আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন
প্রতিদিন একটি আপেল খেলে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। এই কথাটা কত টুকু সত্য তা জানতে হলে আপেল খাওয়ার উপকারি দিক গুলো জানা প্রয়োজন। সত্য কথা হল এই যে কলার মত আপেলে রয়েছে প্রচুর উপকারী গুনাগুন যা আসলেই শরীরের জন্য ভালো। তাই তো আজ আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি,আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন এই আর্টিকেলটি।
প্রিয় বন্ধুরা আপনারা আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন এই পোস্টটি সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে অবশ্যই উপকৃত হবেন। তাহলে আসন বন্ধুরা আর দেরি না করে জেনে নেই ,আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন।ভূমিকা
আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আপেলে রয়েছে প্রচুর উপকারী উপাদান । যা একজন মানুষের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আপেল ওজন নিয়ন্ত্রণ করে, হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমায়, ইত্যাদি উপকারিতা রয়েছে আপেলের মধ্যে।
আরো পড়ুনঃ লেবু খাওয়ার উপকারিতা
আমরা নিম্নে আপেলের ১৯টি উপকারিতা সম্পর্কে আলোচনা করব। এবং আপেলের অপকারিতা সম্পর্কেও আলোচনা করব।তাহলে আসুন বন্ধুরা আমরা জেনে নেই,আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন।
আপেলের উপকারিতা
আপেলের উপকারিতার কথা বলে শেষ করা যাবে না। কারণ আপেলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে
উপকারী গুনাগুন। তাই আমরা নিম্নে আপেলের ১৯ টি উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করেছি। আসন বন্ধুরা আমরা নিম্নে সে সম্পর্কে জেনে নিন।
আপেল ওজন নিয়ন্ত্রণ করে
আপেলে রয়েছে এমন কিছু উপাদান যা ওজন কমাতে সাহায্য করে। আপেলে আছেপ্রচুর পরিমাণে
পানি আর ভোজ্য আস যা পেট ভরা রাখে অনেক সময় ধরে। আপনি যদি খাবার আগে কয়েকটুকু
আপেল খান তাহলে অল্পতেই পেট ভরে যাবে। এতে করে আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
হৃদরোগের ঝুকি কমায়
আপেল হৃদরোগের রোগের ঝুঁকি কমানোর পাশাপাশি এটি স্টোক এর ঝুঁকি কমায় প্রায় ২০
শতাংশ। আবার কোলেস্টরলের কমাতেও আপেলের ভূমিকা রয়েছে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানবো
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে সে সম্পর্কে।আপেল রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি
করে। আপেলে রয়েছে প্রচুর গুনাগুন যা মানুষের শরীরকে সুস্থ রাখার পাশাপাশি তাকে
কর্মক্ষম করে তুলে। এ ছাড়া আপেল যদি খোসা সহ খান তবে উপকার পাবেন অনেক।
স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়
আপেলের মধ্যে থাকা পুষ্টি উপাদান স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটায়। এমনকি নিয়মিত আপেল
খেলে মস্তিষ্কের নিউরন গুলো আরো বেশি সময় কর্মক্ষম থাকে।
ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়
আপেল হতে পারে আপনার ক্যান্সার থেকে দূরে থাকার প্রধান চাবিকাঠি, বিশেষ করে যারা
বেশি ধূমপান করেন কিম্বা আগে করতেন। বিশেষজ্ঞরা ফুসফুস ক্যান্সার বিষয়ক একাধিক
গবেষণায় এমনটাই দাবি করেন।
ডায়াবেটিসের ঝুকি কমায়
আপনি প্রতি সপ্তাহে যদি কিছু করে আপেল খান তাহলে আপনি ডায়াবেটিসের কবল থেকে
