শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডা লাগলে করণীয়
আজ আমি আলোচনা করব আপনাদের সাথ,শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডা লাগলে করণীয় সম্পর্কে। শুষ্ক মৌসুম এবং ধুলাবালি সহ বৈরী আবহাওয়ার কারণে প্রতিবছরই ঠান্ডা জনিত অনেক রোগ দেখা দেয়। আর এতে বেশিরভাগই আক্রান্ত হয়ে থাকে শিশুর। আবহাওয়া ও দূষণ জনিত কারণে ঠান্ডা জনিত রোগ বেশি হয়ে থাকে। এবং শিশুদের পাশাপাশি ও অনেক মানুষও সর্দি-কাশিতে ভোগেন।
তাই আমাদের,শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডা লাগলে করণীয় সম্পর্কে জানা খুবই প্রয়োজন। কারণ এটা না জানলে আমাদের কোমলমতি শিশুরা অনেক কষ্ট পেয়ে থাকে। আমরা আপনারা যদি এ বিষয়ে জেনে থাকি তাহলে শিশুদের এ থেকে রেহাই করা খুব সহজ হয়ে যায়। তাই চলুন আর দেরি না করে জেনে নেই,শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডা লাগলে করণীয় সম্পর্কে।ভূমিকা
বন্ধুরা আজকে আমি আলোচনা করব শিশুদের শুষ্ক কাশীও ঠান্ডা লাগলে করণীয় প্রসঙ্গে। বন্ধুরা আপনারা অনেকেই আপনাদের ছোট্ট সোনামণিদের কাশি এবং ঠান্ডা লাগলে অনেক চিন্তায় পড়ে যান। কিন্তু আপনারা যদি কিছু উপায় সম্পর্কে জানেন তাহলে এ থেকে অনেকটাই রেহাই পাওয়া যায়। তাই আমাদের জানতে হবে শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডা লাগলে করণীয় সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ বিশ্ব মাতৃদুগ্ধ দিবস - মাতৃদুগ্ধ পানের উপকারিতা
ঢাকার আগারগাঁয়ে বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের ডিপার্টমেন্ট অফ
ক্রিটিক্যাল কেয়ার পিডিয়াট্রিকসের প্রধান অধ্যাপক ডক্টর মোহাম্মদ মাহাবুবুল হক,
শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডা লাগলে করণীয় হিসেবে রোগের কারণ, লক্ষণ ,
অ্যাডিনো ভাইরাস ,করনীয় নিয়ে কিছু পরামর্শ দিয়েছেন আসুন আমরা সে সম্পর্কে
নিম্নে জেনে নেই।
শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগ আক্রান্তের কারণ
শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডা লাগলে করণীয় এই পোস্টটির মাধ্যমে এখন আমারা জানবো শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডা জনিত রোগ আক্রান্তের কারণ সম্পর্কে।
এ প্রসঙ্গে অধ্যাপক মোঃ মাহবুবুল হক জানান কখনো কখনো ভাইরাসনিতে কারণেও সর্দি
কাশি হতে পারে ।আবার কখনো কখনো ব্যাকটেরিয়াজনিত কারণেও সর্দি কাশি হয়ে
থাকে। তাই আমাদের শিশুদের ব্যাপারে বেশি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। এবং এটি
ভাইরাসজনিত সর্দি কাশি না ব্যাকটেরিয়া জনিত সর্দি কাশি সেটা অবশ্যই ডাক্তারের
পরামর্শ নিয়ে চিকিৎসা করতে হবে।
শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগ আক্রান্তের লক্ষণ
শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডা লাগলে করণীয় এই পোস্টটির মাধ্যমে এখন আমরা জানবো শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডা জনিত রোগ আক্রান্তের লক্ষণ সম্পর্কে।
চলমান বৈরিয়া হওয়ার কারণে কম বেশি সবারই সর্দি কাশি হয়ে থাকে। আবার অনেক সময়
কাশির সঙ্গে শ্বাসকষ্ট এবং দম বন্ধ হয়ে আসার মত পরিস্থিতি তৈরি হয় ।যা শিশুদের
জন্য বেশি কষ্টকর হতে পারে। আবার অনেক সময় শিশুদের ক্ষেত্রে ঠান্ডা লাগার পর
ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে নিউমোনিয়াতে রূপান্তরিত হয়। তাছাড়া অনেক সময় সব
শিশুদের ক্ষেত্রে এটা হয় না।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় কলা খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানুন
