লো প্রেসার কি - লো প্রেসার এর লক্ষণ ও চিকিৎসা


প্রিয় পাঠক আজকের আর্টিকেলটিতে আমি আলোচনা করব,লো প্রেসার কি - লো প্রেসার এর লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে। আর এই আর্টিকেলটি যদি আপনি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে জানতে পারবেন,লো প্রেসার কি - লো প্রেসার এর লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কিত অনেক তথ্য। আপনারা যারা লো প্রেসার সমস্যায় ভুগছেন মূলত তাদের জন্য আমার আজকের এই পোস্ট। 
আপনারা লো প্রেসার কি - লো প্রেসার এর লক্ষণ ও চিকিৎসা এই পোষ্টের মাধ্যমে আরো জানতে পারবেন, লো প্রেসার কি, লো প্রেসার এর লক্ষণ, লো প্রেসারের ঔষধের নাম, লো প্রেসারের চিকিৎসা, লো প্রেসার কেন হয় এগুলো সম্পর্কে। তো চলুন বন্ধুরা আর দেরি না করে জেনে নেই,লো প্রেসার কি - লো প্রেসার এর লক্ষণ ও চিকিৎসা নিয়ে।

লো প্রেসার কি

বন্ধুরা আপনাদের যাদের লো প্রেসারের সমস্যা রয়েছে তারা জেনে নিন লো প্রেসার কাকে বলে সে সম্পর্কে। লো প্রেসার হলো একটি রোগ। যাকে নিম্ন রক্তচাপ বলা হয়। এক কথায় মানুষের দেহে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়া বা আস্তে আস্তে রক্ত চলাচল করাকে লো পেশার বলা হয়ে থাকে।

অর্থাৎ নিম্ন রক্তচাপ হল মানুষের দেহের রক্ত সঞ্চয় সংবাহন তন্তের একটি অবস্থা যেখানে সিস্টোলিক চাপ ৯০ ডিগ্রি পারদের নিচে এবং ডায়াস্টলিক চাপ ৬০ মি। এটা থাকলেই বুঝতে হবে লো প্রেসারের লক্ষণ।

লো প্রেসার এর লক্ষণ

বন্ধুরা চলুন জানি লো প্রেসার  এর লক্ষণগুলো সম্পর্কে। কিভাবে বুঝবেন যে আপনার নিম্ন রক্তচাপ বা লো প্রেসার হয়েছে। তবে আপনার যদি নিম্নের লক্ষণগুলি থাকে তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারবেন যে আপনার লো প্রেসার হয়েছে।

  • হঠাৎ পড়ে যাওয়া বা জ্ঞান হারানো।
  • চোখ ঘোলা বা অন্ধকার দেখা।
  • মাথা ঝিমঝিম , মাথা ঘোরা ,মাথা হালকা বোধ করা।
  • দুর্বল দুর্বল লাগা।
  • খুব তৃষ্ণা অনুভব করা।
  • হাত পা ঠান্ডা হয়ে আসা।
  • স্বাভাবিকের চেয়ে দ্রুত গতিতে হৃদয় স্পন্দন।
  • বসবাস থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে ভারসাম্যহীনতা।
  • প্রস্রাব কমে যাওয়া।

এ লক্ষণগুলি যদি আপনার মধ্যে দেখা দেয় তাহলে বুঝবেন আপনার নিম্ন রক্তচাপ হচ্ছে। তো আশা করছি বন্ধুরা লো প্রেসার এর লক্ষণ গুলি সম্পর্কে আপনি বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

লো প্রেসারের ঔষধের নাম

বন্ধুরা আপনারা কি লো প্রেসারের ওষুধের নাম সম্পর্কে জানতে চান তাহলে আমাদের লো প্রেসার কি - লো প্রেসার এর লক্ষণ ও চিকিৎসা এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। যদিও লো প্রেসার এর কোন ওষুধ নেই বাজারে তবুও আপনি ঘরোয়া পদ্ধতিতে আপনার লো প্রেসার সাড়াতে পারবেন। চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী আপনি লো প্রেসার এর জন্য স্যালাইন খেতে পারেন, দুধ অথবা ডিম। অর্থাৎ রোগী যদি কোন রকম সিরিয়াস অসুবিধা না হয় তাহলে ওষুধের দরকার হয় না।

আরো পড়ুনঃ অ্যালোভেরা দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

যদি আপনার কাছে মনে হয়ে থাকে যে লো প্রেসারের রোগীর অবস্থা খুবই সিরিয়াস এবং এর জন্য ডাক্তারের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন ।তাহলে ডাক্তারের কাছে গিয়ে চেকআপ করে তারপর পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ খাওয়ান । তাছাড়াও আপনি ঘরোয়া পদ্ধতি অনুযায়ী এক গ্লাস ঠান্ডা পানিতে কাঁচা লবণ মিশিয়ে লো প্রেসার রোগীকে খাইয়ে দিতে পারেন।

