গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় - গনোরিয়ার এন্টিবায়োটিক ও হোমিও ঔষধ
আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা , আজকের আর্টিকেলটিতে আজ আমি আলোচনা করব গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় - গনোরিয়ার এন্টিবায়োটিক ও হোমিও ঔষধ সম্পর্কে। যে সকল বন্ধুরা গনোরিয়া রোগ এ ভুগছেন তারা এ থেকে মুক্তি পেতে চাইলে ও গনোরিয়া রোগের এন্টিবায়োটিক ও হোমিও ঔষধ সম্পর্কে জানতে চাইলে ,আজকের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন ।
গনোরিয়া কি
গনোরিয়া হলো এক ধরনের যৌন সমস্যা। গনোরিয়া রোগটি পুরুষ কিংবা মহিলা উভয়েরই হতে পারে। এই রোগটি খুবই ভয়ঙ্কর। কারণ এই রোগের কারণে আপনার খুবই গুরুতর সমস্যা ও হতে পারে। তাই এই রোগ সম্পর্কে জানা আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। প্রতি বছর এই রোগের জন্য বাংলাদেশের বিভিন্ন মানুষ ডাক্তারের শরণাপন্ন হয়ে থাকে।
এই সমস্যাটি দেখা দিলে মানুষের যৌন সমস্যা হয়ে থাকে এবং তিনি যৌন সংক্রান্ত নানান ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। তাই আমাদের সকলেরই উচিত এই রোগ সম্পর্কে সতর্ক থাকা। যাদের এ ধরনের সমস্যা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে । তারা কি ভাবে গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তি পাবেন সে বিষয়ে আসুন আজকে আমরা গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় - গনোরিয়ার এন্টিবায়োটিক ও হোমিও ঔষধ আর্টিকেলটির মাধ্যমে বিস্তারিত জানি।
গনোরিয়া রোগের লক্ষণ
বন্ধুরা আমরা ইতিপূর্বেই জেনেছি যে গনোরিয়া রোগটি মূলত এক ধরনের যৌন সমস্যার কারণে হয়ে থাকে। এই রোগটি সারা সাধারণত ওরাল সেক্স , অরক্ষিত যৌন মিলন অথবা সিরিন্স বা অন্য কোন মাধ্যমে সংক্রামিত ব্যক্তির রক্ত সুস্থ মানুষের দেহে প্রবেশ করলে ছড়ায়। নিম্নে আসুন জানি গনোরিয়া রোগে লক্ষণ গুলো সম্পর্কে।
পুরুষদের ক্ষেত্রে
- প্রস্রাব এর সময় জ্বালাপোড়া ও ব্যথা অনুভূত হওয়া।
- বারবার প্রস্রাব এর চাপ বা যেতে হয়।
- অন্ডকোষে ব্যথা অনুভূত হয়।
- গলায় সব সময় ব্যথা থাকে।
- যৌনাঙ্গ থেকে হলুদ, সবুজ অথবা ঈষৎপুঁজ বের হওয়া।
- পুরুষাঙ্গ লাগছে বর্ণ ধারণ করে এবং ফুলে যায়।
মহিলাদের ক্ষেত্রে
- মূত্র ত্যাগ এর সময় জলা পোড়া ও ব্যথা অনুভূত হওয়া।
- পিরিয়ডের সময় অতিরিক্ত রক্তপাত।
- যৌন সঙ্গমের সময় ব্যথা।
- বারবার প্রসবের চাপ পাওয়া ।
- যৌনাঙ্গ থেকে হলুদ, সবুজ অথবা ঈষৎ পুঁজের মতো তরল বের হওয়া।
- তলপেটে তীব্র ব্যথা।
- জ্বর আসা।
- গলায় ব্যথা অনুভূত হওয়া।
গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হলে করণীয়
গনোরিয়া রোগে আক্রান্ত হলে করণীয় কি আসুন আমরা জানি সে সম্পর্কে।
- গনোরিয়া রোগ দেখা দিলে আর দেরি না করে চিকিৎসকের কাছে যান এবং চিকিৎসককে আপনার সব ব্যাপারে খুলে বলুন ।
- যেমন-আপনার সমস্ত লক্ষণগুলো এবং স্বাস্থ্য সম্পর্কিত সমস্যা।
- আপনার যৌন জীবন সম্পর্কে ।
- পরবর্তী সময়ে একই রকম সমস্যা থাকলে।
- আপনার গনোরিয়া রোগ দেখা দিলে আপনার সঙ্গিনী কে দ্রুত এ ব্যাপারে জানান এবং তাকেও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে বলুন।
- চিকিৎসকেরা আপনাদের যে এন্টিবায়োটিক বা কোর্স নিতে বলবেন সেটি অবশ্যই সম্পূর্ণ করুন।
- সাত থেকে দশ দিনের ব্যবধানে ব্যবধানে ডাক্তারের পরামর্শ বা চেকআপ করান।
- গনোরিয়া রোগ সম্পূর্ণভাবে সেরে গেলে অর্থাৎ আপনার সঙ্গিনীর এবং আপনার পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এলে তারপর আপনি এবং আপনার সঙ্গিনী যৌন সঙ্গমে মিলিত হবেন।
গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়
