শ্বাসকষ্ট থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় - শ্বাসকষ্ট কেন হয়
তাছাড়াও এই পোস্টটিতে আমরা আরো আলোচনা করব, শ্বাসকষ্ট কেন হয়, শ্বাসকষ্টের লক্ষণ, কষ্ট হলে করণীয়, শ্বাসকষ্ট থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়, শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় ব্যায়াম, শ্বাসকষ্টের ঔষধ, শ্বাসকষ্টের দোয়া, শ্বাসকষ্ট হলে যা খেতে হবে এসব সম্পর্কে। তাহলে আপনারা জেনে নিন শ্বাসকষ্ট থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় - শ্বাসকষ্ট কেন হয় সম্পর্কে।
শ্বাসকষ্ট কেন হয়
শ্বাসকষ্ট কেন হয়, শ্বাসকষ্টের প্রধান কারণ হলো শীত। এই শির থেকে অনেকের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, অনেকের আবার সর্দি কাশি থেকেও শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়। তাছাড়াও হাঁপানি অ্যাজমার সমস্যা থাকলেও সাধারণত শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। নিম্নে শ্বাসকষ্ট কেন হয় তা আলোচনা করা হলোঃ
- সাইনোসাইটিস, নিউমোনিয়া, হার্ট ফেইলিওর ইত্যাদি শ্বাসকষ্টের প্রধান কারণ।
- হাঁপানি বা এলার্জি থাকলে শ্বাসকষ্ট হয়
- শিশুদের যাদের এডনয়েড সমস্যা থাকে তাদের শ্বাসকষ্ট হয় শীতের সময়।
- সর্দি লাগলে অনেক সময় শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
- ঘুমানোর জন্য বিছানায় শোয়ার পরও কিছু কিছু মানুষের শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়।
- নাকের সমস্যা থাকলেও অনেক সময় শ্বাসকষ্ট দেখা যায়।
- শ্বাসকষ্ট কেন হয় এই সম্পর্কে উপর উক্তি কথাগুলো জানিয়েছেন ইবনে সিনা ডায়াগনস্ট এন্ড কনসালটেশন সেন্টার এর বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ ডক্টর মোহাম্মদ আজিজুর রহমান।
শ্বাসকষ্টের লক্ষণ
শ্বাসকষ্টের লক্ষণ শ্বাসকষ্টের সময় মানুষের ফুসফুস থেকে সম্পূর্ণ বাতাস বেরিয়ে যেতে থাকে ,ফলে সেই ব্যক্তি নিজে থেকেই দ্রুত শ্বাস নিতে বাধ্য হন। অনেক সময় হাঁপানির টান উঠলে শ্বাস প্রশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয় যার ফলে শরীরে অস্বস্তি তৈরি হয়। এতে করে বুকের মধ্যে টান বেড়ে যায় এবং বুক চাপা ভাব তৈরি হয়। অনেক সময় বুক ফুলে উঠতে পারে আবার সমস্ত বাতাস বের হয়েও যেতে পারে।
শ্বাসকষ্ট হলে করণীয়
বন্ধুরা জেনে নিন, শ্বাসকষ্ট থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় - শ্বাসকষ্ট কেন হয় এই পোস্টটির মাস তুমি শ্বাসকষ্ট হলেও করনীয় কি।শ্বাসকষ্ট কেন হয়,শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় উপায় কি রয়েছে। নিম্নে শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় উপায় গুলো আলোচনা করা হলোঃ
- ধূমপানের অভ্যাস থাকলে তা পরিহার করতে হবে। কারণ ধূমপান শ্বাস কষ্টের জন্য ক্ষতিকারক।
- অ্যালার্জি থাকলে অ্যালার্জি জাতীয় খাবার বা বস্তু এড়িয়ে চলুন যেমন ,গরুর মাংস ইলিশ মাছ বাদাম ধুলাবালি ইত্যাদি।
- শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন।
- বেশি পশমওয়ালা পশু বাড়িতে রাখবেন না।
- ঘরবাড়ি সব সময় পরিষ্কার পরিছন্ন ও ধুলা মুক্ত রাখুন।
- হাঁপানি থাকলে হাঁপানি চিকিৎসা করান।
- ঘরবাড়ি পরিষ্কার বা গোছানোর সময় ডাস্ট মাক্স ব্যবহার করুন।
- বাইরে গেলে ধুলাবালির হাত থেকে রক্ষা পেতে ডাস্ট মাস্ক পড়ে বের হবেন।
শ্বাসকষ্ট থেকে চিরতরে মুক্তির উপায়
