জাতীয় শোক দিবস রচনা ২০২৩
বর্তমান সময়ে স্কুল, কলেজে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে রচনা প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়ে থাকে। অনেকেই ভেবেই পান না যে রচনায় কি লিখবেন। তাদের কথা মাথায় রেখে আজকের, জাতীয় শোক দিবস রচনা ২০২৩ এই আর্টিকেলটি লেখা।
বন্ধুরা আশা করছি জাতীয় শোক দিবস রচনা ২০২৩ এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাজে আসবে। এবং রচনা লেখার সময় জাতীয় শোক দিবস রচনা ২০২৩ এই আর্টিকেলটি থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাবেন। তাই বন্ধু চলেন জেনে নেই,জাতীয় শোক দিবস রচনা ২০২৩ সম্পর্কে।
ভূমিকা
যারা স্কুল কলেজে লেখাপড়া করেন কিম্বা কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করবেন, তাদের জন্য জাতীয় শোক দিবস রচনা ২০২৩ খুবই। কারণ এই শোক দিবসে বিভিন্ন ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয় রচনা প্রতিযোগিতার জন্য।
আরো পড়ুনঃ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কিভাবে কাজ করে
অনেকেই ভেবেই পান না রচনায় জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে কি লিখবেন। তাই অত ভাবনা চিন্তা বাদ দিয়ে আমাদের জাতীয় শোক দিবস রচনা ২০২৩ এই পোস্টটি পড়ে ফেলুন। দেখবেন আপনাদের প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব থাকবে না।
জাতীয় শোক দিবস কি
বাংলাদেশের পালিত একটি জাতীয় দিবস হিসেবে জাতীয় শোক দিবস পরিচিত। প্রত্যেক
বছরের ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক দিবস রাষ্ট্রীয়ভাবে পালন করা হয়। এই দিনে কালো
পতাকা উত্তোলন ও বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত অবস্থায় রাখা হয়। ১৯৭৫ সালের
১৫ই আগস্ট তারিখে বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে
হত্যা করা হয়। তাই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে জাতীয় শোক দিবসের উৎপত্তি।
জাতীয় শোক দিবস এর ইতিহাস
জাতীয় শোক দিবস রচনা ২০২৩ এ প্রসঙ্গে আমরা জানব জাতীয় শোক দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে। ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান ধানমন্ডির ৩২ নম্বর নিজ বাসায় সেনাবাহিনী বিপথগামী সেনা সদস্যের হাতে সপরিবারে নিহত হয়েছিলেন। সেদিন তিনি সহ আরো নিহত হয়েছিলেন তার স্ত্রী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন্নেসা। এবং তাদের পরিবারের সদস্য আত্মীয়-স্বজনসহ নিহত হন আরো ১৬ জন।
সেই ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা করে ক্ষান্ত হয়েছিলেন না। তারা আরো নিহত করেছিলেন ১৬ জনকে। ১৫ই আগস্ট নিহত হন মুজিব পরিবারে যে সকল সদস্যবৃন্দঃ ছেলে শেখ কামাল ,শেখ জামাল ও শিশু পুত্র শেখ রাসেল। পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজী কামাল, ভাই শেখ আবু নাসের, ভগ্নিপতি আব্দুর রব সেনিয়াবাত, ভাগ্নে শেখ ফজলুর হক মনি ও তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বেগম আরজু মনি। বঙ্গবন্ধুকে বাঁচাতে তখন ছুটে আসেন কর্নেল জামাল উদ্দিন কিন্তু তিনি ও নিহত হন। দেশের বাইরে অবস্থান করার কারণে বেঁচে যান শেখ হাসিনা ও তার বড় বোন শেখ রেহানা। তাই প্রত্যেক বছর ১৫ই আগস্ট জাতি গভীর শোক ও শ্রদ্ধায় স্মরণ করেন বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল সদস্যদের এবং পালিত হয় জাতীয় শোক দিবস।
জাতীয় শোক দিবস কত তারিখে পালন করা হয়
বাংলাদেশের যতগুলো হত্যাকাণ্ড হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম এবং জঘন্যতম হত্যাকাণ্ড হলো এটি। কারণ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবার বর্গের উপর নিসংস হত্যাকাণ্ড চালানো হয়। বাংলাদেশের সর্বপ্রথম শোক দিবস পালন করা হয় ১৯৯৬ সালে।
আরো পড়ুনঃ চ্যাট জিপিটি কি উপায়ে কাজ করে
এছাড়া আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর শেখ মুজিবর রহমানের হত্যাকাণ্ড এবং তার