ডক্টর মাহবুবুল হক বলেন ঠান্ডা লাগলে শিশুরা যদি স্বাভাবিক এরথেকে দ্রুত
শ্বাস-প্রশ্বাস নেয় ,শ্বাসকষ্ট হয়, শ্বাস নেওয়ার সময় শব্দ হয়, খাওয়া-দাওয়া
বন্ধ করে দেয় বা খুব বেশি জ্বর তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তবে এক্ষেত্রে যদি
জ্বর থেকে যায় তাহলে এটা ইনফেকশনের কারণ। আর যদি ঝর্ণা থেকে শুধুই কাশি হয় সেটা
মূলত অ্যালার্জি বা আবহাওয়া জনিত কারণে হয়ে থাকে ।
শিশুদের শুষ্ক কাশি ঠান্ডাজনিত রোগে অ্যাডিনো ভাইরাস
এখন আমরা জান,শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডা লাগলে করণীয় এ প্রসঙ্গে শিশুদের শুষ্ক কাশি ঠান্ডা জনিত রোগে অ্যাডিনো ভাইরাস সম্পর্কে।
এই ভাইরাস টি সম্পর্কে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞরা বলেন ,মূলত অ্যাডিনো ভাইরাস দ্বারা শিশুরাই বেশি সংক্রমিত হয়। রাসটির মূলত পৃথিবীর শুরু থেকেই ছিল এখনো আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে বলে আশা করা যায়। এই ভাইরাসটির মাত্রা কখনো বেড়ে যায় আবার কখনো কমে যায়। এই ভাইরাসের নতুন ভেরিয়েন্ট পাওয়া যায়নি। এ ভাইরাসটি নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোন কারণ নেই।
এই ভাইরাসের নীতিবাচক দিকগুলো একবার হলে তা সারাতে প্রচুর সময় লেগে যায়।
এর ফলে দীর্ঘদিন যাবত কাশি এবং অনেকদিন ধরে শ্বাসকষ্ট হয়ে থাকে। কাশি বা কাশি
জনিত শ্বাসকষ্ট হলে ওষুধ দিলে শ্বাসকষ্ট থেমে যায়। কিন্তু ওষুধ দেওয়ার পরও যখন
শ্বাসকষ্ট না থামে আবার নিউমোনিয়ারও কোন লক্ষণ নেই ।তখন আমরা বুঝতে পারি যে এটা
অ্যাডিনো ভাইরাসের সংক্রমণ।
শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডাজনিত রোগে করণীয়
শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডা লাগলে করণীয় এই আর্টিকেলটি মাধ্যমে আমরা জানব শিশুদের শুষ্ক কাশিও ঠান্ডা জনিত রোগে করণীয় সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ পুত্র সন্তান লাভের দোয়া ও আমল
অধ্যাপক ডাক্তার মোঃ মাহবুবুল হকের পরামর্শ হলো এই যে,
- সর্দি-কাশি হলে সবাইকে মাক্স পড়তে হবে।
- আক্রান্ত শিশুদেরকে স্কুলে পাঠাবেন না।
- এমনকি পরীক্ষা থাকলেও এই সময়ে শিশুদের স্কুলে পাঠানো উচিত নয়। কারণ এই আক্রান্ত শিশুর মাধ্যমে এই রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে যা অভিভাবক ও স্কুল কর্তৃপক্ষের বিবেচনা করতে হবে। এবং লেখাপড়া স্কুলে যাওয়া যেমন জরুরী তেমনি এই রোগটি বিষয়ে সতর্ক হওয়া জরুরী।
- ভয় না পেয়ে সাবধানতা অবলম্বন করে এই রোগ প্রতিরোধ করতে হবে। জরুরী প্রয়োজন বা উল্লেখিত যেকোনো লক্ষণ দেখা দিলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
শেষ কথা
পরিশেষে বলতে চাই যে যে কোন অসুখ বা রোগ দেখা দিলেই আমাদের চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এতে করে অতিরিক্ত কোন সমস্যা তৈরি হওয়া সম্ভাবনা কম হয়। আমাদের শিশুদের ব্যাপারেও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত। এবং শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডা লাগলে করণীয় বিষয়গুলো ভালোভাবে জেনে রাখা প্রয়োজন। এতে করে শিশুদের কষ্ট অনেকটা লাঘব করা যায়। তো বন্ধুরা আজকের, শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডা লাগলে করণীয় এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং শিশুদের ব্যাপারে আপনার যদি কোন ভাল মতামত জানা থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানিয়ে দেবেন।-ধন্যবাদ বন্ধুরা
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url