কোরবানির মাংস মহানবী (সা) যেভাবে বন্টন করতেন - ভাগে কোরবানির নিয়ম


প্রিয় বন্ধুরা আজ আমরা আলোচনা করব কোরবানির মাংস মহানবী (সা) যেভাবে বন্টন করতেন - ভাগে কোরবানির নিয়ম এই সম্পর্কে। প্রিয় বন্ধুরা আমরা অনেকেই কোরবানির মাংস মহানবী (সা) যেভাবে বন্টন করতেন - ভাগে কোরবানির নিয়ম সম্পর্কে বেশ একটা জানিনা। আসুন বন্ধুরা এই প্রশ্নের মাধ্যমে আমরা জেনে নেই,কোরবানির মাংস মহানবী (সা) যেভাবে বন্টন করতেন - ভাগে কোরবানির নিয়ম সম্পর্কে।
কোরবানির মাংস মহানবী (সা) যেভাবে বন্টন করতেন - ভাগে কোরবানির নিয়ম এ প্রসঙ্গে আমরা আরও জানব,কোরবানির মাংস মহানবী (সা) যেভাবে বন্টন করতেন, কোন অংশীদারদের নিয়ত গলদ হবে , হারাম টাকার কোরবানি শুদ্ধ নয়, কুরবানীর পশুতে আকিকার অংশ,কোন পশু কোরবানি দেওয়া যাবে, কোন পশু কোরবানি দেওয়া যাবে না, কোরবানির মাংস কতদিন খাওয়া যাবে, কোরবানি না করলে কি গুনাহ হয় এগুলো সম্পর্কে।

কোরবানির মাংস মহানবী (সা) যেভাবে বন্টন করতেন

কোরবানি অতি প্রাচীন কাল থেকেই চলে আসছে। মুসলিমদের সর্ববৃহৎ দ্বিতীয় ধর্মীয় উৎস হল ঈদুল আযহা। আর আল্লাহ তায়ালার অনুগত লাভের অন্যতম মাধ্যম হলো এই কোরবানি। এভাবে ত্যাগ তিতিক্ষার মাধ্যমে মানুষের সর্বাধিক প্রিয় বস্তু আল্লাহ সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করাই হলো কোরবানি। আল্লাহ সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে কোরবানি করা এবং কোরবানির মাংস ভাগ করার একটি নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। মহানবী সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কোরবানির পশুর মাংস ভাগ করার নিয়ম সুস্পষ্ট ভাবে বলে দিয়েছেন। আব্দুল্লাহ ইবন আব্বাস রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত রাসূল (স)  কোরবানির মাংস এক ভাগ নিজের পরিবারকে খাওয়াতেন ,এক ভাগ গরিব প্রতিবেশীকে দিতেন এবং এক ভাগ দিতেন গরিব মিসকিনদের।

আরো পড়ুনঃ জিলহজ্জ মাসের রোজা কয়টি 

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেন -অতঃপর তোমরা উহা হতে আহার করো এবং দুস্থ ,অভাবগ্রস্তকে আহার করাও। (সূরা হজ্জ আয়াত ২৮) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কোরবানির গোস্ত সম্পর্কে বলেছেন - তোমরা নিজেরাও খাও ও অন্যকে আহার করাও এবং সংরক্ষণ করো। আহার করাকে অভাবগ্রস্তদের দান করা এবং ধনীদের উপহার হিসেবে দেওয়াকে বোঝায়।

তবে কোরআনে আয়াত ও হাদিসে কোরবানির মাংস তিনটি ভাগে ভাগ করার ইঙ্গিত করা হয়েছে। রাসুলুল্লাহ সাঃ হতেও নির্দিষ্ট করে কোন পরিমাণ নির্দিষ্ট করার স্পষ্ট আমল পাওয়া যায় না। রাসুলের সাল্লাম প্রত্যেক কোরবানির পশু হতে কিছু কিছু করে নিয়ে রান্না করতেন বাকিটা পুরোটাই দান ও বিতরণ করে দিতেন।

ভাগে কোরবানির নিয়ম

কোরবানির মাংস মহানবী (সা) যেভাবে বন্টন করতেন - ভাগে কোরবানির নিয়ম এ পর্যায়ে আমরা জানব ভাগে কোরবানির নিয়ম সম্পর্কে। নীজার থেকে না পশু আল্লাহর নামে উৎসর্গ করে জবাই করার মাধ্যমে একজন প্রকৃত মুসলমানদের আল্লাহর কাছে আত্মসমর্পণের শিক্ষা দেয়। কুরবানীর পশুতে প্রত্যেক অংশীদারদের অংশ সমান হতে হবে। কারোই অংশ অন্যদের অংশ থেকে কম হতে পারে না। যদি কম বেশি হয়ে থাকে, এমন হলে কোরবানি শুদ্ধ হবে না।