রক্ষা পাবেন। তবে প্রতিদিন যদি একটি করে খেতে পারেন এতে আরো ভালো। বিশেষজ্ঞরা
দাবি করেন এতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে ২৮ শতাংশ।
অন্তের সুস্বাস্থ্য
অন্তের স্বাস্থ্য নিয়ে মানুষের চিন্তা থাকে খুব কম। কিন্তু সারাদিন আপনার বা
প্রতিদিন আপনার মন মানসিকতা কেমন থাকবে তা নির্ভর করে আপনার অন্তের স্বাস্থ্যের
উপরে। পেট ফোলা কোষ্ঠকাঠিন্য হুটার পেট ব্যথা ইত্যাদি ব্যাখ্যা হয়তো অন্তেরি
সমস্যা। তাই নিয়মিত আপিল খান এ সমস্যা থেকে রেহাই পাবেন।
হাঁপানের তীব্রতা কমাতে সাহায্য করে
নিয়মিত আপেল খেলে হাঁপানির তীব্রতা কমতে থাকে। ৬৮ হাজার নারীকে নিয়ে একটি
গবেষণা করে দেখা গেছে, যারা নিয়মিত একটি আপেল খান তাদের হাঁপানি তীব্রতা কম ।আর
যারা একটি আপেলের ১৫ শতাংশ খেয়েছেন তাদের রোগের তীব্রতা কমেছে প্রায় ১০
শতাংশ।
এলার্জি থেকে সুরক্ষা দেয়
আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন এই পোষ্টটির মাধ্যমে আমরা জানবো আপেল এলার্জি থেকে সুরক্ষা দেয় সে সম্পর্কে।আপেলকে প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় রাখার আগে আপনাকে জানতে হবে এই ফলটিতে আপনার অ্যালার্জি আছে কিনা।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
আপেল খাওয়ার পর কোথাও ফুলে উঠলে চুলকানি জিভ চুলকানো ইত্যাদি দেখা দিলে বুঝতে
হবে আপনার এলার্জি আছে। সে ক্ষেত্রে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
দাঁত সাদা করে ও মজবুত করে
আপেল দাঁতের হলদেটে ভাব দূর করে দাঁত কে করে ঝকঝকে সাদা। আপেল জীবনের সময় তা
দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকা খাদ্য কণা এবং দাঁতের উপরের হলদেটে আস্তরণ পরিষ্কার করে
এবং দাঁতকে করে মজবুত।
কোলেস্টরেল কমায়
আপেলের মধ্যে রয়েছে ভাইবার যা অন্ধের ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে। এবং কোলেস্টোরলের
মাত্রা ঠিক রাখে। এবং আমাদের শরীরে থাকা বিভিন্ন ধরনের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা
কমাতে সাহায্য করে।
পিত্তথলির পাথর সারাতে সাহায্য করে
পিত্তথলির মধ্যে অধিক পরিমাণে কোলেস্টরেল জমে গেলে পাথর তৈরি হয়। আর এই সমস্যা
এড়াতে ডাক্তার সবসময় ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খেতে পরামর্শ দেন। আবার গলস্টোন
সারাতে ওজন এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়। আর এগুলোর কাজ
ঠিকঠাক মত করতে আপেলের কোন বিকল্প নেই।
ওজন কমাতে সাহায্য করে
আপেল আপনার অতিরিক্ত ওজন কমাতে সাহায্য করে। ফলটিতে উপস্থিত ভাইবার আপনার পেট
ভরাতে সাহায্য করে এবং কোন ক্যালরি ছাড়াই। এর ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
লিভার সুস্থ রাখে
আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন এ প্রসঙ্গে আমরা জানবো লিভার সুস্থ
রাখে আপেল।আমরা যে সকল খাদ্য গ্রহণ করি তার মধ্যে কিছু ক্ষতিকারক পদার্থ আছে। যা
আমাদের লিভার কে অসুস্থ করে তোলে। এবং লিভারকে সুস্থ রাখার বিষয়টি খুবই চিন্তা
দায়ক হয়ে পড়ে। তবে লিভারকে ১০০% সুস্থ রাখতে পারে আপেল। কারণ এটি খুব সহজেই
লিভারে জমে থাকা ক্ষতিকর উপাদান গুলোকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে।
স্টকের ঝুকি কমায়
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে যারা নিয়মিত আপেল খান তাদের স্ট্রোকের ঝুঁকি অনেক
