কপি রাইটিং কি - কপিরাইটিং কিভাবে করতে হয়
কপিরাইটিং হল বর্তমান সময়ে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা হাজারো অনলাইন ইনকামের মধ্যে সহজ একটি উপায়। আর তাই আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব,কপি রাইটিং কি - কপিরাইটিং কিভাবে করতে হয় তা নিয়ে। অনলাইনে যারা নতুন এসেছেন এবং অনলাইন থেকে ইনকাম করার আগ্রহ প্রকাশ করছেন ইচ্ছা করলে তারা কপিরাইটিং শিখতে পারেন।
আপনারা যারা কপিরাইট শিখতে চাচ্ছেন আজকের,কপি রাইটিং কি - কপিরাইটিং কিভাবে করতে হয় এই পোস্টটি তাদের জন্য। আশা করছি এই পোষ্টের মাধ্যমে আপনারা কপি রাইটিংসম্পর্কে কিছুটা জানতে পারবেন। আসেন তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেই,কপি রাইটিং কি - কপিরাইটিং কিভাবে করতে হয় তা সম্পর্কে।ভূমিকা
অনলাইনে যারা নতুন এসেছে এবং অনলাইন থেকে যারা খুব সহজেই ইনকাম করতে চান তাদের জন্য সহজ একটি মাধ্যম হলো কপিরাইটিং। আপনারা অনেকেই জানেন না কপিরাইটিং কি ? আপনারা যদি না জেনে থাকেন তাহলে আজকের,কপি রাইটিং কি - কপিরাইটিং কিভাবে করতে হয় এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স অর্থাৎ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কি
এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা আরও জানব, কিভাবে কপিরাইটিং শিখবেন, কপিরাইটিং শিখতে কতদিন সময় লাগে, কপি রাইটিং এর মাধ্যমে কোথা থেকে আয় করবেন, কপিরাইটিং এর কিছু জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস, কপিরাইটিং ও কনটেন্ট রাইটিং এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে।
কপিরাইটিং কি
আমরা অনেকেই মনে করি কপিরাইটিং হচ্ছে কোন ওয়েবসাইট থেকে আর্টিকেল কপি করার কাজ। কিন্তু বিষয়টি তা নয় কপিরাইডিং হচ্ছে এমন এক ধরনের কনটেন্ট। যা আকারে ছোট হয় এবং যেকোনো একটি বিষয় কভার করে থাকে। এটি হতে পারে বিজ্ঞাপন ,কোন প্রডাক্টস ,কোন কোম্পানির প্রেসেন্টেশন। যেমন আপনি একটি মোবাইলের রিভিউ লিখবেন একটি মোবাইলের সাধারণত যে বিষয়গুলো প্যাকটিক্যালি আছে। সে ঠিক দেখতেই হবে।
যখন সেই মডেলের মোবাইলের অন্য একজন রাইটার যখন রিভিউ লিখবেন। তখন সেও সেই একি
বিষয়গুলো লেখবে কেননা আপনি যে মোবাইলের রিভিউ লিখবেন এবং অন্য একজন রাইটার সেই
একই মোবাইলের রিভিউ লিখবেন ঠিক আপ।নার মত করে কারণ দুটো মোবাইলে মডেল এবং দেখতে
একই রকম। তাহলে সেই মোবাইলের বড় না কিন্তু ভিন্ন রকম হতে পারবেনা সে দুটো লেখা
একই রকম হতে হবে। এটাই হল কপিরাইটিং।
কিভাবে কপিরাইটিং শিখবেন
কপি রাইটিং কি - কপিরাইটিং কিভাবে করতে হয় এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানবো কিভাবে কপিরাইটিং শিখবেন। কপিরাইটিং শেখার জন্য অনেক ধরনের ট্রেনিং সেন্টার রয়েছে। আপনারা চাইলে সেখানে গিয়েও কপিরাইটিং শিখে নিতে পারেন। তা ছাড়াও আপনার কপিরাইটিং শেখার সবচেয়ে বড় এবং ভালো মাধ্যম হচ্ছে গুগলের ইউটিউব। তাছাড়াও আপনি লেখালেখি সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও পেয়ে যাবেন ।ইউটিউব এর মাধ্যমে ইউটিউব ভিডিও দেখে অথবা গুগলের সার্চ করে কপিরাইটিং সম্পর্কে আপনি জানতে পারবেন।
কপিরাইটিং শিখতে কতদিন সময় লাগে
বর্তমান সময়ে সবচেয়ে সহজ মাধ্যম হলো কপিরাইটিং ।এটি কন্টেন রাইটিং এ তুলনায়
অনেক সহজ এবং সময় লাগে কম। আমরা যারা কপিরাইটিং শিখতে চাই তারা যদি প্রতিদিন ২
থেকে ৩ ঘন্টা সময় দিয়ে অর্থাৎ তিন থেকে চার মাস সময় কপিরাইটিং কাজ শেখার পেছনে