উট, গরু, মহিষ৭ ভাগে এবং ৭ এর কমে যে কোন সংখ্যা যেমন দুই তিন চার পাঁচ ও ছয় ভাগে কোরবানি করা জায়েজ। (মুসলিম হাদিস১৩১৮)

কোন অংশীদারদের নিয়ত গলদ হবে 

অংশীদারদের মধ্যে কেউ যদি আল্লাহ তাআলার হুকুম পালনের উদ্দেশ্যে কুরবানী না করে শুধু গোস্ত খাওয়ার নিয়তে কোরবানি করে ,তাহলে সে কুরবানী শুদ্ধ হবে না। এইসব লোকদের বা অংশীদারদের অংশে অংশে নিলে বাকি অংশীদারদেরও কোরবানি হবে না। তাই সতর্কতার সহিত অংশীদার নির্বাচন করা উচিত।

হারাম টাকার কোরবানি শুদ্ধ নয় 

কোরবানির মাংস মহানবী (সা) যেভাবে বন্টন করতেন - ভাগে কোরবানির নিয়ম এ প্রসঙ্গে আমরা জানবো হারাম টাকার কোরবানি শুদ্ধ নয় সম্পর্কে। নিম্নে এ সম্পর্কে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ

  • কুরবানী করতে হয় সম্পূর্ণ হালাল টাকা বা সম্পদ থেকে। হারাম টাকা বা সম্পদ দ্বারা কোরবানি করলে কোরবানি শুদ্ধ হয় না। এবং অন্য অংশীদারদেরও কোরবানি শুদ্ধ হবে না।
  • কেউ যদি গরু, মহিষ, উট কুরবানী দেওয়ার একা নিয়তে কিনে আনে। যদি সে ধনী হয় তাহলে তার জন্য এ পশুতে অন্যকে অংশীদার করা জায়েজ আছে। তবে একা কোরবানি করাই উত্তম। আর যদিও বা কাউকে শরিক করে তাহলে তা সাদকা করে দেওয়া উত্তম।
  • আবার যদি কোন ব্যক্তি খুবই গরীব হয় ।তার ওপর কোরবানি দেওয়া ওয়াজিব নয়।তাহলে সে যদি কোরবানির নিয়তে কোন পশু ক্রয় করার মাধ্যমে লোকটি তার পুরাটাই আল্লাহর জন্য নির্ধারণ করে নিয়েছে তাই তার জন্য এই পশুতে অন্য কাউকে শরিক করা জায়েজ নয়। যদিও করে থাকে তাহলে তা সাদকা করে দেওয়া উত্তম। কারণ কোরবানির পশুতে কাউকে শরীক করতে চাইলে পশু ক্রয়ের সময় নিয়ত করে নিতে হবে।

কুরবানীর পশুতে আকিকার অংশ 

  • কোরবানির গরু মহিষ ও উটে আকিকা নিয়তে অংশীদার হওয়া যাবে। এতে কোরবানি ও আগেকার দুটোই শুদ্ধ হবে। এক্ষেত্রে ছেলের জন্য দুই অংশ আর মেয়ের জন্য এক অংশ নিতে হবে।
  • ছোটবেলা আকিকা করা না হলেও বড় হয়ে গেলেও আকিকা করা যাবে। যার আকিকা সে নিজে এবং তার মা-বাবাও আকিকার মাংস খেতে পারবে।
  • হাদিসের স্পষ্ট ভাবে বলা হয়েছে যে, কোরবানির সাথে আকিকা সহীহ।

কোন পশু কোরবানি দেওয়া যাবে

কোরবানির মাংস মহানবী (সা) যেভাবে বন্টন করতেন - ভাগে কোরবানির নিয়ম এ পর্যায়ে আমরা জানবো কোন পশু কোরবানি দেওয়া যাবে সে সম্পর্কে । যেসব ত্রুটি থাকলেও পশু কোরবানি দেওয়া যাবে নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

