পাইলস এর চিকিৎসা - পাইলস হওয়ার কারণ ও লক্ষণ
পাইলস কি
আজ আমরা জানব,পাইলস এর চিকিৎসা - পাইলস হওয়ার কারণ ও লক্ষণ এই পোষ্টের মাধ্যমে পাইলস কি তা সম্পর্কে। আসন নিম্নে এই সম্পর্কে জেনে নেই ।
আরো পড়ুনঃপায়ের গোড়ালি ফাটার কারণ ,প্রতিকার ও ঘরোয়া পরিচর্যা
পাইলস কয় প্রকার
পাইলস কয় প্রকার আসন জানি, পাইলস এর চিকিৎসা - পাইলস হওয়ার কারণ ও লক্ষণ এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।
পাইলস মূলত দুই ধরনের। যেমনঃ
বহিঃস্থ পাইলস
অভ্যন্তরীণ পাইলস
পাইলস হওয়ার কারণ
পাইলসের প্রধান এবং অন্যতম কারণ হলো দীর্ঘদিন কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগা। তাছাড়াও পুরনো
ডায়রিয়া, মলত্যাগের দীর্ঘক্ষণ টয়লেটে বসে থাকা এবং দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা
হতে পারে পাইলসের কারণ। আবার এটা অনেক সময় পারিবারিক ইতিহাস , আশযুক্ত খাওয়ার
কম খাওয়া, ভারী মালামাল বহন করা, কাইক পরিশ্রম করা, স্থূলতা , পায়ুপথে
যৌনক্রিয়া, বিকৃত রোগ, গর্ভকালীন সময়ে, লিভারের সিরোসিস ইত্যাদি হতে পারে
পাইলসের কারণ। অর্থাৎ এই সকল কারণগুলোর ফলে পায়ু অঞ্চলের শিরা গুলোতে চাপ পড়ে
ফলে পাইল সৃষ্টি হয়।
পাইলস হওয়ার লক্ষণ
এখন আমরা জানবো,পাইলস এর চিকিৎসা - পাইলস হওয়ার কারণ ও লক্ষণ এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে পাইলস হওয়ার লক্ষণ সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ অতিরিক্ত ঘাম হওয়ার কারণ
সব রোগেরই কোন না কোন লক্ষণ দেখা দেয় ,তেমনি পাইলস এর ও কিছু লক্ষণ রয়েছে।
পাইলস এর লক্ষণগুলো হলোঃ পায়ুপথের অন্ত বা ভেতরে পাইলস রোগে সাধারণত তেমন কোন
ব্যথা বেদনা বা অস্বস্তি থাকে না। অন্যদিকে পায়ুপথে বহির অর্শ রোগে পায়ুপথ
চুলকায়, বসলে ব্যথা করে, পায়খানার সঙ্গে টকটকে লাল রক্ত দেখা যায়, মলদ্বার
পরিষ্কার করার সময় তাজা রক্ত লেগে থাকে, মলত্যাগে ব্যথা লাগে, পায়ুপথের চারপাশে
এক বা একের অধিক থোকা থোকা ফোলা থাকে।
পাইলসের কিছু সাধারন লক্ষণ রয়েছে সেই লক্ষণগুলি হলঃ
- মল বা মল ত্বকের পর রক্ত দেখা দেওয়া।
- পায়ু অঞ্চলে ব্যথা এবং চুলকানি।
- মলদ্বারে চারপাশে একটি শক্ত গলদা।
অভ্যন্তরীণ পাইলস রোগের লক্ষণ গুলো হলঃ
- মলত্যাগের সময় ব্যথা হীন রক্তপাত।
- মল অতিক্রম করার সময় অতিরিক্ত চাপ বা জ্বালা হতে পারে।
- পাইলস প্রল্যাপস এবং জ্বালা ও ব্যথা হয়।
বহিরাগত পাইলস রোগের লক্ষণ গুলির মধ্যে রয়েছেঃ
- বসার সময় ব্যথা বা অসস্তি।
- মলদ্বারে রক্তক্ষরণ।
- মলদ্বারের চারপাশে চুলকানি।
- মলদ্বারের কাছে বেদনাদায়ক মাংসল গলদ।
পাইলস এর চিকিৎসা
পাইলস এর চিকিৎসা - পাইলস হওয়ার কারণ ও লক্ষণ এই পোস্টটির মাধ্যমে এখন আমরা জানব পাইলসের চিকিৎসা সম্পর্কে। আসুন বন্ধুরা তাহলে আমরা জেনে নেই ফাইলসের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে।
পায়ুদ্বার বিষয়ে কোনো সমস্যা হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এ
ধরনের অসুখের ক্ষেত্রে কোনভাবেই বসে না থাকা উচিত ।এতে করে অসুখের মাত্রা আর
বাড়িয়ে দেয়। চিকিৎসকেরা রোগ নির্ণয় করে পোস্টোস্কোপের মাধ্যমে প্রাথমিকভাবে