ব্যয় করি ।তাহলে খুব সহজেই এই কাজটি শিখে নিতে পারবো। একটি এবং এটি শেখার
পাশাপাশি অনলাইনের মাধ্যমে আয় করতে পারবো।
কপিরাইটিং এর মাধ্যমে কোথা থেকে আয় করবেন
কপি রাইটিং এর মাধ্যমে কোথা থেকে আয় করবেন এটা সম্পর্কে জানবেন,কপি রাইটিং কি - কপিরাইটিং কিভাবে করতে হয় এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে। আসুন তাহলে আমরা জানি কপিরাইটিং এর মাধ্যমে কোথা থেকে আয় করবেন।
আরো পড়ুনঃ জিপি, রবি ,বাংলালিংক ,টেলিটক,এয়ারটেল এর প্রমোশনাল SMS বন্ধ করার নিয়ম
কপি রাইটিং এর মাধ্যমে আপনি কোথা থেকে আয় করবেন সে বিষয়ে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনি কপিরাইটিং সম্পর্কে জানতে পারবে। তাছাড়াও আপনি চাইলে যে কোন একটি আইটি প্রতিষ্ঠানের সহজে চাকরি পেয়ে যাবেন। আপনি চাইলে ঘরে বসে অনলাইনের মাধ্যমে বিভিন্ন মার্কেটপ্লেসে থেকে আয় করতে পারবেন। মার্কেটপ্লেস থেকে আয় করার কপিরাইটিং এর মাধ্যমে বেশ কিছু উপায় রয়েছে।
বিভিন্ন মার্কেটপ্লেস থেকে কপিরাইটিং করে আয় করার জন্য একাউন্ট তৈরি করে আপনি
আয় করতে পারেন বর্তমানে অনেক লোক আছে যারা কপিরাইটিং এবং কনটেন রাইটিং করে থাকে।
এছাড়াও আপনি কপি রাইটিং এর মাধ্যমে আয় করার জন্য ফ্রিল্যান্সিং মার্কেট গুলো
বেছে নিতে পারেন।
কপিরাইটিং এর কিছু জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস
কপি রাইটিং কি - কপিরাইটিং কিভাবে করতে হয় এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানব কপিরাইটিং এর কিছু জনপ্রিয় মার্কেটপ্লেস সম্পর্কে। নিম্নে মার্কেটপ্লেস এর নাম উল্লেখ করা হলোঃ
- Fiber.com
- Freelancer.com
- Upwork.com
- Guru.com
গুগলে এর সকল মার্কেটপ্লেস ছাড়াও আরো অনেক মার্কেটপ্লেস রয়েছে। আপনারা চাইলে সে সকল মার্কেটপ্লেস ও ব্যবহার করে কপিরাইটিং এর কাজ করে সহজেই আয় করতে পারেন।
কপিরাইটিং ও কনটেন্ট রাইটিং এর মধ্যে পার্থক্য
আমরা এখন ,কপি রাইটিং কি - কপিরাইটিং কিভাবে করতে হয় এই পোস্টটির মাধ্যমে জানবো কপিরাইটিং ও কনটেন্ট রাইটিং এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে। আসন বন্ধুরা তাহলে আর দেরি না করে জেনে নেই কপিরাইটিং এবং কনটেন্ট রাইটিং এর মধ্যে পার্থক্য সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ মোবাইলে নির্দিষ্ট ক্যাটাগরির অ্যাপ নোটিফিকেশন বন্ধ করার উপায়
কপিরাইটিং কনটেন্ট রাইটিং এর মধ্যে পার্থক্য হল এই যে বিভিন্ন ধরনের লেখার স্টাইল
এর দিকে থেকে অনেক অনেক পার্থক্য। যেমন কন্টেন্ট রাইটিং এর যে কোন বিষয় সম্পর্কে
সঠিক তথ্য নিয়ে আলোচনা করা হয়। লেখার ধৈর্য অনুযায়ী কনটেন্ট রাইটিং হয়তো
অনেকদিন ধরে লম্বা হয়ে থাকে তাদের থেকে পনেরশো ওয়ার্ড হতে পারে। কিন্তু কিন্তু
কপিরাইটিং আকারের ছোট হয়ে থাকে এটি ২০০ থেকে ৫০০ ওয়াটের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে।
অল্প পরিমাণ এর বিষয়টা হচ্ছে কপিরাইটিং এবং কনটেন্ট রাইটিং এর মধ্যে পার্থক্য
।আপনি যদি কথাগুলো সঠিক অনুসরণ করে থাকেন ।তবে আপনি বুঝতে পেরেছেন কপিরাইটিং এবং
কনটেন্ট রাইটিং এর মধ্যে পার্থক্যটা আসলে কি।
শেষ কথা
কপি রাইটিং কি - কপিরাইটিং কিভাবে করতে হয় আশা করি এ বিষয়টি আপনাদের কাছে ক্লিয়ার। এবং এই বিষয়টি সম্পর্কে জানার পরে আপনারা কপিরাইটিং শিখার জন্য আগ্রহী হবেন। যারা নতুন তাদের জন্য কপিরাইটিং খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং এর মাধ্যমে খুব সহজেই আয় করা সম্ভব।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url