বন্ধুরা আপনারা যারা গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় খুঁজছেন তারা আজকের গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় - গনোরিয়ার এন্টিবায়োটিক ও হোমিও ঔষধ এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। কারণ এই আর্টিকেলটিতে আমি গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আশা করছি আপনারা গনোরিয়া থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে মাধ্যমে জানতে পারবেন। তো চলুন নিম্নে বিস্তারিত জেনে নিইঃ
- গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির জন্য অবশ্যই যৌন মিলনের ক্ষেত্রে কনডম ব্যবহার করুন।
- মহিলাদের ক্ষেত্রে মাসিক হলে অবশ্যই পরিষ্কার কাপড় কিংবা প্যাড ব্যবহার করতে হবে।
- গনোরিয়া রোগ এড়াতে নিজের স্ত্রী কিংবা নিজের স্বামীর সাথে ব্যতীত অন্য কারো সাথে যৌন মিলন করা যাবে না।
- যৌন মিলনের ক্ষেত্রে অবশ্যই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে বিশ্বস্ততা থাকতে হবে।
- স্বামী-স্ত্রী যে কারো এই রোগ দেখা দিলে দুজনেরই চিকিৎসা নিতে হবে।
গনোরিয়া রোগ দেখা দিলে যে সকল সমস্যা হয়
গনোরিয়া একটি জটিল রোগ। কিন্তু সঠিক সময় চিকিৎসা নিলে এর রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া প্রায় সম্ভব। আসুন আমরা জানি গনোরিয়া রোগ দেখা দিলে যে সকল সমস্যা হয় তা সম্পর্ক।
- মাথা ব্যথা
- ঘন ঘন প্রসাবে তীব্র চাপ
- জ্বর হওয়া
- পায়ুপথে প্রদাহ ব্যথা ও রক্তক্ষরণ
- ত্বকে ও হৃদপিন্ডে ক্ষতের সৃষ্টি
- পুরুষদের ক্ষেত্রে পুরুষাঙ্গের অগ্রভাবে চুলকানি ,জ্বালাপোড়া, প্রদাহ, পুঁজ , বীর্যর সাথে রক্ত যাওয়া।
- মহিলাদের ক্ষেত্রে যৌনিতে ঘা ,মাসিকের সময় তীব্র ব্যথা , ডিম্বাণুতে পুজ, অনিয়মিত মাসিক, অতিরিক্ত সাদা স্রাব ও হলুদ স্রাব।
গনোরিয়া এন্টিবায়োটিক ঔষধ
আপনার যদি গনোরিয়া রোগের লক্ষণ দেখা দেয় তাহলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের শরণাপন্ন হতে হবে। সকল পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তাররা আপনাদের যে সকল এন্টিবায়োটিক ওষুধ দিয়ে থাকবে নিম্নে সে সকল ওষুধের কিছু দাম দেওয়া হলঃ
- ডক্সিসাইক্লিন
- সেফিস্কিম
- পেপসিন
- টেট্রাসাইক্লিন
- এরিথ্রোমাইসিন
- সিপ্রোফ্লো ক্রস ইন
গনোরিয়ার হোমিও ঔষধ
অনেকেই আছেন যারা গনোরিয়া চিকিৎসায় হোমিও ঔষধ পদ্ধতি অনুসরণ করে থাকেন। আর সে সকল ক্ষেত্রে ডাক্তাররা তাদের রোগের ধরন, পছন্দ-অপছন্দ ,চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য ,রোগের তীব্রতা ইত্যাদি বিষয়ের উপর ভিত্তি করে ঔষধ প্রয়োগ করে থাকেন। গনোরিয়া রোগের জন্য ডাক্তাররা যে সকল হোমিও ঔষধ দিয়ে থাকেন সেগুলো হলঃ
- মার্কসল
- মার্ক কর
- মেডোরিনাম
- হাইড্রোস্টিস
- এসিড নাইট্রিক
- পালসেটিলা
- সিপিয়া
- ক্যালি সালফ
- জিংক
- হিপার সালফ
- ক্যালি সালফ
- টেলুরিয়াম
- ক্রিয়জুট
- এপিস মেল ইত্যাদি।
বন্ধুরা আশা করছি আপনারা গনোরিয়া রোগের এন্টিবায়োটিক ও হোমিও ঔষধ সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এবং এগুলো আশা করছি আপনাদের কাজে লাগবে। তবে এগুলো খাবার আগে অবশ্যই ডাক্তারের কাছে পরামর্শ নিবেন।
শেষ কথা
গনোরিয়ায় একটি যৌনবাহিত জটিল এবং গুরুতর রোগ। আপনারা যদি কেউ এই রোগে ভুগে থাকেন লক্ষণ যদি আপনাদের শরীরে থাকে তাহলে দেরি না করে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নেবেন। এবং ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী ঔষধ গ্রহণ করবেন। তো বন্ধুরা আজকের এই পোস্টটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন এবং এ ধরনের আরো অনেক পোস্ট পেতে আমাদের পেজটি ফলো রাখবেন।-
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url