চিকিৎসা শুরু করতে পারেন। প্রথম পর্যায়ে মলম , ইনজেকশন বা রাবার ব্যান্ডের
সাহায্যে রোগ নিরাময় করা সম্ভব। কিন্তু অসুখের মাত্রা যদি অতিরিক্ত হয়ে যায়
তাহলে অবশ্যই শৈল চিকিৎসা সারা কোন উপায় নেই। তবে সব কয়টি ক্ষেত্রে রোগটি ফিরে
আসার আশঙ্কা থাকে ,যদি না সমাধানে থাকা যায়।
আজ এজন্য আপনাকে খাদ্য অভ্যাস বা লাইফ স্টাইল বদলে ফেলতে হবে। ক্যাপ্টেন জাতীয়
পানিয় , অতিরিক্ত ঝাল মসলা দিয়ে রান্না করা খাবার, পাইলস রোগীদের খাওয়া যাবেনা।
এমনকি পাইলস রোগীদের ভারী জিনিস তোলাও বারণ। পাইলস থেকে হতে পারে ক্যান্সার ।তাই
ক্যান্সার হওয়ার আগেই চিকিৎসা করা জরুরী। এর জন্য রিং লাইগেশন এবং লংগো
অপারেশনের দ্বারা শতভাগী প্রায় রোগী সুস্থ হয়ে ওঠেন। আর এই অপারেশনে মলদ্বারে
তিনটি অংশ কাটার প্রয়োজন হয়। এই অপারেশনটা শুধু তাদের জন্যই করা হয় যাদের রিং
লাইগেশন এর জন্য উপযুক্ত হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং
যারা লংগো অপারেশন করার জন্য মেশিন কিনতে অক্ষম।
তাছাড়াও আরো কয়েকটি অপারেশন হল লেজার অপারেশন ।পার্থক্য শুধু এটাই যে লেজার
অপারেশনে বিম ব্যবহার করা হয়। এবং প্রচলিত অপারেশনে সার্জিক্যাল নাইফ ব্যবহার
করে কাটাকাটির কাজ করা হয়। প্রচলিত অপারেশনের মতো লেজার অপারেশনে ক্ষতস্থান হবে
তিনটি। তবে লেজার অপারেশন এবং সাধারণ অপসারণ অপারেশন এর মধ্যে তেমন কিছু পার্থক্য
নেই। কারণ দুই অপারেশনে সমান ব্যথা অনুভব করতে হয়। এবং ক্ষতস্থান টি শুকাতে এক
থেকে দুই মাস সময় লাগে।
পাইলসের চিকিৎসা জন্য বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি রয়েছে যেমনঃ ইঞ্জেকশন,
আল্ট্রয়েড, লেজার থেরাপি, রিং লাইগেশন, কায়োথেরাপি ইত্যাদি।
আবার সে যদি মনে করেন আপনি উপর একটি চিকিৎসা গুলো না করে ঘরোয়া ভাবে এর সমাধান
করবেন সে ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম আপনাকে মেনে চলতে হবে। নিম্নলিখিত নিয়ম গুলো যদি
আপনি মানতে পারেন তাহলে ঘরোয়াভাবে চিকিৎসা সমাধান করতে পারবেন।
- দৈনিক পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করুন।
- পাইলসের ঘরোয়া চিকিৎসা পালনে নিয়মিত সবুজ শাক সবজি খান।
- পরিমাণ মতো আর যুক্ত খাবার খেতে হবে। এমনকি পাইলসের হাত থেকে রক্ষা পেতে চাইলে পাইলসের লক্ষণ ধরা দেওয়ার পূর্ব থেকে এ সকল খাবার খেতে পারেন।
- মল শক্ত হয়ে যায় এমন খাবার থেকে দূরে থাকুন। অতিরিক্ত গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
- প্রয়োজনে ডাক্তারের কাছে গিয়ে পাইলসের ঔষধ গ্রহণ করুন।
শেষ কথা
তো বন্ধুরা পাইলস এর চিকিৎসা - পাইলস হওয়ার কারণ ও লক্ষণ, এই আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লাগলো। আপনারা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে অবশ্যই পায়েলসের চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। এবং ঘরোয়াভাবে চিকিৎসা সমাধান সম্পর্কেও জানতে পেরেছেন পাইলস এর। তো বন্ধুরা ভালো থাকুন ,কথা হবে অন্য কোন টপিক্স নিয়ে আপনাদের সাথে।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url