গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ - গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায়
আজকে আমি আলোচনা করব ,গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ - গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। অনেকেই আছেন যারা গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ সম্পর্কে জানেন না। যারা গ্যাসটিক সম্পর্কে জানেন না তাদের জন্য ,গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ - গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায় এই পোস্ট।বন্ধুরা আপনারা গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ - গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায় এই পোষ্টের মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ - গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।
কি খেলে গ্যাস্টিক হয়
গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ - গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায় এই পশ্চিম মাধ্যমে এখন আমরা জানবো কি খেলে গ্যাস্ট্রিক হয় সে সম্পর্কে।
আরো পড়ুনঃ গর্ভাবস্থায় প্রথম ৩ মাস যে সকল খাবার খাওয়া ভালো
- গ্যাস্টিক হওয়ার প্রধান কারণ অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া ।
- পানির পরিমাণ কম খাওয়া।
- শুকনো জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া।
- মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়া।
- অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার খাওয়া।
- অতিরিক্ত ঝাল খাবার খাওয়া ইত্যাদি।
তাই এ সকল খাবার যদি আপনি খেয়ে থাকেন অবশ্যই তা বাদ দিন। কেননা এ সকল খাবার থেকে
গ্যাস্টিক হবে এটাই স্বাভাবিক।
গ্যাস্ট্রিক কেন হয়
বিভিন্ন ধরনের খাদ্যা অভ্যাস থেকে আমাদের গ্যাস্ট্রিক হয়ে থাকে। তার এ সকল খাদ্যাভ্যাস যদি আমরা ত্যাগ করতে পারি তবে এ থেকে রেহাই পাব। তো চলুন বন্ধুরা গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ - গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায় এই পোস্টের মাধ্যমে আমরা জানি গ্যাস্টিক কেন হয়।
- গ্যাস্টিক হয়ে থাকে পানি খাওয়ার অবহেলা থেকে।
- ধূমপান থেকে।
- মানসিক অশান্তি।
- অতিরিক্ত ভাজা পড়া জাতীয় খাবার খাওয়া।
- নির্দিষ্ট পরিমাণ না ঘুমানো।
- শারীরিক ব্যায়াম না করা।
- খাবার খাওয়ার সময় অতিরিক্ত কথা বলা।
- গ্যাস্টিক হওয়ার প্রধান কারণ অতিরিক্ত ভাজাপোড়া খাওয়া ।
- পানির পরিমাণ কম খাওয়া।
- শুকনো জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া।
- মিষ্টি জাতীয় খাবার অতিরিক্ত খাওয়া।
- অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার খাওয়া।
- অতিরিক্ত অ্যালকোহলের ব্যবহার।
- দীর্ঘদিন ধরে ব্যথা নাশক ঔষধ সেবন।
- তৈলাক্ত এবং অতিরিক্ত মসলা জাতীয় খাবার খাওয়া।
- সময় মতন না খাওয়া।
- অতিরিক্ত ঝাল খাবার খাওয়া ইত্যাদি।
গ্যাস্টিক কত প্রকার
অনেকেই আছেন যারা গ্যাস্টিক কত প্রকার সে বিষয়ে জানতে চান বা জানেন না। আবার অনেকেই এই বিষয়টি সম্পর্কে অনলাইনে ঘাটাঘাটি বা অনুসন্ধান করে থাকেন। যারা জানতে চান যে গ্যাসটি কত প্রকার আসন জানি আমরা ,গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ - গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায় এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।
মূলত গ্যাস দুই প্রকার।
- গ্যাস্ট্রিক আলসার
- ডিওডেনাল আলসার
গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ
আমরা অনেকেই গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ গুলো সম্পর্কে বুঝতে পারি না। এর ফলে গ্যাস্ট্রিক দ্বিগুণ আকারে বেড়ে যায়। অনেকেই প্রশ্ন করেন যে গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ গুলো কি কি? তো আসুন জানিয়ে,গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ - গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায় এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে গ্যাস্টিকের লক্ষণ গুলো সম্পর্কে।
- গ্যাস্টিক হলে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।
- পেটে ব্যথা।
- বদ হজম।
- পেট ফুলে যাওয়া বা পেট ফাঁপা।
- আলসার।
- পেটে জ্বালাপোড়া।
- ক্ষুধামন্দা।
- রক্ত পরিমাপ বমি সাথে কফি গ্রাউন্ড মত উপাদান থাকা।
গ্যাস্ট্রিক থেকে ক্যান্সারের লক্ষণ
কিছু মানুষের শরীরে ক্যান্সার বাসা বেধে থাকলেও বোঝা যায় না। কিন্তু কিছু কিছু উপায় রয়েছে যেগুলো দেখলে বোঝা যায় যে সে ক্যান্সারে আক্রান্ত। চলুন জেনে নেই গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ - গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায় এ পোস্টে মাধ্যমে গ্যাস্ট্রিক থেকে ক্যান্সারের লক্ষণ সমূহ সম্পর্ক।
আরো পড়ুনঃ নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করার উপায় জানুন
গ্যাস্টিক থেকে ক্যান্সারের লক্ষণ গুলো হলোঃ
- ক্লান্তি
- অল্প খেলে পেট ফুলে যাওয়া
- বদ হজম
- দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার পরও খোদা না পাওয়া
- ডায়রিয়া বা কোষ্ঠকাঠিন্য হওয়া
- পেট ব্যথা হওয়া
- রক্তাক্ত কালো মলত্যাগ
- অকারণে ওজন বৃদ্ধি পাওয়া
এই লক্ষণগুলি যদি কারো শরীরে দেখা যায় তাহলে আর দেরি না করে খুব দ্রুতই
ডাক্তারের পরামর্শ নিন। এবং পরীক্ষা প নিরীক্ষা করে চিকিৎসা করান।
গ্যাস্টিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয়
গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় এটা জানবো আমরা গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ - গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায় এই পোস্টটি মাধ্যমে।
কারো যদি গ্যাসটি হয়ে থাকে তবে পেটের উপরের দিকে সারাদিন অল্প অল্প ব্যথা হয়
।পেটে জ্বলা পোড়া করে, অনেক সময় বুক জ্বলা বা বুকে ব্যথা হতে পারে।
গ্যাস্টিক হলে কি কি সমস্যা হয়
গ্যাস্ট্রিকের কারণে অনেক সময় বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। যে সমস্যা
গুলো মূলত বেশিরভাগ দেখা দিয়ে থাকে সেগুলো হলোঃ
- পেটে ব্যথা
- অসুস্থ বোধ করা বা অসুস্থ হয়ে যাওয়া
- বদহজম
- খাওয়ার পরে অসুস্থ লাগা
- অতিরিক্ত গ্যাস হওয়া
- বমি ভাব পেটে অস্থিরভাব
- পায়খানা ক্লিয়ার না হওয়া
- বুকে জ্বালাপোড়া করা ইত্যাদি
চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায়
গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ - গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায় এই পোস্টটির মাধ্যমে আমরা এখন জানবো চিরতরে গ্যাস্টিক দূর করা উপায় সম্পর্কে।
গ্যাস্ট্রিক নিয়ন্ত্রণের জন্য অনেকে ট্যাবলেট বা ক্যাপসুল বেছে নেয়। এতে কিছু
সময়ের জন্য গ্যাস ঠিক হতে পারে ,কিন্তু তারপরে আবার সেই সমস্যা দেখা দেয়। কারণ
আমরা গ্যাস্টিকের ওষুধ খাই ঠিকই কিন্তু যে সব খাবারের কারণে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা
হয়, সে সকল খাবার প্রতিনিয়ত খেয়ে যাই। তাই চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার জন্য
আমাদের খাবার ব্যাপারে সচেতন হতে হবে। আমরা যদি ঠিকঠাক খাবার গ্রহণ করি তাহলে
গ্যাস্ট্রিক থেকে রেহাই পাব।
গ্যাসের ব্যথা না হার্টের ব্যথা বুঝব কিভাবে
আমরা বিভিন্ন সময় বুকের বিভিন্ন ধরনের সমস্যা লক্ষ্য করে থাকি, যেমন বুক
