ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ - ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা


ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে অনেক রোগী ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। তবে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা উচিত। কারণ ডেঙ্গু জ্বর জনিত কোন মারাত্মক জটিলতা যাতে দেখা না দেয় তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। প্রিয় পাঠক আজ আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে আলোচনা করব ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ - ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা নিয়ে।

অনেকেই আছেন যারা ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ - ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে তেমন একটা জানেন না। আমরা যারা জানিনা ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ - ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে আসুন তারা এই প্রশ্নের মাধ্যমে জেনে নেই।

ভূমিকা

বর্তমান সময়ে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ পেরিয়ে চলেছে। তাই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ - ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে আমাদের জানা প্রয়োজন। আমরা যদি ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ - ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে পারি তাহলে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ থেকে বা ডেঙ্গু আক্রান্ত থেকে বেরিয়ে আসতে পারবো।

আরো পড়ুনঃডেঙ্গু মশা কামড়ালে করণীয়

তাহলে আসন বন্ধুরা আর দেরি না করে জেনে নেই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ - ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে।

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ 

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ - ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা প্রসঙ্গে আমরা জানবো সাধারণ ডেঙ্গু জ্বরের  লক্ষণ ও উপসর্গ ও মারাত্মক ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে । তাহলে আসুন বন্ধুরা আর দেরি না করে জেনে নেই ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ সম্পর্কে।

সাধারণ ডেঙ্গু জ্বর

সাধারণ ডেঙ্গু জ্বরে মূলত ফলুর মত লক্ষণ সৃষ্টি হয়। এটি দুই থেকে সাত দিনের মতো স্থায়ী হয়। আক্রান্ত মশার কামড়ে ডেঙ্গু জ্বর সাধারণত ৪ থেকে দশ দিন পরে হয়। ডেঙ্গু জ্বরে মূলত উচ্চমাত্রায় জ্বর সাথে দুটি উপসর্গ দেখা দিয়ে থাকে।

উপসর্গ

  • মাথা ব্যথা।
  • চোখের পিছনে ব্যথা।
  • উচ্চ মাত্রায় জ্বর(৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস বা ১০৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট)।
  • বমি বমি ভাব।
  • জয়েন্ট ,হাড় বা বেশি ব্যথা।
  • ফুসকুড়ি।
  • গ্রন্থি স্ফীত হয়ে যাওয়া।

মারাত্মক ডেঙ্গু জ্বর

ডেঙ্গু জ্বরে মারাত্মক রূপ নেওয়ার সময় অসুস্থতার প্রথম লক্ষণে প্রায় ৩ থেকে ৭ দিন পরে এই সংকট পূর্ণ পর্যায়টি ঘটে। এই সময় তাপমাত্রা কিছুটা হ্রাস পেতে পারে এর অর্থ এই নয় যে ব্যক্তি সুস্থ হয়ে উঠেছে। এই লক্ষণগুলিতে বিশেষ মনোযোগ দেওয়ার প্রয়োজন কারণ এটি মারাত্মক ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ হতে পারে।

উপসর্গ

  • অবিরাম বমি।
  • রক্ত বমি।
  • সাংঘাতিক পেটে ব্যথা।
  • মাড়িতে রক্তপাত।
  • দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস।
  • অস্থিরতা।
  • ক্লান্তি। ইত্যাদি দেখা দিতে পারে।

ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ - ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা এ প্রসঙ্গে আমরা জানবো ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে। অনেক সময় ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত অধিকাংশ রোগীরাই ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যান। এতে কোন চিকিৎসার প্রয়োজনই পড়ে না। তবে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলা উচিত। 

আরো পড়ুনঃ ডেঙ্গু মশা প্রতিরোধের উপায়

পাশাপাশি ডেঙ্গুজনিত কোন মারাত্মক জটিলতা যাতে দেখা না দেয় তার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। ডেঙ্গু জ্বর আক্রান্ত হলে বিভিন্ন ধরনের লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দেওয়া হয়। এছাড়া চিকিৎসা ছাড়াও আরো কিছু বিষয় মেনে চলতে হবে। যেমনঃ

পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেওয়া

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে সম্পূর্ণ সুস্থ না হওয়া পর্যন্ত বিশ্রাম নিতে হবে।

সুষম খাদ্য খাওয়া

এই সময়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে ডাবের পানি ,খাবার পানি এবং অন্যান্য তরল জাতীয় খাবার গ্রহণ করতে হবে।

প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধ

ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে জ্বর কমানোর জন্য শুধু প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধি যথেষ্ট। তবে এর পাশাপাশি ব্যাথা নাশক ঔষধ হিসেবে এসপিরিন, ডাইক্লোফেনাক, ইন্ডমেথাসিন কোনক্রমে খাওয়ানো যাবে না। কারণ এতে করে রক্তক্ষরণের ঝুঁকি থাকে। ডাইক্লোফেনাক, ইন্ডমেথাসিন আক্রান্ত ব্যক্তির জ্বর নামিয়ে এনে ঘাম জড়িয়ে শোকে নিয়ে যেতে পারে।

আরো পড়ুনঃ তিতির পালনের সুবিধা ও অসুবিধা

এই ঔষধ গুলো কিডনির ক্ষতির পাশাপাশি খাদ্যনালীতে রক্তক্ষরণ ত্বরান্বিত করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আনে। এই সময় জ্বর বা ব্যথা কমানোর জন্য সাপোজিটরি নিলে শুধুমাত্র প্যারাসিটামল নেওয়া যাবে।

আইভি স্যালাইন

জ্বরে আক্রান্ত অবস্থায় রোগী খেতে না পারলে রোগী যেন দুর্বল না হয়ে পড়ে সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী শিরা পথে স্যালাইন নেওয়া যেতে পারে।

গা মোছানো

জ্বর আক্রান্ত রোগীকে কিছুক্ষণ পরপর ভেজা কাপড় বা তোয়ালে দিয়ে গা মোছাতে হবে।

উপসংহার

ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ - ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে জানা থাকলে ডেঙ্গু জ্বর থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া যায়। তাই আমাদের সকলেরই উচিত ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ ও উপসর্গ - ডেঙ্গু জ্বরের চিকিৎসা সম্পর্কে জানা।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url