হাঁসের ডিমের উপকারিতা
বন্ধুরা আজকে আমরা আলোচনা করব ,হাঁসের ডিমের উপকারিতা নিয়ে। অনেক বন্ধুরা রয়েছেন যারা জানতে চেয়েছেন হাসির টিমের উপকারিতা সম্পর্কে। তো তাদের জন্য মূলত আজকের হাঁসের ডিমের উপকারিতা এই আর্টিকেলটি। মুরগির ডিমের চেয়ে হাসির ডিমের উপকারিতা অনেক বেশি ।হাঁসের ডিম মুরগির ডিমের তুলনায় আকারে একটু বড় হয়ে থাকে।
এবং হাঁসের ডিমের খোসা শক্ত হওয়ার কারণে এটি ৬ সপ্তাহ পর্যন্ত ঘরে রেখে খাওয়া যায় কোন প্রকার ফ্রিজিং ছাড়া। হাঁসের ডিমের উপকারিতা হল যারা বেশি এবং খেতে চান বা প্রোটিন পেতে চান তারা হাসের ডিম খান। তো বন্ধুরা চলুন নিম্নে হাঁসের ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।ভূমিকা
বন্ধুরা আজকে আমি আপনাদের জন্য নিয়ে এসেছি হাঁসের ডিমের উপকারিতা। অনেক বন্ধুরা রয়েছেন যারা হাঁসের ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চান। তারা হাঁসের ডিমের উপকারিতা এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
আরো পড়ুনঃ ডাবের পানির ২০ টি উপকারিতা - গর্ভাবস্থায় ডাবের পানির উপকারিতা
কারণ এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি হাঁসের ডিমের উপকারিতা, মুরগি না হাঁসের ডিমের পুষ্টি বেশি, একটি হাঁসের ডিমে যে পরিমাণ পুষ্টি থাকে , হাঁসের ডিমের অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। তো চলুন বন্ধুরা নিম্নে জেনে নেই হাঁসের ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
মুরগি না হাঁসের ডিমের পুষ্টি বেশি
বন্ধুরা আপনারা কি জানেন যে ১০০ গ্রাম হাঁসের ডিম থেকে ১৮৫ কিলো ক্যালরি এনার্জি
পাওয়া যায়। আর যেখানে ১০০ গ্রাম মুরগির ডিম থেকে পাওয়া যায় ১৪৯ কিলো ক্যালরি
এনার্জি। তবে কার্বোহাইড্রেট ও মিনারেল এর পরিমাণ হাঁসের ডিমে ও মুরগির ডিমের
সমান । কিন্তু প্রোটিনের পরিমাণ হাঁসের ডিমে সামান্য বেশি হয়ে থাকে।
মুরগি ও হাঁস উভয়ের ডিমেই নিয়াসিন, রাইবোফ্লোবিন, থিয়ামিন ,প্যান্টোথেণিক
এসিড, ভিটামিন বি ৬, ভিটামিন ই ,ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি ,ভিটামিন বি ১২ ও রেটিনাল
থাকলেও হাঁসের ডিমে সব ভিটামিনের পরিমাণই বেশি থাকে। অর্থাৎ ১০০ গ্রাম হাঁসের
ডিমে ক্যালসিয়াম ৭০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন এ ২৬৯ মাইক্রগ্রাম ও লৌহ ৩ মিলিগ্রাম
থাকে। যেখানে মুরগির ডিমে থাকে ৬০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম, ভিটামিন এ ২৯৯
মাইক্রগ্রাম ও লৌহ দুই দশমিক এক মিলিগ্রাম।
বন্ধুরা আশা করছি এটা থেকে অবশ্যই আপনারা বুঝতে পেরেছেন যে, মুরগি না হাঁসের ডিমের পুষ্টি বেশি।
একটি হাঁসের ডিমে যে পরিমাণ পুষ্টি থাকে
আপনারা জানলে অবাক হবেন যে একটি হাঁসের ডিমে যে পরিমাণ পুষ্টি থাকে ।হাঁসের ডিমের উপকারিতা আর্টিকেলটির মাধ্যমে চলুন জেনে নেই একটি হাঁসের ডিমের যে পরিমাণ পুসি থাকে সে সম্পর্কে। নিম্নে সে সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
- চর্বি = ১০ গ্রাম
- প্রোটিন = ৯ গ্রাম
- ক্যালসিয়াম = ১৩০ গ্রাম
- ফাইবার = ০ গ্রাম
- কার্বোহাইড্রেট = ১ গ্রাম
- চিনি = ১ গ্রাম
হাঁসের ডিমের উপকারিতা
আমরা অনেকেই জানি যা হাঁসের ডিম তুলনামূলক মুরগির ডিমের চেয়ে একটু বড় হয়ে থাকে ।ফলে হাঁসের ডিমের কুসুমও বড় হয়। ফলে এতে এক্সট্রা পুষ্টি ও পাওয়া যায়। আবার হাঁসের ডিম খেতে অনেকটা সুস্বাদু তবে অনেকেই হাসের ডিম পছন্দ করেন না। যারা হাঁসের ডিম পছন্দ করেন না এটি তাদের নিজেদের ব্যাপার । তবে আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব ,হাঁসের ডিমের উপকারিতা এই আর্টিকেলটি প্রসঙ্গে হাসির ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে। তো চলুন বন্ধুরা নিম্নে হাঁসের ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেইঃ
আরো পড়ুনঃ আমলকির উপকারিতা ও অপকারিতা - চুলের যত্নে আমলকির উপকারিতা
- হাঁসের ডিমে থাকা ম্যাগনেসিয়াম , জিংক,সেলেনিয়ান শরীরের ক্লান্তি দূর করতে সহায়তা করে।
- হাঁসের ডিমে অন্য সব ডিমের তুলনায় বেশি প্রোটিন থাকে । আর এই প্রোটিন শরীরের চরবিহীন পেশী গঠনে সাহায্য করে থাকে এর পাশাপাশি ওজন নিয়ন্ত্রণে হাঁসের ডিম উপকারী।
- আবার হাঁসের ডিমের তালিকায় রয়েছে প্রচুর ভিটামিন। যেমন-
- ভিটামিন বি ৩-ব্রণ এক্সিমা ডার্মাটাইটিস করে।
- ভিটামিন বি১-স্ট্রেস কমায়।
- ভিটামিন বি ৫-ত্বক আর্দ্রতা প্রদান করে।
- ভিটামিন বি৯-মৃত কোষকে নতুন কোষে প্রতিস্থাপন করে থাকে।
- ভিটামিন বি ৭-ত্বকে সংক্রমণ থেকে মুক্তি দেয়।
- হাঁসের ডিম ভিটামিন ডি এর অভাব পূরণ করতে সাহায্য করে থাকে।
তো বন্ধুরা আপনাদের হাঁসের ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানালাম ।আশা করছি
আপনারা এ সম্পর্কে জেনে উপকৃত হবেন। তবে হাঁসের ডিম খেলে এলার্জি বা হৃদরোগ দেখা
দিতে পারে। তাছাড়াও হাঁসের ডিম রান্না করে খেলে এর পুষ্টিগুণ কমে যায়।
হাঁসের ডিমের অপকারিতা
হাঁসের ডিমের উপকারিতা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে চলুন জানি হাঁসের ডিমের অপকারিতা সম্পর্কে। যদিও হাঁসের ডিমের উপকারী গুনাগুন বেশি তবুও এর কিছু অপকারিতা রয়েছে। হাঁসের ডিম খেলে এলার্জি বা হৃদরোগ দেখা দিতে পারে। চলন নিম্নে হাঁসের ডিমের অপকারিতা সম্পর্কে জেনে নিই।
এলার্জি
ডিমের এলার্জির লক্ষণ ত্বকের ফুসকুড়ি থেকে বমি বা ডায়রিয়া ও বদ হজম পর্যন্ত হতে পারে। আবার অনেক সময় গুরুতর ক্ষেত্রে , একটি খাদ্য এলার্জি শ্বাস-প্রশ্বাসের প্রভাবিত করতে পারে এবং জীবন হুমকি হতে পারে।
তবে হাঁস এবং মুরগির ডিমের প্রোটিন একই ধরনের অভিন্ন কোন কিছু এতে নেই। অনেক সময়
যাদের এক ধরণের ডিমে এলার্জি আছে তাদের অন্য ধরনের ডিমে এলার্জি নাও থাকতে পারে।
তাই যাদের মুরগির ডিমে এলার্জি থাকে তারা হাঁসের ডিম খেতে পারেন এবং যাদের হাঁসের
ডিমে এলার্জি থাকে তারা মুরগির ডিম খেতে পারেন।
হৃদরোগ
মুরগির ডিমের তুলনায় হাঁসের ডিমের কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি থাকে। তবে অনেক
গবেষণায় মত যে, ডিমের কুসুম থাকা কোলেস্টরেল সুস্থ মানুষের হৃদরোগের ঝুকি
বাড়ায় না।
তবে ডিমের কুসুম কিছু কিছু মানুষের মধ্যে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়াতে
পারে। আবার এটি অনেক সময় ভালো কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়।
তবে উচ্চ কলেস্টেরলের কারণে হাঁসের ডিম সবার জন্য নিরাপদ নাও হতে পারে। বিশেষ করে
যাদের ডায়াবেটিকস পারি রোগের সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য এটি নিরাপদ নয়।
আরো পড়ুনঃ আঙ্গুর ফলের অপকারিতা - সবুজ আঙ্গুর ফলের উপকারিতা
কিছু গবেষণা দেখা গেছে যে ডিমের কুসুমে থাকা কলিন হৃদরোগের আরেকটি ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
শেষ কথা
আশা করছি বন্ধুরা আপনারা হাঁসের ডিমের উপকারিতা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে হাঁসের ডিমের উপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন। হাঁসের ডিমের উপকারিতার পাশাপাশি আমি আলোচনা করেছি হাঁসের ডিমের উপকারিতা হাঁসের ডিমের পুষ্টিগুণ এবং মুরগি না হাঁসের ডিমের পুষ্টি বেশি সে সম্পর্কে। আশা করছি এই আর্টিকেলটি থেকে আপনারা উপকৃত হতে পারবেন। তো বন্ধুরা আমাদের পোস্টটি ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। অথবা আমাদের পোস্টটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।-ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url