টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না - টনসিল ফোলা কমানোর উপায়


আজকের আর্টিকেলে আমরা আলোচনা করব ,টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না - টনসিল ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে। টনসিল হলো আমাদের গলার দুই দিকে থাকা লিফ্টোয়েট অঙ্গ। আমাদের গলার ভেতরে চারটি টনসিল আছে এগুলো হলো-টিউবাল, লিঙ্গুয়াল, প্যালাটাইন এবং এডিনয়েড। এগুলোর কোন একটি আঘাতপ্রাপ্ত হলে বা স্ফুটিত হলে তখন সে অবস্থাকে টনসিলাইটিস বলে। তো আপনারা যারা ,টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না - টনসিল ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তারা আমার টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না - টনসিল ফোলা কমানোর উপায় এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জেনে নিন।

কারণ এই আর্টিকেলটিতে আমি টনসিল সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি।টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না - টনসিল ফোলা কমানোর উপায় এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে আরো আলোচনা করব, টনসিল কি, টনসিল হওয়ার লক্ষণ সমূহ কি, টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না, টনসিল হলে করণীয়, টনসিল এর চিকিৎসা, টনসিলের ঔষধের নাম কি, টনসিল ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে।

টনসিল কি

টনসিল হলো আমাদের গলার দুই দিকে থাকা লিফ্টোয়েট অঙ্গ। আমাদের গলার ভেতরে চারটি টনসিল আছে এগুলো হলো-টিউবাল, লিঙ্গুয়াল, প্যালাটাইন এবং এডিনয়েড। এগুলোর কোন একটি আঘাতপ্রাপ্ত হলে বা স্ফুটিত হলে তখন সে অবস্থাকে টনসিলাইটিস বলে।

আরো পড়ুনঃ মেছতা দূর করার ঔষধ - মেয়েদের মুখের মেছতা দূর করার ক্রিম

টনসিল হলে গলা ব্যথা করে এবং কিছু খাওয়া যায় না, এমনকি পানিও পান করা যায় না। টনসিল অবস্থায় জ্বর হয় সে সাথে গলা ব্যথা করে এবং ঔষধ খাওয়া যায় না।

টনসিল হওয়ার লক্ষণ সমূহ কি 

টনসিলের কিছু লক্ষণ রয়েছে। আর এইসব লক্ষণ দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার টনসিল হয়েছে।টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না - টনসিল ফোলা কমানোর উপায় এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে চলুন জেনে নেই টনসিল হওয়ার লক্ষণ সমূহ কি সে সম্পর্কে।

  • টনসিল হলে গলা ব্যথা করবে
  • টনসিলের ওপর সাদা কিংবা হলুদ রঙের আবরণ পড়বে
  • ঢোক গিললে ব্যথা অনুভূত হবে
  • মুখ, কান এবং গলা উভয় ব্যথা করা শুরু করবে
  • গলার ভেতরের দুই দিকে ফুলে যাবে
  • গলা ব্যথা থেকে শুরু করে জ্বর হবে
  • মুখে দুর্গন্ধ
  • মুখ দিয়ে লালা বের হয় ও কণ্ঠস্বর ভারী হয়ে যেতে পারে
  • খাবার খেতে কষ্ট ও মুখ হাঁ করতে অসুবিধা হয়
  • গলায় খসখসে ভাব
  • মাথা ব্যাথা ও তাপমাত্রা
  • গলার স্বর পরিবর্তন হবে
  • পানি কিংবা কোন খাবার খাওয়ার সময় গলায় আটকে যাবে এবং ব্যথা হবে।

উপরিক্ত উপসর্গগুলো মূলত টনসিলের লক্ষণ। এই লক্ষণ গুলো দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার টনসিল এর সমস্যা হয়েছে।

টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না 

যাদের টনসিলের সমস্যা রয়েছে তাদের অনেক কিছু খাবার বেঁচে খেতে হবে। এতে করে টনসিলের ব্যথা কমানো সম্ভব হবে। টনসিলের মাত্রা অধিক হয়ে গেলে সেটি অস্ত্রোপচার অব্দি যেতে হতে পারে। তো চলুন জেনে নেওয়া যাক ,টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না - টনসিল ফোলা কমানোর উপায় এই পোষ্টির মাধ্যমে টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবেনা সে সম্পর্কে।

