আখেরি চাহার সোম্বার আমল - আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা কি বিদআত
বন্ধুরা আজ আমরা আলোচনা করব,আখেরি চাহার সোম্বার আমল - আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা কি বিদআত নিয়ে। আপনারা অনেকেই আখেরি চাহার সোম্বার আমল সম্পর্কে জানতে চান। আবার অনেকেই এটা বিদাআত কিনা সে সম্পর্কে প্রশ্ন করেন। তাদের উদ্দেশ্যে আমার আজকের আখেরি চাহার সোম্বার আমল - আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা কি বিদআত এই আর্টিকেলটি। তো বন্ধুরা আখেরি চাহার সোম্বার আমল - আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা কি বিদআত এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আখেরি চাহার সোম্বার আমল
বন্ধুরা আপনারা কি আখেরি চাহার সোম্বার আমল কি সে সম্পর্কে জানতে চান তাহলে,আখেরি চাহার সোম্বার আমল - আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা কি বিদআত এই পোস্টটি পড়ুন। এই পোস্টটিতে আমি আখেরি চাহার সোম্বা আমল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি চলুন জেনে নেওয়া যাক।
আরো পড়ুনঃ আজ কত তারিখ বাংলা ,ইংরেজি, আরবি
এমন অনেকগুলো বই রয়েছে বাংলাদেশে সেসব বইয়ে যেমন-মকছেদুল মোমেনীন ,বড় চান্দের
খুতবা ইত্যাদি আখেরি চাহার সোম্বা আমল সম্পর্কে বিশদ আলোচনা করা রয়েছে। তবে
এ সম্পর্কে পবিত্র কোরানে বা হাদীস শরীফে কোন বর্ণনা রয়েছে কিনা সে সম্পর্কে
এখনো কিছু জানা যায়নি। এরা শুধু প্রমাণ বিহীন আখেরি চাহার সোম্বা আমলের কথা
উল্লেখ করেছেন।
আর এরা যেহেতু কোন প্রমাণ ছাড়া আখেরি চাহার সোম্বার আমল পেশ করেছে। তাই
আমরা তা গ্রহণ করতে পারি না। কারণ আমরা যদি কোন আমল গ্রহণ করতে চাই তাহলে ,অবশ্যই
আমাদের দেখতে হবে যে তা কোরআন বা হাদিসে আছে কিনা। যেহেতু কোরআন এবং হাদিসে আখেরি
চাহার সোম্বার আমল সম্পর্কে স্পষ্ট কোন বর্ণনা নাই ।সেহেতু আমরা আখেরি চাহার
সোম্বার আমল করতে পারি না।
আখেরি চাহার সোম্বার দিন করণীয় কি
আখেরি চাহার সোম্বার দিন করণীয় এমন কোন কিছু নেই ।আপনারা ইতিমধ্যে জেনে গেছেন আখেরি চাহার সোম্বার আমল সম্পর্কে। তো যেকোনো আমল করার আগে অবশ্যই আপনারা যাচাই-বাছাই করে তারপরে আমল করবেন । অর্থাৎএটা কোরান ও হাদিসে রয়েছে কিনা সে অবগত হবেন।আখেরি চাহার সোম্বার দিন করনীয় কি এ হিসেবে কিছু বিদআত রয়েছে। আর আপনি সেগুলো দেখলেই যাতে চিনতে পারেন ।তাই আখেরি চাহার সোম্বার দিন করনীয় কি সম্পর্কে কিছু বেদাত নিম্নে তুলে ধরা হলোঃ
প্রথম বিদআতঃ বিশেষ নামাজ আদায় করা
অনেকেই আখেরি চাহার সোমবার দিন মাগরিবের পরে বিশেষ কিছু নামাজ আদায় করে। এ ধরনের
নামাজ আদায় করা বেদআত। নামাজ আদায় করা সোয়াবের কাজ হলেও ,আপনাকে ইসলামের নিয়ম
মেনে নামাজ আদায় করতে হবে ।ইসলাম বহির্ভূত কোন নামাজ আদায় করলে তাতে অবশ্যই
সোয়াবের ভাগীদার হতে পারবেন না। তাই অবশ্যই আপনারা আখেরি চাহার সোম্বার দিন
কোন বিশেষ নামাজ আদায় করবেন না।
দ্বিতীয় বিদআতঃ আনন্দ প্রকাশ করা
অনেক মুসলিমই রয়েছে যারা আখেরি চাহার সোম্বার দিন ঈদের মতো আনন্দ করে থাকে।
কেননা তারা মনে করেন এই দিনে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
