মাশরুম চাষ পদ্ধতি - মাশরুম এর উপকারিতা


বর্ষার সময় আমাদের বাড়ির আশেপাশে বা মাঠে মাশরুম হতে দেখা যায় যা আমরা পূর্বে ব্যাঙের ছাতা বলে জানতাম। কিন্তু বর্তমান সময়ে এটি ব্যাংকে ছাতা নয় । এটিএক ধরনের ছত্রাক যার সাধারণ নাম মাশরুম বা বৈজ্ঞানিক নাম Agaricus. তো চলুন বন্ধুরা আজ আমরা আলোচনা করি ,মাশরুম চাষ পদ্ধতি - মাশরুম এর উপকারিতা সম্পর্কে। অনেকেই হয়তো মাশরুমের উপকারিতার কথা জানেন না বা এটি খাওয়ার নিয়ম টাও জানেন না। যারা এ বিষয়ে জানতে চান তারা মাশরুম চাষ পদ্ধতি - মাশরুম এর উপকারিতা এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

কারণ মাশরুম চাষ পদ্ধতি - মাশরুম এর উপকারিতা এই পোস্টের মাধ্যমে আমি মাশরুম এর উপকারিতা, মাশরুম চাষ পদ্ধতি, মাশরুম এর অপকারিতা, মাশরুম খাওয়ার নিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব। আবার এ পোষ্টের মাধ্যমে আমি আরো আলোচনা করব মাশরুমের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে। তো চলুন বন্ধুরা জেনে নেই,মাশরুম চাষ পদ্ধতি - মাশরুম এর উপকারিতা সম্পর্কে।

মাশরুম চাষ পদ্ধতি

আজ আমরা আলোচনা করব, মাশরুম চাষ পদ্ধতি - মাশরুম এর উপকারিতা এই প্রশ্নের মাধ্যমে মাশরুম চাষ পদ্ধতি নিয়ে। আজ আমরা এই পোস্টের মাধ্যমে আলোচনা করব ঝিনুক মাশরুম চাষ পদ্ধতি নিয়ে।

আরো পড়ুনঃ গ্রিন টি এর ২৫ টি উপকারিতা ও অপকারিতা

বর্তমান সময়ে ঝিনুক মাশরুম বাণিজ্যিকভাবে বেশি চাষ হয়ে থাকে। তাই চাষীদের জন্য স্পন ভর্তি সাবস্টেট সহ উৎপাদনের জন্য প্রস্তুতকৃত পিপি ব্যাগ প্রদান করা হয়। প্রধানকৃত এ সকল ব্যাগ থেকে চাষিরা ফসল উৎপাদন করে থাকেন। ৫০০ গ্রাম ওজনের এসব ব্যাগের ভিতর থেকে উৎপাদন হচ্ছে-

  • কাঠের গুড়া ৬৪%
  • ধানের তুষ ৪ %
  • গমের ভুসি ৩২ %

এই মিশ্রণের সাথে সামান্য পরিমাণে চুন এবং পানি মেশানো হয়। প্যাকেট গুলো খড়ের চাষা বিশিষ্ট বাসের বেড়া ও পাকা মেঝের ঘরে কাঠ ও বাঁশের তাকে শাড়ি করে সাজিয়ে রাখতে হবে। এরপর ব্যাগের ৪ পাশে অর্ধচন্দ্র আকৃতি করে কেটে কাঁটা অংশটি খানিকটা চেছে ফেলে দিতে হবে। এরপর ব্যাগটি পরিষ্কার পানিতে ২০ থেকে ৩০ মিনিট ডুবিয়ে রাখতে হবে।

এরপর ব্যাগটি পরিষ্কার ফ্লোর বা তাকের জালির ওপর আধা ঘন্টা সময় উল্টে রাখতে হবে যাতে ভেতরের বাড়তি পানি ঝরে যায়। তারপর চাষঘরে কাঠের ব্যাগ বা বাসের মাচায় পরিমিত বিছিয়ে ব্যাগ গুলো তার উপর শাড়ি বদ্ধ ভাবে রাখতে হবে।

বাইরের তাপমাত্রা কম থাকলে পলিথিন দিয়ে ঢেকে দিতে হবে দুই থেকে তিন দিন যাতে করে ব্যাগের ভেতরে তাপমাত্রা বেড়ে যায়। এ সময় ঘরের আদ্রতা ৮০ % এবং তাপমাত্রা ২৫ থেকে ৩০০ সে, হওয়া দরকার। এবং ব্যাগগুলোতে নিয়মিত পান স্প্রে করতে হবে।

