ইউরিন ইনফেকশনের ঔষধ এর নাম - ইউরিন ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয়



আজকের আর্টিকেলটিতে আমি আলোচনা করব ,ইউরিন ইনফেকশনের ঔষধ এর নাম - ইউরিন ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয় সে সম্পর্কে। অনেক বন্ধুরাই রয়েছেন যারা জানতে চেয়েছেন ইউরিন ইনফেকশনের ঔষধের নাম সম্পর্কে। আবার তার পাশাপাশি জানতে চেয়েছেন ইউরিন ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয় সে সম্পর্কে।
ইনফেকশন হলে কি ওষুধ খেতে হবে এবং কোন ওষুধ বেশি কার্যকারী আজকের আর্টিকেলটিতে আমি তা আলোচনা করব। আমাদের দেশে বেশিরভাগ মানুষই ব্যাকটেরিয়া জনিত এই ইউরিন ইনফেকশনে ভোগেন এবং চিন্তা করেন এটা থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। আর এই চিন্তা থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।

ইউরিন ইনফেকশন কি

আমরা যে পানি খেয়ে থাকি তা শরীর থেকে বর্জ্য বা অতিরিক্ত পানি প্রস্রাব হিসেবে বেরিয়ে যায়। প্রসাব বেরিয়ে যাওয়ার সম্পর্কিত অঙ্গ গুলো নিয়ে আমাদের মূত্রতন্ত্র গঠিত। আর এইমাত্র মূত্রতন্ত্রের মধ্যে রয়েছে দুটি ইউরেটার, দুটি কিডনি, একটি মুত্রথলি ও একটি মূত্রনালী।

অর্থাৎ মূত্রতন্ত্রের কোন অংশের জীবাণুর সংক্রমণ ঘটলে তখন ইউরিন ইনফেকশন বা প্রস্রাবের ইনফেকশন হয়ে থাকে । ডাক্তারের পরিভাষা এটাকে "ইউরিনারি ট্র্যাক ইনফরমেশন" বা "ইউটিআই" বলা হয়।

ইউরিন ইনফেকশনে করণীয়

যদিও আপনারা ইউরিন ইনফেকশনের জন্য ঔষধ গ্রহণের মাধ্যমে দু-তিন দিনের মধ্যে ঠিক হয়ে যাবেন। কিন্তু আপনি যদি কোন পদক্ষেপ গ্রহণ না করেন তাহলে এই ইনফেকশন আপনার পুনরায় আবার দেখা দিবে। আর এজন্য আপনাকে ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যা দূর করার জন্য কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। যেমন-
  • প্রতিদিন গোসল করতে হবে। তবে দেখবেন বেশি গোসল করার পরে আবার যেন ঠান্ডা লেগে না যায় ।
  • প্রচন্ড রোদে অবস্থান না করা এবং ছায়াযুক্ত স্থানে আশ্রয় নেওয়া।
  • বেশি বেশি পানি পান করা এবং ঠান্ডা স্থানীয় অবস্থান করা।
  • দূষিত পানি পান না করা এবং দূষিত পানিতে গোসল না করা।
  • প্রসাব চাপালে বিলম্বিত না করে বা চেপে না রেখে সঙ্গে সঙ্গে প্রসাব করা।
আপনার যদি ইউরিন সেকশন হয়ে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনাকে এই বিষয়গুলো মাথায় রাখতে হবে এবং এ অনুযায়ী কাজ করতে হবে। আর আপনার যদি প্রসাবের ইনফেকশন না থাকে তবুও আপনি যদি এই সকল পদ্ধতি অবলম্বন করে চলেন ।তাহলে প্রসবের ইনফেকশন এর হাত থেকে রেহাই পাবেন।

ইউরিন ইনফেকশনের ঔষধ এর নাম

ইউরিনি ইনফেকশনের জন্য ডাক্তাররা কিছু ঔষধ রিকোয়ারমেন্ট করে থাকে। যা খেলে দু-একদিনের মধ্যেই ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যা থেকে অনেকটা আরাম পাওয়া যায়। তবে ইউরিন ইনফেকশন পুরোপুরি দূর করতে চাইলে পুরা এন্টিবায়োটিক ডোজ কমপ্লিট করতে হবে। এবং কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি অবলম্বন করে চলতে হবে। অর্থাৎ নিজেকে পরিষ্কার রাখা, যৌনাঙ্গ পরিষ্কার রাখা ,খাদ অভ্যাস ঠিক রাখা ইত্যাদি । তো চলুন নিম্নে ইউরিন ইনফেকশনের ঔষধের নাম গুলো জেনে নেই।
  • Monocef -200
  • Cefuroxime
  • Glavo- 500
  • Cefixime
  • Levofloxacin -500
  • Zanocin -200
  • Ofloxacin Tablets
  • Loxof -500
  • Oflomac -200
  • Cifran -500
  • Ciplox -500
  • Ciprofloxacin
  • Cefpodoxime -200
উল্লেখিত এই ঔষধ গুলো প্রস্রাবের জ্বালাপোড়া এবং ইনফেকশন নিরাময়ে সক্ষম। তাই আপনার যদি প্রসবের ইনফেকশন হয়ে থাকে তাহলে এই এন্টিবায়োটিক গুলোর মধ্যে যেকোনো একটি আপনি খেতে পারেন। এতে করে আপনাদের প্রসাবের জ্বালাপোড়া এবং ইনফেকশন দূর হবে।

