বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস - মাতৃদুগ্ধ পানের উপকারিতা
মায়ের দুধের প্রয়োজনীয়তা ও শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি করতে বিশ্বব্যাপী মাতৃদুগ্ধ দিবস পালন করা হয়। প্রতিবছর ১ থেকে ৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করে থাকে। ১৯৯২ সাল থেকে প্রতিবছর ১ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস ও ১থেকে ৭আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালিত হয়ে আসছে। আমরা জানবো বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস - মাতৃদুগ্ধ পানের উপকারিতা সম্পর্কে।
২০১০ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিশ্ব মাতৃত্ব সপ্তাহ জাতীয়ভাবে বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে। তাই আমাদের বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস - মাতৃদুগ্ধ পানের উপকারিতা সম্পর্কে জানার প্রয়োজন রয়েছে। আসুন তাহলে আমরা জেনে নেই,বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস - মাতৃদুগ্ধ পানের উপকারিতা সম্পর্কে।ভূমিকা
মায়ের দুধের প্রয়োজনীয়তার কথা বলে শেষ করা যাবে না। আর এ কারণে বিশ্বব্যাপী মাত্রই বুদ্ধ দিবস পালন করা হয়। ১৯৯২ সাল থেকে প্রতিবছর ১ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস ও ১ থেকে ৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করা হয়ে আসছে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা
২০১০ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বিশ্ব মাতৃভাষা সপ্তাহ জাতীয়ভাবে বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে। এরি আলোকে আমরা জানবো,বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস - মাতৃদুগ্ধ পানের উপকারিতা উপকারিতা সম্পর্কে। আসুন নিম্নে তাহলে আমরা এ সকল বিষয় বিস্তারিত জেনে নেই।
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস - মাতৃদুগ্ধ পানের উপকারিতা এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস সম্পর্কে। আসুন তাহলে আমরা বিস্তারিত জেনে নেই।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, জাতীয় পুষ্টি সেবা জনস্বাস্থ্য পুষ্টি
প্রদানের উদ্যোগে বাংলাদেশ বেস্ট ফিডিং ফাউন্ডেশন ও অন্যান্যন সহযোগী সংস্থার
সহযোগিতায় বাংলাদেশে বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করা হয়ে থাকে।
চিকিৎসকদের মতে, শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর কোন বিকল্প নেই। জন্মের এক ঘন্টার
মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ দিলে মায়ের গর্ভফুল তাড়াতাড়ি পড়ে ।সহজে রক্তক্ষরণ
বন্ধ হয় ,ফলে মা রক্তস্বল্পতা থেকে রক্ষা পান। এছাড়াও দ্রুত দুগ্ধ পানে মায়ের
জন্ম বিরতিতে সাহায্য করে, স্তন ও জরায়ু ক্যান্সার এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি
কমায়। এমনকি শিশুর সর্বোচ্চ শারীরিক বৃদ্ধি ও মানসিক বিকাশ নিশ্চিত করে থাকে।
আবার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয় , ডায়রিয়ার ঝুঁকি কমায়, স্বাস্থ
যন্ত্রের সংক্রমণ এবং কানের প্রবাহ কমিয়ে থাকে। আবার সেই সঙ্গে সঙ্গে দাঁত ও
মাড়ি গঠনে সাহায্য করে।
মায়ের দুধ যদি না খাওয়ানো হয় তাহলে শিশুর নানা রকম রোগে ভোগে। যেমন শিশুর
নিউমোনিয়া জনিত মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায় ১৫ গুন ও ডায়রিয়ায় মৃত্যুর ঝুঁকি প্রায়
১১ গুন বেড়ে যায়। এছাড়াও অন্যান্য ঝুঁকি প্রায়১৪ গুণ বেড়ে যায়। এমনকি শিশুর
শারীরিক বৃদ্ধি ও বুদ্ধি বিকাশে বাধাগ্রস্ত হয়।
তাই মায়ের দুধের প্রয়োজনীয়তার কথা ও শিশুর স্বাস্থ্য বিষয়ক সচনতা বৃদ্ধি
বাড়াতে বিশ্বব্যাপী ১ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস পালন করা হয়। ১৯৯২ সাল থেকে
প্রতিবছর ১ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস ও ১ থেকে ৭ আগস্ট বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ
পালিত হয়ে আসছে।২০১০ সাল থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে জাতীয়ভাবে
বাংলাদেশেও বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস পালিত হয়ে আসছে।
মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন
সচেতনতা বৃদ্ধির আলোকে ১৯৯২ সাল থেকে প্রতি বছর আন্তর্জাতিক ভাবে মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালন করা হয়। আগস্ট মাসের প্রথম সপ্তাহ ১ থেকে ৭ আগস্ট বা বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে। এই উদ্যোগে এবং ইউনিসেফ ও ডাবলু এইচ ও এর সহযোগিতায় সচেতনামূলক বিভিন্ন কর্মসূচি নেওয়া হয়ে থাকে।
আরো পড়ুনঃ আপেলের উপকারিতা ও অপকারিতা
বিশ্বের বিভিন্ন দেশে একসাথে এই সপ্তাহে শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানো বা
মাতৃ দুধের উপকারিতা সম্পর্কে প্রচার করা হয়। এবং জন্মের অন্তত প্রথম ৬ মাস
শিশুকে মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য উৎসাহিত করা হয়। এবং সামাজিক এবং
প্রাতিষ্ঠানিক সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে শিশুর জন্য মাতৃদুগ্ধ পান নিশ্চিত করার
উদ্যোগ ও নেওয়া হয়।
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ সপ্তাহ পালনে বেশ কয়েকটি প্রাসঙ্গিক দিকে নজর দেওয়া হয়
যেমন-
- ছোট ছোট গ্রুপ এনজিওর মাধ্যমে সচেতনতা বৃদ্ধি করে বেস্ট ফিডিং এ উৎসাহিত করা।
- মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা সম্পর্কে পরিবারের সকলকে ভালোভাবে বুঝিয়ে সামাজিক ট্যাবু ভেঙ্গে শিশুর সার্বিক পুষ্টি নিশ্চিত করা।
- শিশু জন্মের প্রথম ১ ঘন্টার মধ্যে মায়ের বুকের দুধ পান করানো। শিশুর জন্মের প্রথম ৬ মাস মায়ের বুকের দুধ শিশু একমাত্র খাবার এই সম্পর্কে সকলকে অবহিত করা। ৬ মাসের পর থেকে অন্তত দুই বছর পর্যন্ত শিশু অন্যান্য খাবার খেলেও মায়ের বুকের দুধ যে শিশুর অধিকার তার নিশ্চিত করা।
- শিশুর জন্য মাতৃদুগ্ধের উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা সরকারকে বোঝাতে হবে। এবং তা নিশ্চিত করার জন্য কর্মরত প্রসূতি মহিলাদের সুবিধা প্রদান করার ব্যবস্থা করতে সরকারকে চাপ দেওয়া।
- সামাজিক স্তরে এই সম্পর্কিত সচেতনতা বৃদ্ধি করা। পাবলিক প্লেসে মা যাতে শিশুকে বুকের দুধ খাওয়াতে সক্ষম হন তা নিশ্চিত করা।
- সমাজকর্মীদের উপযুক্ত ট্রেনিং ও কাউন্সিলিং এর মাধ্যমে মাতৃভুক্ত পান করানোর জন্য প্রসূতি মাকে প্রয়োজনীয় সাহায্য করা। একই সঙ্গে এই ব্যাপারে উৎসাহিত করা।
মাতৃদুগ্ধ পানের উপকারিতা
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস - মাতৃদুগ্ধ পানের উপকারিতা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানব মাতৃদুগ্ধ পানের উপকারিতা সম্পর্কে। আসুন নিম্নে এ সম্পর্কে জেনে নিনঃ
আরো পড়ুনঃ কলা খাওয়ার উপকারিতা
মাতৃদুগ্ধ পান করানোর ফলে মায়ের সঙ্গে শিশুর আত্মিক সম্পর্ক যেমন নিবিড় হয়
তেমনি এর উপকারিতাও রয়েছে অনেক। মাতৃ দুধে রয়েছে ভিটামিন খনিজ এবং বিভিন্ন
পুষ্টিগুণ শিশুর জন্মের ছয় মাস পর্যন্ত সকল চাহিদা পূরণ করতে সক্ষম। এমনকি
শিশুদের প্রাকৃতিক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বজায় রাখতে মায়ের দুধের কোন বিকল্প নেই।
তাহলে আসুন জানি মাতৃ দুধের উপকারিতা গুলো কি কিঃ
- মাতৃদুগ্ধ শিশুর স্বাভাবিক পরিপূর্ণ বৃদ্ধি নিশ্চিত করে।
- মায়ের বুকের দুধ খাওয়ার ফলে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
- মায়ের বুকের দুধে গুরুত্বপূর্ণ এন্টিবডি উপস্থিত থাকে।
- মাতৃদুগ্ধ শিশুর হাড়ের গঠন সুদৃঢ় করে।
- মাতৃদুগ্ধ এস আই ডি এস এর ঝুঁকি কমায়।
- মাতৃদুগ্ধ শিশুর মেধা বা বুদ্ধির বিকাশ করে।
- ক্যান্সারের ঝুকি কমায়।
- মাতৃদুগ্ধ শিশুকে বিভিন্ন ধরনের এলার্জি থেকে রক্ষা করে।
- মাতৃদুগ্ধ শিশুর স্বাভাবিক দৃষ্টি শক্তি নিশ্চিত করে।
- মাতৃদুগ্ধ শিশুর সঠিক ওজন লাভ করতে সাহায্য করে।
- বুকের দুধ খাওয়ানোর ফলে মা ও শিশুর মত আত্মিক সম্পর্ক স্থাপন করে।
ইতিকথা
বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস - মাতৃদুগ্ধ পানের উপকারিতা বন্ধুরা এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে অবশ্যই বন্ধুরা আপনাদের আপনারা জানতে পেরেছেন মায়ের দুধের প্রয়োজনীয়তা ও উপকারিতা সম্পর্কে। আশা করছি,বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস - মাতৃদুগ্ধ পানের উপকারিতা আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হবেন। এই আর্টিকেলটি যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।-ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url