শ্বাসকষ্ট থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় বা শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে আপনারা ইনহেলড কটিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করতে পারেন। কারণ এটি হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ রাখতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ। প্রতিরোধমূলক এই ঔষধ গুলি শ্বাসনালীর প্রদাহের চিকিৎসা করে এবং হাঁপানির লক্ষণ গুলোর দিকে পরিচালিত করে।
আরো পড়ুনঃ ড্রাগন ফলের উপকারিতা
প্রতিদিন ব্যবহারে এই ওষুধগুলি হাঁপানির ফ্লেয়ার আপ দূর করে।আবার কুইক রিলিফ ইনহেলার এটি খুবই দ্রুত কার্যকারী একটি ঔষধ। এই ঔষধটাকে আবার রেসকিউ ইনহেলার ও বলা হয় কখনো কখনো। এই ওষুধটি আপনার শ্বাসনালী দ্রুত খুলতে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস সহজ করতে প্রয়োজন অনুসারে কাজ করে।
তাই আপনি শ্বাসকষ্ট থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় হিসেবে বা শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে এই ওষুধগুলি ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়াও আপনি প্রয়োজন অনুসারে ডাক্তারের সাথে কথা বলতে পারেন বা পরামর্শ নিতে পারেন।
শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় ব্যায়াম
শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে শ্বাসকষ্ট হলে করণীয় ব্যায়াম রয়েছে কিছু। যা শ্বাসকষ্ট থেকে অনেকটাই রেহাই দেয়। তো চলুন বন্ধুরা জেনে নেইশ্বাসকষ্ট থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় - শ্বাসকষ্ট কেন হয় এই পোস্টটির মাধ্যমে।
শ্বাস গোনার ব্যায়াম
ফুসফুসকে সুস্থ রাখতে শ্বাস গোনার ব্যায়াম এর তুলনা নেই। এই ব্যায়ামটি করার জন্য মেরুদণ্ড সোজা করে বসুন এবং ঘাড় সোজা রাখুন। লম্বা লম্বা শ্বাস নিন যাতে করে শিরদাঁড়া আরো বেশি টান টান হয়। প্রথমবার প্রশ্বাস ছাড়ার সময় এক গুনুন। তার পরেরবার ২ এই ভাবে ৫ পর্যন্ত গুণুন। এরপরে আবার নতুন করে ১ থেকে শুরু করুন। এই ব্যায়ামটি অন্তত দিনের ১০ মিনিট করুন।
হাই তোলা থেকে হাসি
হাই তোলা থেকে হাসি এই ব্যায়ামটি করলে বুকের মাংসপেশি অনেক টান টান হয়, এবং শরীরের অক্সিজেন চলাচল বাড়ে। এর ফলে ফুসফুসের স্বাস্থ্য ভালো থাকে। এই ব্যায়ামটি করার জন্য মেরুদণ্ড সোজা করে বসে পিঠ টান করুন। হাই তুলছেন এমন মুখ ভঙ্গি করুন যাতে করে আপনার দুই কাঁধ উঁচু হয়ে উপরে উঠে যায়। এবার ধীরে ধীরে মুখ বন্ধ করে হাসির মতো মুখো ভঙ্গি করুন।
মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়া
শরীরে অক্সিজেন মাত্রা বাড়াতে মুখ দিয়ে শ্বাস ছাড়া এই ব্যায়ামটি খুবই জরুরী। এ ব্যায়ামটি করার জন্য পিঠ সোজা রেখে আরাম করে বসুন। হুশ শব্দের মাধ্যমে মুখ দিয়ে ফুসফুসের সবটুকু বাতাস বের করে দিন। এই ব্যায়ামটি অন্তত ৫ বার করুন। এতে করে আপনার ফুসফুসের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি পাবে, মানসিক চাপ কমবে, ভালো ঘুম হবে।
শ্বাসকষ্টের ঔষধ
শ্বাসকষ্ট থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় - শ্বাসকষ্ট কেন হয় এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জেনে নিন শ্বাসকষ্টের ঔষধ গুলো কি কি।শ্বাসকষ্টের ঔষধ হিসেবে আপনি ইনহেলড কটিকোস্টেরয়েড ব্যবহার করতে পারেন। কারণএটি হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ রাখতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ একটি ঔষধ। প্রতিরোধমূলক এই ঔষধ গুলি শ্বাসনালীর প্রদাহের চিকিৎসা করে এবং হাঁপানির লক্ষণ গুলোর দিকে পরিচালিত করে। প্রতিদিন ব্যবহারে এই ওষুধগুলি হাঁপানির ফ্লেয়ার আপ দূর করে। আবার কুইক রিলিফ ইনহেলার এটি খুবই দ্রুত কার্যকারী একটি ঔষধ।
