কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও অপকারিতা - মধু ও কালোজিরা খাবার উপকারিতা


মসলা জাতীয় ফসল হিসেবে কালোজিরা বেশ জনপ্রিয়। কালোজিরাতে রয়েছে প্রচুর ঔষধি গুনাগুন। অনেকেই বলে থাকেন কালোজিরা মৃত্যু ব্যতীত সকল ধরনের রোগ নিরাময়ে বেশ কার্যকর।কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও অপকারিতা - মধু ও কালোজিরা খাবার উপকারিতা সম্পর্কে আপনারা যদি জানতে চান তাহলে আজকে পোস্টটি আপনাদের জন্য। আপনারা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও অপকারিতা - মধু ও কালোজিরা খাবার উপকারিতা সম্পর্কে।

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও অপকারিতা - মধু ও কালোজিরা খাবার উপকারিতা এ প্রসঙ্গে আমরা আরো জানব, কালোজিরা চিবিয়ে খাবার উপকারিতা, কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা, কালোজিরার অপকারিতা, কালোজিরা খেলে কি গ্যাস হয়, কালোজিরার কার্যকারিতা, মধু ও কালোজিরা খাবার উপকারিতা, সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা এগুলো সম্পর্কে।

কালোজিরা চিবিয়ে খাবার উপকারিতা

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও অপকারিতা - মধু ও কালোজিরা খাবার উপকারিতা। এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানবো কালোজিরা চিবিয়ে খাবার উপকারিতা সম্পর্কে।কালোজিরা আমাদের শরীরের জন্য বেশ উপকারী । কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে নিম্নে সেই সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতে

কালোজিরা স্মরণ শক্তি বৃদ্ধিতে খুব উপকারী। নিয়ম মেনে কালোজিরা প্রতিদিন খেলে রোগ প্রতিরোধের পাশাপাশি স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পাবে। কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম হলো, প্রথমে এক গ্লাস পুদিনা অথবা কমলালেবুর রস নিন। এর সাথে ১ চা চামচ কালোজিরা তেল ভালোভাবে মিশিয়ে নিবেন এবং এটি দিনে তিন থেকে চারবার খাবেন। 

আরো পড়ুনঃ আম এর উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ

এভাবে যদি আপনি নিয়ম করে প্রতিদিন কালোজিরা খান তাহলে আপনার টেনশন থেকে মুক্তি পাওয়ার পাশাপাশি স্মরণ শক্তি বৃদ্ধি পাবে কয়েক গুণ। কারণ কালোজিরা খাওয়ার ফলে আপনার ব্রেনের ভিতরে রক্ত চলাচল বেড়ে যায় এবং ব্রেনের নার্ভ দ্রুত একটিভ হয়।

সর্দি কাশি জ্বর ভালো করতে

সর্দি কাশি জ্বর ভালো করতে কালিজিরার জুড়ি মেলা ভার। যাদের নিয়মিত সর্দি কাশি লেগেই থাকে তারা কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে তা দূর করতে পারেন। মধু বা রং চায়ের সাথে এক চা চামচ কালিজিরা তেল মিশিয়ে দৈনিক তিন থেকে চারবার খাবেন, দেখবেন অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। এছাড়াও কালোজিরা সাথে যদি তুলসী পাতা রস মিশিয়ে খান তাহলে বেশ উপকার পাবেন।

মাথা ব্যাথা নিরাময়ে

আপনার যদি মাথা ব্যাথার সমস্যা থাকে তাহলে এই কালোজিরায় পারে আপনার মাথাব্যথার সমস্যা কে সমাধান করে দিতে। আপনাকে প্রতিদিন এক থেকে দুই চা চামচ কালোজিরা তেল মাথায় লাগাতে হবে। এবং এক চা চামচ কালোজিরা সাথে সামপরিমাণ মধু নিবেন এবং দুই ২ টা মিক্সড করে দিনে দুই থেকে তিনবার খাবেন। এভাবে যদি দুই থেকে তিন সপ্তাহ কালোজিরা ব্যবহার করতে পারেন তাহলে ইনশাআল্লাহ আপনার মাথা ব্যাথার সমস্যা দূর হবে।