কম। প্রতিবছরই বহু মাছ বয়সী ও প্রাপ্ত বয়সে্র মানুষ স্টকে মারা যান। স্ট্রোকের
মতো এই জটিল সমস্যাকে এড়াতে ফল ও ফাইবার সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই জরুরী। আর তাই
আপেলে রয়েছে এই গোনাগুন।
হজম শক্তি বাড়ায়
আপেলে থাকা ফাইভার যা প্রাকৃতিকভাবে আপনার অভোজন শক্তি বাড়াতে সহায়তা করে থাকে।
নিয়মিত আপেল খেলে হজম শক্তি বৃদ্ধি পায় এবং পচন প্রক্রিয়া ভালোমতো কাজ করে
থাকে।
আপেল পেশীর ক্ষয় রোধ করে
আপেলের খোসাতে রয়েছে কিছু গুণাবণ এবং এক ধরনের উপকারী এসিড। যা পেশির ক্ষয় রোধে
করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
দৃষ্টিশক্তি বাড়ায়
চোখের যত্নে ও দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে আপেলের উপকারিতা অপরিসীম। আপেলের মধ্যে থাকা
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ফাইটো নিউট্রিয়েন্টস চোখের বিভিন্ন রোগের হাত থেকে রক্ষা
করে।
ত্বক সুন্দর রাখে
ত্বকের সুরক্ষায় আপেলের উপকারিতা মানুষের কাছে অনেক আগে থেকেই পরিচিত । আপেলের
এন্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকের তরুণ ও সতেজ রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। এটি ত্বকের ভেতর
থেকে উজ্জ্বলতা বাড়িয়ে তুলতে সাহায্য করে।
আপেলের অপকারিতা
আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানবো আপেলের অপকারিতা সম্পর্কে। আসুন নিম্নে আমরা সে সম্পর্কে জেনে নেইঃ
আরো পড়ুনঃ কাঁঠালের বীজ খাওয়ার উপকারিতা
- আপেল খাওয়ার উপযুক্ত সময় হল সকালবেলা। এর ফলে হজম শ জনিত সমস্যা দূর হয়ে থাকে। অনেকেই রাতে আপেল খেয়ে থাকেন। রাতে আপেল খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত ।কারণ আপেলে থাকা জৈব এসিড পাকস্থলীর এসিডকে স্বয়ংক্রিয় করে তোলে। ফলে পেটে গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তাই রাত এবং সন্ধ্যায় আপেল খেলে গ্যাস এবং পেট ব্যাথা হতে পারে।
- কারো যদি ফুটএলার্জি থাকে তাহলে অতিরিক্ত আপেল খেলে বদহজম কিংবা বমি ভাব হতে পারে।
- আপেল পুষ্টিকর খাবার হওয়ায় গর্ভবতী মা ও স্তন্যপান করানো মহিলাদের ক্ষেত্রে আপেল খাওয়ার আগে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
- আপেলে এসিড বেশি থাকে ।এই এসিড গুলো কার্বন সমৃদ্ধ পানির চেয়ে চার গুণ বেশি ক্ষতিকারক প্রভাব ফেলতে পারে। তাই নিয়মিত আপেল খাওয়া উপকারী ,তবে এটি অতিরিক্ত খাওয়া আপনার জন্য ক্ষতিকারকও হতে পারে।
- আপেলের বীজে সাইন ইউথ থাকে যা একটি শক্তিশালী বিষ। আর তাই আপেলের বীজ খেলে আপনার মারাত্মক সমস্যা হতে পারে। তাই আপেল খাওয়ার সময় অবশ্যই বীজ খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
ইতিকথা
আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানুন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আজ আমি আলোচনা করেছি আপেলের উপকারিতা ও আপেলের অপকারিতা সম্পর্কে। আশা করছি বন্ধুরা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা আপেলের গুনাগুন এবং আপেল কি কি উপকারে আসে এবং এর ক্ষতিকারক দিক সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। আমাদের আর্টিকেলটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।-ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url