আরো পড়ুনঃ বরই ও বরই পাতার উপকারিতা
এই ঔষধটাকে আবার রেসকিউ ইনহেলার ও বলা হয় কখনো কখনো। এই ওষুধটি আপনার শ্বাসনালী দ্রুত খুলতে এবং শ্বাস-প্রশ্বাস সহজ করতে প্রয়োজন অনুসারে কাজ করে। তাই আপনি শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় হিসেবে এই ওষুধগুলি ব্যবহার করতে পারেন। তাছাড়াও আপনি প্রয়োজন অনুসারে ডাক্তারের সাথে কথা বলতে পারেন বা পরামর্শ নিতে পারেন।
শ্বাসকষ্টের দোয়া
শ্বাসকষ্ট থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় - শ্বাসকষ্ট কেন হয় এ প্রসঙ্গে জানুন শ্বাসকষ্টের দোয়া সম্পর্কে।আল্লাহ তালার একটি সিফাতি নাম রয়েছে যা নিয়মিত পাঠ করলে বা আমল করলে শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। শ্বাসকষ্টের দোয়া বা আমলটি হল "ইয়া গাফুরু" যার অর্থ হল হে ক্ষমাশীল। আপনারা যদি নিয়মিত এই আমলটি করেন তাহলে শ্বাসকষ্ট থেকে রেহাই পাবেন , আবার কোন কারনে এ আমলটি করতে বা পড়তে ভুল হলে অনেক গুনাহের ভাগীদার হবেন। তাই এই আমলটি করার সময় আপনারা সতর্কতার সহিত করবেন। ইনশাআল্লাহ সব ধরনের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।
শ্বাসকষ্ট হলে যা খেতে হবে
শ্বাসকষ্ট থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় - শ্বাসকষ্ট কেন হয় এই পোস্টটির মাধ্যমে এখন আমরা জানবো শ্বাসকষ্ট হলে যা খেতে হবে সে সম্পর্কে।শ্বাসকষ্ট কেন হয় শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায় কি বাস শ্বাসকষ্ট হলে কি খেতে হবে আপনারা এসব সম্পর্কে জানতে চান। কিন্তু সঠিক কোন উত্তর পান না তাহলে জেনে নিন শ্বাসকষ্ট হলে যা খেতে হবে। আমাদের রান্নাঘরে রাখা বিভিন্ন খাবার আছে যা দ্রুত শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে ।তাই শ্বাস নিতে কষ্ট হলে এই খাবারগুলি তাড়াতাড়ি খেয়ে ফেলবেন দেখবেন ভালো ফল পাবেন। নিম্নে শ্বাসকষ্ট হলে যা খেতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ
আরো পড়ুনঃ বাচ্চাদের নাকের সর্দি দূর করার উপায়
আদা
গবেষণায় দেখা গেছে আদায় এমন কিছু উপকারী উপাদান আছে যা শ্বাসনালী্র প্রদাহ কমায়। যার কারনে শ্বাসনালীতে অক্সিজেন ঠিকমতো প্রবেশ করে। এর ফলে স্বাভাবিকভাবে শ্বাসকষ্ট কমতে থাকে।
রসুন
পরিমাণ মতো রসুন এবং হাফ কাপ দুধ নিয়ে তা ভালোভাবে ফুটিয়ে নিন। এবার কিছুটা ঠান্ডা হলে তা খেয়ে ফেলুন। দেখবেন শ্বাসকষ্ট কমে যাবে।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজের হইছে প্রচুর এন্টি ইনফ্লেমেটরি উপাদান, যা শ্বাসনালী প্রদাহ কমায় এজমার প্রকোপ কমাতে সাহায্য করে । আবার কাঁচা পেঁয়াজ খেলেও বেশ উপকার পাওয়া যায়।
মধু
শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার চিকিৎসায় মধু বহুকাল ধরে ব্যবহার হয়ে আসছে। একলাশ গরম পানিতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে দিনে তিনবার করে পান করুন দেখবেন অনেক ভালো লাগবে।
কফি
শ্বাসকষ্ট বা অ্যাজমার চিকিৎসার কফির গুরুত্ব অপরিসীম। গরম গরম এক কাপ কফি খেলে শ্বাসনালী খুলে যায়, এবং অক্সিজেন খুব সহজে ফুসফুসে প্রবেশ করে। কফি যত কড়া হবে সেটা ততই উপকারী হবে। তবে দিনে ভুলেও তিন কাপের বেশি কফি খাবেন না কারণ এটা যতটা উপকারী বেশির মাত্রায় খেলে আবার তা শরীরের জন্য ততটাই ক্ষতিকর।
শেষ কথা
শ্বাসকষ্ট থেকে চিরতরে মুক্তির উপায় - শ্বাসকষ্ট কেন হয় । এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে অবশ্যই আমাদের জানাবেন। কারণ আপনাদের ভালো লাগলে বা উপকার হলে তবেই আমরা স্বস্তি পাই।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url