফলো এবং শেয়ার করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url