পলিথিন ঢাকা থাকলে তিন থেকে চার বার ১৫ থেকে ২০ মিলি সময় ঢাকনা সরিয়ে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা করে দিতে হবে। দুই থেকে তিন দিন পর ব্যাগের কাটা অংশ দিয়ে সাদা পিন সদৃশ্য অংশ দেখা যাবে আরো দুই থেকে তিন দিন পর মাশরুম বড় হয়ে অন্য দুপাশ থেকে অতঃপর একইভাবে শেষে দিয়ে পানি স্প্রে করলে অনুরূপভাবে মাশরুম উৎপাদন হবে। একটি মাশরুম ব্যাগ থেকে তিন থেকে চার বার ফসল তোলা যায়।

পোকামাকড় ও রোগবালাই দমন

এ সময় মাশরুমে মাছের প্রকোপ দেখা দিতে পারে। এজন্য ম্যালাথিয়ন ০.১% স্প্রে করা যেতে পারে। তাছাড়াও ফারমালিডি হাইডে ৪ পার্সেন্ট তুলা ভিজিয়ে সানিস্টেজে ঘষে দিলে সবুজ বাদামি বা নীল মোলড দূর হবে।

মাশরুমের ঔষধি গুণ

মাশরুমে রয়েছে প্রচুর ঔষধি গুণ। যা আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের উপকারে আসে। আসুন জানি,মাশরুম চাষ পদ্ধতি - মাশরুম এর উপকারিতা এই প্রশ্নের মাধ্যমে মাশরুমের ঔষধি গুন সম্পর্কে।

  • মাশরুম গর্ভবতী মা ও শিশুদের রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে।
  • বহুমূত্র রোগ প্রতিরোধে মাশরুম খুবই উপকারী ।
  • চর্মরোগ প্রতিরোধক মাশরুম।
  • উচ্চ রক্তচাপ ও হৃদরোগ প্রতিরোধক।
  • দাঁত ও হাড় গঠনে বেশ কার্যকারী মাশরুম।
  • মাশরুম ক্যান্সার ও টিউমার প্রতিরোধে বেশ কার্যকরী।
  • মাশরুম এর প্রতিরোধক
  • আমাশয় রোগ নিরাময়ে মাশরুম।
  • হাইপারটেনশন দূর করে থাকে মাশরুম।
  • কিডনি রোগ প্রতিরোধক।
  • পেটের পিড়ায় বা  সহজ পাচ্য প্রোটিন যোগানি।
  • চুল পাকা ও চুল পড়া প্রতিরোধে।
  • দৃষ্টিশক্তি রক্ষায়।
  • হেপাটাইটিস বি ও জন্ডিস।
  • অ্যানিমিয়া ও রক্তস্বল্পতা দূর করে থাকে মাশরুম।

মাশরুম কোথায় পাওয়া যায়

মাশরুম চাষ পদ্ধতি - মাশরুম এর উপকারিতা এ পোষ্টের মাধ্যমে এখন আমরা জানব মাশরুম কোথায় পাওয়া যায় সে সম্পর্কে।

চাষের জন্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র যেখানে পাওয়া যায় এমন দোকানে ,মাশরুম প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে এবং অনলাইন শপিং সাইট থেকে মাশরুমের বীজ কিনতে পাওয়া যায়। এবং বাকি উপকরণ গুলো খুব সহজেই যোগাড় করা যায়।

মাশরুম কোথায় বিক্রি করবেন

আসন জানি মাশরুম চাষ পদ্ধতি - মাশরুম এর উপকারিতা এই পোস্টের মাধ্যমে মাশরুম কোথায় বিক্রি করবেন।

আরো পড়ুনঃ মেয়েদের জন্য অশ্বগন্ধার উপকারিতা

বর্তমানে মাশরুমে ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। তাই এটা গৃহস্থলী, ফাস্টফুডের দোকান, হোটেল, ঔষধ কোম্পানি ইত্যাদির মত উপযুক্ত জায়গায় বিক্রি করা যায়। তাছাড়াও বেশিরভাগ মাশরুম চাইনিজ খাবার এ ব্যবহার করা হয়। এর ঔষধি গুণ থাকার কারণে এটি চিকিৎসা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। এমন কি এটি বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। তাই মাশরুম বিক্রি করার প্রচুর জায়গা রয়েছে।