সুস্থতা আল্লাহ করেছিলেন ।তাই এটি আনন্দের দিন। এটি যদিও গ্রহণযোগ্য বিষয় কেননা
আখেরি চাহার সোম্বার দিন আনন্দ প্রকাশ করা রাসূলুল্লাহ সাল্লাম এর জন্য সুন্নত বা
সাহাবায়ে কেরামগণের আমলের থাকত ।কিন্তু যুগ যুগ ধরে যে এটা চলে আসবে তা নয়।
তৃতীয় বিদআতঃ সফর মাসকে অশুভ মনে করা
যে সকল মুসলমানরা আখেরি চাহার সোম্বা পালন করে ।তারা সফল মাসকে অশুভ বলে মনে
করেন। তারা মনে করেন এই মাসে যেহেতু রাসূলুল্লাহ আলাইহিওয়াসাল্লাম অসুস্থ
হয়েছিলেন ,তাই এই মাসটি অশুভ এবং খারাপ। কিন্তু ইসলামে এর কোন ভিত্তি নেই। কারণ
সকল মাসেই আল্লাহতালা সৃষ্টি করেছেন, কোন মাসই অশুভ হতে পারে না। যদি কেউ মনে করে
থাকে যে সফর মাস অশুভ। তাহলে সে মন গড়া ভাবে তা বলে থাকবে। কারণ কোরআন হাদিসে
কোথাও এ ব্যাপারে উল্লেখ নেই ।তাই মনগড়া ব্যাপার থেকে আপনারা সব সময় সতর্ক
থাকবেন।
আখেরি চাহার সোম্বা কেন গুরুত্বপূর্ণ
আখেরি চাহার সোম্বার আমল - আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা কি বিদআত এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে চলুন রানি বন্ধুরা, আখেরি চাহার সোম্বা কেন গুরুত্বপূর্ণ সে সম্পর্কে। আখেরি চাহার সোম্বা কেন গুরুত্বপূর্ণ কারণ, এই দিনে নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেকদিন অসুস্থ থাকার পর আরোগ্য লাভ করেছিলেন ।তাই এই দিকে কেন্দ্র করে মুসলমান বিশ্ব গুরুত্ব সহকারে এটা পালন করে।
আরো পড়ুনঃ ১০ টি বর্ষাকালীন সবজির নাম
১১ হিজরী নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অনেক অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং
তার শারীরিক অসুস্থতা দিন দিন বৃদ্ধি পেতে থাকে। এই অসুস্থতার কারণে মহানবী
সাল্লাল্লাহু সাল্লাম ইমামতি পর্যন্ত করতে পারছিলেন না। শরীরে প্রচন্ড তাপ এবং
মাথা ব্যাথার কারণে তিনি বারবার বেহুশ হয়ে পড়েছিলেন এবং দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার
পর তিনি সফর মাসের ২৮ তারিখ শেষ বুধবার কিছুটা সুস্থতা লাভ করেন।
আর সেই দিনে তিনি গোসল করে মসজিদে ইমামতি করেন এবং এই গোসলে ছিলেন নবী করীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনের শেষ গোসল এবং শেষ ইমামতি । নবী কারীম
সুস্থ হয়ে গেলে মদিনা বাসি খুশি হয়ে দলে দলে এক নজর দেখতে আসেন আসেন নবীজি
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে। আর সেই দিনটি ছিল সফর মাসের শেষের বুধবার। এ
কারণে আখেরি চাহার সোম্বা মুসলমানদের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ।
কিন্তু সেই দিনের বেলা শেষে নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম আবার অসুস্থ হয়ে
পড়েন এবং কিছুদিন পর তিনি ১২ই রবিউল আউয়াল মৃত্যুবরণ করেন।
আখেরি চাহার সোম্বা কয় তারিখ ২০২৩
আখেরি চাহার সোম্বা কয় তারিখ ২০২৩ সম্পর্কে আপনারা যদি জানতে চান তাহলে,আখেরি চাহার সোম্বার আমল - আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা কি বিদআত এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
