ব্লাড ক্যান্সার কি এর লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধক ৮ টি খাবার
ক্যান্সার শব্দটি শুনলেই কেমন যেন আঁকতে উঠতে হয়। কারণ ক্যান্সারের শেষ পরিণতি হচ্ছে মৃত্যু। তবে বর্তমান সময়ে উন্নত চিকিৎসার কারণে মানুষ ক্যান্সারের ভীতি অনেকটা কাটিয়ে উঠতে সক্ষম। আজকে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ,ব্লাড ক্যান্সার কি এর লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধক ৮ টি খাবার সম্পর্কে। তো বন্ধুরা আপনারা কি ব্লাড ক্যান্সার কি এর লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধক ৮ টি খাবার এই বিষয়টা সম্পর্কে জানতে চান।
ব্লাড ক্যান্সার কি
সহজ ভাবে বলতে গেলে ব্লাড ক্যান্সার হল রক্ত উৎপাদনকারী টিসুর ক্যান্সার। এই অসুখের আরেকটি নাম হল লিউকেমিয়া। ব্লাড ক্যান্সারে শরীরে শ্বেত রক্তকণিকা বেশি উৎপন্ন হয়ে থাকে ।আর সেই কণিকার ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। এর ফলে দেখা দেয় নানা ঠিক সমস্যা।
আরো পড়ুনঃ ওভারিয়ান সিস্ট দূর করতে ঘরোয়া উপায়
এই সমস্যাটি যেকোনো বয়সেই দেখা দিতে পারে। তবে ছোট বয়সেই এই রোগ টি বেশি আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। তো জানলেন তো বন্ধুরা ,ব্লাড ক্যান্সার কি এর লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধক ৮ টি খাবার এই পোষ্টের মাধ্যমে ব্লাড ক্যান্সার কি।
ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ
এখন আমরা জানব ব্লাড ক্যান্সারের লক্ষণ সমূহ ,ব্লাড ক্যান্সার কি এর লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধক ৮ টি খাবার এই পোস্টটির মাধ্যমে।
ব্লাড ক্যান্সার লক্ষণ হলঃ
- কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে।
- হঠাৎ করে ওজন কমা
- বারবার ইনফেকশন
- দীর্ঘদিন ধরে ক্লান্তি
- লিফট নোট ফুলে যাওয়া
- নাক দিয়ে রক্ত গড়ানো
- বারবার রক্তপাত
- ত্বকের লাল লাল দাগ
- অতিরিক্ত ঘাম
- প্রতিটি হাড়ে হাড়ে অসহ্য ব্যথা ইত্যাদি।
এ সকল লক্ষণগুলো দেখা দিলে অতিসত্বর চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এবং ডাক্তারের
পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে।
ব্লাড ক্যান্সার কয় ধরনের
ব্লাড ক্যান্সার কি এর লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধক ৮ টি খাবার এই পশ্চিম মাধ্যমে এখন আমরা জানবো ব্লাড ক্যান্সার কয় ধরনের হয়ে থাকে।
ব্লাড ক্যান্সার মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে যেমনঃ
১।শ্বেত কণিকা থেকে সৃষ্ট ব্লাড ক্যান্সার কে লিউকেমিয়া ব্রাড ক্যান্সার বলে। এ
ধরনের ব্লাড কালচার আবার তিন ধরনের হয়ে থাকে।
- একিউট মাইলব্লাস্টিক লিউকেমিয়া
- একিউট লিম্ফোব্লাস্টিক লিউকেমিয়া
- ক্রনিক লিম্ফব্লাস্টিক লিউকেমিয়া
২। লসিকা গ্রন্থি থেকে শ্রেষ্ঠ এক ধরনের ব্লাড ক্যান্সারকে লিম্ফোমা বলে। এ ধরনের ব্লাড কালচার আবার দুই ধরনের হয়ে থাকে।
- হজকিন ও নন হজকিন লিম্ফোমা
- লিম্ফব্লাস্টিক লিম্ফোমা
৩। মাইলোমা ও প্লাজোমা সেল লিউকেমিয়াঃ এটি প্লাজমা সেল থেকে সৃষ্ট ব্লাড ক্যান্সার।
কিভাবে রোগ নির্ণয় করা হয়
ব্লাড ক্যান্সার কি এর লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধক ৮ টি খাবার এই পোষ্টের মাধ্যমে এখন আমরা জানবো কিভাবে রোগ নির্ণয় করা হয়।
এই অসুখটি খুবই দ্রুত শনাক্ত করতে পারলে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব । এর জন্য
