সর্বজনীন পেনশনের জন্য নিবন্ধন করার নিয়ম


এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে এখন আমি আলোচনা করব,সর্বজনীন পেনশনের জন্য নিবন্ধন করার নিয়ম সম্পর্কে। আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন,সর্বজনীন পেনশনের জন্য নিবন্ধন করার নিয়ম সম্পর্কে। কারণ দেশের নাগরিকদেরকে পেনশন ব্যবস্থার আওতায় আনার জন্য সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি চালু করেছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার বহুল প্রতীক্ষিত এই কর্মসূচি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে সেদিন থেকে সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উন্মুক্ত হয়েছে সবার জন্য।
আর এই কর্মসূচিতে ৬০ বছরের পর থেকে আজীবন পেনশন সুবিধা পাবেন একজন চাঁদা দাতা। এছাড়া চাঁদা দাতা যদি মরে যান তাহলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন। তো বন্ধুরা আপনারা যদি,সর্বজনীন পেনশনের জন্য নিবন্ধন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান তাহলে এই পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন। কারণ এই পোস্টটিতে আমি,সর্বজনীন পেনশনের জন্য নিবন্ধন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে আলোচনা করব। তো চলুন বন্ধুরা আর দেরি না করে এ সম্পর্কে জেনে নিই।

ভূমিকা

সর্বজনীন পেনশনের জন্য নিবন্ধন করার নিয়ম এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আজ আমি আলোচনা করব, সর্বজনীন পেনশন নিয়ে কিছু কথা, সর্বজনীন পেনশনের জন্য নিবন্ধন করার নিয়ম সম্পর্কে। তো বন্ধুরা আপনারা অনেকেই সর্বজনীন পেনশনের জন্য নিবন্ধন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। 

আরো পড়ুনঃ পেনশন সুবিধা কতদিন পর্যন্ত পাওয়া যাবে

তো বন্ধুরা আপনারা আমার এই পোস্টটি ধৈর্য সহকারে পড়ুন তাহলে, সর্বজনীন পেনশনের জন্য নিবন্ধন করার নিয়ম সম্পর্কে জানতে পারবেন। চলুন বন্ধুরা আর দেরি না করে বিস্তারিত জেনে নেই।

সর্বজনীন পেনশন নিয়ে কিছু কথা

সর্বজনীন পেনশন নিয়ে কিছু কথা এটি আমরা জানবো,সর্বজনীন পেনশনের জন্য নিবন্ধন করার নিয়ম এই পোস্টটির মাধ্যমে।

দেশের সকল নাগরিকদের পেনশনের আওতায় আনার জন্য সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি (স্কিম) চালু করেছে সরকার। গত বৃহস্পতিবার সকালে বহুল প্রতীক্ষিত এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ফলে সেদিন থেকেই সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচি উন্মুক্ত করা হয়েছে সবার জন্য। পেনশনস কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হলে ৬০ বছরের পর থেকে একজন চাঁদা দাতা আজীবন পেনশন সুবিধা পেয়ে থাকবেন। তবে চাঁদা দাতা যদি মারা যান তাহলে তার নমিনি বা উত্তরাধিকারী পেনশন পাবেন। এক্ষেত্রে চাঁদা দাতার ৭৫ বছর বয়স পর্যন্ত হতে যতদিন বাকি থাকবে ,ততদিন নমিনি পেনশন উত্তোলন করতে পারবেন।

সর্বজনীন পেনশনের আওতায় চার কর্মসূচি বা স্কিম চালু করা হয়েছে। এগুলো হলঃ বেসরকারি চাকুরি জীবীদের জন্য প্রগতি স্কিম, প্রবাসীদের জন্য প্রবাস স্কিম, স্বকর্মে নিয়োজিত নাগরিকদের জন্য সুরক্ষা স্কিম, আর নির্ণয়ের মানুষদের জন্য থাকছে সমতা স্কিম।

