শীতে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে ১১ টি খাবার
বিশেষজ্ঞদের মতে, শীতের সময় হাঁপানি রোগীদের হাঁপানি সমস্যা বেশি হয়ে থাকে। এটি রোগীর হার্ট এবং ফুসফুসে খারাপ প্রভাব ফেলে থাকে। হাঁপানির সমস্যায় হাঁপানি রোগীদের গলায় শ্লেস্ম জমে থাকে। যার কারনে হাঁপানি রুটিতে শ্বাস নিতে সমস্যা হয়। আর এ থেকে রেহাই পেতে রোগীরা ইনহেলার এবং ঔষধ সেবন করে থাকেন। কিন্তু এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলির মাধ্যমে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। আসুন আমরা জানি শীতে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে ১১ টি খাবার সেগুলো সম্পর্কে। বন্ধুরা আপনারা যদি শীতে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে ১১ টি খাবার সে সম্পর্কে জানতে চান ।
শীতে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে ১১ টি খাবার
শীতের সময় হাঁপানি রোগীদের হাঁপানির সমস্যা বেড়ে যায়। আর এ থেকে রেহাই পেতে রোগীরা ব্যবহার করে থাকেন ইনহেলার এবং বিভিন্ন ধরনের ঔষধ। কিন্তু এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলো খেলে এ থেকে রেহাই পাওয়া যায়। অর্থাৎ এ খাবারগুলি হাঁপানি নিয়ন্ত্রণ করতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। আজকের শীতে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে ১১ টি খাবার এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আমি আপনাদের জানাবো শীতে হাঁপানি থেকে মুক্তি পেতে ১১টি খাবার সম্পর্কে। তো চলুন নিম্নে জেনে নেই শীতে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে ১১ টি খাবার তা সম্পর্কে বিস্তারিত।
আদা
সুপ্রাচীন কাল থেকেই আদা সর্দি কাশিতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। আদা স্বাদ বাড়ানোর
পাশাপাশি এটি হাঁপানি জন্য বেশ উপকারী। আদা গলার বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ দূর করতে
সাহায্য করে থাকে। তাই আদার সঙ্গে আপনি মধু মিশিয়ে হালকা গরম পানির সাথে খেতে
পারেন ।এতে করে অনেক আরাম পাবেন।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা শরীরে বিষাক্ত পদার্থ
দূর করতে সাহায্য করে থাকে। তাই যারা হাঁপানি সমস্যায় ভুগছেন তারা চাইলে খাদ্য
তালিকায় অ্যাভোকাডো রাখতে পারেন।
কমলা লেবু
বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, যারা বেশি পরিমাণে ভিটামিন সি গ্রহণ করে থাকেন তারা
হাঁপানির সমস্যায় কম ভোগেন। আর কমলা লেবুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি।
যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কে সুস্থ রাখে। এবং হাঁপানি থেকে মুক্তি দেয়।
পালং শাক
আয়রনের প্রধান উৎস হল পালং শাক যা হাঁপানি রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। মূলত
হাঁপানি রোগীরা পটাশিয়াম এবং ম্যাগনেসিয়াম এর মত উপাদানের অভাবে ভুগে থাকেন। আর
এই পরিস্থিতিতে আপনারা খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন পালং শাক ।যা হাঁপানি থেকে
অনেকাংশে উপশম দিতে পারে।
আপেল
প্রতিদিন একটি আপেল খেলে প্রায় ৯০ ভাগ রোগের হাত থেকে রেহাই পাওয়া যায় ।তাই আপেলকে একজন ডাক্তারের সাথে তুলনা করা হয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা বলে থাকেন, শরীরে যত্নে নিতে আপেল খাওয়া খুবই উপকারী।
আরো পড়ুনঃ ক্যান্সার রোগের ১১ টি লক্ষণ সম্পর্কে জেনে নিন
আরো পড়ুনঃ কিডনির পাথর কেন হয় - এর লক্ষণ, চিকিৎসা ও প্রতিরোধের উপায়
আরো পড়ুনঃ কিডনির পাথর কি - কিডনির পাথর দূর করার ১২ টি ঘরোয়া উপায়
আপেলে রয়েছে ফাইবার ও আন্টি অক্সিডেন্ট। এই
ফলটি হাঁপানি সমস্যা দূর করার পাশাপাশি পেটের সমস্যা দূর করে ,হৃদযন্ত্র সুস্থ
রাখে এবং ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়।
বেদানা
বেদানাতে রয়েছে ভিটামিন কে ,ফাইবার এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা হাঁপানি রোগীদের
জন্য খুবই উপকারী। এ ফলটিস শ্বাসকষ্টের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে থাকে। তাই
যারা হাঁপানির সমস্যায় ভুগছেন তারা খাদ্য তালিকায় বেদানা রাখতে পারেন।
আঙ্গুর
আঙ্গুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা অ্যাজমা ও হাঁপানির সমস্যার সমাধানে দারুন
কাজ করে থাকে।
ব্রুকলি
ব্রুকলি পুষ্টিগুণে সমৃদ্ধ একটি সবজি। পুষ্টিবিদদের মতে এই ফলটি নিয়মিত খেলে
অনেক রোগী নিরাময় করা সম্ভব। তাছাড়াও ব্রুকলিতে থাকা ভিটামিন ও মিনারেল
ফুসফুসের সুস্বাস্থ্য রক্ষা করতে বেশ উপকারী। আর এজন্যই ব্রকলি অ্যাজমা বা
শ্বাসকষ্টের জন্য খুবই উপকারী।
রসুন
রসুন প্রাকৃতিক প্রতিকার হিসেবে হাঁপানি প্রতিরোধে কাজ করে থাকে। অর্থাৎ হাঁপানির
বিকল্প চিকিৎসা হিসেবে রসুন ব্যবহার করা হয়।
ক্যাপসিকাম
ক্যাপসিকামে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ,ফাইটো নিউট্রিয়েন্ট এবং ভিটামিন সি
অ্যাজমার সমস্যা সমাধান করতে সাহায্য করে থাকে।
পেঁয়াজ
পেঁয়াজ হাঁপানি নিরোধনে কাজ করে থাকে। পেঁয়াজ খেলে শরীরে হিস্টোমিন নিঃসরণের
হার কমে যায়। যার ফলে শ্বাসনলির সংকোচনজড়িত জটিলতা কমে। ফলে শ্বাসকষ্ট কম হয়ে
থাকে।
শেষ কথা
বন্ধুরা যাদের হাঁপানি সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য আশা করছি শীতে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে রাখবে যে ১১ টি খাবার এই আর্টিকেলটি বিশেষ উপকারে আসবে। এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এবং আপনাদের মতামত কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন।-ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url