মাশরুম বীজের দাম কত

মাশরুম বীজের দাম প্রতি কেজি ৭৫ টাকা যা ব্র্যান্ড এবং জাত অনুসারে পরিবর্তিত হয়ে থাকে। মাশরুম চাষের সময় তাই আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে যে আপনি কোন ধরনের মাশরুম চাষ করতে চান।

মাশরুম চাষের উপকরণ

মাশরুম চাষ করতে বিভিন্ন ধরনের উপকরণের প্রয়োজন হয়। মাশরুম চাষ করতে যে উপকরণের প্রয়োজন হয় আমরা জানবো মাশরুম চাষ পদ্ধতি - মাশরুম এর উপকারিতা এ প্রসঙ্গে। তো চলুন নিম্নে জানি মাশরুম চাষের উপকরণ সম্পর্কে।

  • মাশরুমের বীজ বা স্পন।
  • খড়।
  • পলিথিনের ব্যাগ ।
  • কীটনাশক।

মাশরুম এর দাম

বাংলাদেশে মাশরুম ফাউন্ডেশন এর উদ্যোগে শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিনই চলে মাশরুমের খুচরা ও পাইকারি বেচাকেনা। এখান থেকে ঘুরে দেখা গেছে, ১ কেজি তাজা ওয়েস্টার মাশরুমের মূল্য২৫০ টাকা ও শুকনো বা গুঁড়ো ওয়েস্টার মাশরুমের মূল্য ১৪০০ টাকা।

মাশরুম খাওয়ার উপকারিতা

মাশরুমে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফসফরাস, ভিটামিন, ভিটামিন সি , ভিটামিন ডি,ক্যালসিয়াম, প্রোটিন, আয়রন, মিনারেল ,অ্যান্টি অক্সিডেন্ট সহ নানা ধরনের উপাদান। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকার কারণে রক্তশূন্যতাজনিত সমস্যা দূর করে থাকে মাশরুম। মাশরুম রক্তে চিনির পরিমাণ ঠিক রাখে তাই এটি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে মাশরুমে রয়েছে পটাশিয়াম।

স্টক, নার্ভের রোগ এবং ক্যান্সারের মতো রোগ সারাতে সহায়তা করে মাশরুম। স্তন ক্যান্সার এবং প্রোস্টেট ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে মাশরুমের কোন তুলনা নেই। ক্যালসিয়াম পরিমাণ বেশি থাকার কারণে এটি হাড়ের শক্তি বৃদ্ধিত ও ঘাটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে থাকে।

মাশরুমে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ডিরয়েছে । সুন্দর ত্বক পেতে চাইলে খেতে পারেন মাশরুম ।কারন এটি ত্বক নরম করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও মাশরুম এনজাইম খাবার হজম করায় এবং অন্ত্রের উপকারী ব্যাকটেরিয়ার কাজ বৃদ্ধিতে সহায়তা করে থাকে।

মাশরুম খাওয়ার নিয়ম

মাশরুম চাষ পদ্ধতি - মাশরুম এর উপকারিতা এই পোস্টটির মাধ্যমে আমরা জানব মাশরুম খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে। তো চলুন বন্ধুরা জেনে নেই মাশরুম খাওয়ার নিয়ম কি।

মাশরুম একটি অপুষ্পক উদ্ভিদ। এতে সবুজ কোন কণা নেই তাই এরা নিজেদের খাদ্য নিজেরা তৈরি করতে পারে না। মাশরুম দেখতে খুবই সুন্দর এবং এটি খেতে অনেক সুস্বাদু। আমরা মাশরুমকে মূলত যেভাবে খেয়ে থাকি তা হলঃ

মাশরুমকে হালকা ফ্রাই করে বানানোর কারী বা স্যুপ হিসেবে খাওয়া যায়। আর এটি খেলে শরীরে প্রোটিন ভিটামিন মিনারেল amino এসিড এবং অক্সিডেন্ট এর মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

মাশরুম এর অপকারিতা

মাশরুম এর অপকারিতার কথা জানবো আমরা,মাশরুম চাষ পদ্ধতি - মাশরুম এর উপকারিতা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে। আসন বন্ধুরা আমরা জেনে নেই মাশরুম এর অপকারিতার কথা সম্পর্কে।