আর এ সকল কর্মসূচি বাস্তবায়নে ইতিমধ্যে জারি করা হয়েছে সর্বজনীন পেনশন স্কিম বিধিমালা। এবং গঠন করা হয়েছে সর্বজনীন পেনশন কর্তৃপক্ষ। আবার এর পাশাপাশি "ইউপেনশন" নামক ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়েছে গত বৃহস্পতিবার। আর এই ওয়েবসাইটের মাধ্যমে সেদিন থেকেই যে কেউ পেনশন কর্মসূচিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে।

সর্বজনীন পেনশনের জন্য নিবন্ধন করার নিয়ম

এই পোস্টের মাধ্যমে এখন আমরা জানব সর্বজনীন পেনশনের জন্য নিবন্ধন করার নিয়ম সম্পর্কে। তাহলে চলুন বন্ধুরা নিম্নের সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত ভাবে জেনে নেই।

আরো পড়ুনঃসর্বজনীন পেনশনের আওতায় থাকছেন যারা তাদের এবং চাঁদা প্রদানের তালিকা

সর্বজনীন পেনশনের স্কিমে অন্তর্ভুক্ত হতে হলে ইউপেনশন ওয়েবসাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে হবে। তবে পেনশন কর্তৃপক্ষ বলেন, ভুল তথ্য দিয়ে কেউ যদি আবেদন করে সেই আবেদন বাতিল হবে এবং জমাকিত অর্থ ফেরতযোগ্য হবে না।

নিবন্ধন করার সময় প্রথমে একটি প্রত্যয়ন পাতা আসবে যেখানে লেখা আছে, এই মর্মে প্রত্যান করছি যে আমি সরকারি ,আধা সরকারি , স্বায়ত্তশাসিত বা রাষ্ট্রীয় কোন প্রতিষ্ঠানে কর্মরত নই। সর্বজনীন পেনশন স্কিম বহির্ভূত কোন ধরনের সরকারি বা স্বায়ত্তশাসিত কোন প্রতিষ্ঠান থেকে সুবিধা গ্রহণ করি না। আমি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির আওতায় কোন ধরনের ভাতা গ্রহণ করি না।

এই পাতার নিচে "আমি সম্মত আছি" অংশে ক্লিক করে দ্বিতীয় পাতায় গিয়ে  নিবন্ধন প্রক্রিয়াটি শুরু করতে হবে। এখানে আবেদনকারীকে সমতা, সুরক্ষা, প্রবাস বা প্রগতি এই চার স্কিমের মধ্যে থেকে প্রযোজ্য স্কিম বাছাই করে নিতে হবে। তার সঙ্গে সঙ্গে ১০,১৩ বা ১৭ সংখ্যার এনআইডি নাম্বার, জন্মতারিখ, মোবাইল নাম্বার, ইমেল আইডি লিখে দিতে হবে। এরপর পাতার একেবারে নিচে থাকা ক্যাপচা লিখে পরের পাতায় যেতে হবে।

ক্যাপচা দেওয়ার পরে আবেদনকারীর মোবাইল নাম্বার ও ইমেইলে একটি ওটিপি বা একবার ব্যবহারযোগ্য গোপন নম্বর আসবে, সেটি ফরমে দিয়ে পরবর্তী ধাপসমূহে যেতে হবে। এবার নিবন্ধন পরবর্তী পাতাতে আসবে ব্যক্তিগত তথ্য । এই পাতাতে ব্যক্তির nid অনুযায়ী এনআইডি নম্বর, ছবি, আবেদনকারীর বাংলা ও ইংরেজি নাম ,পিতার নাম, মাতার নাম, বর্তমান স্থায়ী ঠিকানা স্বয়ংক্রিয়ভাবে চলে আসবে(কারণ আগের পাতায় এনআইডি নম্বর এর মাধ্যমে এই তথ্যগুলো দেওয়া হয়েছে)।

