জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি - জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ভালো কোনটা
বন্ধুরা আপনারা যদি ,জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি - জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ভালো কোনটা এ সম্পর্কে না জেনে থাকেন। তাহলে এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন। কারণ এই আর্টিকেলটিতে আমি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি - জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ভালো কোনটা এ সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এছাড়াও এই পোস্টটিতে জন্ম নিয়ন্ত্রণ এর জন্য কি ব্যবহার করতে হয় সেই সম্পর্কেও আলোচনা করা হয়েছে।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি
বন্ধুরা চলুন জানি জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি এ সম্পর্কে,জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি - জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ভালো কোনটা এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি হলো বিয়ের পর বাচ্চা না নেওয়ার জন্য যে সকল পদ্ধতি অবলম্বন করা হয় তাকে বোঝায়। বিয়ের পর স্বামী-স্ত্রী বৈবাহিক মিলনের মাধ্যমে একজন স্ত্রী গর্ভে সন্তান জন্ম নেয় । আর কেউ যদি সন্তান নিতে না চায় এবং তার জন্য কোন পদ্ধতি অবলম্বন করে থাকে তবে তাকে জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি বলে ।
আমাদের দেশে জনসংখ্যা অনুযায়ী সরকার কর্তৃক আদেশ হলো জন্মহার কমানোর ।কারণ মানুষের জনসংখ্যা অধিক পরিমাণে বেড়ে চলেছে তার কারণে দিন দিন বেকারত্বের সংখ্যা বেড়ে চলেছে। তাই সরকার জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে ব্যাপক পদক্ষেপ নিয়েছেন। এবং পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের মাধ্যমে মানুষকে জানানো হচ্ছে যে "দুটি সন্তান বেশি নয় একটি হলে ভালো হয়"। আর এই স্লোগানটির মাধ্যমে মানুষকে জন্ম নিয়ন্ত্রণের ব্যাপারে সজাগ করে তোলা হচ্ছে।
জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কত ধরনের ও কি কি
বন্ধুরা আপনারা অবশ্যই জানতে পেরেছেন জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি এখন আমরা জানব জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কত ধরনের ও কি কি শেষ সম্পর্কে। তো চলুন বন্ধুরা ,জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি - জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ভালো কোনটা এই প্রশ্নের মাধ্যমে জেনে নেই জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে। বাংলাদেশ পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর থেকে স্থায়ী বা অস্থায়ীভাবে জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ঘোষণা করা হয়েছে ৭ টি পদ্ধতির মাধ্যমে। আর এগুলো হলোঃ
কনডম
জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য কনডম খুবই গুরুত্বপূর্ণ ।কারণ এটি সহবাসের সময় আপনার জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে থাকে। আপনি যখন স্ত্রী বা সঙ্গীনের সাথে সহবাসে করবেন তখন আপনার বীর্য বা শুক্রাণু যেন আপনার সঙ্গিনীর ডিম্বানু বা যৌনাঙ্গে প্রবাস না করে। তার জন্য আপনার লিঙ্গে কনডম ব্যবহার করতে হবে ।তাহলে আপনার শুকানো আপনার সঙ্গিনী যৌনাঙ্গে যাবে না এবংএর দ্বারা সন্তান জন্ম জন্ম নেবে না। আর এটাই হল জন্মনিয়ন্ত্রণ।
খাবার বড়ি
খাবার বড়ি যা মহিলারা খেয়ে থাকে ।এটি এক ধরনের জন্মনিয়ন্ত্রণের ঔষধ। আর এই ওষুধটি জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য স্থায়ীভাবে খেতে পারেন আবার অস্থায়ীভাবে কয়েকদিনের জন্য খেতে পারবেন। খাবার বড়ি খাবার একটি সুবিধা হল যে সকল মহিলাদের মাসিক অনিয়মিত। তাদের এই খাবারগুলি সেবনের ফলে মাসিক নিয়মিত হয়। জন্মনিয়ন্ত্রণ জন্য যে সকল বড়ি খাওয়া হয় সেগুলো হল ফেমিকন, সুখী, কাশফুল প্রভৃতি।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন
জন্মনিয়ন্ত্রণে বাংলাদেশের সরকার কর্তৃক জন্মনিয়ন্ত্রণ ইনজেকশন প্রদান করা হয়ে থাকে। যার ফলে জন্মনিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব ।আপনি চাইলে যে কোন প্রাইভেট ক্লিনিকে গিয়ে জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য ইনজেকশন নিতে পারেন।
আইইউডি
