গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
কলাতে রয়েছে প্রচুর পুষ্টিগুণ। কলা হজম শক্তি বাড়ানোর পাশাপাশি একটি কোষ্ঠকাঠিন্যসহ ইত্যাদি রোগ সারাতে সক্ষম। এবং গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা রয়েছে অধিক। তাই আজ আমরা আলোচনা করব,গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন। বন্ধুরা আপনারা কি গর্ভ অবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানেন।
আপনারা যদি তা না জেনে থাকেন তাহলে আজকের,গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন এ পোস্টটি আপনাদের জন্য। আশা করছি গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন এই পোষ্টির মাধ্যমে গর্ভবতী মায়েরা উপকৃত হতে পারবেন। আসুন বন্ধুরা তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেই,গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন এই পোস্টটি সম্পর্কে।ভূমিকা
আজ আমরা আলোচনা করব গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন সে সম্পর্কে। আশা করছি বন্ধুরা গর্ভবতী মায়েদের এই পোস্টটি ভালো লাগবে। এবং যারা গর্ভবতী হচ্ছেন বা হতে চাচ্ছেন তাদের জন্য এই পোস্টটি বেশ উপকারী।
আরো পড়ুনঃ পুত্র সন্তান লাভের দোয়া ও আমল
তাই বন্ধুরা আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জেনে নেই,গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন। নিম্নে এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো।
কলা গর্ভাবস্থায় বমি বমি ভাব এবং সকালের অসুস্থতা দূর করে
কলাতে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন বি ৬ এবং অ্যান্টি অক্সিজেন সমৃদ্ধ উৎস। ভিটামিন বি
৬ বমি বমি ভাব এবং সকালের অসুস্থতা নিরাময় করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে
থাকে। তাই গর্ভ অবস্থায় প্রথম তিন মাস কলা খাওয়া মহিলাদের জন্য খুবই উপকারী।
কলা দ্রুত এনার্জি এনে দেয়
কলাতে রয়েছে উচ্চমাত্রায় শর্করা এবং ফাইবার। যা দ্রুত এনার্জি জোগাতে সহায়তা
করে থাকে। গর্ভাবস্থায় শেষের দিকে অর্থাৎ শেষ তিন মাস আপনার শক্তির স্তর সঠিক
থাকা গুরুত্বপূর্ণ। তাই এই সময় যদি আপনি কলা খান। তাহলে আপনার শক্তি বাড়িয়ে
তুলতে সাহায্য করবে। তাই আপনি সবসময় এই ফলটি হাতের কাছে রাখুন। কারণ এটি আপনার
ক্লান্তি দূর করার সাথে সাথে এনার্জীও এনে দেবে।
এডেমা কমাতে সাহায্য করে
অনেক গর্ভবতী মায়েরা আছে যারা তাদের গর্ব অবস্থায় দ্বিতীয় তৃতীয় মাসগুলোতে
এডিমা বা জলপূর্ণ হওয়ার অভিজ্ঞতা পান। অ্যাডিমার কারণে গোড়ালি পা এবং অন্যান্য
জয়েন্ট গুলিতে ফোলা ভাব হতে পারে। আর আপনি যদি এ ধরনের সমস্যা পড়েন তাহলে নোনতা
খাবার এড়িয়ে চলুন। এবং প্রচুর পরিমাণে কলা খান এটি ফলাফল কমাতে সাহায্য
করবে।
শিশুর মধ্যে জন্মগত ত্রুটির সমস্যা হ্রাস করে
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন এ পোষ্টির মাধ্যমে জানবো শিশুর মধ্যে জন্মগত ত্রুটির সমস্যা হ্রাস করে সে সম্পর্কে।কলায় রয়েছে ফোলেটের একটি উৎস যা শিশুর মস্তিষ্ক এবং মেরুদন্ডের বিকাশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। গর্ভ অবস্থায় কলা খাওয়ার ফলে ফোলেটের মাত্রা উন্নত হয়। যার ফলে ফোলেটের ঘাটটির সম্ভাবনা হ্রাস পায়। এবং শিশুর জন্মগতত্রুটি হ্রাস পায়।
শিশুর স্নায়ুতন্ত্র বিকাশের সহায়তা করে
কলাতে রয়েছে ভিটামিন বি ৬ এর সমৃদ্ধ । যা শিশুর কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র
বিকাশের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। তাই গর্ভাবস্থায় প্রথম তিন মাস নিয়মিত কলা
খাওয়া শিশুর মস্তিষ্ক বিকাশের জন্য খুবই উপকারী।
কলা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধে সহায়তা করে
রক্তস্বল্পতা এমন একটি অবস্থা যেখানে রক্তে হিমোগ্লিবিনের ঘাটতি থাকে যা দেহের
লাল রক্ত কোষের স্তরকে কমিয়ে আনতে পারে। আর এই কোষগুলো সমস্ত শরীর জুড়ে
অক্সিজেন বহনের জন্য দায়ী। রক্তস্বল্পতার কারণে জন্য দায়ী হলো আয়রনের ঘাটতি।
এর ফলে তৈরি হতে পারে আপনার ফ্যাকাসে ত্বক এবংসর্বদা ক্লান্তিবোধ করতে পারেন। তবে
গর্ভাবস্থায় যদি আপনি কলা খান তবে আয়রনের ঘাটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। তাই আপনি
রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়া প্রতিরোধের জন্য নিয়মিত কলা খেতে পারেন।
কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয়
