কিডনির পাথর কেন হয় - এর লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়
প্রকৃতিতে যেমন প্রাকৃতিক খনিজ উপাদান নিয়ে পাথর তৈরি হচ্ছে , তেমনি মানবদেহের উপাদান ও খনিজ দিয়ে আমাদের শরীরেও তৈরি হতে পারে পাথর। কিডনি ,অগ্ন্যাশয় ও পিত্তথলি ইত্যাদিতে দেখা দিতে পারে পাথর। তবে আমাদের দেশে প্রায়শয় মূত্রথলী ও কিডনিতে পাথর দেখা যায়। আজ আমরা আলোচনা করব কিডনির পাথর কেন হয় - এর লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায় নিয়ে।
প্রিয় বন্ধুরা এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন,কিডনির পাথর কেন হয় - এর লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে। আসন বন্ধুরা তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেই,কিডনির পাথর কেন হয় - এর লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায় সম্পর্কে।
ভূমিকা
আজ আমরা আলোচনা করব কিডনির পাথর কেন হয় - এর লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায় নিয়ে। সাধারণত মানব দেহের উপাদান ও খনিজ দিয়ে আমাদের শরীরের কয়েকটি অঙ্গে পাথর তৈরি হতে পারে। যেমন পিত্তথলি, কিডনি , অগ্নাশয়েপাথর হতে পারে। তবে কিডনি ও মূত্রথলির পাথর আমাদের দেশে প্রায়ই দেখা যায়।
কিডনির পাথর কেন হয়
কিডনির পাথর কেন হয় - এর লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায় এ প্রসঙ্গে আজ আমরা আলোচনা করব মুত্রতন্ত্র ও কিডনি পাথরের চিকিৎসা নিয়ে।কিডনির পাথর কেন হয় এ নিয়ে অনেক গবেষণা হয়েছে এবং চলছে। তবে সাম্প্রতিক ধারণা হলো, প্রসাবের দ্রব্য অত্যাধিক ঘন হলে পাথরের কনা বা ক্রিস্টাল তৈরি হয়। আর এই অবস্থা সৃষ্টি হয় যদি শরীর থেকে প্রতিনিয়ত পানি কমে যেতে থাকে বা ডিহাইড্রেশন হয়। তাই ধারণা করা হয় পাথর তৈরির প্রধান কারণ ডিহাইড্রেশন।
আরো পড়ুনঃ পুত্র সন্তান লাভের দোয়া ও আমল
তাই ধারণা করা হয় যারা গরম আবহাওয়ায় কাজ করে এবং পর্যাপ্ত পানি পান করেন না। তাদের শরীরে পানির পরিমাণ কমে পাথর তৈরি হতে পারে। তাই মরুভূমিতে মধ্যবাচ্যের গরম দেশগুলোতে এমনকি আমাদের এই উপমহাদেশের কিছু কিছু স্থানে প্রচুর কিডনি পাথরের রোগী পাওয়া যায়। আবার অনেক সময় প্রসাবের বারবার সংক্রমণ থেকেও পাথর হতে পারে।
শরীরে কিছু কিছু উপাদান যেগুলো পাথর তৈরিতে বাধা দেয় সেগুলো প্রসাব কমে গেলেও
কিডনিতে পাথর হবার আশঙ্কা থাকে। যেমন প্রসাবে সাইট্রেট ,ম্যাগনেসিয়াম ও জিংক এর
পরিমাণ কমে গেলে। আবার অনেক সময় শরীরের এমন কিছু উপাদান আছে যেগুলোর পরিমাণ
বেড়ে গেলে কিডনিতে পাথর দেখা দিতে পারে। যেমন প্রসাবে ক্যালসিয়াম ও ইউরিক এসিড
বেশি পরিমাণে নির্গত হওয়া।
কিডনিতে পাথরের লক্ষণ
কিডনিতে পাথরের লক্ষণ হলে যে সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে নিম্নে সে সম্পর্কে
আলোচনা করা হলোঃ
- কিডনিতে পাথর হলে তলপেটে নিচে এবং কুচকিতে ব্যথা হওয়া।
- বমি বমি ভাব হওয়া বা কখনো বমি হওয়া।
- বারবার প্রসাব পাওয়া এবং স্বাভাবিকের তুলনায় প্রসাব বেশি হওয়া।
- প্রস্রাব করতে গেলে ব্যথা হওয়া এবং কালচে লাল ,লাল কিংবা বাদামী রঙের প্রসাব হওয়া।
- দুর্গন্ধ ও ফেনা মত প্রসাব।
মুত্রতন্ত বা কিডনির পাথর সনাক্তকরণে পরীক্ষা
মুত্রতন্ত বা কিডনির পাথর সনাক্তকরণে পরীক্ষা এর মাধ্যমে পাথরের রোগীদের প্রসব পরীক্ষা করলে লোহিত কণিকা পাস- সেল বা পাথরের ক্রিস্টাল পাওয়া যেতে পারে। পেটের এক্সরে করালে প্রায় ৯০% পাথর দেখা যায়। তবে কিডনির খুব ছোট পাথর বা মূত্রনালির পাথর শনাক্ত করতে হলে সিটি স্ক্যান করার প্রয়োজন হয়। তবে আল্ট্রাসনোগ্রাম করলেও কিডনি র ও মুত্রতন্ত পাথর দেখা যায়।
