জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ, কারণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন
মূলত জরায়ু ক্যান্সার হলে জরায়ুর আস্তরণে অস্বাভাবিক কোষের অনিয়ন্ত্রিত বৃদ্ধি পায়। জরায়ু বলতে মহিলার প্রযোজন প্রণালীর অংশ যা গর্ভে নিজের অংশে অবস্থিত এবং গর্ভ থেকে যৌনি পর্যন্ত খোলা। এই ক্যান্সারকে আবার জরায়ুর মুখের ক্যান্সার নামেও অভিহিত করা হয়। জরায় মুখে ক্যান্সারের সমস্ত ক্যান্সারের মধ্যে চতুর্থ স্থানে রয়েছে এবং এবং এই ক্যান্সারের প্রতি দুই মিনিটে একজনের মৃত্যু হয়ে থাকে । বন্ধুরা আজকে আমি আলোচনা করব আপনাদের সাথে,জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ, কারণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন সম্পর্কে। আপনারা যারা জরায়ুর মুখে ক্যান্সার বা জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ, কারণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চান ।
তাদের জন্য আমার আজকের জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ, কারণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন এই পোস্টটি। বর্তমান সময়ে একটি কমন সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে মহিলাদের জরায়ু ক্যান্সারের। তাই মহিলাদের এ ব্যাপারে সচেতন থাকা খুবই জরুরী। তো চলুন বন্ধুরা আর দেরি না করে জেনে নেই,জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ, কারণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন সম্পর্কে।জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ
বন্ধুরা আজকে আমরা জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ, কারণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জানবো জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ সম্পর্কে। তো চলুন বন্ধুরা জেনে নেই জরায় ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো কি কিঃ
আরো পড়ুনঃ ৩ মাসের শিশুর কাশি দূর করতে করণীয় উপায়
- প্রস্রাব করার সময় ব্যাথা
- রক্তের সাথে যোনি স্রাব
- তীব্র গন্ধযুক্ত যৌনি স্রাব
- পিরিয়ড চলাকালীন রক্তপাত
- সহবাসের পর রক্তপাত
- সহবাসের সময় অস্থিতি বা রক্তপাত
- মেনোপজের পর রক্তপাত
জরায়ু ক্যান্সারের কারণ
বন্ধুরা আসুন জানি জরায়ু ক্যান্সারের কারণ সম্পর্কে। আশা করি যারা জরায়ু ক্যান্সারের কারণ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তারা জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ, কারণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তো আসুন নিম্নের জেনে নেই এ বিষয়ে।
- জরায়ু ক্যান্সারের জন্য মূলত দায়ী হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাস। এটি ছড়ায় সহবাসের মাধ্যমে। অল্প বয়সে যদি বিয়ে হয় এবং পাঁচ বছরের বেশি সময়কাল ধরে যদি জন্ম নিয়ন্ত্রণের পিল খান ।তাহলে জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকিতে পড়ে যাবেন।
- জরায়ু ক্যান্সার মূলত দেখা দেয় ৩৫ থেকে ৫০ ও ৫৫ বছরে। তবে ২০ বছরের নিচে কোন নারী গর্ভধারণ করলে এটা হতে পারে।
- আবার বহুগামীতা এ রোগের অন্যতম একটি কারণ।
- অনেক ক্ষেত্রে যৌনাঙ্গ অপরিষ্কার রাখার কারণে জরায়ু ক্যান্সার হতে পারে।
জরায়ু ক্যান্সারের পর্যায়
জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ, কারণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন এই পোস্টটির মাধ্যমে এখন আমরা জানব জরায়ু ক্যান্সারের পর্যায় সম্পর্কে। ক্যান্সারের পর্যায় নির্ণয় করার মাধ্যমে চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া সহজ হয়। কারণ ক্যান্সার টি কোন পর্যায়ে রয়েছে এটি অবশ্য স্টেজ পর্যায়ের মাধ্যমে জানা যায়। চলুক জানি ক্যান্সারের পর্যায় সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ ৩ মাসের শিশুর সর্দি হলে প্রতিরোধের উপায়
