১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৩ - ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিল
বন্ধুরা আজকে আমরা আলোচনা করব ,১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৩ - ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিলনিয়ে। আপনারা অনেকেই ১৬ ডিসেম্বরের বিজয় দিবস বক্তব্য সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাদের জন্য আমার আজকের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৩ - ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিল এই পোস্ট।
ভূমিকা
প্রিয় বন্ধুরা আজকে আমি আলোচনা করব আপনাদের সাথে,১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৩ - ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিল এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে,বিজয় দিবসের তাৎপর্য,১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৩,১৬ ডিসেম্বর নিয়ে কিছু কথা,১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিল তা নিয়ে। তো বন্ধুরা আপনারা যদি ১৬ই ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য এবং১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিল সে সম্পর্কে জানতে চান ।তাহলে এই পোস্টটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
বিজয় দিবসের তাৎপর্য
আমাদের কাছে ১৬ই ডিসেম্বর এর গুরুত্ব অপরিসীম । কারণ বাঙালি জাতির মনে স্বাধীনতার
বীজ বপন করা হয়েছিল ১৯৫২ সালে ভাষা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে। বিভিন্ন চড়াই উৎরাই
পেরিয়ে ১৬ই ডিসেম্বরে আমরা স্বাধীনতা লাভ করে বিশ্ব মন্ডলে পরিচিত হই। এ কারণেই
১৬ই ডিসেম্বর আমাদের কাছে এত গুরুত্বপূর্ণ এবং এই দিনটিকে পালন করার মধ্য দিয়ে
মুক্তিযুদ্ধ ,মুক্তিযোদ্ধা ও বীর শহীদদের কথা স্মরণ করি। এর সাথে সাথে সমস্যা
বিশ্ববাসী এটা স্মরণ করে। ও নতুন প্রজন্মের কাছে আমরা এটা তুলে ধরে থাকি।
আরো পড়ুনঃ ঈদে মিলাদুন্নবী কত তারিখ ২০২৩
এই দিনটি পালনের মধ্য দিয়ে আমাদের মনে দেশপ্রেম জাগ্রত হয়। এই দিনটিতে আমরা
গভীর শ্রদ্ধায় মুক্তিযুদ্ধের সময় নিহত সকল শহীদদের এবং সম্ভ্রম হারানো মা
বোনদের স্মরণ করে থাকি। তবে শুধু বিজয় দিবস উদযাপন নয়। বিজয় দিবসের তাৎপর্য
আমাদের মনে ধারণ করতে হবে এবং দলবল নির্বিশেষে সকলে মুক্তিযোদ্ধাদের স্বপ্ন
বাস্তবায়নে এগিয়ে আসতে হবে।
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৩
আমরা যারা ১৬ ডিসেম্বর সম্পর্কে বক্তব্য দিতে চাই ।তাদের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৩ সম্পর্কে জানতে হবে। তো বন্ধুরা আপনারা ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৩ - ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিল এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন। নিম্নে বিজয় দিবসের সংক্ষিপ্ত বক্তব্য আলোচনা করা হলোঃ
বিসমিল্লাহির রহমানির রাহিম
আসসালামু আলাইকুম ,আজকের এই মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে অনুষ্ঠানে উপস্থিত সম্মানীয়
উপস্থিত আমার সমবয়সী রাজনৈতিক কর্মীরা ,সম্মানীয় ব্যক্তিবর্গ ,সহপাঠী এবং আমার
শিক্ষক সবাইকে জানাই আমার পক্ষ থেকে সালাম ও মহান বিজয় দিবসের অভিনন্দন ও
শুভেচ্ছা।
১৬ ডিসেম্বর আজকের এই দিনটি আমাদের কাছে অর্থাৎ বাঙালি জাতির কাছে অবিস্মরণীয়
একটি ইতিহাস। কারণ ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ৩০ লক্ষাধিক মানুষের প্রাণের
বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে আমাদের এই বিজয় ।যা মহান বিজয় দিবস নামে পরিচিত। আমাদের
আজকের এই বিজয় শত শত মা বনের সম্ভ্রমের লুটপাটের এ বিজয়। আমরা সেই সব আলোকিত
মানুষদের স্মরণ করি যাদের আলোর স্পর্শে এসেছে আমাদের মুক্তভাবে বাঁচার অধিকার।
প্রাণের মায়া ত্যাগ করে যারা এ বিজয় এনে দিয়েছি তাদের জানায় হাজারো সালাম। কত
বাধা কত অন্তরায় পেরিয়ে এসেছে এ বিজয় । হাজারো দেশদ্রোহী জঞ্জালে উত্তপ্ত ছিল
এদেশের মাটি। আমাদের এই দেশের স্বার্থে যারা প্রাণ দিল তারাই ছিল জয়ের সারথি।