মুত্রতন্ত্র ও কিডনি পাথরের চিকিৎসা
কিডনির পাথর কেন হয় - এর লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায় এ প্রসঙ্গে আজ আমরা আলোচনা করব মুত্রতন্ত্র ও কিডনি পাথরের চিকিৎসা নিয়ে।মুত্রতন্ত্র ও কিডনি পাথর যদি৪ মিলিমিটার বা তার চেয়ে ছোট হয় তাহলে ৯০ শতাংশ সম্ভাবনা থাকে যে সেটি নিজে প্রসাবের সঙ্গে বেরিয়ে যাবে। তবে সেক্ষেত্রে পাথরের রোগীদের বেশি বেশি পানি পান করতে হবে, প্রয়োজনে ব্যথার ঔষধ খাওয়া যাবে। কয়েক সপ্তাহ পর এক্সরে বা সিটি স্ক্যান করে পাথর কতটুকু নেমেছে বা প্রসাবের সঙ্গে বেরিয়ে গেছে তা দেখতে হবে।
আরো পড়ুনঃ হতাশা থেকে মুক্তির ১৫ টি উপায়
কিডনি পাথর যদি দশমিক পাঁচ থেকে দুই সেন্টিমিটার আকারের হয় তাহলে সুবিধামতো জায়গায় থাকলে শরীরে বাইরে থেকে সব ওয়েব দিয়ে পাথর গুড়া করা সম্ভব হয়। তবে পরে ঘোড়াগুলো প্রসবের সঙ্গে বেরিয়ে আসে। কিডনি থেকে ছোট আকারে পাথর অপসারণের কয়েকটি মিনিম্যাল ইনভেসিভ পদ্ধতি হল আর আই আর এস। এই পদ্ধতিতে প্রসবের রাস্তা দিয়ে ফ্লেক্সি বিল ইউরেটরেস্কেপ দিয়ে কিডনিতে পৌঁছে লেজারের মাধ্যমে পাথর গুড়া করে বের করে আনা হয়। তবে কিডনি থেকে পাথর অপারেশনের সবচেয়ে কার্যকরী বা গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি হলো পিসিএন এল।
এই পদ্ধতিতে ছোট্ট একটি ছিদ্রের মাধ্যমে পিঠের দিক দিয়ে যেকোনো আকার ও প্রকৃতির পাথর ভেঙে ১০০% বের করা সম্ভব। উন্নত দেশের মতো আমাদের দেশেও কিডনিতে পাথর এই পদ্ধতিতে বের করা হয়। তাই এখন আর পেট কেটে কিডনির পাথর সার্জারি করা হয় না বললেই চলে। এবং রোগীদের পুরা অজ্ঞান করার প্রয়োজন হয় না এবং দুই দিনেই বাসায় ফিরে যেতে পারেন। এমনকি এই পদ্ধতিতে ব্যথা-বেদনা তেমন একটা হয় না।
কিডনির পাথর প্রতিরোধের উপায়
কিডনির পাথর প্রতিরোধের উপায় হিসেবে খাদ্যাভ্যাসের কিছু পরিবর্তন ও পর্যাপ্ত
পানি পান করতে হবে। অনেক সময় কিডনির পাথর বের করলেও আবার হওয়ার আশঙ্কা থাকে
।তাই যাদের একবার পাথর হয়েছে তাদের জন্য কিছু পরামর্শ মেনে চলতে হবে। নিম্নে সেই
সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ঃ
আরো পড়ুনঃ ক্যান্সার রোগের ১১ টি লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন
- কোনো অসুখের কারণে প্রসব প্রবাহে বাধা অথবা সংক্রমণ থাকলে তার চিকিৎসা করতে হবে।
- খাদ্য অভ্যাসে লবণের পরিমাণ কমাতে হবে।
- এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কথাটি হল পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে যাতে শরীর শুষ্ক না থাকে।
- মেটাবলিক সমস্যার জন্য পাথর হলে তা চিকিৎসা করতে হবে। প্যারা থাইরয়েড গ্রন্থির অতিরিক্ত কার্যকারিতা বা টিউমার থাকলে তার চিকিৎসা করতে হবে।
- অতিরিক্ত পরিমাণে ভিটামিন সি ও ভিটামিন ডি খাওয়া পরিহার করতে হবে। তবে পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন শরীরের জন্য ভালো।
উপসংহার
আজ আমরা এই পোস্টটির মাধ্যমে আলোচনা করেছি,কিডনির পাথর কেন হয় - এর লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায় নিয়ে। আশা করছি এই কিডনির পাথর কেন হয় - এর লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায় এই পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। এই পোস্টটির মাধ্যমে আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন এবং আমাদের পেজটি ফলো করবেন।-ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url