লো প্রেসার থেকে বাঁচতে হলে অবশ্যই আপনাকে চিন্তা মুক্ত থাকতে হবে। নির্দিষ্ট সময় অনুযায়ী ঘুমাতে হবে। তাছাড়া খাওয়া দাওয়া অনিয়ম হলে আপনার লো প্রেসার হতে পারে। তাই পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন এবং প্রচুর পরিমাণে খাদ্য গ্রহণ করুন। এছাড়া হার্টের সমস্যা থাকলে লো প্রেসার দেখা দেয়, ডায়াবেটিস সমস্যা থাকলে লোগো সাথে দেখা দেয়, আবার যদি কোন ঔষধের মাধ্যমে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হয়ে থাকে তাহলেও লো প্রেসার দেখা দেয়। তাই এ সকল সমস্যা যদি আপনি এড়িয়ে চলতে পারেন তাহলে অবশ্যই এ থেকে বাঁচতে পারবেন আশা করি।

লো প্রেসারের চিকিৎসা

এখন আমরা জানব লো প্রেসার এর চিকিৎসা সম্পর্কে ,লো প্রেসার কি - লো প্রেসার এর লক্ষণ ও চিকিৎসা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।

লো প্রেসার রোগীদের যদি তাৎক্ষণিক কোন চিকিৎসা দিতে না পারেন তাহলে বড় ধরনের সমস্যা হতে পারে। তাই চেষ্টা করবেন অবশ্যই প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার। আপনি যদি না জানেন কোন চিকিৎসার দ্বারা রোগী সুস্থ হয়ে উঠবে, তাহলে আমাদের লো প্রেসার কি - লো প্রেসার এর লক্ষণ ও চিকিৎসা এই পোষ্টের মাধ্যমে লো প্রেসার রোগীদের চিকিৎসা সম্পর্কে জেনে নিন। অনেক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে লো প্রেসার বা নিম্ন রক্তচাপের কোন নির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই ।তারপরেও নিম্ন রক্তচাপের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে।

হঠাৎ লো প্রেসারে আক্রান্ত ব্যক্তির যদি পানি শূন্যতা দেখা দেয় এবং শরীরে ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার কারণে নিম্ন রক্তচাপ হয় ।তাহলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে স্যালাইন পানি খাওয়ালেই প্রেসার ঠিক হয়ে যাওয়া সম্ভব। তাই যেকোনো সময় লোপের সাথে দেখা দিলে আপনি তৎক্ষণাৎ স্যালাইন পানি পান করতে পারেন। এছাড়াও ঘরোয়া পদ্ধতিতে এক ক্লাস ঠাণ্ডা পানিতে কাঁচা লবণ মিশিয়েও খেতে পারেন। এতে লো প্রেসার থেকে অনেকটা রেহাই পাওয়া যায়।

লো প্রেসার কেন হয় 

বন্ধুরা আপনারা কি জানেন লো প্রেসার কেন হয় যদি না জেনে থাকেন তাহলে জেনে নিন আমাদের পোস্টের মাধ্যমে। নিম্নে লো প্রেসার হওয়ার কারণগুলো জানানো হলোঃ

  • হরমোন জনিত কিছু সমস্যা বিশেষ করে থাইরয়েড ও অ্যান্ডিনাল গ্রন্থির হরমোন সমস্যায় লো প্রেসার দেখা দিতে পারে।
  • ডায়রিয়া ,বমি, রক্তক্ষরণ ,রক্তশূন্যতা বা পানি শূন্যতায় লো প্রেসারের আশঙ্কা থাকে।
  • হৃদরোগ যেমন হার্ট অ্যাটাক ,হার্ট ফেলিওর, হার্ট ভাল্বের অসুখ এবং জন্মগত হৃদরোগ থেকেও লো প্রেসার দেখা দিতে পারে।

লো প্রেসার হলে করণীয়

অনেকেই রয়েছে যাদের লো প্রেসার এর সমস্যা রয়েছে। তবে এতে কোন সমস্যা হয় না, এ নিয়ে কোন উদ্যোগ হওয়ার কারণ নেই। আবার যারা উচ্চ রক্ত চাপ এর ওষুধ খান তারা অনেক সময় স্বাভাবিক বা একটু কমে দিকে রক্তচাপ পেলে ভয়ে ওষধ বন্ধ করে দেন । এটা একদম ঠিক না । প্রয়োজন হলে ঔষধ বা এর মাত্রা পরিবর্তন করার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এখানে নিজে নিজে কোন সিদ্ধান্ত নেবেন না ।

আরো পড়ুনঃ মাশরুম চাষ পদ্ধতি - মাশরুম এর উপকারিতা

তবে রক্তচাপ বেশি কমে গেলে , কোন সমস্যা হলে বা কোন উপসর্গ দেখা দিলে সমস্যার কারণ চিহ্নিত করে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। অনেক সময় রক্তচাপ খুব বেশি কমে গেলে কিডনি , মস্তিষ্ক, রক্তস্বল্পতায় ভুগতে পারেন এবং এতে করে শরীরের নানা জটিল ওটা দেখা দিতে পারে। তাই লো প্রেসার হলে করণীয় হিসেবে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করুন।

শেষ কথা

বন্ধুরা  লো প্রেসার কি - লো প্রেসার এর লক্ষণ ও চিকিৎসা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আলোচনা করেছি, লো প্রেসার কি ,লো প্রেসারের লক্ষণ, লো প্রেসারের ঔষধের নাম ,লো প্রেসারে চিকিৎসা, লো প্রেসার কেন হয়, লো প্রেসার হলে করণীয় সম্পর্কে। তো বন্ধুরা এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের পেজটি ফলো করবেন এবং বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।-ধন্যবাদ


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url