ব্লকচেইন কি - ব্লকচেইন কিভাবে কাজ করে


আজ আমরা আলোচনা করব ব্লকচেইন কি - ব্লকচেইন কিভাবে কাজ করে এটা নিয়ে। আপনারা হয়তো অনেকে স্পষ্টভাবে ব্লকচেইন এর  ব্যাপারে জানেন না।ব্লকচেইন কি - ব্লকচেইন কিভাবে কাজ করে এ ব্যাপারে স্পষ্ট ধারণা দিতে আজকের আর্টিকেলটি তৈরি করা। তাহলে আলোচনা করা যাক ব্লকচেইন কি - ব্লকচেইন কিভাবে কাজ করে এটা সম্পর্কে।

আমরা আরো জানবো, ব্লকচেইন কি , ব্লকচেইন কাকে বলে, ব্লকচেইন এর ইতিহাস, ব্লকচেইন কিভাবে কাজ করে, ব্লকচেইন এর জনপ্রিয়তা,ব্লকচেইন এর প্রতিটা ব্লক কি তথ্য বহন করে,ব্লকচেইন বাংলাদেশ, ব্লকচেইন টেকনোলজি, ব্লকচেইন সুবিধা, ব্লকচেইন অসুবিধা, ব্লকচেইন কতটা নিরাপদ এগুলো সম্পর্কে।

ব্লকচেইন কি 

ডেটা স্টোর করার জন্য সবথেকে নিরাপদ একটি স্থান হল ব্লকচেইন। যেটা কেউ নষ্ট বা হ্যাক করতে পারে না। বিটকয়েন, ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যাংকিং এবং ইনভেস্টিং এর বিভিন্ন ডেটা ব্লকচেইনে স্টোর করে রাখা হয়। ব্লকচেইন মূলত কতগুলো ব্লকের একসাথে যুক্ত। 

আরো পড়ুনঃ যে কোন এন্ড্রয়েড ফোনে নাথিং লঞ্চার কিভাবে ইন্সটল করবেন

যেই ব্লকগুলো একে অপরের সাথে চেইন আকারে বাঁধা থাকে। এ সকল ব্লকে ডেটা স্টোর থেকে সিকিউরিটির জন্য প্রত্যেকটি ব্লগে একটি ইউনিক নাম্বার থাকে যা হ্যাস নামে পরিচিত এবং প্রত্যেকটি ব্লকের তার আগের ব্লকের হ্যাস ইনফরমেশন থাকে।

ব্লকচেইন কাকে বলে

নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কতগুলো ব্লকে ডেটা এবং ইনফরমেশন সিকিউর ভাবে রাখা হয় সে ব্লক গুলো একে অপরের সঙ্গে চেইন আকারে কানেক্ট করা থাকে তাকে ব্লকচেইন বলে। এ সকল ব্লকে ডেটা স্টোর থেকে সিকিউরিটির জন্য প্রত্যেকটি ব্লগে একটি ইউনিক নাম্বার থাকে যা হ্যাস নামে পরিচিত এবং প্রত্যেকটি ব্লকের তার আগের ব্লকের হ্যাস ইনফরমেশন থাকে।

ব্লকচেইন এর ইতিহাস

ব্লকচেইন টেকনোলজির আবির্ভাব ঘটে মূলত ১৯৯১ সালে।Stuart Haber এবং W.Scott Stornetta নামক দুই ব্যক্তি সর্বপ্রথম ব্লগচেইন আবিষ্কার করেন। তবে তখন এটির এতটা জনপ্রিয়তা ছিল না বা গুরুত্ব ও ছিল না। ২০০৮ সালে সাতোশি নাকামোতা বিটকয়েন আবিষ্কার করেন।

আর এই বিটকয়েন লেনদেনের জন্য তিনি সর্বপ্রথম এই ব্লকেইন টেকনোলজি ব্যবহার করেন। তখন থেকেই মূলত ব্লকচেইন এর জনপ্রিয়তা বাড়তে থাকে। তাই বলা হয়ে থাকে মূলত বিটকয়েন আবিষ্কারের পর থেকে ব্লকচেইন এর যাত্রা শুরু।

ব্লকচেইন কিভাবে কাজ করে

ব্লকচেইন মূলত পিটুপি নেটওয়ার্কের মাধ্যমে কাজ করে থাকে।ব্লকচেইন এর সকল ব্লকের ডেটা ইন্টারনেটে সংযোগকারী যে কোন ব্যক্তি ব্লকগুলোকে যাচাই করতে পারে। তবে ব্লকগুলো একে অপরের সাথে চেইন আকারে বাঁধা থাকে। এ সকল ব্লকে ডেটা স্টোর থেকে সিকিউরিটির জন্য প্রত্যেকটি ব্লগে একটি ইউনিক নাম্বার থাকে যা হ্যাস নামে পরিচিত।

আরো পড়ুনঃ অ্যান্ড্রয়েড টিভিতে প্রি - ইনস্টল করা অ্যাপগুলি কিভাবে সরিয়ে ফেলবেন

এবং প্রত্যেকটি ব্লকের তার আগের ব্লকের হ্যাস ইনফরমেশন থাকে। প্রত্যেকটি ব্লকের হ্যাশ আবার এক রকম হয় না মূলত প্রত্যেকটি ব্লকের হ্যাস আলাদা আলাদা হয়। ব্লকে স্টোর ডেটা অনুযায়ী হ্যাশ তৈরি করা হয়। কোন ডেটা যদি পরিবর্তন হয়ে যায় তাহলে অটোমেটিক সে ব্লকের হ্যাশ ও কিন্তু পরিবর্তন হয়ে যাবে।

