বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে ২০২৩


আসছে শীত, আর বাড়ছে শিশুদের নিউমোনিয়ার আশঙ্কা। প্রতিবছর নিউমোনিয়া তে অসংখ্য শিশুরা আক্রান্ত হয়ে থাকে ।এবং এতে অনেক শিশু অকালে মৃত্যুবরণ করে। তাই নিউমোনিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে সারা বিশ্বসহ বাংলাদেশেও এই দিনটি পালন করা হয়। এই দিবসটি উপলক্ষে সারা দেশে সরকারি বেসরকারি হাসপাতাল নানা কর্মসূচি গ্রহণ করে থাকেন। বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে ২০২৩ এ সম্পর্কে আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন।

বন্ধুরা আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত মনোযোগ সহকারে পড়বেন ।তারা অবশ্যই বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে ২০২৩ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তো চলুন আজকের আর্টিকেলটিতে আমরা এ নিয়ে বিস্তারিত জানি।

ভূমিকা

প্রতিবছর নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২৫ হাজার শিশু মৃত্যুবরণ করে। গড়ে প্রতিদিন ৬৮ এর বেশি শিশু মারা যায়। যারা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে থাকে তাদের রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতি হা(ইপোক্রমিয়া) একটি জটিল সমস্যা। অর্থাৎ রক্তে অক্সিজেনের ঘাটতির কারণেই শিশুদের বেশি মৃত্যুবরণ হয়। যা সহজেই প্রতি রোদ যোগ্য অর্থাৎ নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের যদি রক্তের অক্সিজেনের ঘাটতি কমানো যায় তাহলে অকাল মৃত্যু থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।

নিউমোনিয়ায় ডাক্তারদের পরামর্শ

প্রতিবছর বাংলাদেশে ৫ বছরের কম বয়সী শিশুরা নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়ে অকাল মৃত্যু বরণ করে। তাই মৃত্যুর জুকি এড়াতে ডাক্তাররা নিউমোনিয়া সম্পর্কে কিছু পরামর্শ প্রদান করেন। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত বেশিরভাগ শিশুরাই ফুসফুস ভাইরাস ও ছত্রাক এর আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজের শিশুরোগ বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ডক্টর ইফফাত আরা শামসাদ দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন ঃ শীতে কফ কাশি বেড়ে যায়। সাধারণ জ্বর ও নিউমোনিয়ার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে। ৯ বছরের কম বয়সী শিশুদের জন্য বাড়তি সর্তকতা প্রয়োজন।

তিনি বলেনঃ নিউমোনিয়া যেহেতু ফুসফুসে আক্রান্ত করে থাকে তাই কপ কাশি বেড়ে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাসের সমস্যা দেখা দেয় এবং জ্বর আসে। নিউমোনিয়া হলে শিশুদের শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। সাধারণ জ্বর বা কাশি হলে শ্বাস-প্রশ্বাসের এ ধরনের সমস্যা হয় না।

তার পরামর্শঃ বাবা মারা শিশুর নিউমোনিয়ার লক্ষণ দেখা মাত্রই যেন তাকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যান।

ডঃ ইফফাত আরা বলেনঃ সাম্প্রতিক সময়ে প্রতিদিন এখানে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত ৮ থেকে ১০ জন শিশুকে আনা হচ্ছে আমাদের দেশের নভেম্বর ও ডিসেম্বরে নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বেড়ে যায়।

বেশ কয়েকটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে সাধারণত মা বাবা একেবারে শেষ মুহূর্তে অর্থাৎ নিউমোনিয়া আক্রান্ত শিশুদের শেষ পর্যায়ে হাসপাতালে নিয়ে আসেন।

আর এ কারণে দেশে প্রতিবছর প্রায় ২৪ হাজার শিশু নিউমোনিয়ায় মারা যায়, যা পাঁচ বছর বয়সী শিশু মৃত্যুর মোট হিসাবে ১৮%।

এই রোগটি টিকা দিয়ে অধিকাংশ মৃত্যু ঠেকানো যায়। আবার কম দামে এন্টিবায়োটিক দিও এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে ২০২৩

প্রতিবছরের মত এ বছরেও ১২ ই নভেম্বর বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস পালন করা হবে। নিউমোনিয়া সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর এই দিবসটি পালন করা হয়ে থাকে। এবং এই দিবসটি সারা বিশ্বসহ বাংলাদেশেও পালিত হয়। এই দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশে সরকারি বেসরকারি হাসপাতালে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়ে থাকে।

নিউমোনিয়ার ইতিহাস

নিউমোনিয়া হলো একটি সংক্রমণ ব্যাধি যার দ্বারা ২০১৯ সালে ৬৭২০০০  শিশুসহ সারা বিশ্বে ২.৫ মিলিয়ন মানুষকে প্রবাহিত করেছিল । ২০০৯ সালে নিউমোনিয়া দিবস শিশু নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে গ্লোবাল কোয়ালিশন দ্বারা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। আর শিশু নিউমোনিয়ার বিরুদ্ধে গ্লোবাল কোয়ালিসন হল বেসরকারি ,সরকারি, শিক্ষামূলক ,সম্প্রদায় ভিত্তিক এবং গবেষণা বিষয়ে সংস্থাগুলির একটি প্রতিষ্ঠান। 

হুও unicep ২০১৩ সালে নিউমোনিয়া প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণের জন্য সমন্বিত পরিকল্পনা অনুসারে লক্ষ্য হলো নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যুর সংখ্যা কমিয়ে আনা এবং ২০২৩ সালে প্রতি হাজার শিশুর মধ্যে মৃত্যুর হার কমিয়ে ৩এ নামিয়ে আনা।

তাৎপর্য

জন হপকিস্ন সেন্টার অফ পাবলিক হেল্থ এর মতে, ২০১৬ সালে নিউমোনিয়ার কারণে ১, ৫৮,  ১৭৬ জন মারা গিয়েছে এবং এর প্রধান কারণ হলো ঘরের ভেতরের বায়ু দূষণ, একটানা স্তন্য দুদ্ধ না খাওয়ানো ,জন্মের ওজন কম এবং অপুষ্টি।

আর তাই বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবসে এ সকল সম্পর্কে অর্থাৎ ক্ষতিকারক প্রভাব, কারণ এবং কিভাবে প্রতিরোধ বা চিকিৎসা করা যায়, সে সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই পালন করা হয়ে থাকে। আর এটির প্রধান লক্ষ্য হল এটি দ্বারা বিশ্বব্যাপী প্রচেষ্টার সাহায্যে মারাত্মক রোগের কারণে মৃত্যুর হ্রাস করা। এর আরও উদ্দেশ্য হলো গবেষণা তহবিল সংগ্রহ করার জন্য জীবন হুমকি পূর্ণ রোগটিকে জনসাধারণের নজরে আনা, এবং প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে উৎসাহিত করা এবং মৃত্যু হ্রাস করা।

শেষ কথা

বিশ্ব নিউমোনিয়া দিবস কবে ২০২৩ সে সম্পর্কে আজকের আর্টিকেলটিতে আলোচনা করা হয়েছে। আশা করছি এই আর্টিকেলটি আপনাদের ভালো লাগবে । যদি ভালো লেগে থাকে অবশ্যই বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। এ ধরনের আরো অনেক পোস্ট পেতে আমাদের পেজটি ফলো রাখুন।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url