ঈদে মিলাদুন্নবী কত তারিখ ২০২৩
প্রিয় পাঠক বন্ধুরা আজ আমি আলোচনা করব, ঈদে মিলাদুন্নবী কত তারিখ ২০২৩ সম্পর্কে। আপনারা অনেকেই ,ঈদে মিলাদুন্নবী কত তারিখ ২০২৩ সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন। তাদের জন্য আজ আমার এই পোস্ট তো বন্ধুরা মনোযোগ সহকারে পড়ুন তাহলে,ঈদে মিলাদুন্নবী কত তারিখ ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। বাংলাদেশের মুসলমানরা ঈদে মিলাদুন্নবী অনেক আনন্দের সাথে পালন করে থাকে।
ঈদে মিলাদুন্নবী মানে কি
ঈদে মিলাদুন্নবী মানে কিঃ ঈদ অর্থ আনন্দ বা খুশি, আর মিলাদ শব্দের অর্থ জন্মের সময় বা আগমন সময়। অর্থাৎ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মের সময় বা আগমনের সময়। সহজ ভাবে বলতে গেলে ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম বা আগমন।
আরো পড়ুনঃ আখেরি চাহার সোম্বা কি - আখেরি চাহার সোম্বা পালন করা কি জায়েজ
নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মদিন তথা প্রিয় নবীর আগমন
উপলক্ষে আল্লাহর শুকরিয়াতে শরীয়ত সম্মতভাবে খুশি বা আনন্দ উদযাপনে অনুষ্ঠান
করাই হলো ঈদে মিলাদুন্নবী।
ঈদে মিলাদুন্নবী কত তারিখ ২০২৩
ঈদে মিলাদুন্নবী কত তারিখ ২০২৩ নিম্নে সে সম্পর্কে আলোচনা করা হলোঃ
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ইং বৃহস্পতিবার অর্থাৎ ১৩ই আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ ১২ই রবিউল
আউয়াল ১৪৪৪ হিজরি তারিখে ঈদে মিলাদুন্নবী অনুষ্ঠিত হবে।
ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন
ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন আসন জানি সে সম্পর্কে।ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থ হলঃ ঈদ অর্থ আনন্দ বা খুশি, আর মিলাদ শব্দের অর্থ জন্মের সময় বা আগমন সময়। অর্থাৎ মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মের সময় বা আগমনের সময়। সহজ ভাবে বলতে গেলে ঈদে মিলাদুন্নবী অর্থ নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্ম বা আগমন। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জন্মদিন তথা প্রিয় নবীর আগমন উপলক্ষে আল্লাহর শুকরিয়াতে শরীয়ত সম্মতভাবে খুশি বা আনন্দ উদযাপনে অনুষ্ঠান করাই হলো ঈদে মিলাদুন্নবী। প্রিয় নবীজি সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর মিলাদ উপলক্ষে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করা মুমিনদের অবশ্যই উচিত।
আল্লাহপাক কুরআনে বলেছেন , আল্লাহ মুমিনদের প্রতি অবশ্যই অনুগ্রহ করেছিলেন যে ,তিনি তাহাদের নিজেদের মধ্যে হইতে তাহাদের নিকট রাসূল প্রেরণ করিয়াছেন ,যে তাহার আয়াত সমূহ তাদের নিকট তেলাওয়াত করে তাদেরকে পরিশোধন করে এবং কিতাব ও হিকমত শিক্ষা দেয় ।যদিও তারা পূর্বে অস্পষ্ট বিভ্রান্তিতে ছিল (সূরা আল ইমরান আয়াত ১৬৪)।
কাজেই আল্লাহ পাক নবীজি সাঃ কে আমাদের মাঝে পাঠিয়ে রহমত বা দয়া অনুগ্রহ করেছেন।
নবী করিম যে শুধুমাত্র ঈমানের জন্য রহমত তাই নয় তিনি সমগ্র জগত সমূহের জন্য
রহমত।
এর সম্পর্কে আল্লাহ বলেন, "আমি আপনাকে বিশ্ববাসীর জন্য রহমত স্বরূপী প্রেরণ
করেছি"।
এ থেকে বোঝা যায় নবী কারীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম আমাদের জন্য আল্লাহ তাআলার
রহমত, ফজল, দয়া, অনুগ্রহ। আর এ কারণেই নবী কারীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম কে নবীউর
রহমত বা রহমতের নবী বলা হয়ে থাকে। আর তাই আল্লাহর দয়া ,ফজল, অনুগ্রহ পেয়ে খুশি
বা ঈদ উদযাপন করতে হবে এক হুকুম আল্লাহতালা নিজেই দিয়েছেন। যেমন তিনি বলেন,
হে নবী! আপনি বলুন ,এটা আল্লাহর ফজল ও রহমতে, কাজেই এতে তারা যেন আনন্দ বা খুশি
বা ঈদ উদযাপন করে (সূরা ১০ ইউনুস আয়াত ৫৮)।
আর আল্লাহর হুকুম পালন করায় ঈমানদের জন্য ফরজ বা আদর্শ কর্তব্য। আর এ কারণেই
আমারা ঈদে মিলাদুন্নবী বা দয়াল নবীর জন্মদিন ঈদ বা খুশি উদযাপন করে থাকি।
ঈদে মিলাদুন্নবীতে করণীয়