  • যে সকল খাবারে পরিমাণের চেয়ে তেল এবং মসলা বেশি রয়েছে সেসব খাবার খাওয়া যাবেনা।
  • কোন ধরনের জাঙ্ক ফুট জাতীয় খাবার যেমন- চিপস, কোমল পানীয় ,বার্গার ইত্যাদি খাওয়া যাবেনা।
  • ফুলকপি, বাঁধাকপির, ব্রকলি ইত্যাদি খাবার খাবেন না ।এগুলোর টনসিলের ব্যথা বৃদ্ধি করে দেয়।
  • টক জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না ।টক জাতীয় খাবার টনসিলের ব্যথা বৃদ্ধি করে।
  • কোন ধরনের শক্ত খাবার খাবেন না।
  • শক্ত খাবার না খেয়ে নরম জাতীয় খাবার খান ।কারণ শক্ত খাবার টনসিল বৃদ্ধিতে সহায়ত করে।

তো বন্ধুরা অবশ্যই আপনারা টনসিল হলে উপরোক্ত খাবারগুলো খাবেন না। এতে করে টনসিলের ব্যথা থেকে আপনারা মুক্তি পাবেন।

টনসিল হলে করণীয় 

টনসিল হলে করণীয় হিসেবে আপনারা যেগুলো করতে পারেন সেগুলো নিম্নে দেওয়া হলোঃ

আরো পড়ুনঃ কোন ভিটামিনের অভাবে শরীর দুর্বল হয় - শরীর দুর্বল হলে কি খেতে হয়

  • প্রচুর পরিমাণে তরল পান করুন।
  • বেশি করে বিশ্রাম নিন।
  • নরম খাবার খান।
  • লবণ পানি দিয়ে গার্গেল করুন।
  • গলায় গরম সেঁক দিন।

টনসিল এর চিকিৎসা 

টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না - টনসিল ফোলা কমানোর উপায় এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমরা জানবো টনসিলের চিকিৎসা সম্পর্কে।

টনসিল এর চিকিৎসায় সাধারণত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন খুব তাড়াতাড়ি কাজ করে থাকে। কিন্তু ক্রনিক টনসিলের ক্ষেত্রে এটি বেশ দীর্ঘ সময় নেয়। তাই হোমিও ঔষধ দীর্ঘ সময় নিয়ে চালাতে হয় । এটি যদি গুরুতর পর্যায়ে চলে যায় তাহলে অপারেশন করে নেওয়াটাই ভালো।

টনসিলের ঔষধের নাম কি 

আপনাদের যদি টনসিলের কারণে গলা ব্যথা কিংবা সমস্যা দেখা দেয়। তাহলে টনসিলের ঔষধ খেতে পারেন। তো বন্ধুরা আপনারা কি জানতে চাচ্ছেন টনসিলের ঔষধের নাম কি। তাহলে জেনে নিন টনসিলের ঔষধের নাম।

Cephradine 500mg/Lebac 500mg এই ট্যাবলেট সকালে এবং রাতে একটানা ৭ দিন খেতে পারেন। যদি টনসিলের ব্যথা থাকে তাহলে Reservix 100mg সকালে এবং রাত্রে খেতে হবে।

এগুলো ছাড়াও আপনি E Fix 100mg ট্যাবলেট খেতে পারেন টনসিলের গলা ব্যথার কারণে। এটি এন্টিবায়োটিক হিসেবে কাজ করে এবং গলায় সৃষ্ট ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে।

তবে বন্ধুরা অবশ্যই টনসিলের ঔষধ গুলো খাওয়ার আগে ভালো কোন ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী খাবেন। এবং কোন সমস্যা তৈরি হলে অবশ্যই ডাক্তার দেখাবেন।

টনসিল ফোলা কমানোর উপায়

টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না - টনসিল ফোলা কমানোর উপায় এই পোষ্টের মাধ্যমে আমরা জানবো টনসিল ফোলা কমানোর উপায় সম্পর্কে।

আরো পড়ুনঃ কি খেলে বাতের ব্যথা বাড়ে - বাতের ঔষধের নাম

টনসিল ফোলা কমানোর জন্য আপনারা হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খেতে পারেন। এটা খেলে টনসিল ফোলা খুব তাড়াতাড়ি ভালো হয়ে থাকে। তবে ক্রনিক টনসিলের ক্ষেত্রে বেশ দীর্ঘ সময় হোমিও ঔষধ খেতে হয়। টনসিল যদি খুব গুরুতর অবস্থায় চলে যায় তাহলে অপারেশন করে নেওয়াটাই ভালো।

শেষ কথা

আশা করছি ,টনসিল হলে কি কি খাওয়া যাবে না - টনসিল ফোলা কমানোর উপায় এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা টনসিল সম্পর্কে অনেক বিষয়ে বিস্তারিতভাবে জানতে পেরেছেন। আপনারা যারা আমার এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ছেন তাদের ধন্যবাদ জানাই। এবং যারা এই পোস্টটির মাধ্যমে উপকৃত হয়েছেন, তারা একটি কমেন্টের মাধ্যমে অবশ্যই আমাকে জানিয়ে দেবেন। আপনাদের শুভ কামনায় বিদায়।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url