ব্লকচেইন এর জনপ্রিয়তা

মূলত উন্নত সিকিউরিটি ব্যবস্থা থাকার কারণে ব্লকচেইন টেকনোলজি অধিক জনপ্রিয়তা পেয়েছেন। এর ডাটা পরিবর্তন বা হ্যাশ করা অসম্ভব এর জন্য ব্লকের জনপ্রিয়তা বেড়েই চলেছে। তাছাড়াও ব্লকচেইন এর মধ্যেমে তৃতীয় কোন ব্যক্তির মধ্যস্থতা ছাড়া কোন ট্রানজেকশন নিরাপদে করা যাচ্ছে বলে মানুষ এর অনেক সুবিধা হচ্ছে। এইসব কারণগুলোর কারণেই মূলত ব্লকচেইন এর জনপ্রিয়তা দ্রুত গতিতে বেড়েই চলেছে।

ব্লকচেইন এর প্রতিটা ব্লক কি তথ্য বহন করে

ব্লকচেইন হল এক ধরনের ডিজিটাল লেজার টেকনোলজি বা তথ্য রেকর্ড করে। যা মূলত লেনদেনের তথ্য । এগুলো এমন ভাবে করে যাতে সেগুলো পরিবর্তন করা, হ্যাক করা, দুর্নীতি করা বা এ সকল সিস্টেমে প্রতারণা করা প্রায় অসম্ভব। এই সকল লেনদেন গুলো ব্লকচেইন কম্পিউটার সিস্টেম এর সম্পূর্ণ নেটওয়ার্কের সঙ্গে বিতরণ এবং রেকর্ড করা হয়।

ব্লকচেইন বাংলাদেশ

রাইড শেয়ারিং অ্যাপ চলোর উদ্যোগে ব্লকচেইন ফর বাংলাদেশ শীর্ষক সেমিনারে বলা হয়,ব্লকচেইন হল ডাটা সংরক্ষণ করার একটি নিরাপদ ও উন্মুক্ত পদ্ধতি, যে পদ্ধতি অনুযায়ী ডাটা গুলো বিভিন্ন ব্লকে একটি পর একটি সিন আকারের সংরক্ষণ করা হয়। এবং এতে ডাটার মালিকানা সংরক্ষিত থাকে।

ব্লকচেইন টেকনোলজি

ব্লকচেইন টেকনোলজি বা প্রযুক্তি হলো একটি উন্নত ডাটাবেজ প্রক্রিয়া যা একটি ব্যবসায়িক নেটওয়ার্ক এর মধ্যে শ্চচ্ছ তথ্য আদান-প্রদানের অনুমতি দেয়।ব্লকচেইন ডাটাবেজ ব্লক এ ডেটা সঞ্চয় করে যা একটি চেইনে একসাথে সংযুক্ত থাকে।

ব্লকচেইন সুবিধা

ব্লকচেইন এর সুবিধা সমূহ নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ

  • এতে যে কোন লেনদেনের কপি নেটওয়ার্কের সাথে সংযুক্ত নোটের কাছে থাকে।
  • এই প্রযুক্তির সাহাযে কোন তৃতীয় পক্ষ ছাড়াই কাজ যাচাই করতে দেয়।
  • এতে একবার ডেটা সেভ হয়ে গেলে তাতে কোন পরিবর্তন আনা কঠিন।
  • ক্রিপ্টোকারেন্সি সরকারের হাত থেকে মুদ্রার মান নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতাকে আমাদের জনগণদের মধ্যে ভাগ দিতে পারে।
  • ব্লকচেইন এর মাধ্যমে সহজে এবং মুক্তভাবে সম্পদের বিনিময় হতে পারে।

ব্লকচেইন অসুবিধা

ব্লকচেইন এর অসুবিধা নেমে আলোচনা করা হলোঃ

  • এই প্রযুক্তি ব্যবহার করার জন্য প্রচুর বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয় কারণ এটি একটি ডিজিটাল প্রক্রিয়া যেখানে নেট গুলি অর্থাৎ কম্পিউটার গুলি হাজার হাজার লক্ষ গণনা করে রিয়েল টাইম ডেটাতে কাজ করে।
  • এর সিস্টেমটি বেস্ট কঠিন যার কারণে সাধারণ ব্যবহারকারীর পক্ষে এটি বোঝা আরো বেশি কঠিন হয়ে পড়ে।
  • লেনদেনের নোডগুলি পারস্পরিক সম্মতিতে সঞ্চায়িত হয় যেখানে সরকারি সংস্থার কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকায় জালিয়াতি সম্ভাবনা বাড়ায়।

ব্লকচেইন কতটা নিরাপদ

নিরাপদের কথা বলতে গেলে ইন্টারনেটে থাকা কোন জিনিসই নিরাপদ নয় ।তবে আমরা যদি ব্লকচেইন টেকনোলজির কথা বলি তাহলে অন্যান্য টেকনোলজি থেকে নিঃসন্দেহে এই প্রযুক্তিটি অনেকটা নিরাপদ। এবং এটা হ্যাক করা খুবই অসম্ভব কারণ এটি একটি পর একটি সিন আকারে বাঁধা থাকে।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বন্ধুরা ব্লকচেইন কি - ব্লকচেইন কিভাবে কাজ করে এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। আপনারা কি ব্লকচেইন কি - ব্লকচেইন কিভাবে কাজ করে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। আপনারা যদি কিছুটা উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের ফলো করুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url