ফ্রিল্যান্সিং জগতে নতুনদের জন্য ৭ টি টিপস


ফ্রিল্যান্সিং যে কোনভাবেই শুরু করা যায়, কিন্তু নতুনদের কাছে এটা সত্যিই কঠিন । তাই ফ্রিল্যান্সিং জগতে নতুনদের জন্য ৭ টি টিপস নিয়ে এসেছি। যার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন নতুনরা কিভাবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করতে পারবে।ফ্রিল্যান্সিং জগতে নতুনদের জন্য ৭ টি টিপস আশা করি এই পোষ্টটি আপনাদের ভালো লাগবে।

চলুন দেরি না করে জেনে নেই ফ্রিল্যান্সিং জগতে নতুনদের জন্য ৭ টি টিপস সম্পর্কে।ফ্রিল্যান্সিং জগতে নতুনদের জন্য ৭ টি টিপস এ প্রসঙ্গে আমরা আরও জানব, নিজের দক্ষতা, ট্যালেন্ট এবং আগ্রহ সম্পর্কে জানুন। নিজেকে আপনার বস মনোভাবটা বজায় রাখুন। নিজের দক্ষতা বাড়ান। রিসার্চ করুন। ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো খুঁজুন। নিজেকে সবচেয়ে ভালো টা দিন। পেমেন্টের ব্যবস্থা করুন।

নিজের দক্ষতা, ট্যালেন্ট এবং আগ্রহ সম্পর্কে জানুন 

আপনি বা আমাদের মধ্যে কমবেশি সকলেরই নিজের দক্ষতা বা ট্যালেন্ট রয়েছে। বিশেষ করে আপনার এমন কোন ট্যালেন্ট বা দক্ষতা রয়েছে যা কাজে লাগিয়ে আপনি ভালো কিছু করতে পারবেন। এমনকি তার মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জন করতে পারবেন। সে ক্ষেত্রে একজন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি যে সকল কাজ করতে আগ্রহী চাইলে আপনি সেগুলো করতে পারবেন। এবং তার মাধ্যমে আপনি টাকা উপার্জনের প্রবল সম্ভাবনা দেখান।

আরো পড়ুনঃ ব্লকচেইন কি - ব্লকচেইন কিভাবে কাজ করে

 ইতিমধ্যে হয়তো বা আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসাবে যে কাজ করতে আগ্রহী তা ঠিক করে নিয়েছেন। আর যদি ঠিক নাও করেন তবে ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনি বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারেন যেমন, কনটেন্ট রাইটার, প্রোগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ, বুক কিপিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন, কনসাল্টিং, ওয়েব ডেভেলপমেন্ট, গ্রাফিক্স ডিজাইন, মেডিকেল কোডিং, ফটোগ্রাফি, সোশ্যাল মিডিয়া ম্যানেজিং ইত্যাদি।

আপনি যদি এই কাজগুলো করতে না চান তবে ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আরো অনেক কাজের সুযোগ রয়েছে ।তা ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে। যে কাজগুলো করার জন্য বিশেষ কোনো দক্ষতার প্রয়োজন হয় না।

নিজেকে আপনার বস মনোভাবটা বজায় রাখুন

ফ্রিল্যান্সার হতে গেলে শুধু দক্ষতা আর ট্যালেন্ট থাকলেই হবে না। বরং একটা সঠিক মন মানসিকতা থাকতে হবে। আপনার যতই ক্লায়েন্ট থাকুক ।তারা যতই আপনাকে কাজ দিক টাকা প্রদান করুন তাদেরকেও আপনার বস হবে না। উল্টো দিক দিয়ে আপনি হচ্ছেন আপনার কাজের বস। তবে অনেক সময় অভ্যাস না থাকলে নিজেকে মানিয়ে নিতে হয়। নিজেকে যত দ্রুত মানসিকতার সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন তার পরিপ্রেক্ষিতে নতুন ফ্রিল্যান্সার হিসেবে আপনার যাত্রা শুভ হবে।

নিজের দক্ষতা বাড়ান

ফ্রিল্যান্সিং জগতে নতুনদের জন্য ৭ টি টিপস এর মাধ্যমে জানবো নিজের দক্ষতা বাড়ান সম্পর্কে।ফ্রিল্যান্সার হিসেবে মার্কেটপ্লেস আসলে প্রতিযোগিতামূলক হিসেবে প্রমাণিত। এখানে আপনি যতই দক্ষ আর ট্যালেন্ট হন না কেন প্রতিযোগিতার বাজারে আপনাকে টিকে থাকতেই হবে। সেজন্য আপনি চাপ না নিয়ে নিজের দক্ষতা বৃদ্ধির দিকে সু নজর দিন। এজন্য আপনি অনলাইন কোর্স বা নতুন দক্ষতা শিখতে পারেন। তাছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কোর্স রয়েছে যেগুলো থেকেও আপনি ফ্রিল্যান্সারে কাজ শিখতে পারেন। এর জন্য কিছু ফ্রি কোর্স আছে আবার অনেকগুলো প্রেইড কোর্স রয়েছে।

