শীতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে যে ১৪ টি খাবার


শীত এলে শিশুদের মৌসুমী ভাইরাসের সংক্রমণ বৃদ্ধি পেয়ে যায়, আর এটা শিশুদের জন্য নতুন কিছু নয়। তাই আমাদের ছোট্ট সোনামণিদের এই সময়ে নিতে হবে বাড়তি যত্ন ও খাবারের ব্যাপারে হতে হবে সচেতন। খাদ্যা অভ্যাসের বদল আনতে পারলেই শিশুরা এ সকল যুক্তি থেকে অনেকটা নিরাপদ থাকবে। তাছাড়াও শীতের সময় অনেক ধরনের সবজি পাওয়া যায় ।

যেগুলো শিশুদের সংক্রমণের হাত থেকে রক্ষা করে থাকে। আজকের আর্টিকেলটিতে তাই আমি আলোচনা করব শীতে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে যে ১৪ টি খাবার সে সম্পর্কে। তো বন্ধুরা আপনারা যারা শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে চাচ্ছেন তারা আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

শীতে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে যে ১৪ টি খাবার

আমাদের ছোট্ট সোনামণিদের যত্নে এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে আজকের আর্টিকেলটিতে আমি আলোচনা করেছি বারটি খাবার সম্পর্কে। যেগুলো বাচ্চারা খেলে তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে। এবং বাচ্চা থাকবে সুস্থ ও সুন্দর। তো চলুন নিম্নে সে সম্পর্কে জেনে নিই।

মিষ্টি আলু

মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও ভিটামিন যা প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে থাকে। আর এর স্বাদ ভালো হওয়ায় বাচ্চারা তার মজা করে খায়। ভিটামিনের চাহিদা পূরণ করতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে মিষ্টির আলু বাচ্চাদের খেতে দিন।

আমলকি

আমলকিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা বাচ্চাদের সর্দি -কাশি ,ফ্লু কিংবা পেটের পীড়ায় বেশ উপকারী।

শালগম

শালগমে রয়েছে ভিটামিন সি , অ্যাসিড, অ্যাকরবিক। আর এগুলো শরীরের বাইরের যে কোন রোগ থেকে রক্ষা করে থাকে। 

সিট্রাস ফল

লেবু ,কমলা ,জাম্বুরাকে সিট্রাস ফল বলা হয়ে থাকে। আর এই ফলগুলো বাচ্চাদের দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। আর তাই এই ফলগুলো বাচ্চাদের জন্য খুবই উপকারী।

ডিম

ডিমে রয়েছে ভিটামিন ই, ভিটামিন ডি, জিংক, সেলেনিয়াস যা শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষভাবে কাজ করে থাকে। তা ছাড়াও ডিম শীতকালে শিশুদের এনার্জি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে।

দুধ

দুধের মধ্যে রয়েছে সকল ধরনের পুষ্টি উপাদান ।তাই শীতকালে প্রতিদিন শিশুদের এক গ্লাস দুধ পান করান। বড়দের জন্য দুধ বেশ উপকারী। বাচ্চারা যদি দুধ খেতে না চায় ।তাহলে তার সাথে চকলেট ফ্লেভার মিশিয়ে দিন ।তাহলে খুব সহজেই তা খেয়ে ফেলবে।

বাদাম

আমন্ড, চিনা বাদাম, আখরোট ,কাজুবাদাম ইত্যাদির রয়ের মধ্যে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের পুষ্টিগুণ। এ ধরনের বাদাম গুলো বাচ্চাদের খেতে দিন। কারণ শীতকালে বাচ্চাদের শরীরকে বিভিন্ন ধরনের রোগ থেকে রক্ষা করতে পারে বাদাম।

