কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায় - কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ ও লক্ষণ


কোষ্ঠকাঠিন্য একটি অস্বস্তিকর সমস্যা। এর ফলে সবসময় বমি বমি ভাব, পেট ফোলা, বাথরুম গেলে কষ্ট ইত্যাদি সমস্যা হয়ে থাকে। আপনাদের সমস্যা দূর করতে আজ আমি আলোচনা করব কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায় - কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ ও লক্ষণ নিয়ে। আপনারা যারা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায় - কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ ও লক্ষণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। আসুক তাহলে আজ আলোচনা করা যাক কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায় - কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ ও লক্ষণ নিয়ে।

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায় - কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ ও লক্ষণ এ প্রসঙ্গে আমরা আরো জানবো, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়, কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ, কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ, কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা না নিলে যে সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে বাঁচতে যে সকল খাবার এড়িয়ে চলবেন ,কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে বাঁচতে কিছু খাবার , কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ট্যাবলেট সম্পর্কে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায়

সাধারণত কমবেশি সবাই আমরা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ভুগে থাকি। আর এর থেকে পরিতান খুঁজতে থাকি ।তাই কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায় - কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ ও লক্ষণ এই পোষ্টের মাধ্যমে আজ আমরা জানবো কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। আসুন তাহলে জেনে নেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে।

আপেল ও মৌরি

আপেলে রয়েছে ভিটামিন, মিনারেল ও ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেশ সহায়ক। আবার মৌরিতে রয়েছে ডায়াটেরি ফাইবার। এটি মলে পানির অংশ যোগ করে মল নরম করে। কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি পেতে আপেল ও মৌরি মিশিয়ে খেতে পারেন।

আরো পড়ুনঃ অনিয়মিত মাসিক হওয়ার কারণ

আপেলকে ছোট ছোট টুকরা করে কেটে তার বীজ ফেলে দিয়ে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন। এবার এর সাথে আধা কাপ পানি মিশিয়ে তা ছেঁকে নিন। তারপর আপেলের রসের সঙ্গে আধা চা চামচ মৌরির গুঁড়া মিশিয়ে তা পান করুন।

কমলা

কমলা রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি। তাছাড়াও কমলায় ভিটামিন সি এর পাশাপাশি মিনারেল ও ডায়েটেরি ফাইবার রয়েছে। ডায়েটেরি ফাইবার মলে পানি শোষণ ক্ষমতা বাড়ায় ফলে মল নরম হয়। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কমলার গুরুত্ব অপরিসীম।

লেবু

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লেবু বেশ কার্যকর। তাছাড়াও ভিটামিন সি এর পাশাপাশি লেবুতে থাকে মিনারেল যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতেও সাহায্য করে।

কলা

কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা এর পটাশিয়াম বৃহদানতে ও ক্ষুদ্রান্তে কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়। কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেশ উপযোগী। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা কলাকে এড়িয়ে চলুন।

নাশপাতি

নাশপাতিতে সরবিটল নামক এক ধরনের উপাদান থাকে। এই উপাদান মলের নির্গমনে বাধা দূর করে। যার ফলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে নাশপাতির রস বেশ কার্যকরী। টুকরো টুকরো করে কেটে এই ফল ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে নিন ।তারপর দুই চামচ লেবুর রস ,এক চিমটি লবণ মিশিয়ে তা পান করুন।

কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ 

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায় - কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ ও লক্ষণ এ পর্যায়ে আমরা জানবো কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ সম্পর্কে। নিম্নে সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

  • কোষ্ঠকাঠিন্যের প্রধান কারণ আঁশ জাতীয় খাবার এবং শাকসবজি ও ফলমূল কম খাওয়া।
  • অধিক দুশ্চিন্তা করলে।
  • ডায়াবেটিস থাকলে।
  • কাইক পরিশ্রম, হাঁটাচলা কিংবা ব্যায়াম না করলে।
  • পানি কম পরিমাণ খেলে।
  • অন্তনালীতে ক্যান্সার হলে।
  • অসুস্থতার কারণে বিছানায় শুয়ে থাকলে অনেক দিন যাবত।
  • মস্তিষ্কে টিউমার হলে এবং মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণের ফলে।

বিভিন্ন ধরনের ঔষধ সেবন যেমনঃ

  1. উচ্চ রক্তচাপের ঔষধ
  2. ব্যথার ওষুধ
  3. গ্যাস্টিকের ওষুধ
  4. খিচুনির ঔষধ

তাছাড়া যে সকল ওষুধের মধ্যে আয়রন ক্যালসিয়াম ও অ্যালুমিনিয়াম জাতির জাতীয় খনিজ পদার্থ থাকে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের লক্ষণ 

