টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ - টনসিল এর ঔষধ


শীতকালে অনেকেই টনসিলের সমস্যায় ভুগে থাকেন। আর এটি হল শীতকালে একটি বড় সমস্যা। আর এটি হয়ে থাকে ৩ থেকে ১৪ বছরের শিশুদের মধ্যে বেশি। তবে  বড়দের ক্ষেত্রে যে টনসিল হয় না ,তা কিন্তু একেবারেই নয়। টনসিল হল মূলত লসিকাগ্রন্থি বা লিফ্টয়েড টিস্যু। যাতে কোন ধরনের ইনফেকশন বা প্রদাহ হলে আমরা তাকে টনসিল বলে থাকি। তাই চলুন আজকে আমরা জানি টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ - টনসিল এর ঔষধ সম্পর্কে।

যাদের টনসিলের সমস্যা রয়েছে আশা করছি আজকের আর্টিকেলটি তাদের জন্য ভালো লাগবে। এবং এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা অনেক উপকৃত হবেন। তাই টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ - টনসিল এর ঔষধ এ সম্পর্কে জানতে আমাদের এই পোস্টটি আপনাদের মনোযোগ সহকারে প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত পড়তে হবে। তো চলুন বন্ধুরা নিম্নে আমরা টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ ও টনসিলের ঔষধ সম্পর্কে বিস্তারিত জানি।

টনসিল কি

টনসিল হল মূলত লসিকাগ্রন্থি বা লিফ্টয়েড টিস্যু। যাতে কোন ধরনের ইনফেকশন বা প্রদাহ হলে আমরা তাকে টনসিল বলে থাকি। মানবদেহে গলার ভেতরে দুই পাশে একজোড়া প্যালাটিন টনসিল থাকে।  টনসিলের প্রদাহ বলতে আমরা এর ইনফেকশনকে বুঝে থাকি।

টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ

টনসিলের প্রধান লক্ষণ গুলোর মধ্যে হল জ্বালাপোড়া ও ফুলে যাওয়া। এগুলো ছাড়াও কিছু লক্ষণ রয়েছে সেগুলো নিম্নে দেওয়া হলোঃ

  • টনসিলের কারণে গলায় প্রচন্ড ব্যথা।
  • টনসিল লাল হওয়া ।
  • মাথাব্যথা হওয়া।
  • কানে ব্যথা।
  • বমি বমি ভাব হওয়া।
  • মুখের দুর্গন্ধ সৃষ্টি হওয়া।
  • খাবারের অরুচি।
  • পেটে ব্যথা হওয়া।
  • খাবার খেতে কষ্ট হওয়া ও হা করতে গেলে ব্যথা অনুভব করা।
  • গলার মধ্যে তীব্র ব্যথাযুক্ত ফোসকা বা ক্ষত সৃষ্টি হওয়া।
  • স্বরভঙ্গ।
  • গলা ফুলে যাওয়া।
  • ঢক কিনতে কষ্ট হওয়া।
  • শরীরের তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়া।
  • খেতে অনেক সময় মুখ দিয়ে লালা পড়তে দেখা যায়।

টনসিলেশন চিকিৎসা

প্রাথমিক পর্যায়ে টনসিল দেখা দিলে বা টনসিলের সমস্যা দেখা দিলে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে। টনসিল না সারা পর্যন্ত পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম নিতে হবে। এগুলো ছাড়াও আপনারা কিছু ঘরোয়া চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করতে পারেন টনসিলের চিকিৎসায় যেমন-

  • লবণ পানি দিয়ে ফুলকুচি করা।
  • মধু দিয়ে চা খাওয়া।
  • পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম।
  • ঠান্ডা জাতীয় খাবার না খাওয়া।
  • যষ্টিমধু খাওয়া।
  • ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়া।
  • ও গরম খাবার খাওয়া উচিত।
  • গলা ও কান ঢেকে গরম রাখা উচিত।
  • টনসিলের কারণে যদি জ্বর আসে তাহলে প্যারাসিটেবল জাতীয় ওষুধ খাওয়া।
  • সর্দি কাশি হলে ইস্টাসিন জাতীয় ওষুধ খাওয়া।
  • এন্টিবায়োটিক দিয়ে চিকিৎসা করতে হবে।

তারপরেও যদি কাজ না হয় তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে এবং চিকিৎসা করতে হবে। চিকিৎসাতেও যদি কাজ না হয়ে থাকে তাহলে অপারেশন করে ফেলাই ভালো। কারণ দীর্ঘদিন যাবত টনসিলের সমস্যায় ভুগলে এটি টনসিল ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে ।

টনসিল হলে যে সকল খাবার খাবেন

যারা টনসিলের সমস্যায় ভুগছেন ,তারা টনসিল হলে যে সকল খাবার খাবেন ।সে সকল কিছু খাবারের নাম নিম্নে দেওয়া হলঃ

  • কলা
  • নরম পাস্তা
  • মধু
  • ডিম ভর্তা ইত্যাদি

টনসিল হলে যে সকল খাবার খাবেন না

নিম্নে টনসিল হলে যে সকল খাবার খাবেন না ।সে সকল খাবারের কিছু নাম নিলে দেওয়া হলোঃ

  • শক্ত খাওয়ার
  • টোস্ট বিস্কুট
  • মসলা দার খাবার
  • টমেটো সস
  • টক ফল

টনসিল এর ঔষধ

বর্তমানে ফার্মেসিতে বিভিন্ন ধরনের টনসিল এর ঔষধ পাওয়া যায়। যা কিনে আপনারা খুব সহজেই টনসিল এর সমস্যা থেকে রেহাই পেতে পারেন। তবে ঔষধ কেনার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ সেবন করবেন। যে কোন ঔষধ শরীরের জন্য অবশ্যই ক্ষতিকারক। চলুন নিম্নে জানি টনসিল এর  ঔষধ এর কিছু নাম সম্পর্কে।

  • বায়োডিন মাউথ ওয়াশ
  • এইচ এক্স আর ট্যাবলেট
  • ডেস্ক্রিলেন্ড ৩০ ক্যাপসুল
  • রফিউ ক্লাব ২৫০ ট্যাবলেট
  • টারিডোসিল ট্যাবলেট
  • মক্রসিল ক্যাপসুল
  • ভিফাস ট্যাবলেট
  • ই ফিক্স ১০০ এম জি ট্যাবলেট

আশা করছি বন্ধুরা আপনারা টনসিলের ঔষধ গুলোর নাম সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পেরেছেন।

শেষ কথা

বন্ধুরা আপনাদের কাছে টনসিল ইনফেকশনের লক্ষণ - টনসিল এর ঔষধ এই আর্টিকেলটি কেমন লাগলো। আশা করছি আজকেরটি আপনাদের কাছে অনেক ভালো লেগেছে। তাছাড়া আশা করছি আপনারা এই আর্টিকেলটি দ্বারা উপকৃত হয়েছেন। আপনারা যদি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আমাদের কষ্ট সার্থক। তো বন্ধুরা উপকৃত হয়ে থাকলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন।-ধন্যবাদ


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url