জ্বালাপোড়া করা, বুকে চিনচিন ব্যাথা করা সংঘাত কিছু ব্যাপার। আমরা অনেকেই
বুঝতে পারি না বুকে যে ব্যথাটা হয়ে থাকে সেটা কিসের ব্যথা এই ব্যথাগুলো বোঝার
অবশ্যই কিছু উপায় রয়েছে। বুকের কোন পাশে ব্যাথা হলে বুঝবেন এটা গ্যাসের ব্যথা
না হার্টের ব্যথা।
হার্টের ব্যাথা যদি হয়ে থাকে সে ব্যাথা হবে বুকের বাম পাশে। বুকের বাম
পাশে হওয়া পাশাপাশি এই ব্যাথা এতটাই তীব্র হবে যে মনে হচ্ছে আপনার সামনে পেছনে
দুই পাশেই যেন কেউ শুই ভুতে দিচ্ছে।
হার্টের ব্যাথাতে যে শুধু ব্যাথা হবে সেরকম কিন্তু নয় আপনার বুকে ধরপর শুরু হবে
এবং অতিরিক্ত গরম লাগা অনুভব হবে। এতে করে আপনি অল্পতেই ঘেমে যাবেন এবং অল্পতে
ক্লান্ত হয়ে পড়বেন। হার্টের ব্যথাটা হয়ে থাকে আপনি যখন বেশি ব্যস্ত থাকেন বা
বেশি চিন্তা ভাবনা করেন।
এছাড়াও হার্টের ব্যাটা যেকোনো সময় হতে পারে এটার কোন সময় সীমা নেই। এই ব্যথাটি
হয়ে থাকে অতি তীব্র এবং রোগী অনেক কষ্ট পেয়ে থাকে। তাই এ সমস্যা দেখা দিলে দেরি
না করে ডাক্তারের কাছে যান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন যেন আল্লাহ আপনাকে সুস্থ
করে দেন।
গ্যাস্ট্রিক বেড়ে গেলে করণীয়
গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ - গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায় এই পোস্টটির মাধ্যমে আমরা জানবো গ্যাস্ট্রিক বেড়ে গেলে করণীয় সম্পর্কে। হঠাৎ করে যদি আপনার গ্যাস্ট্রিক সমস্যা বেড়ে যায় তবে দেরি না করে যত দ্রুত সম্ভব একজন চিকিৎসককে দেখানো। এতে করে ডাক্তার আপনার পরীক্ষা-নিরীক্ষা বা উপসর্গ নির্ণয় করে চিকিৎসা প্রদান করবেন। অবশ্যই মনে রাখবেন ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত ঔষধ খাওয়া উচিত নয়।
গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায়
গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে আমরা জানবো ,গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ - গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায় এই পোস্টটির মাধ্যমে। আপনি চাইলে নিতে নিতেই ঘরোয়া কিছু উপায় এর মাধ্যমে আপনার গ্যাসটি কমাতে পারেন।
গ্যাস্টিক কমানোর প্রাকৃতিক বা ঘরোয়া উপায় হল যে সকল খাবার অর্থাৎ এসিডিটি কম সে সকল খাবার বেশি খাওয়া। আর সে সকল খাবার গুলি হলঃ লং ,তুলসী পাতা ,পুদিনা পাতা, আদা, জিরা ,গুড়, টক দই, বিট লবণ, দুধ এগুলো মূলত এসিডিটি কমাতে সাহায্য করে ।দুধ এবং মাখনও এসিডিটি দূর করতে সাহায্য করে।
এগুলো ছাড়াও আপনাকে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। আবার অনেক সময় লেবুর পানি বা
লেবুর চা পান করলে ভালো ফল পাওয়া যায়। তাছাড়া আপনি যদি নিয়ম মেনে খাবার খান
তাহলে গ্যাসটির কখন ভালো হয়ে যাবে আপনি জানতেই পারবেন না। তাছাড়াও আপনি
অতিরিক্ত গ্যাস্টিক সমস্যা থেকে মুক্ত হতে পারবেন।
শেষ কথা
আজকে আমি গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ - গ্যাস্ট্রিক কমানোর ঘরোয়া উপায় এই পোষ্টের মাধ্যমে আলোচনা করেছি,কি খেলে গ্যাসটিক হয় ,গ্যাস্টিক কেন হয় ,গ্যাসটি কত প্রকার , গ্যাস্ট্রিক এর লক্ষণ, গ্যাস্ট্রিক থেকে ক্যান্সারের লক্ষণ, গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা কোথায় কোথায় হয় ,গ্যাস্ট্রিক হলে কি কি সমস্যা হয়, চিরতরে গ্যাস্ট্রিক দূর করার উপায় ,গ্যাসের ব্যথা না হার্টের ব্যথা বুঝব কিভাবে, গ্যাস্ট্রিক বেড়ে গেলে করণীয়, গ্যাস্টিক কমানোর ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে। তো বন্ধুরা, এই আর্টিকেলটি আপনার ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই আমাদের পেজটি ফলো রাখবেন।-ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url