সবুজ শাক

কলমি শাক, মেথি শাক ,নোটে শাক, লাল শাক  ,পালং শাক সহ বাজারে বিভিন্ন ধরনের শাক পাওয়া যায়, আর এই শাকগুলো হলো পুষ্টির আধার। আর তাই বাচ্চাদের যত্নে ডাক্তাররা বা চিকিৎসকরা সবুজ শাক-সবজি খাবার পরামর্শ দিয়ে থাকেন।

ভিটামিন সি

শীতকালে বাচ্চাদের শ্বাস-প্রশ্বাস বা হাঁপানি থেকে রক্ষা করতে ভিটামিন সি জাতীয় খাবার দিন যেমন-পালং শাক, কমলা লেবু, লেবু ,ব্রকলি ,আলু ,বেরি, কিউই ইত্যাদি।

শীতকালীন সবজি

আমাদের দেশের শীতকালে প্রচুর পরিমাণে সবজি পাওয়া যায়। যেগুলো তো রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন। এ ধরনের সবজি বাচ্চাদের খাওয়ালে ,বাচ্চাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। যেমন-গাজর ,কড়ইসুটি ,মুলা ,মসুর ডাল, বিনস, পালং শাক, বিট ইত্যাদি।

আঁশ জাতীয় খাবার

শরীরে ক্যালরির ভারসাম্য রক্ষা করে থাকে আঁশ জাতীয় খাবার। তাছাড়াও আঁশ জাতীয় খাবার  রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ,ঠান্ডাও ফ্লু থেকে বাঁচায়। তাই বাচ্চাদের খাবার আর জাতীয় খাবার যেমন-নাশপাতি, বেদানা ,মিষ্টি আলু ,পেঁয়াজ, বাজরা ইত্যাদি।

গাজর

বেশির ভাগ শিশুরাই গাজর খেতে পছন্দ করে থাকেন। গাজরে রয়েছে বিটা ক্যারোটিন। আর এই উপাদান শীতের সময় বাচ্চাদের রক্তের শ্বেত কনিকাগুলোকে বৃদ্ধি করে থাকে ।শ্বেত কণিকা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় এবং রক্ষা করে বিভিন্ন ধরনের ভাইরাস সংক্রমণ থেকে। তাই বাচ্চাদের খাদ্য তালিকায় উৎসব ফাইবার সমৃদ্ধ এই খাবারটি রাখুন।

রসুন

রসুন রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এলিসিন। যা বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের সংক্রমণ যেমন সর্দি কাশি জ্বর থেকে রক্ষা করে থাকে। তাই শিশুদের খাদ্য তালিকায় রসুন রাখুন। তা ছাড়া বিভিন্ন ধরনের রান্না বা স্যুপে রসুন ব্যবহার করেও খেতে পারেন।

খেজুর

খেজুর খুবই উপকারী একটি ফল। তাই এটি সারা বছরের শিশুকে খেতে দিতে পারেন। প্রচুর পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম ,আয়রন ,ক্যালসিয়াম যা বাড়ন্ত বয়সের শিশুদের জন্য খুবই জরুরী। তাছাড়াও শীতকালে শিশুদের উষ্ণ রাখতে খেজুর খুবই উপকারী। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এই ফলটি শিশুর বিপাক ক্ষমতাকে উন্নত করে।

শেষ কথা

বন্ধুরা আপনারা যারা আপনাদের শিশুদের প্রতি খুবই যত্নবান তারা এই শীতে শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এই ১৪ টি খাবার খাওয়াতে পারেন। যার ফলে আপনাদের শিশুদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে এবং শিশু থাকবে সুস্থ সুন্দর।

 তো বন্ধু আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে। আপনারা যারা এই আর্টিকেলটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত ধৈর্য সহকারে পড়েছেন তাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ। এই আর্টিকেলটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং এই আর্টিকেলটি ব্যাপারে আপনাদের যদি কোন মতামত থেকে থাকে তাও কমেন্ট করে জানাবেন। কারণ আপনাদের এই গুরুত্বপূর্ণ মতামতটি আমাদের জন্য খুবই উপকারী।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url