ঈদে মিলাদুন্নবীতে সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যেগুলো করতেন আমাদের সেগুলো
করতে হবে শরীয়তের সীমার মধ্য থেকে। ঈদে মিলাদুন্নবীতে করণীয় গুলো নিম্নে দেওয়া
হলোঃ
আরো পড়ুনঃ আজ কত তারিখ বাংলা ,ইংরেজি, আরবি
- কুরআন তেলাওয়াত করা।
- মিলাদ শরীফ উদযাপন করা।
- নবী কারীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর জন্মকালীন ঘটনা সমূহ থেকে শুরু করে তার শৈশব, কৈশোর, কর্মজীবন, প্রচার জীবন ইত্যাদি বিষয়াদি নিয়ে আলোচনা করা।
- নবী কারীম সাল্লাল্লাহু সালামের শানে নাত ও গজল পেশ করা।
- এমন সব আলোচনা করতে হবে যে আলোচনায় নবীজির মহব্বত বৃদ্ধি পায় ।কারণ নবীজির মহব্বতি হল প্রকৃত ঈমান।
- নবী কারীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর প্রতি বেশি বেশি দরুদ ও সালাম পাঠানো।
ঈদে মিলাদুন্নবীতে যা যা নিষেধ
ঈদে মিলাদুন্নবীর দিন কিছু কিছু কাজ রয়েছে যেগুলো করা নিষেধ। তো চলুন বন্ধুরা
জেনে নেই ঈদে মিলাদুন্নবীতে যা যা নিষেধ সেগুলো সম্পর্কে।
- নৃত্য করা যাবে না।
- বাজি ফোটানো যাবে না।
- সর্বোপরি শরীয়তের খেলাপ হয় এমন কোন কাজ করাও যাবে না।
মুসলমানদের জন্য ঈদ ৫ প্রকার
প্রসঙ্গগত কারণে উল্লেখ করা হয়েছে যে মুসলমানদের জন্য ঈদ হল৫টি। অর্থাৎ
মুসলমানদের জন্য ঈদ ৫ প্রকার। নিম্নে সেগুলো আলোচনা করা হলোঃ
- ঈদুল ফিতর।
- ঈদুল আযহা।
- জুম্মার দিন।
- আরাফাতের দিন।
- ঈদে মিলাদুন্নবী (সা) এর দিন
মহানবী (স) এর আগমন দিবসে খুশি প্রকাশ করার জন্য আল্লাহর নির্দেশ
মহানবী সাঃ এর আগমন দিবসে খুশি প্রকাশ করার জন্য আল্লাহর নির্দেশকে বলেন, "এবং
আমি আপনাকে সমগ্র জগতের রহমত রূপেই প্রেরণ করেছি"। (সূরা আম্বিয়া আয়াত নম্বর
১০৭)
আল্লাহ তাআলা বলেন, আপনি বলুন, আল্লাহরই অনুগ্রহ ও তারি দয়া, সেটারই উপর তাদের
আনন্দ প্রকাশ করা উচিত ।তা তাদের সমস্ত ধন দৌলত অপেক্ষা শ্রেয়। (সূরা ইউনুস
আয়াত নম্বর ৫৪)
এবং আপনার রবের নিমাতের খুব চর্চা করুন। (সুরা দোহা আয়াত নাম্বার ১১)
পবিত্র কুরআন হতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা)
এবং শান্তি তাহারি উপর যেদিন জন্মগ্রহণ করেছে ,সেদিন মৃত্যু গ্রহণ করবে এবং যেদিন
জীবিত অবস্থায় পুনরুত্থিত হবে। (সূরা মরিয়ম আয়াত ১১)
আরো পড়ুনঃ সরকারি ছুটির তালিকা ২০২৩ - প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছুটির তালিকা ২০২৩
এবং ওই শান্তি আমার প্রতি যেদিন আমি জন্ম লাভ করেছি এবং যেদিন আমার মৃত্যু হবে আর
যেদিন জীবিত অবস্থায় পুনর্তীবিত হব। (সূরা মরিয়ম আয়াত ৩৩)
হাদিস হতে ঈদে মিলাদুন্নবী (সা)
আবি কাতাদাহ আনসারী রাদিয়াল্লাহু থেকে বর্ণিত, রাসুল আল্লাহকে সোমবার দিন রোজা
রাখা সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন "এ দিনে আমি জন্মগ্রহণ করেছি এবং
এই দিনেই আমার উপর ওহী অর্থাৎ কুরআন অবতীর্ণ হয়েছে।"(মুসলিম শরীফ কিতাবুস সাওম
অনুবাদ পৃষ্ঠা নম্বর ৪২৭)
ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি
বন্ধুরা আপনারা কি ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি সম্পর্কে জানতে চান। তাহলে আসুন জানি
ঈদে মিলাদুন্নবী ছুটি সম্পর্কে।
২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩ বৃহস্পতিবার ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে -ধর্ম
মন্ত্রণালয় থেকে।
শেষ কথা
বন্ধুরা আজ আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি,ঈদে মিলাদুন্নবী কত তারিখ ২০২৩ সম্পর্কে। এই পোষ্টের মাধ্যমে আমি আপনাদের সাথে আরো আলোচনা করেছি,ঈদে মিলাদুন্নবী মানে কি, ঈদে মিলাদুন্নবী কত তারিখ ২০২৩, ঈদে মিলাদুন্নবী কি এবং কেন,ঈদে মিলাদুন্নবীতে করণীয়,ঈদে মিলাদুন্নবীতে যা যা নিষেধ,মুসলমানদের জন্য ঈদ ৫ প্রকার,মহানবী (স) এর আগমন দিবসে খুশি প্রকাশ করার জন্য আল্লাহর নির্দেশ,ঈদে মিলাদুন্নবীর ছুটি। তো বন্ধুরা ঈদে মিলাদুন্নবী কত তারিখ ২০২৩ সম্পর্কে জানতে আমাদের পোস্টটি বিস্তারিত পড়ুন। আর এই পোস্টটি ভালো লেগে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url