তবে বন্ধুরা যে কোন ওষুধ খাবার আগেই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। এবং তারা যে নিয়মে খেতে বলে, সেই নিয়ম অনুসারে খাওয়াই ভালো।

ইউরিন ইনফেকশনের হোমিও ঔষধ

ইউরিন ইনফেকশন দূর করার জন্য কিছু হোমিও ঔষধ রয়েছে। তবে লক্ষণ দেখে কখনোই হোমিও ঔষধ খাওয়া ঠিক নয় । প্রসাবের ইনফেকশন রয়েছে কিনা তা পরীক্ষা করে, একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে সে অনুযায়ী ঔষধ খাওয়াই ভালো।

তবে অনেক সময় হোমিও ঔষধ ইউরিন ইনফেকশন দূর করতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। তাই আপনাদের ইউরেন ইনফেকশন হলে একজন অভিজ্ঞ হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে পারেন।

ইউরিন ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয়

বন্ধুরা আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন যে ইউরিন ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয় তা সম্পর্কে। তাই আজকের আর্টিকেলটিতে আমি ইউরিন ইনফেকশনের সমস্যা গুলো তুলে ধরেছি। আপনারা যদি আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েন তাহলে অবশ্যই ইউরিন ইনফেকশন সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। তো চলুন নিম্নে ইউরিন ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয় তা জেনে নেই।

  • তলপেটে ব্যথা হয়।
  • প্রসাবের সঙ্গে রক্ত যায়।
  • হঠাৎ প্রসাবের বেগ হওয়া বা বেগ ধরে রাখতে কষ্ট হওয়া ।
  • রাতে বার বার প্রস্রাবের বেগ হওয়া।
  • অস্বাভাবিক এসে ঘন ঘন প্রস্রাব হওয়া।
  • প্রসাবের সময় ব্যথা ও জ্বালাপোড়া হওয়া।
  • অস্বাভাবিক গন্ধযুক্ত ও ঘোলাটে প্রস্রাব হওয়া।
  • ক্লান্ত ও বমি বমি লাগা।
  • শরীরের তাপমাত্রা স্বাভাবিক এর চেয়ে কমে যাওয়া।
  • জ্বর আসা কিংবা গরম লাগা বা শরীরে কাঁপুনি লাগা।
  • কোমরের পেছনের পাঁজরের ঠিক নিচের অংশে ব্যথা হওয়া।

বাচ্চাদের ইউরিন ইনফেকশন হলে যে সমস্যা হয়

বন্ধুরা এতক্ষণ আমরা জানলাম বয়স্কদের প্রসাবের ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে। এবার আমরা জানব বাচ্চাদের ক্ষেত্রে প্রসাবের ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে। তো চলুন নিম্নে জানি।
  • ঠিকমতো খাওয়া-দাওয়া না করা অথবা বন্ধ করে দেওয়া।
  • মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া।
  • জ্বর আসা বা শরীরে তাপমাত্রা বেড়ে যাওয়া।
  • বমি হওয়া।
  • ঘন ঘন প্রস্রাব কিংবা হঠাৎ বিছানায় প্রসাব করতে শুরু করা

বয়স্কদের প্রস্রাব এর ইনফেকশন হলে যেসব লক্ষণ দেখা দেয়

বয়স্কদের প্রসাবের ইনফেকশনের লক্ষণ সম্পর্কে নিম্নে কিছুটা ধারণা দেওয়া হল 
  • মানুষিক ভ্রান্তি অথবা ক্ষোভ।
  • প্রসব করে জামা কাপড় নষ্ট করে ফেলা।
  • নতুন করে শরীরে কাঁপুনি অথবা ঝাকুনি হওয়া।
  • অস্বাভাবিক আচরণ।

শেষ কথা

বন্ধুরা আশা করছি আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে ভালো লেগেছে, ওষুধের নাম গুলো উল্লেখ করেছি পাশাপাশি ইউরিন ইনফেকশন হলে কি কি সমস্যা হয় সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। আরও আলোচনা করেছি বাচ্চাদের ইউরিন ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয় এবং বয়স্কদের ইউনিয়ন ইনফেকশন হলে কি সমস্যা হয় । ইউরিন ইনফেকশন হলে করণীয়, ইউরিন ইনফেকশনের হোমিও ঔষধ সম্পর্কে। তো আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। এ ধরনের আরো অনেক আর্টিকেল পেতে আমাদের পেজটি ফলো রাখুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url