এই পাতাতে আবেদনকারীর বার্ষিক আয় ও পেশালিখতে হবে , নিজ বিভাগ ,জেলা উপজেলার নাম, নির্বাচন করে দিতে হবে। পেশা বাছাইয়ের ঘরে ছোট ব্যবসায়ী, শিক্ষক, বেসরকারি চাকরিজীবী, ব্যবসা, দিনমজুর, আইনজীবী, সাংবাদিক ইত্যাদি পেশার উল্লেখ থাকবে। আর সেখান থেকে আপনাকে আপনার নিজ পেশা নির্বাচন করতে হবে। সবগুলো সম্পূর্ণ হলে পরের স্কিম তথ্য এর পাতায় চলে যেত হবে।

এবার স্কিম তথ্যের পাতা এলে সেখানে মাসিক চাঁদার পরিমাণ ও চাঁদা পরিশোধের ধরন বাছাই করে নিতে হবে। চাঁদা পরিশোধের ধরনের মধ্যে থাকবে মাসিক,  তৈমাসিক ও বার্ষিক এই তিন ধরনের অপশন। তারপরে আপনাকে যেতে হবে ব্যাংক তথ্যের ধাপে। ব্যাংক তথ্যের পাতায় এসে আবেদনকারীর ব্যাংক হিসেবের নম্বর ও নাম ,হিসেবের ধরন (সঞ্চয়ী অথবা চলতি) ,রাউটিং নম্বর, ব্যাংকের নাম(বাংলায়) ব্যাংকের শাখার নাম(ইংরেজিতে) লিখতে হবে।

এরপর আপনাকে নমিনি তথ্যের পাতায় গিয়ে নমিনির জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার ও জন্ম তারিখ দিয়ে নমিনীকে যুক্ত করে নিতে হবে। আপনি চাইলে এখানে একাধিক নমনীয় যুক্ত করতে পারেন। এ সময় নমিনির মোবাইল নম্বর ,নমিনির সঙ্গে সম্পর্ক, নমিনির প্রাপ্য তার হার(একাধিক নমিনি হলে) দিয়ে সর্বশেষ "সম্পূর্ণ ফরম" ধাপে চলে যেতে হবে।

আরো পড়ুনঃ নিজেকে নিয়ে কিছু উক্তি, কিছু কথা, ফেসবুক ক্যাপশন, স্ট্যাটাস, কবিতা

আর এটাই আপনার নিবন্ধনের শেষ ধাপ। এই ধাপে আপনাকে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য, স্কিম তথ্য, ব্যাংক তথ্য ,নমিনি তথ্য দেখানো হবে। কারণ ভুল থাকলে আবার শুরুতে গিয়ে তথ্যের প্রয়োজনীয় সংশোধন করতে হবে। আর যদি তথ্যটি সঠিক থাকে তাহলে তাতে সম্মতি দিয়ে আবেদন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হবে। আবার এ সময় চাইলে সম্পন্ন আবেদনটি ডাউনলোড করতে পারেন আবেদনকারী।

সতর্কতা

নিবন্ধনের পুরো প্রক্রিয়ার মধ্যে সব পাতার কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত পিছনে যেতে পারবেন না ।কারণ পিছনে গেলে সব প্রক্রিয়া নতুন করে আবার শুরু করতে হবে। তবে সেক্ষেত্রে পুরনো তথ্য গুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে সংরক্ষিত থাকবে নতুন করে আর লিখতে হবে না

শেষ কথা

তো বন্ধুরা আপনারা,সর্বজনীন পেনশনের জন্য নিবন্ধন করার নিয়ম এই প্রশ্নের মাধ্যমে কি সর্বজনীন পেনশনে নিবন্ধন করার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত ভাবে জানতে পারলেন। আশা করি আপনারা সর্বজনীন পেনশনের নিবন্ধন নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে বুঝতে পেরেছেন ।কারণ আমি খুব স্পষ্ট ভাষায় আপনাদেরকে এটা বোঝাতে চেষ্টা করেছি। তো বন্ধুরা এই পোস্টটি যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং এ ধরনের আরো পোস্ট পেতে আমাদের পেজটি ফলো করবেন।-ধন্যবাদ।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url