সর্বজনীন পেনশনের চার কর্মসূচি এবং চাঁদা নেওয়া হবে যে হারে

সর্বজনীন পেনশনের চার কর্মসূচি

সর্বজনীন পেনশনের চার কর্মসূচি এবং চাঁদা নেওয়া হবে যে হারে এই পোষ্টের মাধ্যমে এখন আমরা জানব সর্বজনীন পেনশনের চার কর্মসূচি সম্পর্কে। তো চলুন বন্ধুরা সর্বজনীন পেনশনের চার কর্মসূচি সম্পর্কে আমরা বিস্তারিতভাবে জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃ দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে উক্তি, বিখ্যাত বাণী, কবিতা, স্ট্যাটাস, ক্যাপশন

বেসরকারি খাটে যারা চাকরি করেন অর্থাৎ বেসরকারি চাকুরিজীবীদের জন্য করা হচ্ছে "প্রগতি "। প্রবাসী বাংলাদেশীদের জন্য করা হয়েছে "প্রবাসী "। স্বকর্মে নিয়োজিত ব্যক্তিত্বের জন্য করা হয়েছে "সুরক্ষা"। এবং দেশের বিভিন্ন আয়ের জনগোষ্ঠীদের জন্য করা হচ্ছে "সমতা"।

উদ্বোধনের দিন অনলাইনে পেনশন কর্মসূচির চাঁদা দিয়ে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার জন্য, জেলার ৮ প্রশাসককে চিঠি দিয়েছেন জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ। তাতে তাদের মডেল পেনশন প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছিল। জেলাগুলো হল ,সিলেট, পাবনা ,রংপুর, গোপালগঞ্জ ,ময়মনসিংহ ,বাগেরহাট, রাঙ্গামাটি ও বরগুনা। এমনকি পেনশন কর্তৃপক্ষে একই ধরনেরই চিঠি দিয়েছেন জেদ্দা কুয়ালালাম্পুর থাকা বাংলাদেশ মিশনেও।

সর্বজনীন পেনশনটি এমন ভাবে করা হয়েছে যাতে করে ১৮ থেকে ৫০ বছর বয়সী সব নাগরিকেরা এতে অংশগ্রহণ করতে পারেন ।এবং ৬০ বছর বয়স থেকে তারা আজীবন পেনশন পেয়ে থাকবেন। প্রথমের দিকে চিন্তা না করলেও ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের পেনশন কর্মসূচিদের আওতায় রাখার সুযোগ তৈরি করা হয় ।টানা ১০ বছর চাঁদা দেওয়ার পরেই তারা পেনশন সুবিধা পেয়ে থাকবেন।

কোন পেনশনে কত চাঁদা

কোন পেনশনে কত চাঁদা জানবো আমরা সর্বজনীন পেনশনের চার কর্মসূচি এবং চাঁদা নেওয়া হবে যে হারে এই পোস্টটির মাধ্যমে। তো চলুন বন্ধুরা কোন পেনশনে কত টাকা সে ব্যাপারে আমরা জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃ নিজেকে নিয়ে কিছু উক্তি, কিছু কথা, ফেসবুক ক্যাপশন, স্ট্যাটাস, কবিতা

এ ব্যাপারে অর্থ বিভাগের সূত্র অনুসারে জানা গেছে, প্রগতি এবং সুরক্ষা কর্মসূচি আওতায় চাঁদার হার নির্ধারণ করা হয়েছে ।মাসিক ১ হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত। প্রবাসী কর্মসূচিতে চাঁদার হার মাসিক ৫হাজার থেকে ১০ হাজার টাকা পর্যন্ত করা হয়েছে। তবে এই কর্মসূচিতে বিদেশী মুদ্রা অর্থাৎ মার্কিন ডলার ,ইউরো, সৌদি রিয়াল, কুয়েতি দিনার প্রভৃতি মুদ্রায় চাঁদা প্রদান করতে হবে। তবে প্রবাসী আয় এর উপর সরকার যে ২.৫ শতাংশ প্রনোদনা দেয়, এখানে তা বহাল রাখার চিন্তা করে পরে বাদ দেওয়া হয় ।কারণ বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী বিনিয়োগের ক্ষেত্রে প্রণোদনা দেওয়া যায় না ।

 সমতা কর্মসূচিতে চাঁদার হার থাকতে মাসিক ৫০০ টাকা। এবং এই কর্মসূচিতে সমপরিমাণ অর্থ আরো ৫০০ টাকা করে সরকার প্রদান করে থাকবে।

বিকাশ, নগদে চাঁদা দেওয়া যাবে

সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি আওতায় থাকা চাঁদা দাতারা ঘরে বেসেই চাঁদা দিতে পারবে। আর এজন্য তৈরি করা হয়েছে একটি অ্যাপস। তো চলুন বন্ধুরা জেনে নেই ,সর্বজনীন পেনশনের চার কর্মসূচি এবং চাঁদা নেওয়া হবে যে হারে এই পোষ্টের মাধ্যমে বিকাশ, নগদে চাঁদা দেওয়া যাবে ঘরে বসে কিভাবে তা সম্পর্কে।

অর্থ বিভাগের সূত্র অনুসারে জানা যায়, যারা সর্বজনীন পেনশনের আওতায় আসতে চান। তাদের আগে নিবন্ধন করতে হবে। আর নিবন্ধনের পর একটি নাম্বার পাওয়া যাবে , এবং তা দিয়ে সব সময় চাঁদা প্রদানসহ সব কাজ করা যাবে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার গুলো গ্রামীণ পর্যায়ে নিবন্ধন করতে সহযোগিতা করে থাকবেন।

আরো পড়ুনঃ জীবন বীমা কি - জীবন বীমা প্রয়োজন কেন

আর এ পর্যায়ে ব্যাংকের পাশাপাশি বিকাশ সহ নগদে টাকা প্রদান করতে পারবেন চাঁদা দাতারা। অর্থাৎ যে কোন মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএস) প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে চাঁদা পরিষদের সুযোগ থাকবে।

শেষ কথা

পরিশেষে বলতে চাই যে, সর্বজনীন পেনশনের চার কর্মসূচি এবং চাঁদা নেওয়া হবে যে হারে এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আলোচনা করেছি, সর্বজনীন পেনশনের চার কর্মসূচি , কোন পেনশনে কত চাঁদা, বিকাশ, নগদে চাঁদা দেওয়া যাবে সে সম্পর্কে। আশা করছি বন্ধুরা এই পোস্টটি আপনার ভালো লেগে থাকবে। কারণ এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের জানাতে চেয়েছি যে, সর্বজনীন পেনশন কয়টি ,চাঁদা দেওয়া যাবে কিভাবে , চাঁদা নেওয়া হবে যে হারে, কারা কারা থাকছেন এই সর্বজনীন পেনশন এর চার কর্মসূচির আওতায় এগুলো সম্পর্কে। তো বন্ধুরা ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। আর যদি কোন ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে তা বলবেন।-ধন্যবাদ