ডেঙ্গু প্রতিরোধের ১০ টি সহজ উপায়
আমাদের দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বিস্তার ঘটেছে। মূলত ডেঙ্গু জ্বর হয় মশার কামড় এবং ডেঙ্গু ভাইরাস সংক্রমনে। আর এই ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী এডিস মশা কোন মানুষকে কামড়ালে ৪ থেকে ৬ দিনের মধ্যে সেই ব্যক্তি ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে পড়ে। তাই আমাদের ডেঙ্গু প্রতিরোধের ১০ টি সহজ উপায় সম্পর্কে জানার প্রয়োজন । ডেঙ্গু প্রতিরোধের ১০ টি সহজ উপায় জানা থাকলে আমরা সহজেই ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে পারি।
মশা নিধনের ব্যবস্থা
ডেঙ্গু মশা থেকে রেহাই পেতে মশা নিধনের ব্যবস্থা করতে হবে। মশা নিধনের জন্য স্প্রে ,কয়েল, ব্যাট ইত্যাদি ব্যবহার করতে হবে।
আরো পড়ুনঃ ক্যান্সার রোগের ১১ টি লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন
শিশুদের সুরক্ষার জন্য মশার ব্যান্ড, মশার প্যাচ, মশা প্রতিরোধের স্কিন কেয়ার
পন্য ব্যবহার করতে হবে।
মশার বাসস্থান কমাতে হবে
ডেঙ্গু জীবাণুবাহী মশা বংশ বিস্তার করে এমন সকল জায়গা ভেঙ্গে বা পরিষ্কার করে
দিতে হবে ।যেমন ফুলের গাছের টপ, ডাবের খোসা ,পাত্রে জমা পানি, অবে ব্যবহৃত
প্লাস্টিকের ঢাকনা, পোষা পানি খাবারের পাত্র ইত্যাদি।
ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা
ডেঙ্গু প্রতিরোধের ১০ টি সহজ উপায় এ প্রসঙ্গে আমরা জানবো ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করা সম্পর্কে।মশার কামড় থেকে রেহাই পেতে হলে আপনাকে নিয়মিত দিনে ও রাতে মশারি নিচে ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। শিশুদের জন্য অবশ্যই দুই স্তর বিশিষ্ট মশারি ব্যবহার করতে হবে।
প্রতিরক্ষামূলক পোশাক
ডেঙ্গু মশার কামড় থেকে বাঁচতে অবশ্যই লম্বা হাতা ওয়ালা পোশাক, মোজা, জুতা, এবং
ফুল প্যান্ট পরিধান করুন। যে সকল স্থানে মশা বেশি আছে সে সকল স্থানে এ পোশাকগুলো
প্রতিরক্ষতা মূলক কাজ করবে।
সময় মত বাড়ির দরজা জানালা বন্ধ করা
প্রয়োজন অনুসারে বা সময়মতো বাড়ির দরজা জানালা সব সময় বন্ধ রাখতে হবে যেন ঘরে
মশা প্রবেশ করতে না পারে। এডিস মশাগুলো মূলত সকাল এবং সন্ধ্যায় কামড়ায়। তাই এই
সময় আপনারা সতর্ক থেকে জানালা দরজা বন্ধ রাখবেন।
কোথাও পানি জমতে দেওয়া যাবে না
ডেঙ্গু জীবাণু বাহী মশা মূলত বংশবিস্তার করে থাকে জমানো পানিতে। তাই কোথাও জমানো
পানি থাকলে তা ফেলে দিতে হবে বা পরিস্কার করতে করতে হবে।এবং দেখতে হবে নিয়মিত,
বাড়ির আশেপাশে কোথাও পানি জমে আছে কিনা।খেয়াল রাখবেন ট্যাংকের পানি ব্যবহার
করার সময় ভালোভাবে ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে।
ঘর সব সময় আলো বাতাস পূর্ণ রাখতে হবে
এডিস বা ডেঙ্গু মশাগুলোকে সাধারণত অন্ধকার এবং স্যাতঁস্যাতে স্থানে দেখা যায়। তাই সব সময় ঘরে যেন আলো বাতাস থাকে সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে ।তাহলে মশার হাত থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
পরিবেশ ব্যবস্থাপনা
ডেঙ্গু প্রতিরোধের ১০ টি সহজ উপায় এ প্রসঙ্গে আমরা জানবো পরিবেশ ব্যবস্থাপনা সম্পর্কে। পরিবেশ ব্যবস্থাপনা বলতে বাড়ির চারপাশের অপ্রয়োজনীয় কন্টেনার পাত্র নষ্ট করে ফেলতে হবে। এবং এমন ভাবে সরিয়ে রাখাতে হবে যাতে পানি না জমতে পারে।
আরো পড়ুনঃ কানের ইনফেকশন সারানোর ঘরোয়া উপায়
এডিস মশা জমানো পানিতে ডিম পাড়ে। তাই খোলা পানির ট্যাংকে এডিস মশা ডিম পাড়তে পারে সেজন্য ট্যাংকের ঢাকনা দিয়ে রাখতে হবে।
বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
বাড়ি বা গৃহস্থালি কাজের ব্যবহৃত অপচনশীল বর্জ্য সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করতে হবে।
কারণ লার্ভার আবাসস্থল দমিয়ে রাখতে সংরক্ষণ, সংগ্রহ ও ধ্বংস নীতিটি খুবই
কার্যকর। এ কারণে বাড়ির আশেপাশের রাস্তাঘাট নিয়মিত পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখা
আবশ্যক। এছাড়াও বাড়ির আশেপাশের নালা নর্দমা পরিষ্কার রাখতে হবে যাতে সেখানে
পানি জমতে না পারে।
ব্যক্তিগত প্রতিরোধ
ডেঙ্গু প্রতিরোধের ১০ টি সহজ উপায় এ পর্যায়ে আমরা জানবো ব্যক্তিগত প্রতিরোধ সম্পর্কে। আমরা নিজেরা যদি ব্যক্তিগত প্রতিরোধ করতে পারি তবে ডেঙ্গু থেকে রেহাই পেতে পারি। ডেঙ্গু প্রতিরোধে কিছু প্রতিরোধ নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
আরো পড়ুনঃ কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায়
- ডেঙ্গু প্রতিরোধে দরজা ও জানালায় মশা প্রতিরোধে নেট লাগাতে হবে।
- ঘুমানোর সময় মশারি ব্যবহার করতে হবে যাতে মশা কামড়াতে না পারে।
- ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মশারির নিচে রাখতে হবে যাতে অন্যদের জন্য ঝুঁকি না বাড়ে।
- ফুলহাতা ও হালকা রংয়ের কাপড় পরিধান করা।
- বাইরে বেরুনোর সময় বা বাড়িতে শরীরে অনাবৃত অংশে মশা প্রতিরোধী ক্রিম লাগানো উচিত।
শেষ কথা
কি বন্ধুরা এই প্রশ্নের মাধ্যমে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ১০ টি সহজ উপায় সম্পর্কে জানতে
পারলেন তো। আশা করছি এ পোস্টটি আপনাদের উপকারে আসবে। এমন আরো অনেক সুন্দর সুন্দর
পোস্ট পেতে আমাদের পেজটি ফলো করুন।- ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url