  • অপরিচিত বুনো মাশরুম খাওয়া ঠিক নয় কারণ কিছু মাশরুম রয়েছে বেশ বিষাক্ত।
  • বিষাক্ত মাশরুম খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করলে মানুষ ও প্রাণীর মৃত্যু হতে পারে।
  • মাশরুম কাঠের গুড়ি, খড়, বাঁশ প্রভৃতির ওপর জন্মে তাদের ক্ষতিসাধন করে।

বিষাক্ত মাশরুম চেনার উপায়

বিষাক্ত মাশরুম চেনার উপায় হলঃ

  • বিষাক্ত মাশরুম কখনো পোখর রোধে জন্মায় না।
  • বেশিরভাগ উজ্জ্বল বর্ণের প্রজাতিগুলো বিষাক্ত হয়ে থাকে।
  • কাঠের উপর জন্মায় এমন প্রজাতিগুলো বিষাক্ত।
  • বিষাক্ত প্রজাতি গুলো ব্যাস ডিওস্পোর বেগুনি রংয়ের।
  • অম্ল গন্ধযুক্ত ও ঝাঁজালো প্রজাতিগুলো বিষাক্ত হয়ে থাকে।

মাশরুম এর উপকারিতা

মাশরুম চাষ পদ্ধতি - মাশরুম এর উপকারিতা এ পোষ্টের মাধ্যমে এখন আমরা জানব মাশরুম এর উপকারিতা সম্পর্কে। আসন নিম্নে আমরা জেনে নেই মাশরুমের উপকারিতা সম্পর্কে।

খাদ্য হিসেবে

মাশরুমে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন থাকায় এটি পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। এটি বাংলাদেশ সহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে চাষ হয়ে থাকে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রতিবছর ৭৮০ মিলিয়ন পাউন্ড মাশরুম উৎপাদিত হয়।

ঔষধি গুণ

মাশরুমে রয়েছে প্রচুর ঔষধি গুণ।ভিটামিন, খনিজ, মিনারের ,চর্বি, খনিজ লবণ, শর্করা সহ অনেক ধরনের উপাদান যা মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগ থেকে রক্ষা করে থাকে।

আরো পড়ুনঃ ১৫ টি রোগের মহা ঔষধ লবঙ্গ

শিল্প ও বাণিজ্য

বর্তমানে মাশরুম চাষ করা খুবই লাভজনক। তাই এটি শিল্প ও বাণিজ্যে ব্যাপক প্রসার ফেলেছে।

মাটির পুষ্টি বৃদ্ধিতে

মাশরুম মৃতজীবী হওয়ায় এটি বিভিন্ন ধরনের জটিল দ্রব্য কে ভেঙ্গে মাটির পুষ্টি বৃদ্ধি করতে সক্ষম।

দূষণ রোধ

পরিবেশের বিভিন্ন শিল্প বর্জ্য, পেস্টিসাইড ,তেল অপসারণের কাজে মাশরুম ব্যবহার করা হয়ে থাকে।

বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন

মাশরুমে প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকায় এটি অনেক দেশেই অত্যন্ত দামি খাবার হিসেবে পরিচিত। তাই এটি ব্যাপকভাবে চাষ করে বিদেশে রপ্তানি করে প্রচুর বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন করা সম্ভব।

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আজকে আমি,মাশরুম চাষ পদ্ধতি - মাশরুম এর উপকারিতা এই পোষ্টের মাধ্যমে আলোচনা করেছি , মাশরুম চাষ পদ্ধতি,মাশরুমের ঔষধি গুন, মাশরুম কোথায় পাওয়া যায়, মাশরুম কোথায় বিক্রি করবেন ,মাশরুম বীজের দাম কত ,মাশরুম চাষের উপকরণ ,মাশরুমের দাম, মাশরুম খাওয়ার উপকারিতা ,মাশরুম খাওয়ার নিয়ম,মাশরুম এর অপকারিতা, বিষাক্ত মাশরুম চেনার উপায়, মাশরুম এর উপকারিতা সম্পর্কে। তো বন্ধুরা এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং আমাদের পেজটি ভালো লাগলে অবশ্যই নিয়মিত ভিজিট করবেন।-ধন্যবাদ


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url