বাতের ব্যথা দূর করতে

আপনার যদি বাত ব্যথা হয়ে থাকে তাহলে আপনি চাইলে কালীজিরার মাধ্যমে এই সমস্যাটি সমাধান করতে পারেন। যে স্থানে আপনার বাতের ব্যথা রয়েছে প্রথমে সেই স্থানটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিবেন। এবং পরিষ্কার করে সেখানে নিয়মিত কলেজরা তেল মালিশ করবেন। আবার কাঁচা হলুদের সাথে এক চা চামচ কালিজিরা এবং সাথে সমপরিমাণ মধু নিয়ে তা মিক্স করে দুই থেকে তিন সপ্তাহ খেলে আরো ভালো উপকার পাওয়া যাবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে

আপনারা জানলে অবাক হবেন যে কালোজিরা চিবিয়ে খেলে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব। এর জন্য আপনাকে কিছুটা নিয়ম মানতে হবে। আপনার রক্তের গ্লুকোজের মাত্রা যদি আপনি সঠিক রাখতে চান তাহলে প্রতিদিন সকালে উঠে এক চিমটি পরিমাণ কালোজিরা একগ্লাস গরম পানির সাথে মিশিয়ে খেয়ে ফেলুন। তবে অবশ্যই সকালে খালি পেটে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এছাড়াও আপনি চা কিংবা ভাতের সাথে কালিজিরা চিবিয়ে খেলে ডায়াবেটিস অনেক অংশে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।

রক্তের চাপ নিয়ন্ত্রণ করতে

যাদের নিম্নচাপ রক্তের সমস্যা এবং উচ্চচাপ রক্তের সমস্যা রয়েছে তারা কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে তা সমাধান করতে পারবেন। তবে এর জন্য আপনাকে বেশি নিয়ম মানতে হবে না। আপনি প্রতিদিন সকালে উঠে দুই কোয়া রসুন চিবিয়ে খাবেন তারপর কালিজিরা তেল আপনার সম্পূর্ণ শরীরে লাগাবে।

এরপর আপনি এই অবস্থায় সকালে সূর্যের তাপে ৩০ মিনিটের মতো নিজের শরীরকে রাখবেন। এই কাজটি করার পাশাপাশি আপনি এক চা চামচ কালোজিরা তেল এবং এর সাথে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার খাবেন এবং এ কাজটি কয়েক সপ্তাহ ধরে করলে আশা করি আপনি ভাল ফলাফল পাবেন।

হার্টের বিভিন্ন রোগ নিরাময়

যাদের হার্টের সমস্যা রয়েছে তারা যদি প্রতিদিন এক চা চামচ কালোজিরা তেল এর সাথে এক কাপ দুধ মিশিয়ে দৈনিক তিন থেকে চারবার গ্রহণ করতে পারেন এবং কাজটি কয়েক সপ্তাহ নিয়মিত করতে পারেন তাহলে আশা করি হার্টের রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগের চিকিৎসায়

শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগে কালোজিরা বেশ উপকারী। শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে আপনি প্রতিদিন খাদ্য তালিকায় কালোজিরার ভর্তা রাখুন। নিয়মিত কালোজিরা ভর্তা সেবন করলে আশা করি হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পাবেন।

বুকের দুধের শূন্যতা সমস্যায়

কালোজিরা কে দুধের মহা ঔষধ বলে আখ্যায়িত করা হয়ে থাকে। আপনি যদি গ্রামাঞ্চলের মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে নিশ্চয়ই এটা সম্পর্কে আপনি যা শুনে থাকবেন, দুধের চিকিৎসায় কালোজিরা ব্যবহারের কথা। গর্ভবতী মেয়েদের সাধারণত বুকের দুধ নামানোর জন্য কালোজিরার ভর্তা খাওয়ানো হয়ে থাকে। আবার দুধ বৃদ্ধির জন্য ৫ থেকে ১০ গ্রাম কালোজিরা নিয়ে সেটা বেটে এক গ্লাস দুধের সাথে মিশিয়েও খেয়ে নিতে পারেন। এভাবে ১০ থেকে ১৫ দিন নিয়মিত খেলে আশা করি দুধ চলে আসবে।

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম ও উপকারিতা

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও অপকারিতা - মধু ও কালোজিরা খাবার উপকারিতা এ পর্যায়ে আমরা জানবো কালোজিরা খাবার নিয়ম ও উপকারিতা সম্পর্কে। নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