কোষ্ঠকাঠিন্য এর লক্ষণগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ

  • পায়খানা শক্ত হয়ে যাওয়া।
  • পায়খানা করতে অধিক সময় লাগা।
  • অনেক সময় ধরে পায়খানা করার পরও পূর্ণতা না আসা।
  • পায়খানা করতে অধিক চাপের দরকার হওয়া।
  • তলপেটে ও মলদ্বারের আশেপাশে ব্যথা অনুভব করা।
  • আঙ্গুল কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে পায়খানা বের করা।

কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা না নিলে যে সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায় - কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ ও লক্ষণ এ থেকে আমরা জানবো কোষ্ঠকাঠিন্যের চিকিৎসা না নিলে যে সকল সমস্যা দেখা দিতে পারে তা সম্পর্কে। নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

কোষ্ঠকাঠিন্য জন্য প্রসব বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

  • পাইলস হতে পারে
  • পায়খানা ধরে রাখার ক্ষমতা নষ্ট হয়ে যেতে পারে।
  • অনেক ক্ষেত্রে মানসিকভাবে রোগাক্রান্ত হওয়ার প্রবণতা থাকে।
  • খাদ্যনালীতে প্যাচ লেগে পেট ফুলে যেতে পারে।
  • কোষ্ঠকাঠিন্য যদি ক্লোন ক্যান্সার এবং মস্তিষ্কে টিউমারের জন্য হয় তাহলে সে ক্ষেত্রে চিকিৎসা না নিলে অকাল মৃত্যু হতে পারে।
  • খাদ্যনালীতে আলসার বা ছিদ্র হয়ে যেতে পারে।
  • মলদ্বার বাইরে বের হয়ে যেতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে বাঁচতে যে সকল খাবার এড়িয়ে চলবেন 

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে বাঁচতে যে সকল খাবার এড়িয়ে চলবেন তা নিয়ে আলোচনা করা হলোঃ

দুধ

কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যা থেকে বাঁচতে দুধ ও দুদ্ধজাত খাবার এড়িয়ে চলুন।যেমন আইসক্রিম,পনির ইত্যাদি এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়াতে পারে। এই খাবারগুলোতে আসে পরিমাণ কম থাকায় কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দেয়। তবে টক দই হজমে সহায়ক।

চিপস

নাস্তা হিসেবে স্ন্যাক বা পটেটো চিপস জাতীয় খাবার কোন মতেই খাবেন না কারণ এগুলো কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়িয়ে দেয়।

মাংস

লাল মাংস যেমন গরু বা খাসি মাংস, যে সকল মাংসে চর্বি থাকে এইসব মাংস কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আরো বেশি বাড়িয়ে দেয়। এ সকল খাবার অন্তে অনেকক্ষণ থাকে ।মাংসের সঙ্গে পাতে যেন প্রচুর পরিমাণ সবজি ও সালাত থাকে সেদিকে খেয়াল রাখুন।

হিমায়িত খাবার

প্রক্রিয়াজাত বা সংরক্ষিত খাবারের পানি শুকিয়ে ফেলা হয় ও লবণ বেশি থাকে। এ ধরনের খাবারে কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়ায়।

কাঁচা কলা

কাঁচা কলা খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য হয় ।এটা ঠিক তবে পাকা কলায় যথেষ্ট আশ আছে। তাই পাকা কলা খাওয়া যাবে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে বাঁচতে কিছু খাবার 

তোমাকে

গাজর একটি ডায়েটেরি ফাইবার সমৃদ্ধ সুস্বাদু সবজি। আধা ইঞ্চি সাত খন্ড গাজর রয়েছে প্রায় ১.২ গ্রাম ফাইবার। গাজর সুস্বাদু সবজি হাওয়ায় এটি কাঁচা অথবা রান্না দুভাবেই খাওয়া যায়। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেশ উপকারী একটি সবজি হল গাজর।

আরো পড়ুনঃ পা কামড়ানোর কারণ এবং প্রতিরোধ

কেউ যদি প্রতিদিন গাজর খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলে তাহলে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা চিরতরে মুক্তি মিলবে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গাজর খাওয়ার অভ্যাস করে তুলুন।

কলা

কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অনেকটা সাহায্য করে।কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার যা এর পটাশিয়াম বৃহদানতে ও ক্ষুদ্রান্তে কর্ম ক্ষমতা বাড়ায়। কলা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেশ উপযোগী। তবে যাদের ডায়াবেটিস আছে তারা কলাকে এড়িয়ে চলুন।