আরো পড়ুনঃ জিলহজ্জ মাসের ১৩ দিনের গুরুত্বপূর্ণ আমল

যেসব ত্রুটি থাকলেও পশু কোরবানি দেওয়া যাবে সেগুলো হলঃ

  • জন্মগতভাবে শিং নেই।
  • কান আছে, তবে ছোট।
  • লেজ বা কানের কিছু অংশ কাটা।
  • পশুটি পাগল ,তবে ঘাস পানির ঠিকমতো খায়।
  • পশুটি পা ভাঙ্গা, তবে তিন পা দিয়ে সে চলতে পারে।
  • ওষুধ থাইয়ে চর্মরোগ।
  • বেশিরভাগ দাত আছে, তবে কিছু দাঁত নেই।
  • পুরুষাঙ্গ কেটে যাওয়ার কারণে সঙ্গমে অক্ষম।
  • পশু বৃদ্ধ হওয়ার কারণে বাচ্চা জন্মদানে অক্ষম।

উপরোক্ত দোষ ত্রুটি থাকলেও কোরবানি দেওয়া যাবে। তবে আমাদের উচিত ত্রুটিমুক্ত পশু দিয়ে কোরবানি দেওয়া।

কোন পশু কোরবানি দেওয়া যাবে না

পশুর মধ্যে যেসব ত্রুটি থাকলে কোরবানি দেওয়া যাবে না সেগুলো হলঃ

  • শ্রবণশক্তি না থাকা।
  • দৃষ্টিশক্তি না থাকা।
  • কানের অংশ বেশিরভাগ কাটা।
  • জন্মগতভাবে কান না থাকা।
  • অত্যন্ত দুর্বল ও জীর্ণশীর্ণ হওয়া।
  • ন্যাংড়া, যে জবাই করার স্থান পর্যন্ত হেঁটে যেতে পারে না।
  • বেশিরভাগ অংশ লেজকাটা।
  • গুড়া সহ শিং উপড়ে যাওয়া।
  • পাগল হয়ে গেছে যে কারণে ঘাস পানির ঠিকঠাক মতো খেতে পারেনা।

সাধারণত এই সকল পশু কোরবানি দেওয়া যাবে না। এ ধরনের পশু কোরবানি দিলে কোরবানি শুদ্ধ হবে না।

কোরবানির মাংস কতদিন খাওয়া যাবে 

যাদের সমর্থ্য আছে তাদের কোরবানি করা ওয়াজিব। কুরবানী করার পর কোরবানির মাংস কি করবেন বা কতদিন জমা রাখবেন এ সম্পর্কে ইসলামে নির্দেশনায় বা কি। কারণ কোরবানি আল্লাহর নৈকট্য লাভে আত্মত্যাগের একটি ইবাদত। আর এই ইবাদতের মাধ্যমে আল্লাহর প্রিয় বান্দা গুলো আরো বেশি প্রিয় হয়। আর এই ইবাদতের ব্যাপারে প্রিয় নবী ঘোষণা করেন - "সামর্থ্য থাকার পরও যে বা যারা কোরবানি থেকে বিরত থাকবে সে যেন আমার ঈদগাহে না আসে"। আর এই সব কারণগুলোর মাধ্যমেই প্রাপ্তবয়স্ক এবং সুস্থ মস্তিষ্ক সম্পন্ন প্রত্যেক মুসলমান নর নারী জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে কোরবানি করে থাকেন।

যেহেতু কোরবানির গোস্ত সম্পর্কে ইসলামের রয়েছে সুনির্দিষ্ট দিক নির্দেশনা। সেহেতু এ ব্যাপারে অনেকেই রয়েছে অস্পষ্ট ধারণা বা জ্ঞান। যেমন -

  • অনেকেই বলে থাকেন "কোরবানির গোস্ত জমিয়ে রাখা যাবে না"।
  • আবার কেউ বলেন "কোরবানি করে কোরবানির মাংস সাদকা করে দিতে হবে"।
  • আবার অনেকের ধারণা "তিনদিনের বেশি কোরবানির গোশত জমিয়ে রাখা যাবে না"।

তবে কোরবানির গোশত সম্পর্কে উপরোক্ত ধারণা গুলো ভুল। কারণ কোরবানির গোশত নিজেরা খেতে পারবে অন্যকে দিতে পারবে এবং সংরক্ষণ করা যাবে। এ ব্যাপারে হাদিসে রয়েছে - হযরত সালমা ইবনে আকুয়া রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, তোমাদের যে লোক কোরবানি করেছে সে যেন তৃতীয় দিনে এমন অবস্থায় সকাল অতিবাহিত না করে যে তার ঘরে কোরবানির গোস্তের কিছু থেকে যায়।