তবে টাকা খরচের আগে আপনি কোশ্চেন নিয়ে মানুষ কি বলছে সে বিষয়ে বিস্তারিত রিসার্চ করে দেখেন ।আপনি যে সকল কোর্স ওয়েবসাইট থেকে কোড গুলো নিচ্ছেন তার রিফান্ড পিলিসি আছে কিনা সেটা অবশ্যই দেখে নিবেন। তবে তার জন্য অবশ্যই নিশ্চিত হবেন আপনার সিলেক্টর করা কোর্সটি আসলে আপনার সময় বা টাকা-পচায় করছে কিনা। এগুলো ছাড়াও আপনার দক্ষতাকে আরও বাড়িয়ে তুলতে নিম্ন লিখিত পদক্ষেপ গুলো অনুসরণ করুনঃ

  • আপনি ফেসবুক গ্রুপে যুক্ত হতে পারেন
  • নিয়মিত বিভিন্ন ব্লক করুন
  • পোর্টকাস্ট গুলো শুনতে থাকুন।
  • অনলাইন ফ্রি কোর্সগুলোর সাথে যুক্ত থাকুন
  • আপনার কাজের জন্য একজন পরামর্শ দাতা খুজে বের করুন এবং তার কাছে কাজ শিখুন

যে কোন কাজের দক্ষতায় কখনো রাতারাতি বৃদ্ধি করা সম্ভব নয়। সেজন্য আপনাকে অবশ্যই ধৈর্য ধরে সময়ের সাথে সাথে ধারাবাহিকভাবে অভিজ্ঞতা নিয়ে সেটি অর্জন করতে হবে। আর এটা করতে পারলে আপনি সফলতা অর্জন করতে পারবেন।

রিসার্চ করুন 

আপনি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে গিয়ে কোন ফিল্ডে কাজের কথা চিন্তা করছেন। সে ফিল্ডের মার্কেটপ্লেসের ডিমান্ড এবং টাকা ইনকামের পরিমাণ এর উপর যথেষ্ট অনুসন্ধান বা রিচার্জ করুন। যদি আপনি কাজের বিষয় নিশ্চিত না থাকেন তাহলে চাপ নেওয়ার কোন প্রয়োজন নেই। আপনি যদি ফ্রিল্যান্সার হিসেবে কাজ করতে আগ্রহী হন তাহলে গবেষণা বা রিচার্জ করে নিচের দেওয়া উত্তরগুলো খুঁজতে থাকবেন যেমন,

আরো পড়ুনঃ যে কোন এন্ড্রয়েড ফোনে নাথিং লঞ্চার কিভাবে ইন্সটল করবেন

  • আপনার পছন্দমত কাজ খুঁজে পাওয়া সহজ নাকি কঠিন
  • ভিলেন ছাড়া কি ধরনের কাজ করে ইনকাম আছে
  • সে কাজের লাইনে কি ফ্রিল্যান্সারদের যথেষ্ট চাহিদা আছে

মার্কেটিং চাহিদা ,ফ্রিল্যান্সিং কাজের ক্যাটাগরি ,কাজের গুণগত মান এবং প্রতিযোগিতামূলক ফ্রিল্যান্সারদের ইনকামের পরিমাণ কে ব্যাপকভাবে প্রবাহিত করে থাকে। এছাড়াও আপনার অভিজ্ঞতা কোন ওয়েবসাইট আপনার কাজে সহজ হবে তার উপর ইনকামের পরিমাণ নির্ভর করে।

ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো খুঁজুন

আপনি ফ্রিল্যান্সার হতে হলে ক্লায়েন্ট এবং কাজগুলো খুঁজুন। আপনি কোন ধরনের কাজ বা ফ্রিল্যান্সিং করবেন তা পুরোটাই নির্ভর করবে আপনার উপর। বর্তমানে অনলাইন দুনিয়ায় অনেক কাজের প্ল্যাটফর্ম আছে। যেখানে আপনি খুব সহজেই কাজগুলো পেয়ে যাবেন। এবং বর্তমান সময়ের upwork ফাইবার এর মতো প্ল্যাটফর্ম গুলো কম সেলার এ কাজ দিয়ে থাকে। আবার বিভিন্ন ধরনের চাকরির অনুসন্ধানের ওয়েবসাইটগুলো আরো বেশি বেতনে চাকরি দিয়ে থাকে। তবে যে কোন ওয়েবসাইট বা প্লাটফর্মে যুক্ত হওয়ার পূর্বে কিছু নিয়ম কানন অবশ্যই জেনে নিন।