মাথাব্যথা নিরাময়

মাথা ব্যাথা নিরাময় কালোজিরা খুবই উপকারী। মাথা ব্যথা থেকে রেহাই পেতে এক থেকে দুই তিন চামচ কালিজিরা তেল ভালোভাবে মাথায় লাগাতে হবে ।আবার এক চা চামচ কালোজিরা তেল সব পরিমাণ মধু দিয়ে দিনে দুই থেকে তিনবার খেলে মাথাব্যথা দূর হয়।

সর্দি কাশি ও জ্বর ভালো করতে

সর্দি কাশি জ্বর ভালো করতে কালিজিরার জুড়ি মেলা ভার। যাদের নিয়মিত সর্দি কাশি লেগেই থাকে তারা কালোজিরা চিবিয়ে খাওয়ার মাধ্যমে তা দূর করতে পারেন। মধু বা রং চায়ের সাথে এক চা চামচ কালিজিরা তেল মিশিয়ে দৈনিক তিন থেকে চারবার খাবেন, দেখবেন অনেক ভালো ফলাফল পাবেন। এছাড়াও কালোজিরা সাথে যদি তুলসী পাতা রস মিশিয়ে খান তাহলে বেশ উপকার পাবেন।

স্মরণশক্তি বৃদ্ধি

স্মরণশক্তি বৃদ্ধির জন্য এক চা চামচ পুদিনা পাতা বা কমলার রসের সঙ্গে এক চা চামচ কালোজিরা তেল মিশিয়ে দিনে দুই থেকে তিন বার করে নিয়মিত খান। এর ফলে আপনার দোষ চিন্তা দূর হবে এছাড়া এটি মেধা বিকাশের জন্য কাজ করবে দ্বিগুণ।

দাঁতের ব্যথা দূরীকরণে

বাতের ব্যথা দূরীকরণে আক্রান্ত স্থানে পরিষ্কার করে তাতে কালোজিরা তেল মালিশ করুন। আবার কাঁচা হলুদের সাথে পরিমাণ মতো কালোজিরা মধু মিশিয়ে দৈনিক তিন থেকে চারবার খান দুই থেকে তিন সপ্তাহ খেলেই উপকার পাবেন।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে রাখতে

আপনি প্রতিদিন সকালে উঠে দুই কোয়া রসুন চিবিয়ে খাবেন তারপর কালিজিরা তেল আপনার সম্পূর্ণ শরীরে লাগাবে। এরপর আপনি এই অবস্থায় সকালে সূর্যের তাপে ৩০ মিনিটের মতো নিজের শরীরকে রাখবেন। 

আরো পড়ুনঃ সজনে পাতা ও ডাটার উপকারিতা

এই কাজটি করার পাশাপাশি আপনি এক চা চামচ কালোজিরা তেল এবং এর সাথে পরিমাণ মতো মধু মিশিয়ে প্রতিদিন দুই থেকে তিনবার খাবেন এবং এ কাজটি কয়েক সপ্তাহ ধরে করলে আশা করি আপনি ভাল ফলাফল পাবেন।

পাইলসের সমস্যা নিরাময়

এক চা চামচ মাখনের সাথে পরিমাণ মতো তিলে তেল ,এক চা চামচ কালিজিরা তেল সহ প্রতিদিন খালি পেটে তিন থেকে চার সপ্তাহ খেলে পাইলসের সমস্যা নিরাময় উপকার পাওয়া যাবে।

শ্বাসকষ্ট বা হাঁপানি রোগ সারাতে

যারা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্টেরসমস্যায় ভুগছেন তাদের জন্য কালিজিরা বেশ উপকারী। প্রতিদিন কালিজিরি ভর্তা খাদ্য তালিকায় রাখুন । কালোজিরা হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা সমাধানে বেশ উপকারী।

যৌন সমস্যার সমাধান করে

কালোজিরা নারী পুরুষ উভয়েরই যৌন সমস্যার সমাধানে বেশ উপকারী। প্রতিদিন কালোজিরা খেলে পুরুষের স্প্যাম সংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং পুরুষত্বহীনতা থেকে মুক্তি মেলে। এক চা চামচ মাখন এক চা চামচ যাইতুন তেল মধুসহ দৈনিক তিনবার চার থেকে পাঁচ সপ্তাহ খেলে উপকার মিলবে।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কালিজিরা বেশ উপকারী। সমপরিমাণ কালিজিরা একগ্লাস পানির সাথে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে খেলে রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে ।এছাড়া রং চা বা গরম ভাতের সাথে মিশিও দৈনিক দুইবার করে খেলে উপকার পাবেন।