মা মাটি চায় চাই ওরাও মায়ের স্বাধীনতা যেখানে থাকবে না চলার পথে কোন বাধা । এই বিজয়কে ছিনিয়ে আনতে কত যে নির্যাতন সইতে হয়েছে সেটা বলার ভাষা আমার নেই। আর এত এত নির্যাতন ও মর্মান্তিক ঘটনা ছিল কি কারণে। কারণ আমরা বাঙালিরা চেয়েছিলাম শুধু নিজের মাতৃভাষা ধরে রাখতে, আমরা চেয়েছিলাম আমাদের নিজের মাতৃভূমিকে ধরে রাখতে, আমরা বাঙালি জাতি আমরা চেয়েছিলাম শুধু স্বাধীনভাবে বাঁচতে। এটা কোন বড় চাওয়া ছিল না।
অবশেষে অনেক স্মরণীয় ব্যক্তি বর্গ ত্যাগ এবং বাঙালি জাতির মৃত্যু , শত শত মা বোনদের সম্ভ্রম হারানোর বিনিময়ে আজকের এই বিজয় আমরা পেয়েছি। তাই আমাদের সকলেরই উচিত আমাদের দেশকে ভালোবাসা। আমাদের দ্বারা আমাদের দেশের যেন কোন ক্ষতি না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা। এবং সেই সাথে লাখো কোটি সালাম জানাই সেইসব শহীদদের যাদের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি স্বাধীন দেশ স্বাধীন বাঁচতে বাচার অধিকার।
আরো পড়ুনঃ ২০২৩ সেপ্টেম্বর মাসের ছুটি ও দিবস সমূহ
আমার কথা আর দীর্ঘায়িত না করে,পরিশেষে বলতে চাই ।যে আমরা যেন মা মাটির জন্য
দেশের জন্য নিঃস্বার্থভাবে সব কাজ করতে পারি ।এবং লক্ষ লক্ষ শহীদদের মর্যাদা
বোঝায় রাখতে পারি।
আর কে বলে আমার বক্তব্য আমি এখানেই শেষ করছি ।
সবাই ভাল থাকেন সুস্থ থাকেন।
আল্লাহ হাফেজ।
১৬ ডিসেম্বর নিয়ে কিছু কথা
যে মহান আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয়েছে স্বাধীনতা আমরা তাদেরকে শ্রদ্ধা ভরে
স্মরণ করি, প্রদর্শন করি সর্বোচ্চ সম্মান। দেশ চেতনায় উদ্ভূত হয়ে বাঙালি জাতিরা
ঝাঁপিয়ে পড়েছিল প্রাণপণ যুদ্ধে সেই চেতনা আমরা কতটুকু লালন করতে পেরেছি আর
কতটুকু তা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি এই নিয়ে রয়েছে অনেক প্রশ্ন। দুর্নীতিমুক্ত
বাংলাদেশ করার প্রত্যয়ে সংযুক্ত হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধ তার কতটুকু সাফল্যমন্ডিত
হয়েছে তা নিয়ে রয়েছে সন্দেহ।
বিজয় দিবসে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একে অপরের সাধ্যের কথা বিবেচনা করে একই কাতারে
দাঁড়িয়ে পড়ি আমরা ঠিক একইভাবে বছরের অন্যান্য দিনগুলোতেও দাঁড়াতে পারি না কেন
এই নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। আর এগুলো নিয়ে ভাবার সময় এসে গেছে। আর এখনই আমাদের
ভাবতে হবে। এবং সোনার বাংলাকে করার জন্য কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে একসাথে কাজ করতে হবে
আমাদের।
কারণ মহান মুক্তিযুদ্ধে অর্জিত হওয়ার স্বাধীনতা আমাদের জীবনের এক ঐতিহাসিক
অধ্যায়ের সাক্ষী। এবং ১৬ই ডিসেম্বর বাঙালি জাতির জীবনে অন্যতম এক গুরুত্বপূর্ণ
অধ্যায়। বিজয় দিবসে জাতীয় জীবনে আমরা কতটুকু সফলতা অর্জন করতে পেরেছি তা নিয়ে
কিছু কথা তুলে ধরলাম । আশা করছি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার উদ্ভূত হয়ে আজকের উপস্থিত
কথাগুলো আপনাদের অন্তরে দাগ কেটে যাবে। এবং আমি এখানে বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা
জানিয়ে সকলের কাছ থেকে বিদায় নিচ্ছি।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিল
বন্ধুরা আপনারা যারা ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর কি বার ছিল এই সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তারা ,১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৩ - ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিল এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জেনে নিন।
আরো পড়ুনঃ জরুরি লোন বাংলাদেশ ২০২৩ - সহজ কিস্তিতে লোন
১৯৭১ সালে ১৬ ডিসেম্বর ছিল বৃহস্পতিবার।
আশা করছি বন্ধুরা আপনারা ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিল এ সম্পর্কে জানতে
পেরেছেন।
শেষ কথা
বন্ধুরা আপনাদের কাছে ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস বক্তব্য ২০২৩ - ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর কি বার ছিল এই আর্টিকেলটি কেমন লেগেছে। আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে। কারণ এই আর্টিকেলটিতে আমি ১৬ই ডিসেম্বর অর্থাৎ বিজয় দিবস সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আর বিজয় দিবস সকলেরই একটি আনন্দের দিন। তো বন্ধুরা পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url