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানবো কলা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় সে সম্পর্কে।কলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার। যা অন্তের গতিকে উত্তেজিত করতে এবং গ্যাসের ফলে হওয়া পেটে ফোলা ভাব কমাতে সহায়তা করে থাকে।
আরো পড়ুনঃগর্ভ অবস্থায় যে সকল খাবার খাবেন না
একটি মাঝারি আকারে কলাতে রয়েছে ছয় গ্রাম ফাইবার যা গর্ভ অবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্য
দূর করতে সাহায্য করে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করার পাশাপাশি কলা অন্তের গতি ও
বাড়ায়।
হাড়ের বিকাশে সহায়তা করে
কলায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যার শিশু এবং মা উভয়ের হাড়ের বিকাশের
জন্য খুবই প্রয়োজনীয়ও। তাই আপনি গর্ব অবস্থায় নিয়মিত কলা খেতে পারেন।
অম্লতা এবং অম্ল প্রতিরোধে সহায়তা করে
কলা পেট এবং পেটের ফোলা ভাব অর্থাৎগ্যাস্ট্রিক, এসিড থেকে রক্ষা করতে সহায়তা
করে। তাই গর্ব অবস্থায় এসিডিটি এবং অম্লতা দূর করতে কলা খেতে পারেন।
রক্তচাপ বজায় রাখতে সহায়তা করে
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো
কলা রক্তচাপ বজায় রাখতে সহায়ত করে তা সম্পর্কে।কলা একটি পটাশিয়াম সমৃদ্ধ ফল।
২২৫ গ্রাম ওজনের এক কাপ চটকানো কলাতে ৮০০ মিলিগ্রামেরও বেশি পটাশিয়াম থাকে। এটি
একটি প্রয়োজনীয় খনি তার শরীরের রক্তচাপের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
তাই গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কলা খাওয়া রক্ত চাপের স্তরের ওটা নামা রোদে বিশেষ
ভূমিকা পালন করতে পারে।
স্বাস্থ্যকর ত্বক ধরে রাখতে সহায়তা করে
কলাতে রয়েছে ভিটামিন সি। আর এই ভিটামিন সি যাকে এসকরোবিক এসিড ও বলা হয় ।এটি
দেহের আয়রন শোষণের জন্য বিশেষ প্রয়োজনীয়। কলা হাড়ের বৃদ্ধি, টিসু গুলি মেরামত
এবং স্বাস্থ্যকর ত্বক বজায় রাখতে সহায়তা করে থাকে।কলাতে থাকে ভিটামিন সি এবং
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সংক্রমনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। তাই গর্ভ
অবস্থায় মা ও শিশু দুজনের জন্যই কলা খুবই উপকারী।
ক্ষুধা বাড়ায়
কলা ক্ষুধা বাড়াতে সাহায্য করে। গর্ভবতী মহিলা যাদের ক্ষুধা কম হয়ে যায় তাদের
জন্য কলা খাওয়া উচিত। কারণ কলা ক্ষুধা বাড়ায় এবং হজমে সহায়তা করে।
গর্ভাবস্থায় কলা কি কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় কলা কি কোন ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে সে সম্পর্কে। না বন্ধুরা কলা গর্ভাবস্থায় একদম নিরাপদ। কারণ কলাতে প্রচুর পুষ্টি রয়েছে জামা ও শিশু উভয়ের জন্য বেশ উপকারী। তবে কলা এ অবস্থায় পরিমাণমতো খাওয়া উচিত। শর্করা যুক্ত ফল খা হওয়ায় এটি স্বাস্থ্যবিধি রক্ষা না করে খেলে দাঁতের ক্ষয় হতে পারে।
আবার গর্ব অবস্থায় ডায়াবেটিকস আক্রান্ত রোগীরা খুব বেশি কলা খাবেন না। কারণ এতে
করে চিনির মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। তবে গর্ব অবস্থায় ডায়াবেটিস হলে কলা খাওয়া
সম্পর্কে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন।
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন
গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন এই কাটিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানবো গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার সময় সাবধানতা অবলম্বন করুন এ প্রসঙ্গে। গর্ভ অবস্থায় টাটকা এবং পরিষ্কার কলা খাওয়া উচিত। অধিক পাকা কলা, কালো হয়ে যাওয়া কলা খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
আরো পড়ুনঃগর্ভবতী হওয়ার ১০ টি লক্ষণ
এবং আপনার খাদ্য তালিকায় কলা অন্তর্ভুক্ত করার সময় আপনার ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী করুন। এই সময়ে আপনি যদি ডায়াবেটিস বা অ্যালার্জির জনিত কোন সমস্যার সম্মুখীন হন সে কারণে।
শেষ কথা
বন্ধুরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আলোচনা করেছ,গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন সে সম্পর্কে। আশা করছি বন্ধুরা গর্ভবতী মায়েদের এই আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকবে। এবং গর্ভবতী মায়েদের অনেক উপকারেও আসবে। গর্ভবতী মায়েদের বলছি আপনারা যদি আমার এই পোষ্টের মাধ্যমে উপকৃত হয়ে থাকেন ।তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।-ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url