হার্টের বিভিন্ন সমস্যার ক্ষেত্রে

এক চা চামচ কালিজিরার গুঁড়া এক কাপ দুধের সাথে মিশিয়ে দৈনিক দুইবার করে ৪ থেকে ৫ সপ্তাহ খেলে হার্টের বিভিন্ন সমস্যা ক্ষেত্রে উপকার পাওয়া যায়।

 শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি করতে

দুই বছরে বেশি বাচ্চাদের প্রতিদিন কালোজিরার খাওয়ার অভ্যাস গড়ে তুলুন। কারণ কালোজিরা দ্রুত শিশু দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধি ঘটাতে সহায়ক। এটি শিশুর মস্তিষ্কের সুস্থতা এবং স্মৃতিশক্তি ব্যতীত বেশ কাজ করে। তবে দুই বছরের কম বয়সী শিশুদের কালোজিরা তেল খাওয়ানো উচিত নয়।

পেটের আলসার প্রতিরোধ করতে

কালোজিরা পেটের আলছার প্রতিরোধ করতে বেশ সহায়। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে কালোজিরা পেটের অস্তরণ রক্ষা করতে ও আলসার গঠন রোধ করতে সাহায্য করে।

ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে

কানের সংক্রমণ থেকে নিউমোনিয়া পর্যন্ত বিপদজনক সংক্রমনের দীর্ঘ তালিকার জন্য রোগ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়া দায়ী। কালোজিরায় রয়েছে অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল যা ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে সাহায্য করে।

কালোজিরার অপকারিতা 

কালোজিরার এত এত উপকারিতার মধ্যেও কিছু অপকারিতা রয়েছে। তাই চলুন কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও অপকারিতা - মধু ও কালোজিরা খাবার উপকারিতা এই পোস্টটির মাধ্যমে জেনে নেই কালোজিরার অপকারিতা সম্পর্কে।

  • কালোজিরা রক্ত জমার বাধা কমিয়ে দিয়ে রক্তপাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেয়। তাই অতিরিক্ত পরিমাণ কালোজিরা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • কালোজিরা রক্তের শর্করার পরিমাণ কমাতে পারে। আপনার যদি ডায়াবেটিস থাকে তাহলে নিয়ম করে আপনার শরীরের শর্করা নিরীক্ষণ করবেন।
  • কালোজিরা অল্প পরিমাণে মুখের মাধ্যমে গ্রহণ করা হয়। বেশিরভাগ লোকের জন্য সম্ভবত নিরাপদ কালিজিরা তেল চিকিৎসার জন্য স্বল্পমেয়াদী ব্যবহার করা হয়। সাবধান কালোজিরা ত্বকে লাগলে এলার্জিজনিত ফুসকুড়ি হতে পারে।

কালোজিরা খেলে কি গ্যাস হয়

কালোজিরা গায়ে ব্যথা ,জ্বর ,কফ দূর করতে যথেষ্ট উপকারী । কালোজিরায় রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণ খোদা বাড়ানোর উপাদান। এটা পেটের যাবতীয় রোগ জীবাণু ও গ্যাস দূর করে খুদা বাড়ায় এবং দেহের কাটা ছেঁড়া শুকানোর জন্য কাজ করে। তাই কালোজিরা খেলে গ্যাস হয় না বরং গ্যাস দূর হয়।

কালোজিরার কার্যকারিতা 

কালোজিরা খাবার কার্যকারিতা সম্পর্কে নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ

  • ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখে
  • রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে 
  • দেহের রক্ত সঞ্চালন ঠিক থাকে 
  • ঠান্ডা সমস্যার সমাধান করে
  • কালোজিরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
  • শিশুর দৈহিক ও মানসিক বৃদ্ধিতে বেশ সহায়ক
  • হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা সমাধানে সহায়তা করে
  • চর্মরোগ সারাতে সাহায্য করে
  • গ্যাস্টিকের সমস্যার সমাধান করে
  • মাথা ব্যাথা নিরাময়ে সাহায্য করে

মধু ও কালোজিরা খাবার উপকারিতা

কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও অপকারিতা - মধু ও কালোজিরা খাবার উপকারিতা এ পর্যায়ে আমরা জানব মধু ও কালিজিরা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে। নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ

দাঁতের ব্যথা

দাঁতের ব্যথা দূরীকরণে মধু বেশ উপকারী। নিয়মিত মধুর সাথে কালোজিরা সকালে সেবন করলে দেখবেন আপনার দাঁতের ব্যথা ভালো হয়ে যাবে।

মাথা ব্যথায় কালোজিরা ও মধু

মাথা ব্যাথা সারাতে কালোজিরা বেশ উপকারী। মাথা ব্যথার সময় কালিজিরার গুড়া পরিমাণ মতো নিয়ে অর্ধেক পরিমাণ লবঙ্গ অর্ধেক পরিমাণ মৌরিফুল একসঙ্গে মিশিয়ে মাথাব্যথা সময় দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে মাথাব্যথা নিবে সেই কমে যায়। এছাড়াও কালিজিরা তেল মাথায় ভালোভাবে মাসাজ করলে অনেক আরাম পাওয়া যায়।

নিদ্রাহীনতা

নিদ্রাহীনতা বা চিন্তামুক্ত করতে কালোজিরার জুড়িমেরা ভার। এক গ্লাস দুধের সাথে মধু মিশিয়ে এক চামচ কালিজিরা মিশিয়ে ঘুমিয়ে পড়ার আগে সেবন করে দেখবেন সেই রাত্রি ঘুমে বিভোর থাকবেন। তখন আপনি বুঝতে পারবেন অনিদ্রা দূর করার জন্য কালিজিরা ও মধু কতটা উপকারী।

যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে মধু

মধু যৌন শক্তি বৃদ্ধিতে অনেক কার্যকরী এটা আমরা কম বেশি সবাই জানি। প্রতিদিন এক গ্লাস দুধের সাথে মধু মিশিয়ে ফেলে যৌন শক্তিতে ভালো ফলাফল আসে এবং আপনার শরীর ও সতেজ থাকবে। এছাড়াও আপনি যদি কালোজিরা সাথে মধু মিশিয়ে সেবন করেন তাহলে সেটা আপনার জন্য আরো ভালো হবে। 

কোষ্ঠকাঠিন্য সারাতে

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে মধুর ভূমিকা অপরিসীম। এক গ্লাস হালকা গরম পানিতে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য রোগের থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়া এক চা চামচ লেবুর রস এবং ১ চা চামচ আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে খেলে অরুচি দূর হয়ে যায়।

সকালে খালি পেটে মধু ও কালোজিরা খাওয়ার উপকারিতা

আপনারা হয়তো উপরে আলোচনার মাধ্যমে মধু ও কালীজিটার গুনাগুন সম্পর্কে জেনেছেন। কারণ মধু ও কালোজিরাতে রয়েছেন নানা ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। তাছাড়া প্রতি গ্রাম কালোজিরাতে রয়েছে পুষ্টি উপাদান প্রোটিন, ভিটামিন বি, নিয়াসিন, ক্যালসিয়াম ,আয়রন ,ফসফরাস, কপার , জিংক। তাই আপনি যদি প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধু ও কালিজিরা একসাথে খান তাহলে আপনার শরীরের দুর্বলতা কেটে যাবে এবং শরীর হবে সতেজ।

আরো পড়ুনঃ কাদাকনাথ মুরগির উপকারিতা

এছাড়াও মধু ও কালিজিরা আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেবে। আপনারা যারা দীর্ঘদিন ধরে বাতের ব্যথা জনিত কারণে ভুগছেন তারা সকালে কালোজিরা এবং মধু খেতে পারেন দেখবেন অনেক উপকার মিলবে। এছাড়াও আপনার যদি ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণ ও রক্ত সঞ্চালন জনিত সমস্যা থাকে, সর্দি কাশি থেকে আরাম পেতে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে মধুর সাথে কালোজিরা সেবন করলে অল্প দিনের মাঝে আপনি সুস্থ হয়ে যাবেন। 

পরিশেষে

বন্ধুরা , কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও অপকারিতা - মধু ও কালোজিরা খাবার উপকারিতা এই আর্টিকেলটি আপনাদের জন্য। কালোজিরা খাওয়ার নিয়ম, উপকারিতা ও অপকারিতা - মধু ও কালোজিরা খাবার উপকারিতা  এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে দয়া করে অবশ্যই জানাবেন।-ধন্যবাদ


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url