এটি হলো নারীদের চরাইতে স্থাপন উপযোগী একটি দীর্ঘ মেয়াদী এবং অস্থায়ী জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি। যেটি বাংলাদেশের সরকারের কার্যক্রমে ব্যবহৃত আইইউডির মাধ্যমে কপার ৩৮০ এ। আর এই পদ্ধতি কাজ করে ৯৯.৯৯ পার্সেন্ট।
ইমপ্ল্যান্ট
ইমপ্ল্যান্ট হল ছোট ছোট চিকনএক থেকে দুই রড বিশিষ্ট নরম ক্যাপসুল যা একজন মহিলার বাহুর ভেতরে কিংবা ত্বকের নিচে স্থাপন করা হয়ে থাকে। ইমপ্লান্ট খুবই কার্যকরী একটি পদ্ধতি এই পদ্ধতি মাধ্যমে মহিলাদের প্রথম বছর প্রতি ১ হাজারে একজন মহিলা গর্ভধারণ হতে পারে।
টিউবেকটমি
এই পদ্ধতিটির মাধ্যমে ল্যাপরোস্কোপের মাধ্যমে ডিম্ব বাহি নালীতে স্পিং ক্লিপ বা ফেলফ রিং আটকিয়ে দিয়ে ডিম্ববাহি নালী পথকে বন্ধ করে দেওয়া হয়ে থাকে। ফলে নালিপথের ধারাবাহিকতা বন্ধ হয়ে যায় এবং সন্তান জন্মগ্রহণে বাধাবস্ত হয়।
ভ্যাসেকটমি
ভ্যাসেকটমি হল পুরুষদের জন্য জন্ম নিয়ন্ত্রণের একটি নির্বাচনী অস্ত্রোপচার পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়াতে চলাকালীন পুরুষ ভ্যাসা ডিফারেশিয়া কেটে এবং বাধা বা সিল করা হয়ে থাকে। যাতে শুক্রাণু মুত্র নালীতে প্রবেশ করতে না পারে যার ফলে যৌন মিলনের মাধ্যমে একটি মহিলা নিশ্চিতকরণ বোধ হয়।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে
জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি - জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ভালো কোনটা এই পোষ্টের মাধ্যমে এখন আর আমরা জানবো জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে ইসলাম কি বলে। আপনি যদি মনে করেন যে আপনার সন্তান জন্ম হলে কিভাবে খাওয়াবেন পড়াবেন তাহলে সম্পূর্ণ হারাম কাজে লিপ্ত হবেন। কারণ জন্মের পর আপনার সন্তান খাওয়ানো সমস্ত দায়িত্ব আল্লাহ তা'আলা এমনকি আল্লাহ তায়ালা সবার জন্য রিজিক নির্ধারণ করে দিয়েছে। আর এই রিজিকের কথা চিন্তা করে যদি আপনারা সন্তান না নেন তাহলে হারাম কাজে লিপ্ত হবেন। তবে আপনার স্ত্রী যদি বড় কোন ধরনের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে সন্তান নিলে।তাহলে সন্তান নেওয়া থেকে বিরত থাকতে পারেন ।
আবার আপনি আর একটি কারণেও জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে পারেন সেটি হল আপনার যদি পূর্বে একটি সন্তান থেকে থাকে এবং সে যদি তার মায়ের দুধ পান করে তাহলে । কারণ ওই বাচ্চাটির কারণে এই বাচ্চাটির অধিকার ক্ষুন্ন হবে এক্ষেত্রে আপনি জন্ম নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন। তো বন্ধুরা অবশ্যই জানতে পারলেন যে ইসলাম কোন কোন ব্যাপারে জন্ম নিবন্ধন করতে বলেছেন এবং কোন ব্যাপারে জন্মনিয়ন্ত্রণ করতে নিষেধ করেছেন সে সম্পর্কে।
জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ভালো কোনটা
বন্ধুরা আপনাদের উপর উক্তি আলোচনায় জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি সম্পর্কে জানিয়েছি তো এখন আমরা জানব জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ভালো কোনটা ,জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি - জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ভালো কোনটা এই পোষ্টের মাধ্যমে। তো চলুন বন্ধুরা জানি কোন জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিটি সবচেয়ে ভালো। জন্মনিয়ন্ত্রণের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এবং কার্যকারী পদ্ধতি হলো পুরুষদের জন্য ভ্যাসেকটমি (৯৯.৮৫% সাফল্যের হার) আর মহিলার জন্য টিউবাল বন্ধ্যা করন (যার সফলতার হার ৯৯.৫%) এবং টিউবেকটমি।
তো বন্ধুরা অবশ্যই এতক্ষণে জেনে গেছেন জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতিগুলো কি কি এবং জন্ম নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কোনটা ভালো কার জন্য সে সম্পর্কে। তো আশা করছি এই ব্যাপারে আপনাদের আর কোন প্রশ্ন নেই, আর যদি প্রশ্ন থেকে থাকে অবশ্যই জানাবেন।
শেষ কথা
বন্ধুরা আপনাদের এতক্ষণ জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি কি - জন্মনিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি ভালো কোনটা এই পোস্টটি পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ। তো আপনারা যদি এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই জন্মনিয়ন্ত্রণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন ।আর যদি আপনি এ সম্পর্কে জানতে পারেন এবং এই পোস্টটি ভাল লেগে থাকে তাহলে আপনি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন এবং আমাদের পেজটি ফলো রাখুন।-ধন্যবাদ
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url