তার পরের বছর সাহাবীগণ বলেন, হে আল্লাহর রাসূল! আমরা কি তেমন করব যেমন গত বছর করেছিলাম? তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, তোমরা নিজেরাও খাও, অন্যকে খাওয়াও এবং সঞ্চয় করে রাখো। কারণ গত বছর মানুষের মধ্যে ছিল অনটন। তাই আমি চেয়েছিলাম তোমরা তাতে সহযোগিতা করো।

অর্থাৎ উল্লেখিত হাদিসে অন্যকে আহার করা বোঝাতে সমাজের গরীব অসহায়দের দান করা এবং ধনীদের উপহার দেওয়ার কথাই বোঝানো হয়েছে। কিন্তু কত পরিমান মাংস অন্যকে দান বা সাতগা বা হাতিয়া দিতে হবে সে সম্পর্কে কুরআনে কোন স্পষ্ট ধারণা দেওয়া নেই। উলামায়ে কেরাম কোরবানির পশুর মাংস বিতরের একটি মতামত পেশ করেছেন তা হলঃ কোরবানির পশুর মাংস তিন ভাগ করে নিজেদের জন্য একভাগ রাখা; গরিব অসহায়দের মাঝে এক ভাগ দান করা এবং আত্মীয়-স্বজন ও বন্ধু-বান্ধবের মাঝে এক ভাগ বন্টন করা মুস্তাহাব।

কোরবানি না করলে কি গুনাহ হয় 

কোরবানির মাংস মহানবী (সা) যেভাবে বন্টন করতেন - ভাগে কোরবানির নিয়ম এ প্রসঙ্গে আমরা জানবো কোরবানি না করলে কি গুনাহ হয় সে সম্পর্কে। কুরবানী আত্মত্যাগের এবং আল্লাহর নিকটবর্তী হওয়ার জন্য একটি অন্যতম এবাদত। কোরবানির সাধারণত জিলহজ মাসের ১০ থেকে ১২ তারিখ সন্ধ্যা পর্যন্ত পালন করতে হয়। কোরবানি হলো প্রত্যেক মানুষের জন্য ওয়াজিব তবে যার সমর্থ্য আছে তার জন্যই। তাই কোরবানি ওয়াজিব হওয়ার পরও যদি কেউ তা না করে তবে তার জন্য গুনাহ হবে। কোন ব্যক্তির কাছে যদি স্বর্ণ বা রুপা থাকে এবং তার বাজার মূল্য -৫০ হাজার থেকে ৪ লাখ টাকা হয় তাহলে ওই ব্যক্তির জন্য কোরবানি করা আবশ্যক।

আরো পড়ুনঃ সূরা ফাতিহা বাংলা অর্থসহ এর ফজিলত

অর্থাৎ যদি কারো কাছে কুরবানী করার মত টাকা বা সম্পদ থাকে তাহলে তাকে অবশ্যই কোরবানি করতে হবে। আর যদি সম্ভবত থাকা সত্ত্বেও তা না করে তবে ওই ব্যক্তি ব্যাপারে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কঠোর হুঁশিয়ারি ঘোষণা করে হাদিসে বলেছেন - যার সামর্থ্য আছে তবুও সে কোরবানি করলো না (অর্থাৎ কোরবানি করার কোন সংকল্প তার নেই) সে যেন আমাদের ঈদগাহের কাছেও না আসে।( মোশনাদে আহমদ, মোস্তাদরেকের হাকিম)

কোরবানি দেওয়া হল ওয়াজিব আর এই ওয়াজিব যদি কেউ না করে তাহলে তার জন্য বড় গুনাহ হবে। তাই সম্পদশীল ব্যক্তির উচিত কোরবানি করা আর যদি তা না করে বা হুকুম পালন না করে তবে বড় গুনাহগার হবে। তাছাড়াও রাসূলুল্লাহ সাল্লাম কোরবানি করা থেকে বিরত থাকা ব্যক্তিকে উদ্দেশ্য করে  বলেছেন যে, সে যেন ঈদগাহে না আসে। তাই আমাদের উচিত কোরবানি করা মত টাকা থাকলে অবশ্যই কোরবানি করা কারণ এটা ওয়াজিব।

শেষ কথা

প্রিয় বন্ধুরা, কোরবানির মাংস মহানবী (সা) যেভাবে বন্টন করতেন - ভাগে কোরবানির নিয়ম এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আবার যদি খারাপ লেগে থাকে তাও কমেন্ট করে জানাবেন।-ধন্যবাদ


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url