প্রথমে কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট টেস্ট করে দেখা হয়। তাছাড়াও বোন ম্যারো বায়োস্পি
টেস্ট করাও হয়ে থাকে। এই পরীক্ষাগুলোতে রোগ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায় বা করা
যায়। চিকিৎসকরা যদি মনে করেন অনেক সময় সিটি স্ক্যান ,এমআরআই, পেট স্ক্যান করে
থাকেন।
চিকিৎসা কি
চিকিৎসা কি এখন আমরা জানবো ব্লাড ক্যান্সার কি এর লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধক ৮ টি খাবার এ পোষ্টটির মাধ্যমে। এই অসুখটির জন্য অনেক রকম বিকল্প ব্যবস্থা রয়েছে চিকিৎসার ক্ষেত্রে। তবে রোগীর শরীরে অবস্থা বোঝে চিকিৎসা ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য গুলো হলঃ
- কেমোথেরাপি
- রেডিয়েশন
- সার্জারি
- বায়োলজিক্যাল থেরাপি
- টার্গেটড থেরাপি
- স্টেম সেল থেরাপি
যে ১১ খাবার খেলে ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে
যে ১১ খাবার খেলে ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে জানুন ব্লাড ক্যান্সার কি এর লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধক ১১ টি খাবার এ প্রসঙ্গে।
আরো পড়ুনঃ বেস্ট ক্যান্সারের প্রাথমিক লক্ষণ
কিছু কিছু খাবারে এমন কিছু উপাদান রয়েছে যেগুলো খেলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের
অসুবিধা তৈরি হয়। এমন কিছু খাবার হল যা খেলে ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে। আসুন
নিম্নে আমরা জানি যে সকল খাবার খেলে ব্লাড ক্যান্সার হয় তা সম্পর্কে।
- প্যাকেট জাত দ্রব্য
- সাদা ময়দা
- সবজি তেল
- রেডমিট
- লো ফ্যাড প্রোডাক্ট
- প্রক্রিয়াজাত ও কৃত্রিম চিনি
- আলুর চিপস
- মাইক্রোওয়েভ পপকন
- আচার ও ধোঁয়ার প্রস্তুতকৃত খাবার
- চাষ করা মাছ
- প্রক্রিয়াজাত মাংস
তো বন্ধুরা আপনারা ব্লাড ক্যান্সার এড়াতে অবশ্যই উপরিত্ব খাবারগুলো এড়িয়ে
চলবেন। কারণ এ খাবারগুলো শরীরের ক্ষতি ছাড়া উপকার বয়ে আনবে না।
ব্লাড ক্যান্সার হলে কত দিন বাঁচে
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ব্লাড ক্যান্সারে সমস্ত উপ প্রকারের জন্য পাঁচ বছরে বেঁচে
থাকার হার হল ৬৫.৭%। আবার ৫ বছরে বেঁচে থাকার হার নির্ণয়ে পাঁচ বছরের উপরেও
কয়েকজন মানুষ বেঁচে আছে। ব্লাড ক্যান্সার প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সাধারণ প্রায়
৫৫ বছর থেকে ঘটনার হার দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
বয়স অনুসারে বেঁচে থাকার হার
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে ব্লাড ক্যান্সারে সমস্ত উপ প্রকারের জন্য পাঁচ বছরে বেঁচে থাকার হার হল ৬৫.৭%। আবার ৫ বছরে বেঁচে থাকার হার নির্ণয়ে পাঁচ বছরের উপরেও কয়েকজন মানুষ বেঁচে আছে। ব্লাড ক্যান্সার প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে সাধারণ প্রায় ৫৫ বছর থেকে ঘটনার হার দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধক ৮ টি খাবার
ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধক ৮ টি খাবার সম্পর্কে জানব ব্লাড ক্যান্সার কি এর লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধক ৮ টি খাবার এই আর্টিকেল থেকে। তো চলুন বন্ধুরা নিম্নে জেনে নেই ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধক ৮ টি খাবার সম্পর্কে। নিম্নের সে সকল খাবারের নাম গুলো দেওয়া হলঃ
ফুলকপি
ফুলকপিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ,ভিটামিন কে, ফলেট, ভিটামিন বি ৬ যা
শরীরে ক্যান্সারের টিউমার বৃদ্ধির গতি কমিয়ে দেয়। এ কারণে ফুলকপি ভালোভাবে
চিবিয়ে খেতে হবে। যাতে করে শরীরে ক্যান্সার কোষগুলো ধ্বংস করতে পারে ।
গাজর
গাজর চোখের দৃষ্টিশক্তির জন্য খুবই উপকারী একটি সবজি ।বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে
গাজর শুধু চোখ নয় ,গাজর কয়েক ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধেও বেশ কার্যকর। গাজরে
রয়েছে বিটা ক্যারোটিন লাইকোপেনি নিউট্রিয়েন্ট যা শরীরে ক্যান্সার প্রতিরোধে
শক্তিশালী অস্ত্র হিসেবে কাজ করে।
অ্যাভোকাডো
এভোকাডোতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন খনিজ পদার্থ ফাইবার যা ক্যান্সার রোগ
প্রতিরোধে সাহায্য করে থাকে। তাই আপনার খাদ্য তালিকায় আপনি এভোকাডো রাখতে
পারেন।
ব্রুকলি
ব্রুকলি ফুলকপির মতোই শক্তিশালী কিছু উপাদান রয়েছে যা ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে
সাহায্য করে। তাই নিজেকে সুস্থ রাখতে এবং বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে বাঁচতে ব্রকলি
আপনার খাদ্যের তালিকায় রাখুন।
টমেটো
টমেটো এক ধরনের সবজি।টমেটো রান্না করা , কাঁচা অথবা সস হিসেবে হিসেবে খাওয়া
যায়। আবার টমেটো ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে বিশেষ কাজ করে। টমেটোতে লাইকোপেনি
নামে শক্তিশালী একটি এন্টি অক্সিডেন্ট রয়েছে যা কিনা ক্যান্সার প্রতিরোধে
বিশেষভাবে কার্যকর।
আখরোট
আখরোট স্তন ক্যান্সার প্রতিরোধে বেশ উপকারী। আখরোট হলো এক ধরনের বাদাম জাতীয় ফল
এই ফলে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আমিষ ,ফ্যাটি এসিড, ওমেগা ৩।
আদা
এমন একটি উপাদান যা খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। আদা অনেক প্রমাণ ভিত্তিক স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে এতে, যেমন-হার্টের সমস্যা, ঠান্ডা ,জ্বর ,কলেস্টরল কমানো, আর্থ্রাইটিস সহ ক্যান্সারের মতো জটিল অসুখ নিরসনে আদা বিশেষ ভূমিকা রাখে।
আরো পড়ুনঃ কিডনির পাথর দূর করার ১২ টি ঘরোয়া উপায়
এছাড়াও ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কেমোথেরাপি থেকে আদা ১০ হাজার গুন বেশি
শক্তিশালী মেডিসিন যা শরীরে নির্দিষ্ট ক্যান্সার গুলো ধ্বংস করতে সাহায্য করে
থাকে।
রসুন
অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে রসুন স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি বিভিন্ন
ধরনের শারীরিক সমস্যা দূর করে থাকে। রসুনের আরেকটি উপকারী উপাদান হলো এটি শরীরের
বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধক হিসেবে কাজ করে থাকে।
শেষ কথা
বন্ধুরা আজকে আমি ব্লাড ক্যান্সার কি এর লক্ষণ - ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধক
৮ টি খাবার এই পোষ্টের মাধ্যমে আলোচনা করেছি, ব্লাড ক্যান্সার কি, ব্লাড
ক্যান্সারের লক্ষণ, ব্লাড ক্যান্সার কয় ধরনের ,কিভাবে রোগ নির্ণয় করা হয়
,চিকিৎসা কি, যে ১১ খাবার খেলে ব্লাড ক্যান্সার হতে পারে, ব্লাড ক্যান্সার হলে কত
দিন বাঁচে, বয়স অনুসারে বেঁচে থাকার হার, ব্লাড ক্যান্সার প্রতিরোধক আটটি খাবার
সম্পর্কে। তো বন্ধুরা এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এবং
নিয়মিত আমাদের পেজটি ভিজিট করবেন।-ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url