১৮ই আগস্ট রবিবার বাংলাদেশের আকাশে সফর মাসের চাঁদ দেখা গেছে এবং এই হিসাব অনুযায়ী ১৯ আগস্ট থেকে সফল মাসের দিন গণনা হয় এবং এ অনুযায়ী পবিত্র সফর মাসের ২৪ তারিখ এবং ইংরেজি মাসের ১১ই সেপ্টেম্বর ২০২৩ আখেরি চাহার সোম্বা পালিত হবে।
আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা কি বিদআত
আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা কি বিদআত এ সম্পর্কে অনেক ওলামা মতবাদ প্রকাশ করে থাকেন। আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা বিদআত কিনা এ সম্পর্কে না জেনেই অনেকেই আখেরি চাহার সোম্বা অনেক গুরুত্ব সহকারে পালন করে থাকে।আখেরি চাহার সোম্বার আমল - আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা কি বিদআত এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে চলুন জানি আখেরি সাহায্য বা পালন করা কি বিদআত সে সম্পর্কে।
আখেরি চাহার সোম্বা দিন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম
দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকার পর সফর মাসের শেষের বুধবারের এই দিনটিতে সুস্থতা লাভ
করেছিলেন। তবে কোন হাদিস শরীফে প্রমাণিত হয়নি নবীর কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম কোন দিন অসুস্থ হয়েছিলেন এবং কোন দিন সুস্থতা লাভ করেছিলেন।
তবে সারা বিশ্বের মুসলিম ওমরা সফর মাসের শেষের বুধবার দিনটিতে নবী কারীম
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুস্থতা কামনা করেন এবং অনেক আনন্দ উদযাপন
করে থাকেন। কিন্তু সুস্থতা হওয়ার পাশাপাশি নবী কারীম বেলা শেষে আবার অসুস্থ হয়ে
পড়েন এবং ১২ই রবিউল আউয়াল মৃত্যুবরণ করেন।
এ সম্পর্কের সহিহ হাদিস বুখারী সংকলিত হাদিসে আয়েশা রাদিয়াল্লাহু বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন আমার গৃহে প্রবেশ করেন এবং তার অসুস্থতা বৃদ্ধি পেল ।তখন তিনি বললেন তোমরা আমার উপরে সাত মশক পানি ঢালো ।যেন আমি আরাম বোধ করে লোকদের নির্দেশনা দিতে পারি। তখন আমরা তার দেহে পানি ঢাললাম। এরপর তিনি মানুষদের নিকট বেরিয়ে যেয়ে তাদেরকে নিয়ে সালাত আদায় করলেন ।এবং তাদেরকে খুতবা প্রদান করলেন । (সহীহ বুখারীঃ১/৮৩,৮/১৬১৪,৫/২১৬০)।
আরো পড়ুনঃ সিজারের পর ইনফেকশনের লক্ষণসমূহ
তো বন্ধুরা আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা কি বিদআত কিনা এই আর্টিকেলটি পড়ার মাধ্যমে আপনারা বুঝতে পারবেন। তো বন্ধুরা, আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা কি বিদআত কিনা তা জানুন আখেরি চাহার সোম্বার আমল - আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা কি বিদআত এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।
শেষ কথা
বন্ধুরা আখেরি চাহার সোম্বার আমল - আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা কি বিদআত এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লাগলো। তো বন্ধুরা আপনাদের কাছে প্রশ্ন রইল আপনারাই কমেন্ট করে আমাদের জানিয়ে দেবেন যে আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা কি বিদআত না সোয়াব সে সম্পর্কে। তো বন্ধুরা আপনাদের মঙ্গল কামনায় বিদায়।-
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url