কফি

কফি খুবই জনপ্রিয় পানীয়, এটা আজকাল সবাই খেয়ে থাকে। শরীর থেকে ঘুমের ভাব কাটানোর জন্য অনেকেই কফি পান করে থাকেন কিন্তু এর অন্যান্য উপকারিতা রয়েছে। কারো কারো এই কফি পেট নরম করতে সাহায্য করে। তবে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে গিয়ে অতিরিক্ত কফি পান করে ফেলবেন না যেন ,এতে ডায়রিয়া হতে পারে। দিনে দু থেকে তিন কাপের বেশি কফি না খাওয়াই ভালো।

পাকা বরই

অনেক সময় পাকা বরই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে বেশ উপকারে আসে। তাই অনেকেই কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য পাকা বরই ব্যবহার করে থাকেন। মিষ্টি পাকা বরই চটকে খোসা ও বীজ ফেলে অথবা ছেঁচে অল্প পানি মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।

বেলের শরবত

বেলের শরবত কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে অনেক উপকারী। ৩০ থেকে ৩৫ গ্রাম পাকা বেলের শাঁস প্রতিবার একগ্লাস পানিতে শরবত তৈরি করে দিনে দুইবার সেবন করতে হবে। এমন অবস্থায় কমপক্ষে পাঁচ থেকে দশ দিন বেলে শরবত পান করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।

ইসবগুলের ভুষি

ইসবগুলের ভুষি পানির সাথে মিশিয়ে খেলে কষ্ট কাঠিন্য দূর হয় এটা আমরা সবাই জানি। তবে এটা খেতে হবে নিয়ম মত। অনেকে ইসুবগুলের ভুষি পানিতে ভিজিয়ে রাখেন এবং অনেক পরে খান। এতে আসলে কোন উপকার হয় না। আপনি যদি পানির সাথে সাথে ইসুবগুলের ভুষি দিয়ে খেয়ে ফেলতে পারেন তবে অনেক উপকার পাবেন।

টক দই

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে টক দই বেশ উপকারী। টক দই হজমের সমস্যাকে দূর করতে কাজ করে। তাই নিয়মিত টক দই খেলে আপনার কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া সম্ভাবনা আর থাকবে না।

পালং শাক

আমাদের অনেকেরই পালং শাক অনেক পছন্দের। পালংশকে রয়েছে ফাইবার, ম্যাগনেসিয়াম যা কোষ্ঠকাঠিন্য কমাতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পালং শাকের ভূমিকা অপরিসীম।

শসা

শসা কোষ্ঠকাঠিন্যর সমস্যা দূর করতে বেশ সহায়ক। শসায় থাকা ডায়াটেরি ফাইবার শসা কে করে তুলে কোষ্ঠকাঠিন্য সমস্যার মহাঔষধ।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার সিরাপের নাম

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের সিরাপ রয়েছে। এ সকল সিরাপ খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই পাওয়া যায়। সিরাপ গুলো হলঃ

  • অ্যাভলাক সিরাপ
  • মিল্ক অফ ম্যাগ্নেসিয়া
  •  ডুরালাক্স সিরাপ

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার ট্যাবলেট

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় বা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার জন্য বাজারে বিভিন্ন ধরনের ট্যাবলেট রয়েছে। এ সকল ট্যাবলেট খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে রেহাই পাওয়া যায়। ট্যাবলেট গুলো হল:

  • SACHET.MOVICOL
  • SUSPENSION.MEGALAX
  • DURALUX 5MG

এই ওষুধ তিনটির মধ্যে যে কোন একটি ওষুধ সেবন করলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা যাবে। যাদের অধিক সমস্যা রয়েছে তারা ডুরালাক্স খেতে পারেন। 

আরো পড়ুনঃ শ্বাসকষ্ট থেকে মুক্তির উপায়

আর যাদের নিয়মিত মলত্যাগের সমস্যা হয় তারা SACHET.MOVICOL,SUSPENSION.MEGALAX এই ওষুধ দুটি খেতে পারেন। এগুলো সাধারণত ৭ থেকে ১০ দিন নিয়মিত খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সম্ভব।

পরিশেষে

বন্ধুরা, আজ আমরা আলোচনা করেছি কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায় - কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ ও লক্ষণ নিয়ে। আশা করছি আর্টিকেলটি ভালো লাগবে। এবংকোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায় - কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণ ও লক্ষণ এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হবেন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url