স্টেজ ০= এটি পি ক্যান্সার কোষ রয়েছে।
স্টেজ ১= ক্যান্সার কোষগুলি জরায়ুর ভীতর টিস্যুতে এবং সম্ভবত জরায়ু এবং কাছাকাছি লিম্ফ নোডগুলিতে বৃদ্ধি পেয়েছে।
স্টেজ ২= জরায়ু এবং জরায়ুর বাইরে ক্যান্সার বাড়ছে। কিন্তু পেলভিক দেওয়াল বা যৌনির নিচের অংশে এখনো পৌঁছায়নি। ক্যান্সারটি কাছাকাছি লিম্ফ নোড গুলিকে প্রভাবিত করতে পারে আবার নাও পারে।
স্টেজ ৩= এ পর্যায়ে ক্যান্সার কোষগুলির যৌনির নিচের অংশে বা পেলভিক দেয়ালে উপস্থিত থাকে এবং মুত্রাশয় থেকে প্রসাবের বহনকারী টিউব গুলো মূত্রনালী ব্লক করে।
স্টেজ ৪= এটি হলো ক্যান্সারের শেষ পর্যায়ে। এখানে ক্যান্সার মুত্রাশয় বা মলদ্বার কে প্রভাবিত করে এবং পেলভিসের বাইরে বৃদ্ধি পাচ্ছে। এটি লিম্ফ নোডগুলিকে প্রভাবিত করতে পারে আবার নাও পারে। এই পর্যায়ের ক্যান্সার লিভার ,হার্ড, ফুসফুস এবং লিম্ফ নোড সহ পরবর্তী অঙ্গগুলোতে ছড়িয়ে পড়ে।
জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ
জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ, কারণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন এই প্রসঙ্গে এখন আমরা জানবো জরায়ু ক্যান্সারের ঝুঁকির কারণ গুলো সম্পর্কে । এইচ পি ভি হলো জরায়ুর মুখের ক্যান্সারের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকির কারণ। এটা ছাড়াও আরো ঝুঁকি বাড়াতে পারে সে কারণগুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
- ধূমপান
- এইচ আই ভি ভাইরাস
- ক্ল্যামিডিয়া
- স্থূলতা
- ফল ও শাকসবজি কম খাওয়া
- জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল পরিব্যবহার
- ক্যান্সারের পারিবারিক ইতিহাস
- তিনবার পূর্ণ মেয়াদী গর্ভধারণ করা
- সূত্র বছরের কম বয়সে প্রথমবারের মতো গর্ভবতী হওয়া
জরায়ু ক্যান্সারের চিকিৎসা
জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ, কারণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা এখন জানব জরায়ু ক্যান্সারের চিকিৎসা সম্পর্কে। তো চলুন বন্ধুরা আমরা এ বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেই।
অস্ত্রোপচার
অস্ত্রোপচার এর লক্ষ্য হলো যতটা সম্ভব ক্যান্সার অপসারণ করা যায়। কোন কোন সময়
ডাক্তার শুধুমাত্র জরায়ুর সেই অংশটুকু কেটে ফেলেন বা সরিয়ে দেন যেখানে
ক্যান্সার কোষ রয়েছে। ক্যান্সারের জন্য অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে সার্ভিস এবং
পেলভিসের অন্যান্য অংশ অপসারণের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।
রেডিয়েশন থেরাপি
এই থেরাপিটির মাধ্যমে উচ্চ শক্তি এক্সরে বিন ব্যবহার করে ক্যান্সারের কোষ গুলোকে
মেরে ফেলা হয়। একটি মেশিনের মাধ্যমে শরীরে বাইরেও বিতরণ করা যেতে পারে এটি। এবং
এটি জরায়ু বা যোনিতে স্থাপিত একটি ধাতব নল ব্যবহার করে শরীরের অভ্যন্তরে থেকে
বিতরণ করা হয়ে থাকে।
কেমোথেরাপি
কেমোথেরাপি টি ব্যবহার করা হয় সারা শরীরে ক্যান্সার কোষকে মেরে ফেলার জন্য ঔষধ এর মাধ্যমে। কেমোথেরাপির এই চিকিৎসাটি কয়েকটি চক্রে করা যায়।
আরো পড়ুনঃ শিশুদের শুষ্ক কাশি ও ঠান্ডা লাগলে করণীয়
কিছুক্ষণের জন্য আপনাকে কেমো দেওয়া হবে ।পরবর্তীতে রোগীর শরীরকে পুনরুদ্ধারের
জন্য সময় দেওয়া হয়।
শেষ কথা
বন্ধুরা জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ, কারণ এবং চিকিৎসা সম্পর্কে জানুন এ পোস্টটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো। আপনারা কি এই প্রশ্নের মাধ্যমে জরায়ু ক্যান্সারের লক্ষণ কারণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে পারলেন। যদি জানতে পেরে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। আর আপনাদের যদি কোন মতামত থাকে তাহলে কমেন্ট করে জানাবেন।-ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url