ইমাজেন্সি ও ফেমিকন পিল সম্পর্কে জানুন


আজ আমরা আলোচনা করব ইমাজেন্সি ও ফেমিকন পিল সম্পর্কে জানুন এ প্রসঙ্গে। ইমাজেন্সি ও ফেমিকন দুটো পিলই জন্ম বিরতিকরণ একটি হরমোনাল ঔষধ। যা ডিম্বাশয় থেকে ডিম্বাণু নিঃসরণ অর্থাৎ ওভুলেসনের প্রক্রিয়া পিছিয়ে দেয় অথবা নিষিদ্ধ ডিম্বানুকে জরায়ুতে প্রতিস্থাপিত হতে বাধা দেয়। যাদের আগেই ওভুলেশন হয়ে যায় অথবা নিষিক্ত ডিম্বাণু জরায়ুতে প্রতিস্থাপিত হয়ে যায় তাদের ক্ষেত্রে এই ঔষধ কোন কাজে আসে না। তাই আপনাদের ইমাজেন্সি ও ফেমিকন পিল সম্পর্কে জানুন এই পোস্টটি পড়া অনেক জরুরী।
কারণ ইমাজেন্সি ও ফেমিকন পিল সম্পর্কে জানুন এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা আপনাদের সমস্যার সমাধান খুঁজে পাবেন আশা করা যায়।ইমাজেন্সি ও ফেমিকন পিল সম্পর্কে জানুন এর মাধ্যমে আপনাদের আরো জানবো, ইমাজেন্সি পিল কারা খেতে পারবেন, সেবন বিধি,কারা খেতে পারবেন না, খাবার পর যেসব সমস্যা হতে পারে, যখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে, জন্মবিরতিকরণ পিল হিসেবে ফেমিকন পিল খাওয়ার কারণ, ফেমিকন পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া, কোন কারনে পিল খেতে ভুলে গেলে করণীয়, যেসব ক্ষেত্রে পিল খাওয়া নিষিদ্ধ এগুলো সম্পর্কে।

ইমাজেন্সি পিল কারা খেতে পারবেন

ইমাজেন্সি পিল কারা খেতে পারবেন তা আলোচনা করা হলোঃ

আরো পড়ুনঃ পা কামড়ানোর কারণ এবং প্রতিরোধ

  • কনডম ছিড়ে গেলে বা নষ্ট হয়ে গেলে।
  • পরপর দুই তিন দিন জন্মনিয়ন্ত্রণে নিয়মিত পিল খেতে ভুলে গেলে ইমারজেন্সি পিল খেতে পারবেন।
  • আপনারা যারা কোন জন্মনিয়ন্ত্রণে পদ্ধতি ব্যবহার করছেন না ।

সেবন বিধি

আপনারা যারা চাইছেন যে আপনাদের গর্ভধারণ না হোক অর্থাৎ অপরিকল্পিত বা অনিরাপদ সহবাসের তিন দিনের মধ্যে এই ঔষধটি খেতে পারেন। তবে মনে রাখবেন যত তাড়াতাড়ি খাওয়া যায় ততই ভালো। তবে এই পিল একটি ঋতু চক্রে একবারি খাওয়া যাবে।

কারা খেতে পারবেন না 

ইমারজেন্সি পিল যারা খেতে পারবেন না, নিম্নে সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

  • যাদের ঋতুস্রাব অনিয়মিত বা অতিরিক্ত রক্ত যায় তারা ইমারজেন্সি পিল খেতে পারবেন না।
  • যারা ইতোমধ্যে গর্ভধারণ করে ফেলেছেন তারা ইমারজেন্সি পিল খাবেন না।
  • যাদের এলার্জি সমস্যা আছে তারা ইমারজেন্সি পিল থেকে দূরে থাকুন।

খাবার পর যেসব সমস্যা হতে পারে

এই পিল খাওয়ার পরে যে সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

  • দেখা দিতে পারে বমি বমি ভাব।
  • অনিয়মিত মাসিক হতে পারে।
  • ওজন বৃদ্ধি পেয়ে যেতে পারে।
  • পরবর্তী ঋতু চাপ বা মাসিক আগে বা দেরিতে হতে পারে।
  • অতিরিক্ত রক্ত যেতে পারে।
  • পরবর্তী সময়ে গর্ভধারণের সমস্যা হতে পারে।
  • তীব্র মাথাব্যথা হতে পারে।

যখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে

যখন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

আরো পড়ুনঃ গরমে ত্বকের ৫টি সমস্যা এবং সমাধান

  • তিন সপ্তাহের মধ্যে ঋতুস্রাব না হলে।
  • ঔষধ সেবোনের দুই ঘণ্টার মধ্যে বমি হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।
  • পেটে তীব্র ব্যথা তিন থেকে চার সপ্তাহের বেশি থাকল।
  • রক্ত এক সপ্তাহের বেশি গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

জন্মবিরতিকরণ পিল হিসেবে ফেমিকন পিল খাওয়ার কারণ

জন্মবিরতিকরণ পিল হিসেবে ফেমিকন পিল খাওয়ার কারণ নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ

  • ফেমিকন পিল একটি সুসহনীয় এবং কার্যকরী আধুনিক জন্ম বিরতিকরণ পদ্ধতি।
  • এই পিল একটি সম্পূর্ণ অস্থায়ী এবং পরিবর্তনশীল জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি। অর্থাৎ যতদিন আপনি গর্ভধারণ করতে চান না ততদিন এই পিল খেতে থাকুন। আর পিল খাওয়া বন্ধ করলে আপনার গর্ভধারণ ক্ষমতা ফিরে পাবেন।
  • এই পিল খেলে মাসিক নিয়মিত হয় এবং মাসিকের অনেক অসুবিধা কমে যায়।
  • গর্ভধারণ থেকে বিরত রাখা ছাড়াও খাবার পিল অনেক ক্ষেত্রে শরীরে অনেক উপকার করে।

ফেমিকন পিলের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া

বাজারে অনেক ধরনের খাবার পিল রয়েছে। তবে এক একটি পিল এক এক ধরনের মহিলার শরীরের সাথে খাপ খায় বা মানিয়ে যায়। আবার অনেক সময় কোন কোন মহিলার প্রথম পর্যায়ে পিল খেলে কিছু অসুবিধা দেখা দেয়। যেমন, মাথা ব্যাথা ,বমি বমি ভাব অথবা পিল খাওয়া কালীন সামান্য ফোটা ফোটা রক্ত মাসিকের আকারে বের হওয়া।

তবে নিয়মিত পিল খেতে থাকলে দু থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যেই এই সমস্ত উপ-সর্গ স্বাভাবিকভাবে দূর হয়ে যায়। যাদের দুই থেকে তিন সপ্তাহের মধ্যে এ সকল সমস্যার সমাধান না হয়, তবে ডাক্তারের নিয়ম অনুসারে পরবর্তী মাসিক শুরু থেকে অন্য পদ্ধতি নিতে হবে।

কোন কারনে পিল খেতে ভুলে গেলে করণীয়

ইমাজেন্সি ও ফেমিকন পিল সম্পর্কে জানুন এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানব কোন কারনে পিল খেতে ভুলে গেলে করণীয় সম্পর্কে। নিম্নে তা আলোচনা করা হলোঃ

  • আপনি যদি কোনো কারণে পিল খেতে ভুলে যান তবে পরের দিন যখনই মনে পড়বে তখনই ভুলে যাওয়া পিলটি খেয়ে নিবেন। এছাড়াও ওইদিনের পিলটি আপনি নির্দিষ্ট সময়ে খাবেন । একদিনে আপনি দুটি পিল খেয়ে নিবেন বা খেতে পারবেন।
  • আপনাদের কেউ যদি পরপর দুদিন পিল খেতে ভুলে যান তাহলে মনে পড়ার সাথে সাথে দুটি পিল খেয়ে নিন। এবং পরের দিন আরও দুটি পিল একসাথে খেয়ে নিন। তাছাড়াও এই পিলের পাতা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পিলের সাথে অন্য আরেকটি পদ্ধতি যেমন কনডম ব্যবহার করতে হবে। তবে মাসিক নিয়মিত রাখার জন্য অবশিষ্ট পিল গুলো প্রতিদিন একটি করে যথা নিয়মে খেতে হবে।
  • অনেক ধরনের ওষুধ রয়েছে যেগুলো পিলের কার্যকারিতায় বাধা দান করে। যেমন আপনি যদি এন্টিবায়োটিক, রেফামপিসিন, ব্যাথানাশক কোন ঔষধ সেবন করেন তাহলে আপনার ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করুন। কারণ এই সময় আপনাকে অন্য কোন জন্মবিরতিকরণ পদ্ধতি ব্যবহার করতে হতেও পার।

যেসব ক্ষেত্রে পিল খাওয়া নিষিদ্ধ

যেসব ক্ষেত্রে পিল খাওয়া নিষিদ্ধ নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

আরো পড়ুনঃ গরমে শিশুর যত্ন

  • পিল খাওয়া নিষিদ্ধ যদি আপনার বয়স ৪৫বছরে বেশি হয়ে থাকে।
  • আপনার হৃদরোগ বা ধমনীতে রক্ত জমাট বাধার রোগ যদি থেকে থাকে তবে আপনি পিল খাওয়া দেখে বিরত থাকুন।
  • আপনি যদি ধূমপাই অর্থাৎ দিনে ২০ টি সিগারেট খেয়ে থাকেন।
  • আপনি যদি গর্ভবতী হয়ে থাকেন।

শেষ কথা

প্রিয় পাঠক বন্ধু, আপনাদের কাছে ইমাজেন্সি ও ফেমিকন পিল সম্পর্কে জানুন এই পোস্টটি কেমন লেগেছে। আপনারা কি ইমাজেন্সি ও ফেমিকন পিল সম্পর্কে জানুন এই পোষ্টের মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন। যদি আপনারা উপকৃত হয়ে থাকেন অবশ্যই আমাদের কমেন্ট করে জানাবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url