খুনিদের ব্যাপারে তৎপর হয়ে ওঠে। তাই ১৯৯৬ সালে সর্বপ্রথম ১৫ই আগস্ট জাতীয় শোক
দিবস হিসেবে পালন করা হয়।
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের খুনিদের বিচার
দায় মুক্তি এড়ানোর মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত এসব খুনিদের বিচারের
সম্মুখীন হওয়া থেকে রেহাই দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু ১৯৯৬সালে দীর্ঘ ২১ বছর পর
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর বিচারের উদ্যোগ নেয় এবং বিচারক কাজ শেষ
করে ২০১০ সালে। আদালতের রায় অনুসারে পাঁচ জনের ফাঁসি কার্যকর করা হয়। তবে
দন্ডপ্রাপ্ত ৬ খুনি এখনো পলাত থাকলেও তাদের দেশে এনে ফাঁসির ব্যবস্থা করা
হয়েছে।
জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি
জাতীয় শোক দিবস রচনা ২০২৩ এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানবো জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি সম্পর্কে। ১৫ ই আগস্ট এই দিনে সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে বঙ্গবন্ধু ভবন এবং কেন্দ্রীয় কার্যালয় সহ সংগঠনের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন করা হয়ে থাকে। সকাল সাড়ে ছয়টায় ধানমন্ডি সহ বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিক্রিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ। সকাল সাড়ে সাতটায় বনানী কবরস্থানে ১৫ই আগস্ট এর শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন ,ফাতেহা পাঠ, মোনাজাত ও মিলাদ মাহফিল হয়ে থাকে। এবং সকাল দশটায় টঙ্গীপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন, ফাতেহা পাঠ ,মিলাদ ও দোয়া মাহফিল করা হয়। এছাড়াও দুপুরে অসচ্ছল এ টিম ও দুস্থ ব্যক্তিদের মাঝে খাদ্য বিতরণ করা হয়ে থাকে।
২০২৩ সালে জাতীয় শোক দিবস কত তম
জাতীয় শোক দিবস রচনা ২০২৩ এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানবো ২০২৩ সালে জাতীয় শোক দিবস কততম দিবস হিসেবে পালিত হবে। ২০২৩ সালে জাতীয় শোক দিবস পালিত হবে ৪৮ তম দিবস হিসেবে। এবং বিভিন্ন আয়োজনের মাধ্যমে এই দিনটিকে পালন করা হবে।
বঙ্গবন্ধুর জীবনী
শেখ মুজিবুর রহমান ১৭ই মার্চ ১৯২০ সালে জন্মগ্রহণ করেন এবং ১৫ই আগস্ট ১৯৭৫ সালে
মৃত্যুবরণ করেন। তিনি ছিলেন বাংলাদেশের প্রধান রাষ্ট্রপতি ও দক্ষিণ এশিয়ার
অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব সম্পূর্ণ মানুষ। তিনি ভারত বিভাজন
আন্দোলনে স্বয়ংক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং পরবর্তীকালে পূর্ব পাকিস্তানকে স্বাধীন
দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে কেন্দ্রীয়ভাবে নেতৃত্ব প্রদান করে থাকেন। শুরুতে
তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি এরপর বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী এবং পরবর্তীকালে
বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করে ছিলেন।
আরো পড়ুনঃমোবাইলে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির অ্যাপ নোটিফিকেশন বন্ধ করার উপায়
পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক শাসন অর্জনে প্রয়াস এবং পরবর্তীকালে ১৯৭১
খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে পেছনে
কেন্দ্রীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে শেখ মুজিবুর রহমানকে সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ
চরিত্রের কৃতিত্ব রেখেছিলেন। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি হিসেবে বিবেচনা করা
হয়ে থাকে। এবং তিনি জনসাধারণের কাছে শেখ মুজিব বার্ষিক সাহেব নামে এবং তার উপাধি
বঙ্গবন্ধু হিসেবে অধিক পরিচিত।
শেষ কথা
তাহলে বন্ধুরা জাতীয় শোক দিবস রচনা ২০২৩ এই প্রশ্নের মাধ্যমে জাতীয় শোক দিবস রচনা ২০২৩ সম্পর্কে আশা করছি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এবং আপনারা এর মাধ্যমে উপকৃত হতে পারবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url