  • প্ল্যাটফর্ম গুলোর জব লিস্ট গুলো ভালো করে যাচাই করবেন
  • পাইন্ট পাওয়ার সুযোগ সুবিধা কেমন আছে সেটা দেখবেন
  • তাদের প্রেমেন্ট গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত অনুসন্ধান করবেন
  • প্ল্যাটফর্ম গুলো আপনার দক্ষতা প্রদর্শনের জন্য আদর্শ কিনা সেটা দেখবেন

এছাড়া আপনি ফেসবুক টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়াতে প্রোফাইল এর নেটওয়ার্ক তৈরি করে সেখান থেকে কাজ খুঁজে নিতে পারেন।

নিজেকে সবচেয়ে ভালো টা দিন

ফ্রিল্যান্সিং জগতে কাজ করার জন্য আপনি নিজেকে সম্পূর্ণরূপে প্রস্তুত করুন। আপনি যদি মনে করেন আপনি প্রস্তুত না তাহলে আরও সময় নিয়ে নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা করুন। একজন ফ্রিল্যান্সার হিসাবে আপনার ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে কয়েকটি বিষয়ের দিকে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যেমন,

  • আপনাকে সঠিক সময়ের মধ্যে কাজ করে জমা দিতে হবে
  • আপনার সকল কাজে আপনার সবচেয়ে ভালো টা দিন
  • ক্লাইন্ট এর সাথে ভালো ব্যবহার এবং ধারাবাহিকতা বজায় রাখুন
  • সব সময় আপনার কাজের সম্পূর্ণ দক্ষতা বাড়ানোর চেষ্টা করুন
  • ক্লায়েন্টের কাছ থেকে গঠনমূলক সমালোচনা কথা জেনে নিন

তাই আপনার পক্ষে যতটা সম্ভব আপনি ভালো করার চেষ্টা করুন। এর ফলে আপনি শুধু ভালো কিছু অর্জন করবেন তাই নয় প্রতিযোগিতা মূলক বাজারে জনপ্রিয় হয়ে উঠতে পারবেন।

পেমেন্টের ব্যবস্থা করুন

ফ্রিল্যান্সিং কাজের সর্বশেষ বা গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হলো পেমেন্ট। ফ্রিল্যান্সিং কাজের শেষে আপনাকে সময় মতো সম্পূর্ণ টাকা প্রদান করে থাকে। দুর্ভাগ্যবশত সকল ফ্রিল্যান্সিং ক্লায়েন্ট এক রকম হয় না সেজন্য টাকা আদায় করা ফ্রিল্যান্সারদের জন্য অনেক চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হতে পারে। তবে ফ্রিল্যান্সিং কাজের ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে পেতে গেলে সেখানে কোন চুক্তি থাকে না।

তখন ফ্রিল্যান্সাররা ইন ভয়েস এবং টাকা প্রদানের বিল তৈরি করার জন্য দায়ী থাকে। তাই তার জন্য আপনাকে সম্পূর্ণ নিজের দায়িত্বে ক্লায়েন্টের সাথে প্রেমেন্ট গ্রহণ করতে হবে। তবে পেমেন্টের সমস্যা এড়াতে নিম্নলিখিত বিষয়গুলো অনুসরণ করতে পারেন।

  • পেমেন্টের শর্তাবলী আপনার ইন ভয়েস স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করে দিন
  • ভদ্র এবং প্রফেশনাল ভাবে প্রেমেন্টের বিষয়ে নিয়ন্ত্রণ করুন
  • পরিচালনা করে এবং ফ্রিল্যান্সার ওয়েবসাইট থেকে কাজ অর্ডার নিন
  • আপনার কাজের মূল্য আছে এবং আপনি তাৎক্ষণিক এবং সম্পন্ন পেমেন্টের যোগ্যতা ক্লায়েন্টের বুঝিয়ে দিন
  • ভালো ক্লায়েন্টের কাছ থেকে পুনরায় গ্রহণ করুন ,যারা আপনাকে অবিলম্বে পেমেন্ট করবে।

শেষ কথা

নতুন যারা ফ্রিল্যান্সার হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং শিখতে চাচ্ছেন তারা অবশ্যই কিছু নিয়মকানুন সম্পর্কে জ্ঞান রাখবেন। সেজন্য ফ্রিল্যান্সিং জগতে নতুনদের জন্য ৭ টি টিপস এই পোস্টটি পড়ে দেখবেন। আশা করি ফ্রিল্যান্সিং জগতে নতুনদের জন্য ৭ টি টিপস এটা আপনাদের টা জ্ঞান দান করবে। আপনাদের যদি এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।-ধন্যবাদ


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url